পদ্মা নদীর পাড়ে বনভোজন ⛵🛥️ পর্ব-২য়(শেষ)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

১৮মাঘ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

২৯জানুয়ারী , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
৫রজব, , ১৪৪৪ হিজরী
রবিবার।
শীতকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


🍗😋

1674978929840.jpg

আমার বাংলা ব্লক পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য মঙ্গল এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন এই কামনা সব সময়ই করি। গত সপ্তাহে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমাদের পারিবারিক বনভোজনের প্রথম পর্ব আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চলছি দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব। আপনারা জানেন যে গত সপ্তাহে আমি বলেছিলাম শহর থেকে আমার ভাই গ্রামে আসছে ছুটিতে। ভাতিজা এবং ভাইকে নিয়ে মূলত আমাদের এই আয়োজনটা করা হয়েছিল। কেননা শহরের মানুষ মুক্ত জায়গা পেলে মুক্ত হওয়া পেলে অনেক খুশি হয়। গত পর্বে কিছু ছবি এবং কথা শেয়ার করেছিলাম এ পর্বেও আপনাদের সাথে শেয়ার করব রান্না এবং খাবারদাবারের কিছু ছবি।মোট কথা বলতে শেষ কবে এত আনন্দ উল্লাস এবং উদ্দীপনার সাথে খাবার খেয়েছি সবাই মিলে একসাথে বসে এরকম মজার মাধ্যমে বলতে পারি না। জানিনা ২৩ সালে এমন আনন্দঘন মুহূর্ত আর ফেরত পাব কিনা । আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে


🍗😋

IMG_20230129_134335.jpg

IMG_20230129_134401.jpg

*গত পর্বে আপনাদের সাথে গল্পে গল্পে মাংস রান্না পর্যন্ত শেয়ার করেছিলাম যেহেতু রান্না হবে বিরানি এজন্য আজকে বিরানি রান্নার প্রসেসের প্রথম থেকেই শুরু করলাম। দেখতেই পাচ্ছেন মিনি সসপিন উঠিয়ে সেখানে মসলা এবং তেল দিয়ে নাড়তে শুরু করে দিয়েছি।


🍗😋

IMG_20230129_134452.jpg

IMG_20230129_134530.jpg

IMG_20230129_134635.jpg

IMG_20230129_134702.jpg

আপনাদেরকে বলেছিলাম যে ভাই এবং ভাইয়ের ছেলের কথা। ফটোগ্রাফিতে আপনাদেরকে ভাইয়ের ছেলের কিছু ছবি দেখিয়েছি এবং তার খুশির মুহূর্ত গুলো আমি চেষ্টা করেছিলাম ক্যামেরাবন্দি করার। আসলে ইট পাথরের মাঝে বন্দী জীবন ছোটবেলা থেকেই ওর এরকম মুক্তমনা পরিবেশে ও কমই ঘোরাফেরা করেছে যার কারণে একটি দিন আমাদের সাথে থেকে এমন মুক্ত পরিবেশে ঘোরাফেরা করে কি পরিমান আনন্দ উপভোগ করেছে আসলে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আপনারা হয়তো ছবি দেখেই এই বিষয়গুলা আন্দাজ করতে পারছেন সে কতটা খুশি। একপাশে অথৈ পানি পদ্মার অপরপাশে সবুজ ফসলে ভরপুর তার মাঝে আমাদের এমন আয়োজন আসলে মজা হওয়াটারই কথা।


🍗😋

IMG_20230129_134419.jpg

IMG_20230129_134606.jpg

IMG_20230129_134753.jpg

IMG_20230129_134833.jpg

এ পর্যায়ে এসে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি রাধুনীদের রান্না করার প্রসেসগুলো এবং তাদের সাথে মজার কিছু ছবি। ফটোগ্রাফি গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন রান্নার আমেজ চলছে রান্না হলেই ধুমছে খাবার শুরু হবে খাওয়া। কেননা বাড়ি থেকে হালকা-পাতলা নাস্তা করে গিয়েছিলাম। এরকম মুক্ত পরিবেশে মজাদার খাবার রান্না করে খাব বলে।


🍗😋

IMG_20230129_134913.jpg

IMG_20230129_135019.jpg

দেখতে দেখতে আনন্দ খুশির মাঝ দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছিল আমাদের সময়। দেখতেই পাচ্ছেন রান্না প্রায় শেষের দিকে এখন বিরানির মধ্যে মাংস দিয়ে কিছু সময় রেখে দিয়েই রান্নার প্রস্তুত প্রণালী শেষ হয়ে যাবে। রান্নার এ পর্যায়ে কিন্তু খুব সুঘ্রাণ বের হয়েছিল সবাই এসে দেখছিল রান্না শেষ হতে আর কত বাকি কেননা এত সময়ে সবার পেট ই ক্ষুধায় চোচো করছিল।


🍗😋

IMG_20230129_135054.jpg

IMG_20230129_135123.jpg

রান্না করে খাব এরকম মুক্ত পরিবেশে তবে বাড়ি থেকে কিন্তু খাবারের জন্য আলাদা কোন প্লেট নেওয়া হয়নি। কেননা আমাদের পূর্বেই ধারণা ছিল ওখানে কলাপাতা পাওয়া যাবে। সবাই মিলে একত্রে বসে কলাপাতার উপর খাবার খাব। দেখতেই পাচ্ছেন ফটোগ্রাফিতে রেসিপি প্রস্তুত করা শেষ এরই মাঝে কলাপাতার উপর ঢেলে রাখা হয়েছে খাবারের জন্য।


🍗😋

IMG_20230129_135221.jpg

IMG_20230129_135251.jpg

এখন ফটোগ্রাফি দেখে আশা করছি আপনাদের আর বোঝার বাকি নেই আমরা এখন কি করতে চলছি। রান্না শেষ হলে খাবারের জন্য সব অ্যারেঞ্জমেন্ট করার পরে সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া শুরু করেছি কলাপাতায়। আসলে এটি আমার জীবনেরও প্রথম অভিজ্ঞতা যে আমি কলাপাতায় খাবার খাচ্ছি। সত্যি আমরা অনেক মজা করে খাবার গুলো খাচ্ছিলাম। খাবার খাওয়ার সময় ভাইয়া বলতেছিল যে আমাদের গ্রামে আগে মানুষ মারা গেলে যে খানা খাওয়ানো হতো সবই কলাপাতায়। যাক পূর্বে খেতে পারেনি তাতে কি হয়েছে এখন তো কলাপাতায় খাবার খেতে পেলাম। ভাতিজিকে দেখতেই পাচ্ছেন সে একটু করে খাবার হাতে নিচ্ছে এবং সেটা মুখ থেকে হাওয়া দিয়ে ঠান্ডা করে তারপরে খাচ্ছে।


🍗😋

IMG_20230129_135326.jpg

*আসলে খাবার খুবই মজাদার হয়েছিল যার কারণে সবাই মিলে একদম চেটেপুটে খেয়েছি 🍗😋😋 আসলে শেষ কবে এত মজাদার খাবার সবাই মিলে একত্রে এত মজা করে বসে খেয়েছি আমার মনে নেই। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে ২০২৩ সালটা খুব ভালোভাবে শুরু করলাম হয়তো এই দিনের মতো মজা এ বছরে আর করতে পারব কিনা সেটা বলতে পারি না।। যাহোক 2 পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি আমাদের বনভোজনের ফটোগ্রাফি এবং কথা আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


লোকেশন:

ডিভাইসঃ Canon 600d



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

আসলে শহরের ইট পাথরের বন্দী জীবন একদম ভালো লাগেনা।গ্রামের পরিবেশে খোলামেলা জায়গায় ঘুরতে পারলে অনেক ফ্রেশ লাগে মনটা।আপনার ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা দেখছি অনেক হাসি-খুশিতে ঘোরাফেরা করছে এবং সাথে পিকনিকের আয়োজন করেছেন।নদীর পাড়ে অনেক সুন্দর একটি পিকনিকের আয়োজন করেছেন এবং সবাই মিলে বেশ মজাদার খাওয়া দাওয়া।মুহূর্তটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন মুক্ত পরিবেশে ঘুরলে মনটাও পরিবেশের মত উদারতা পায় এবং খুশিতে ভরে থাকে ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58572.58
ETH 2551.35
USDT 1.00
SBD 2.47