ইট ভাটা ভ্রমণের দারুন অভিজ্ঞতা 💥
২৩মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০৫ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৫রজব ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
💥💥
মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে। মানুষ কাউকে স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার মাধ্যমে। আবার কাউকে স্মরণ করে ঘৃণার মাধ্যমে। পৃথিবীতে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য দুটি উপায়ে রয়েছে একটি ভালো পথ একটি মন্দ পথ। কারো জন্য মানুষ কল্যাণ কামনা করে আবার কারো জন্য অকল্যাণ কামনা করে। সৃষ্টি লগ্ন থেকে আমরা দেখে আসছি এখন পর্যন্ত কত মনীষীকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। ভালো উপমা দেওয়া হয় তাদেরকে দিয়ে। আবার পাঠ্য বইতে ও তাদের জীবন সম্পর্কে পড়ানো হয় ছাত্রছাত্রীদের। পক্ষান্তরে অনেককেই আবার গালি দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। কেউ খারাপ কাজ করলে সেই লোকটার নাম স্মরণ করে তাকে দিয়ে উপমা দেওয়া হয়। এর মানে বোঝাই যাচ্ছে পৃথিবীতে আমরা কেউ চিরকাল স্থায়ী নয়। এমন কিছু ভাল কাজ করতে হবে যেন গভীর শ্রদ্ধার সাথে পৃথিবী আপনাকে মনে রাখে। তবে মনে রাখতে হবে যদি ভালো না করতে পারি কখনোই খারাপ করা যাবে না কারণ আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদেরকে গালি দিবে বঞ্চনা লাঞ্ছনা দেবে। চেষ্টা করি প্রতিদিন একটি হলেও ভালো কাজের মাধ্যমে কারোর উপকারে আসা। না পারলে অন্তত অন্যের ক্ষতি থেকে দূরে থাকে। যাইহোক অনেক কথা বলে ফেললাম আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব ইটের ভাটা ভ্রমণের দারুন এক অভিজ্ঞতা। যেখানে গিয়ে জীবনের আসল বাস্তবতা খুঁজে পেয়েছি। সেই সাথে অনেক ভয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তাহলে চলুন এবার শুরু করি।
🌋🌋
নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি ইটের ভাটা ভ্রমণ করতে গিয়ে। একটা ইট প্রস্তুত করা থেকে পুরানো এবং সেটা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা এতটা পরিশ্রম করতে হয় আসলে আমার জানা ছিল না। হঠাৎ করেই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শীতের রাতে ভ্রমন করতে যাব। বিশেষ করে আমাদের অঞ্চলে বর্তমান সময়ে পদ্মা নদীর আশপাশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে উঠতেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটা ইটের ভাটা অন্যতম। এছাড়াও রিসোর্ট পার্ক আরো অন্যান্য ব্যবস্থা হচ্ছে। শীতের রাতে একটু উষ্ণতা পাওয়া সত্যি অনেক ভালো লাগে। তাছারা নদীর পাড়ের ঝিরঝিরে হাওয়া এবং ইটভাটার গরম অন্যরকম একটি অনুভূতি জাগাবে এই ভেবে আমরা ইটভাটা গিয়েছিলাম সন্ধ্যার একটু আগে। ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ইট পুরানোর বিভিন্ন প্রসেস। ভেবেছিলাম ইটের ভাটায় গিয়ে আলু নিয়ে যাব এবং ওই আগুনে আলু পুড়িয়ে খাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা আর সম্ভব হয়নি।
💥💥
মানুষ জীবিকার তাগিদে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে পরিশ্রম করে দুমুঠো খাওয়ার জন্য মেহনত করে। ইটের ভাটার এক একজন শ্রমিক সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। আমরা ভাটার উপরের অংশ হেঁটে হেঁটে দেখেছি এতটা গরম যে এই শীতের সময় ও গা ঘামতে শুরু করে। আর ভিতরে যে প্রচলিত অগ্নি দেখতে পেয়েছি আসলে ওর মধ্যে একজন মানুষ যদি পড়ে যায় তাহলে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এখানে কাজ করতে গিয়ে কোন রকম যদি একটু ভুল হয় বা বেখ্যালি হয়ে থাকে তাহলে তার জীবন চলে যাবে এমনটা হয়। দেখতে পাচ্ছেন একটা ঢাকনা সরানোর পরে ভিতর থেকে অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়ে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। ইটের ভাটায় কাজ করে অর্থাৎ ইট পোড়ানো মিস্ত্রি তাদেরকে বলেছিলাম আমাদের কয়েকটা আলু পুড়িয়ে দিতে যেটা আমরা খেতে পারি। কিন্তু তখন তিনি এমন একটা কথা বলেছেন যা শুনে সত্যি। বলল এখানে একটি কাঁচা কাঠের ফেলে দিলে মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে কয়লা হয়ে যাবে। সেখানে সামান্য একটা আলু পোড়ানো সম্ভব নয়। অনেকটা সময় এই ভাটার চারিপাশ এবং ভাটার উপর অংশ আমরা থেকেছি। খুব ভালো লাগছিল কিন্তু অনেক রিক্সিও ছিল। যাইহোক শীতের রাত্রে সন্ধ্যা বেলা এমন একটি জায়গা ভ্রমণ করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এরকম জীবিকার ব্যবস্থা গড়ে ওঠাতে আমাদের অঞ্চলের মানুষ অনেক খুশি।এরই মধ্য দিয়ে শেষ করছি আমার আজকের ভ্রমণ পোস্ট আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ইট ভাটা ভ্রমণের দারুন অভিজ্ঞতা । আসলে আমাদের বাড়ির পাশে বেশ কয়েকটি ইটের ভাটা রয়েছে শীতের সময় সেখানে আমরা কিছু ছেলে গিয়ে বসে থাকতাম আগুন পোহানোর জন্য। আসলে ভাটার উপরে বেশ গরম লাগতো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি ইট ভাটা ভ্রমণের খুব সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। আমাদের এলাকায়ও অনেক ইটের ভাটা রয়েছে৷ সেখানে আমি মাঝে মাঝে ঘোরার জন্য গিয়ে থাকি। সেখানে খুব সুন্দর কিছু মুহুর্ত উপভোগ করি। আজকে আপনিও খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আমি সেখানে মোটেও সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করিনি আমি শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট দেখে অনেক কিছু শিখেছি।
যেখানে তারা নিজের জীবনকে হাতের মুঠোয় রাখে।
মানুষ পরিশ্রম করে এবং সুখে-শান্তিতে সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকতে। আপনি দেখতেছি ইটের ভাটা ভ্রমণ করে ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আসলে ভাইয়া আমাদের বাড়ির পাশে ইট ভাটা আছে। ইট ভাটা যারা কাজ করে তারা অনেক পরিশ্রম এবং কষ্ট করে। সামনে থেকে গেলে বোঝা যায় তাদের জীবনের রিক্স হাতে নিয়ে কাজ করতেছে। যাইহোক সন্ধ্যা সময় ঘুরতে গিয়ে ভালো একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এবং পোস্টটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ।
ইটের ভাটা ভ্রমণ করে আসলেই দারুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
তাদের পরিশ্রম দেখে সত্যি আমি অবাক জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তারা কাজ করে।