ভ্রমণ🚴♂️ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদী 📸 প্রথম পর্ব।
০৪চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৮মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
০৭রমজান ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার ❤️
বসন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🚴
শুভ রাত্রি ❤️ ইতিমধ্যে হয়তো আপনারা জানেন গত দুটি ভ্রমণ পোস্টে বলেছিলাম ঢাকা ভ্রমণের কিছু গল্প কথা ও ফটোগ্রাফি। মূলত আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণ এবং সেখানে আমাদের বাৎসরিক কনফারেন্স করার। পূর্বে আমি ইউটিউবের মাধ্যমে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কের অনেক ভিডিও দেখেছি। প্রাকৃতিকভাবে সাজানো সৌন্দর্যে ভরপুর। এবং বিভিন্ন ব্লগারের বর্ণনা শুনেছি এই পার্ক সম্পর্কে। আবার বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কাটিং ভিডিও দেখে অনেক আকর্ষণ জমে ছিল এই জায়গাটা ভ্রমণের। আসলে একটা জিনিসের প্রতি আকর্ষণ তখনই হয় যত সময় না সেই জিনিসটা নিজ চোখে দেখা যায়। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল বন্ধুদের সাথে ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণ করব। বেশ কয়েকবার পরিকল্পনাও করেছি কিন্তু সময় সাপেক্ষে হয়ে ওঠেনি। হঠাৎ করে যখন ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে এনাউন্সমেন্ট হল এবার আমাদের বাৎসরিক কনফারেন্স হবে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে ঠিক তখন থেকেই আনন্দটা বেড়ে আরো তিন চার গুন বৃদ্ধি হয়ে গেল। সব মিলিয়ে দিন বোনদের শুরু করলাম ড্রিম হলিডে পার্কে কোন দিন প্রবেশ করব এবং প্রাকৃতিকভাবে সাজানো সৌন্দর্যগুলো দেখে নয়ন জড়াবো। আসলে বলতে গেলে ভ্রমণের প্রতি আমার অন্যরকম একটি নেশা রয়েছে সেই সাথে ফটোগ্রাফির কথা কি বলবো সেটা আপনাদের নিশ্চয়ই জানা আছে। দিন গুনতে থাকলাম ক্যালেন্ডারের পাতায় ড্রিম হলিডে পার্কে প্রবেশ করব ১৭ ই ফেব্রুয়ারি। দেখতে দেখতে সেই মুহূর্ত চলে এলো ঢাকায় গেলাম ঢাকা বাণিজ্য মেলা 300 ফিট এবং যমুনা ফিউচার পার্ক ভ্রমণও করে ফেললাম। ১৭ তারিখ সকালে আমাদের অফিসিয়াল গাড়িতে করে চলে গেলাম ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদীতে। কি বলবো ভাই যাওয়ার সময়ও গুগল ম্যাপ দেখছিলাম আর কত সময় পরে পৌঁছাব সেই রহস্য ঘেরা জায়গাটিতে। যাহোক আজকের পর্বে কিছু ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে নিব। পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে পুরো ড্রিম হলিডে পার্কটি ফটোগ্রাফির সাথে আপনাদেরকে ঘুরে দেখাবো। আমার মত যাদের ভ্রমণ করতে ভালো লাগে বা যারা এখনো ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণ করেননি আশা করছি আমার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন ও দেখতে পারবেন। আর সময় নয় তাহলে চলুন এবার ফটোগ্রাফি গুলো এবং বর্ণনা দেখে আসি।
🚴
যেহেতু এটা অফিসিয়াল টুর ছিল এজন্য অফিসিয়াল ভাবেই আমাদের যেতে হয়েছিল। অফিসের যেরকম নির্দেশনা ছিল আমাদের ঠিক সে রকম ভাবে চলাফেরা করতে হচ্ছিল। আমরা সকাল সকাল রওনা হই ড্রিম হলিডে পার্কের দিকে এবং সকাল আটটার মধ্যে সে জায়গায় পৌঁছেও যায়। ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে নেমেই আমরা সবাই সবার মতো করে শুরু করে দিই ফটোগ্রাফি এবং ফেসবুকে যে দেওয়া। পার্কে ঢুকতেই মেন ফটোকে অনেক বড় করে লেখা রয়েছে ড্রিম হলিডে পার্ক। এটার ফটোগ্রাফি নিয়ে এবং সামনে দাঁড়িয়ে আমরা বেশ কয়েকটি সেলফি তুলে নিই।
🚴🚴
যেহেতু অফিসিয়াল ট্যুর ছিল এজন্য আমাদের যাবতীয় খরচ খাওয়া এবং পার্ক এর মধ্যে সমস্ত রাইট সেইসাথে প্রবেশ টিকেট সবকিছুই অফিস দেবে। এজন্য পার্কের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকলাম টিকেট খাবার টোকেন গেঞ্জি এবং একটা নির্দেশনার জন্য। ঠিক সেই মুহূর্তেই গেটে দেখতে পেলাম আমাদের জাতীয় পশুর রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ফটো। পার্কের ভিতরে অনেক বড় একটি দোলনা। তখন থেকেই পরিকল্পনা ছিল এইটাতে উঠবো এবং একদম উপরে বসে সব কিছু চারিপাশ ভালোভাবে দেখব এবং ফটোগ্রাফি করব। পরবর্তীতে অবশ্য সেটা করেছি। একদম মেন গেটেই দেখতে পাই আমাদের আরএফএল কোম্পানির ব্যানার দেওয়া রয়েছে। রেইনবো গ্রুপ এবং টেল গ্রুপের কনফারেন্স একইদিনে একই সাথে হবে এজন্য দুটি একসাথে দিয়ে ব্যানার প্রস্তুত করা ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলে নেই আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বড় ভাই। আমরা সবাই অনেক উচ্ছ্বাসিত এবং আনন্দিত ছিলাম। কেননা একসাথে ১৫-২০ জন মানুষ থাকলে এমনিতেই কথা এবং কাজে অনেক মজা করা যায়।
🚴🚴
এরপরে আমাদের দলনেতার হাত ধরে চলে এলো আমাদের প্রবেশ টিকেট এবং খাবার টোকেন। তবে খাবার টোকেন দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম একদিনে অল্প একটু সময় পাবো অথচ কিছু সময় পরপরই খাবারের মেনু রয়েছে। সেই সাথে টিকিটের উপর পাঁচটা রাইট এবং সুইমিং পেলে গোসল করার সুব্যবস্থা রয়েছে যেটাতে আমাদের কোন টাকায় খরচ হবে না। আসলে পূর্ব থেকে আমাদের কোম্পানি জানিয়েছিল সব খরচ কোম্পানি থেকে বহন করা হবে। খাবার তোকে নে এবং টিকিট নিয়ে আমরা প্রবেশ করলাম ড্রিম হলিডে পার্কের ভিতরে।
🚴
ভিতরে ঢুকতে আমি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ি কোন দিক থেকে কোন দিকে যাব আর ভালো ভালো ফটোগ্রাফি করব। যদিও সঙ্গত কারণে ক্যামেরার সাথে করে নিয়ে যাতে পারেনি। সব ফটোগ্রাফি গুলো ফোনের মাধ্যমে করা হয়েছে। ভিতরে ঢুকতেই দারুন দারুন সব সৌন্দর্য দেখতে পাই। চারিদিকে অনেক রকমের লতা দিয়ে সবুজে মোড়ানো সুন্দর সুন্দর দৃশ্য সেই সাথে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা অনেক সৌন্দর্য চোখে ভেসে ওঠে। ভিতরে ঢুকতেই সামনে পড়ে গেল একটি পৃথিবীর মানচিত্র এবং সেখানে ইংরেজি অক্ষরে লেখা রয়েছে ড্রিম হলিডে পার্ক। ডাইনে বামে প্রস্তুত করা রয়েছে হাতির প্রতিকৃতি। এবং সেই সাথে নির্দেশনা দিয়ে রয়েছে এই পার্কের কোন দিকে কোন কোন সৌন্দর্য গুলো রয়েছে। এবং আরো কিছু নির্দেশনা রয়েছে এখানে কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবে না। সেই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু নির্দেশনা রয়েছে এবং সেই সাথে তাদের ডিউটিও রয়েছে এখানকার পরিবেশ রক্ষা করার জন্য। যাইহোক আজকের পর্বে এখান পর্যন্তই শেষ করছি। এখন কিন্তু ভিতরে সৌন্দর্যগুলো পরবর্তী পর্বতে শেয়ার করব। আমন্ত্রণ রইলো সেই সাথে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন ।আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আরে বাহ আপনি তো আমাদের নরসিংদী চলে গিয়েছেন দেখছি। আমাদের বাড়ির কাছে পার্ক অথচ আমি এখনও যেতে পারিনি। সবার কাছ থেকে শুনেছি আর গ্ৰামে যাওয়ার সময় পার্কে সামনে দিয়ে গিয়ে ইচ্ছে পূরণ করেছি। চিন্তা করেছি ছেলে একটু বড় হলে তারপর যাবো। এই পার্ক বিশাল বড় এরিয়া আর প্রাকৃতিক ভাবে সাজানো হয়েছে বলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া ড্রিম হলিডে পার্কে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই আপনি অনেক ভালো ভালো সৌন্দর্য গুলো মিস করে গেলেন।
তবে বলব সৌন্দর্যগুলো দেখে নিয়েন দেখবেন খুব ভালো লাগবে।
অচেনা অজানা সুন্দর একটি পার্ক সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন নরসিংদীর এই বিখ্যাত পার্ক ভ্রমণ করতে গিয়ে। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের ভ্রমণের প্রথম অংশ দেখে।
তবে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্ক কিন্তু এখন বহুল আলোচিত এখানে অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি সে সাথে ফটোগ্রাফি গুলো তো দেখিনি।
আমি আরো প্রায় ছয় থেকে সাত বছর আগে নরসিংদীর এই ড্রিম হলিডে পার্ক টি তে গিয়েছিলাম। তখনও এই পার্কটা বেশ সুন্দর ছিল। এখন অনেকটাই উন্নত হয়েছে। যার কারণে এখন আরও বেশি সুন্দর লাগে এই পার্কটা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন পার্কে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি যদি ছয়-সাত বছর আগে জেগে থাকেন তখনকার সৌন্দর্য আর এখনকার সৌন্দর্য দেখবেন অনেক পার্থক্য হয়ে গিয়েছে এখন তো আরো ভালোভাবে সাজিয়েছে তারা।
আপনি তো দেখছি ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদীতে গিয়েছিলেন। এই পার্কের সৌন্দর্য দেখে তো আমি জাস্ট মুগ্ধ হলাম। পার্কে ঘুরতে যেতে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। আর এত সুন্দর পার্ক হলে তো কোন কথা নেই। এত সুন্দর একটা পরিবেশ দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ। বুঝতেই পারতেছি খুবই ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন এই পার্কে গিয়ে। আপনি আপনার কাটানো মুহূর্তটা সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করলেন। পুরোটা ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ এই পার্কে কাটানো মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
এখনো তো আরো পর্ব বাদ রয়েছে ভিতরের আরও সৌন্দর্য যদি আপনি দেখেন ফটোগ্রাফিতে সত্যি আপনার অনেক ভালো লাগবে আপনি সত্যি মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি হয় এরকম সুন্দর পরিবেশের একটা পার্ক তাহলে তো কোন কথাই নেই। ড্রিম হলিডে পার্কে গিয়ে ঘুরাঘুরি করেছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। ঘুরাঘুরি করার প্রথম পর্বটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পার্কটা অনেক সুন্দর দেখছি। নিশ্চয়ই অনেক মানুষ এখানে আসে। আর এখানে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনেকে রয়েছে জেনে ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের মাধ্যমে আশা করছি ভেতরের আরো অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারব।
অনেক মানুষ মানে কি যে দিকে যাবেন শুধু মানুষ আর মানুষ। তাছাড়া এই পার্কের এরিয়া অনেক বড়।
আর বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা।
অবশ্যই পরবর্তী পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।