আবেগের কবিতা কাশ-কুমারী।।।
২৩আশ্বিন , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
০৮অক্টোবর , ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
১১রবিউল আওয়াল , ১৪৪৩ হিজরী
শনিবার।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
কাশবনের সৌন্দর্য কাশবনের মাধুর্য জীবনের অনেকবারই উপভোগ করেছি। কিন্তু গতকাল বিকেলে যেভাবে কাশবনের সৌন্দর্যতা উপভোগ করেছি পূর্বে আর কখনো এভাবে দেখা হয়নি। বিকেলবেলা একা একা আনমনে কাশবনের ধারে বসে দেখছিলাম কাশবনের দোলা দেওয়া এবং নীলিমার বুকে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ঝাঁকগুলো। তখনই ভেবেছিলাম একটি কবিতা লিখি কাশবন এবং সাদা মেঘের ভেলা নিয়ে। কয়েকটা লাইন লিখেও ফেলেছিলাম। হঠাৎ করেই কাশ বনের ধারে নেমে এলো এক স্বর্গীয় পরী তাকে দেখে তো আমি অবাক। তখনই ঘুরে গেল আমার কবিতা লেখার মরা কবিতাটি হয়ে গেল অন্যরকম তাকে নিয়ে লিখে ফেললাম আমার ভাষায় একটি কবিতা কাশফুলের সাথে মিশে। এত সুন্দর একটা মেয়ে কাশবনের ধরে দেখতে পাবো আসলে আমি কখনো বুঝতেই পারিনি। তবে এতোটুকুনি বুঝতে পেরেছি যে সেবও আমার মতই কাশফুলের মেলায় এসে সাদা মেঘের ভেলায় মনটা ভাসিয়ে দিয়েছিল। যা হোক কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি আমার এই ছোট্ট কবি মনের ভাষাগুলো আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
কাশ-কুমারী
শরৎ সেজেছে কাশফুলের সাজে সাদা বালুচরে!সাদা মেঘের ঝাক উড়ছে অপরূপ নীলীমায়!
ভাটিয়ালী সুরে শুভ্র কাশবন কেড়েছে মাঝির মন,
নদীর কূলে কত যে নিবিড়; স্বপ্ন আকা ছবি!
হাওয়ায় দোলে কাশফুলের সাথে যেতে চায় মন সুদূরে;
ভালোবাসায় আটকে গেছি শরতের মায়ায়!
ফুলের সাথে মনটা ওড়ে প্রজাপতির নাচে ।কাশকন্যাদের পাপড়ির রেখায় হাড় মেন যায় পরী!
উদাসী মন হাতছানি দেয় ভেসে চলে মেঘের ভেলায়!সুরের ছোঁয়ায় মন যে নাচে ভাটিয়ালির মায়ায় !
সাদা কাশফুলের চাদরে ছেয়ে গেছে বালুচর। নিলীমায় উড়ছে সাদা মেঘ স্তরে স্তর।
হঠাৎ ধরায় নেমে এলো এলোকেশী কুমারী !কপালেতে লাল তিথি নজরে পূর্ণিমা শশী।
লাল শাড়ি লাল তিথি তন্বী মনোহারী!
কাশবনের রাজকুমারী এ যেন স্বর্গীয় পরী!
জোড়া ভ্রুর ডাগর নীল চোখে কালো কাজলে রাঙা।দক্ষিণা হাওয়ায় উড়ছে তার শাড়ির আঁচল।
রাজকুমারীর মায়াবী চাহনি মুখ ভরা হাসি !
প্রকৃতির যেন হার মেনে গেল তাহার রুপের চাহনিত।
কবির অন্তর কেঁপেছে আজই দেখে তাহার চাহনি।!
কাশবন সাজিলো এখন রাজকুমারীর পরশে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
ভাটিয়ালী সুরে শুভ্র কাশবন কেড়েছে মাঝির মন,
নদীর কূলে কত যে নিবিড়; স্বপ্ন আকা ছবি!
হাওয়ায় দোলে কাশফুলের সাথে যেতে চায় মন সুদূরে;
ভালোবাসায় আটকে গেছি শরতের মায়ায়!
ফুলের সাথে মনটা ওড়ে প্রজাপতির নাচে ।কাশকন্যাদের পাপড়ির রেখায় হাড় মেন যায় পরী!
উদাসী মন হাতছানি দেয় ভেসে চলে মেঘের ভেলায়!সুরের ছোঁয়ায় মন যে নাচে ভাটিয়ালির মায়ায় !
সাদা কাশফুলের চাদরে ছেয়ে গেছে বালুচর। নিলীমায় উড়ছে সাদা মেঘ স্তরে স্তর।
হঠাৎ ধরায় নেমে এলো এলোকেশী কুমারী !কপালেতে লাল তিথি নজরে পূর্ণিমা শশী।
লাল শাড়ি লাল তিথি তন্বী মনোহারী!
কাশবনের রাজকুমারী এ যেন স্বর্গীয় পরী!
জোড়া ভ্রুর ডাগর নীল চোখে কালো কাজলে রাঙা।দক্ষিণা হাওয়ায় উড়ছে তার শাড়ির আঁচল।
রাজকুমারীর মায়াবী চাহনি মুখ ভরা হাসি !
প্রকৃতির যেন হার মেনে গেল তাহার রুপের চাহনিত।
কবির অন্তর কেঁপেছে আজই দেখে তাহার চাহনি।!
কাশবন সাজিলো এখন রাজকুমারীর পরশে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
আমার কপাল অনেক খারাপ, কাশফুলের সৌন্দর্য আমি কখনো উপভোগ করিনি। ছোটবেলায় দিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন কিন্তু সেই স্মৃতি একটুও মনে নেই।
শরৎকালে কাশফুল পাওয়া যায় তাও জানতাম না। যাইহোক ভাইয়া কবিতাটা আসলে বেশ ভালো লাগে খুব সুন্দর করতে রচনা করেছেন আপনি।
আসলে নদীর ধারে কাশবনের পাড়ে সময় কাটানোর মজাটাই অন্যরকম এটা আমার জীবনে আমি ছোটবেলা থেকেই উপভোগ করেছি সেই শৈশবের বন্ধুদের সাথে নদীতে গোসল করা কাশফুল নিয়ে বাড়িতে আসা কত শত স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এর সাথে
কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন। আসলে কোন কিছু নিয়ে উপভোগ করা যায় তখন মনের কবিতা ছন্দ ভাসে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করাব জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপনি উৎফুল্ল মনে যদি কোন কিছু মন থেকে উপভোগ করা যায় তাহলে সেগুলোই সন্দেহে মনের কোণে ভাসতে শুরু করে আমিও ঠিক সে রকমই ছন্দ গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি আপনার ভালো লেগেছে যেন অনেক খুশি হলাম।
আমি কখনো সরাসরি কাশফুল বনে দেখিনি। তবে হ্যাঁ দু-একটি কাশফুল দেখেছি বটে। কিন্তু আপনার কবিতাটি শুনে ইচ্ছে করছে কাশফুল বনে যেতে। যতক্ষণ আপনার কবিতাটি পড়ছি ততক্ষণ যেন হারিয়ে যাচ্ছি কাশ ফুল বনে। ধন্যবাদ ভাইয়া কাশফুল নিয়ে এত সুন্দর একটা কবিতা লেখার জন্য।
আসলে কাজ বলে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই এরকম পরিবেশে মাঝে মাঝেই সময় কাটিয়েছি বিশেষ করে শরৎকালে তাইতো এখন যখন এরকম পরিবেশে সময় কাটাই সেই শৈশবের স্মৃতিগুলো মনের কোণে ভাসে
কাশবন সাদা মেঘের ভেলা নিয়ে দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া । আপনার মত আমিও গতকাল বিকেলবেলায় কাশবন দেখেছি । সত্যিই চমৎকার অনুভূতি এই শরতের কাশবন ও সাদা মেঘের ভেলা দেখতে । সত্যিই অসম্ভব ভালো লাগে যা আপনার কবিতার পড়তে পড়তে ফুটিয়ে তুলেছেন । বেশ ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে । ধন্যবাদ ।
ঠিকই বলেছেন আপু এরকম শরৎকালে নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ভেলা আর কাশবনের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা বা সেখানে বসে কিছুটা সময় পার করা সত্যিই অনেক আনন্দময় অনেক খুশি।
এই শরতে এখনো কাশফুল বনে যাওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন জায়গায় কাশফুল দেখেছি। কাশফুলের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। আপনি কাশফুলের সৌন্দর্য নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।
যেহেতু এখনো কাশফুলের বনে গিয়ে এরকম মজা এবং আনন্দটা উপভোগ করতে পারেননি শরৎকাল তো প্রায় শেষের দিকে তাই বলবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গিয়ে একটু সময় পার করে আসবেন দেখি আমি খুব ভালো লাগবে
শরতের কাশফুল আমিও খুব কাছ থেকে উপভোগ করেছি,মনে হয় এ এক স্বর্গীয় প্রশান্তি।ভাইয়া, আপনি কি সত্যিই মেয়েটিকে দেখেছিলেন নাকি কাল্পনিক মেয়ে ছিল আমার কনফিউশন আছে!যাইহোক কবিতাটি সুন্দর হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু সত্যি সত্যি মেয়েটিকে দেখেছিলাম কি অপরুপা ছিল মেয়েটি উপরে নীল আকাশ সাদা মেঘের ভেলা আর নিচে কাশফুলের সৌন্দর্যের সাথে মেয়েটি যেন একাকার হয়ে আরো সৌন্দর্যটা বেড়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল তাইতো আমার এই মনে তখন কবি কবি একটা ভাব জেগে উঠেছিল তাইতো লিখে ফেললাম এই কবিতাটি