গ্রাম্য বাজারে সাপের সথে বেজির খেলা(beneficiary 10% @shy-fox)

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আসসালামু আলাইকুম।

আজ ১৯ ই ভাদ্র - ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার -শরৎকাল।

আশা করি সৃষ্টি কর্তার অসেস কৃপায় আপনারা সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গ্রাম্য বাজারের সাপ,বেজি খেলার দৃশ্য আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

বেজি

IMG_20210902_071916.jpg

নদীমাতৃক বাংলাদেশের বেদে সম্প্রদায়ের প্রতিটি বহরের সাথে ‘সাপ’ ছিল তাদের একটা অংশ বিশেষ।তারা ছিল যাযাবর। জীবন চলার পথে বছরের কয়েকটি মাস কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমান শিবির টাঙিয়ে তারা বসবাস করে। এরপর জীবিকা হিসেবে কেউ বানর, কেউ সাপ,বেজি, কেউ বা অন্য কোন পেশায় নিযুক্ত থেকে বসবাসকৃত এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে বেদেনীরা সাপ নাচিয়ে খেলা দেখাত।
আবার তাদের পুরুষ সঙ্গীরা জীবিকা নির্বাহ করত সাপ, বানর কিংবা অন্য কোন কর্মকরে। এদিকে পুরুষ সাপুড়েগণ গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারে সাপ নাচিয়ে লোক জড়ো করে খেলা দেখিয়ে কিংবা ওষুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত।আমরা যেতে কে বলে থাকি হকারি।


তাবিজ বিক্রি

IMG_20210902_072506.jpg

IMG_20210902_072037.jpg

গ্রাম-গঞ্জে কিংবা শহরে বিভিন্ন অঞ্চলে বীণ বাজিয়ে নেচে, গেয়ে বিষধর সাপের খেলা দেখিয়ে দর্শকের মন মাতিয়ে সামান্য আয়েই চলে বেদেদের জীবন জীবিকা। দর্শকদের মন ভুলিয়ে মানুষ জমিয়ে তাবিজ বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করে ২-৩ শত টাকা। নিজ পরিবারসহ আরো কয়েকটি পরিবার নিয়ে নিজের জেলা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুর-দুরান্তে জীবিকা নির্বাহের জন্য ছুটতে হয় তাদের।


বেজির খেলা

IMG_20210902_072344.jpg

IMG_20210902_072315.jpg

গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে একসময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাপ ধরা ও সাপের খেলা দেখিয়ে, তাবিজ বিক্রিসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার কথা বলে ঘুরে বেড়াতো বেদেরা (যদিও এসব অপচিকিৎসার কোন ভিত্তি নেই) তবুও মানুষ ক্ষণিকের বিনোদনে মাতোয়ারা হয়ে এসব তাবিজ-কবজ কিংবা ঔষুধ কিনত। এখন সেই সাপ খেলা সচরাচর দেখা যায় না।


হাত দিয়ে ধরে সাপের খেলা দেখানো

IMG_20210902_072252.jpg

IMG_20210902_072230.jpg

IMG_20210902_072132.jpg

আমাদের দেশে বর্তমানে দাঁড়াশ, চন্দ্রমুখী, কাল নাগিনী, গোঁখড়ো, দুধমনি, পঙ্খীরাজসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ সাপ রয়েছে। তবে এগুলো পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। আমাদের সংগ্রহেও আছে। তবে আগের মতো সাপ খেলা দেখিয়ে কিংবা ঔষধ বিক্রয় করে সংসার চালানো যায় না। আগের মতো সাপও পাওয়া যায় না। তাই কালের আবর্তে সাপুড়েদের মত ঝড়-বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এরাও হারিয়ে যাচ্ছে।


আমাদের গ্রামের মুরব্বিরা বলে, সাপ নাচানো অর্থাৎ সাপের খেলা এক সময় বাঙালীর বিভিন্ন বিনোদন একটি ছিল। প্রকৃতি থেকে সাপ হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন পেশা বদল করায় এবং প্রকৃতি থেকে সাপের আবাসন কমার ফলে আগের মত আর সাপ খেলা দেখা যায় না।

W3W:

https://w3w.co/refunds.long.aggrieved

Device:redmi

Sort:  

লাস্ট পাঁচ বছর আগে সাপের খেলা দেখেছিলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার দেখা পাঁচ বছর আগের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমিও একটি বাজারে সাপের খেলা দেখেছিলাম।ঠিক এরকম ভীর করে মানুষ সেদিনও সাপের খেলা দেখেছিল।

শুভ কামনা রইলো ভাই।

 3 years ago 

ধন্যবাদ

আমি কয়েকবার সাপের খেলা দেখেছি। তবে বেজির সাথে সাপের খেলা এখনও দেখি নাই। তবে এগুলো এখন আর তেমন দেখা যায় না। আপনে বেশ সুন্দর ভাবে আপনার পোষ্টের মধ্যে লিখেছেন বিষয়টা।

শুভ কামনা রইল।

 3 years ago 

আমরা প্রায়ই এই বিনোদন টি হারাতে চলেছি।আগে মত গ্রাম গঞ্জের হাটে আর এদের দেখা মেলে না
আপনার সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।

 3 years ago 

অনেক সুন্দর একটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সাপ খেলা একসময়ে বাংলার ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে যেমন বেদে সম্প্রদায় কমে যাচ্ছে তেমনি সাপের খেলাও বন্ধ হচ্ছে। আমি নিজেই অনেক দিন আগে দেখেছিলাম এই খেলা। ধন্যবাদ ভালো একটি বিষয়ে লিখেছেন।

 3 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য এবং আমাকে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ রকম সাপোর্ট দেওয়ার জন্য

 3 years ago 

ধন্যবাদ। সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করব।

 3 years ago 

😍😍😍

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 70786.17
ETH 3822.35
USDT 1.00
SBD 3.50