রেসিপি 😋 ছোট চাঁদা মাছের পাকোড়া।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

১৪ শ্রাবণ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২৯জুলাই , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১১মহররম ১৪৪৫ হিজরী
রবিবার।
বর্ষাকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


🐟😋

আমাদের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লোভনীয় রেসিপি দেখি আর লোভে পড়ে যাই। ইচ্ছে করে তাৎক্ষণিক খাবারগুলো তুলে খেতে শুরু করি। বিশেষ করে কিছু সেরা সেরা রাধুনি আছে তাদের রেসিপি দেখলে আরো বেশি লোভ হয় খাওয়ার জন্য। আমিও মোটামুটি এখান থেকেই ভালো ভালো রেসিপি প্রস্তুত পড়া শিখেছি। প্রায় এক মাস আগে ছোট মাছ দিয়ে পাকোড়া প্রস্তুত করা দেখেছিলাম। ছোট মাছ না পাওয়াতে এতদিন প্রস্তুত করতে পারেনি। ও শেষমেষ ছোট মাছ কিনে গত শুক্রবারে মাছ দিয়ে পাকড়া প্রস্তুত করেছিলাম। আসলে মাছ দিয়ে পাকরা প্রস্তুত করে খেতে খুবই মজা লাগে এর আগেও আমি একবার খেয়েছিলাম। তো এবার নিজেই প্রস্তুত করে ফেলেছি মাছের পাকোড়া। এখন আমাদের অঞ্চলে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ খুব পাওয়া যায় কেননা নদী পানিতে ভরপুর। মাছের পাকোড়া প্রস্তুত করেছি এবার ছোট ছোট চাঁদা মাছ দিয়ে। আইডিয়াটা আমার ছিল কিন্তু সম্পূর্ণ প্রস্তুত প্রণালী করেছে ম্যাডাম। যাহোক দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও তেমন মজা হয়েছিল খুব মজা করে খেয়েছি। আশা করছি আমার আজকের প্রস্তুত করা মাছের পাকোড়া রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


😋

প্রয়োজনীয় উপাদান

১.ছোট চাঁদা মাছ 🐟
২.পেঁয়াজ
ই.মরিচ
৪.রসুন
৫.শুকনা মরিচ
৬.হলুদের গুঁড়া
৭.লবণ
৮.এলাচ
৯.কালোজিরা
১০.পাঁচফোড়ন
১১.লবঙ্গ
১২.তেল।

উপরের ফটোগ্রাফি তে আপনাদেরকে দেখিয়েছি রেসিপি প্রস্তুত করার জন্য সমস্ত উপাদান। এর মধ্যে ছিলো মাছ পেঁয়াজ মরিচ রসুন কালোজিরা পাঁচফোড়ন এলাচ লবঙ্গ দারচিনি ইত্যাদি। রেসিপি প্রস্তুত করার আগে সব ধরনের উপাদান প্রস্তুত করে নিয়েছি


😋

পিয়াজ শুকনা মরিচ কাঁচামরিচ রসুন এগুলা পাটায় ভেনিস করতে গেলে খুব করে হাত পুড়ে। এজন্য এখন আর পাটায় বাটা মসলা দিয়ে রেসিপি কমিক খাওয়া হয়। তবে ব্যালেন্ডার থেকে পাটায় বাটা মশলা দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে ভালো লাগে। এবার এগুলো ব্যালেন্ডার দিয়ে ভেনিশ করে নিব।


😋

ব্লেন্ডারে ভেনিশ করার পরে সব ধরনের মসলার ফটো দেখতে পাচ্ছেন। শুকনো মরিচ দেওয়াতে সব মসলার শুকনো মরিচের কালার ধারণ করেছে।


😋

যেহেতু ছোট মাছ পাটায় ভ্যানিশ করতে গেলে কাঁটা ফুটতে পারে হাতের মধ্যে। এজন্য মাছগুলো ব্যালেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ভ্যানিশ করে নিয়েছি। মাছ ব্যালেন্ডার ভেনিস করার পূর্বে অবশ্যই ভালো করে পানি ঝরাতে হবে। যদি একটু রোদে শুকিয়ে নেওয়া যায় সব থেকে বেশি ভালো হয়।


😋

এবার পূর্বে ভ্যানিশ করা কাঁচা মসলার উপরে ভ্যানিশ করা মাছগুলো দিয়ে দিব। এবার পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়া লবণ দিব। এবং পাঁচফোড়ন কালিজিরা এলাচ লবঙ্গ গুঁড়ো দিব। তারপরে সবগুলো উপাদান একত্রে খুব ভালো করে মিশিয়ে নেব।


😋

এবার কড়াইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিছি। তেলটা পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম হলে এর মধ্যে পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা পাকোড়া উপাদান অল্প অল্প করে তেলের উপর ছেড়ে দিব। তবে খেয়াল রাখতে হবে উচ্চ তাপমাত্রা হলে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লো তাপমাত্রায় হলে প্রস্তুত করতে সময় লাগবে। এজন্য মিডিয়াম তাপমাত্রায় ভাজলে সবথেকে বেশি ভালো হয়। এরকমভাবে একে একে সবগুলা পাকোড়া প্রস্তুত করে ফেলি। প্রস্তুত এর সময় খুব সুন্দর সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছিল। কেননা কালোজিরা এবং পাঁচফোড়ন সাথে ছিল এলাচ এর জন্য সুঘ্রানটা বেশিই হচ্ছিল। দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও তেমন মজা হচ্ছিল। ম্যাডাম পাকুরা প্রস্তুত করছিল আর আমি পাশে বসে একটা একটা তুলে তুলে খাচ্ছিলাম আহা কি স্বাদ 😋😋।


😋

***আমাদের দিকে রাস্তার মোড়ে এমন মাছের পাকোড়া বিকেল হলে কিনতে পাওয়া যায় খাওয়ার জন্য। তবে রাস্তার মোড় থেকে কিনে খাওয়ার চেয়ে বাসায় প্রস্তুত করে খাওয়া অনেক ভালো। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত করে ইচ্ছেমতো মসলাগুলো দিয়ে ইচ্ছেমতো খাওয়া যায়। তবে এই জাতীয় খাবারের সাথে গরম ভাত আলু ভাজি অথবা ভর্তা হলে খেতে খুবই মজা লাগে। যেহেতু এটা আমাদের সকালবেলা প্রস্তুত করা হয়েছিল এর জন্য আলু ভাজি গরম ভাত এবং পাকোড়া দিয়ে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে বসে খুব মজা করে খেয়েছি। আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্টে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।


লোকেশন:


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

কথা কিন্তু সঠিক বলছেন আপনি আমাদের কমিউনিটিতে অনেক মজার এবং ইউনিক রেসিপি গুলো শেয়ার করা হয়। তবে আপনারটাও কম ইউনিক হয়নি দারুন পাকোড়া তৈরি করলেন। চাঁদা মাছ রান্না করে খেলে একটু কাটা হয়। আপনি যেহেতু পাকোড়া করেছেন অনেক ভালো লাগবে খেতে।

 last year 

আমাদের এই কমিউনিটি থেকে অনেক কিছুই শিখেছি এর মধ্যে রান্নাও একটি।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ

 last year 

ছোট চাঁদা মাছের পাকোড়া তৈরি করেছেন।খুব মজাদার মনে হচ্ছে।দেখে একেবারে জিহ্বে জল এসে পড়লো 🤤।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 last year 

সত্যি অনেক লোভনীয় খেতে খুবই মজা হয়েছিল।

 last year 

ছোট চাঁদা মাছের পাকোড়া দেখেই মজাদার মনে হচ্ছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

ছোট চাঁদা মাছের পাকোড়া গুলো খেতে আসলেই অনেক মজা। যদি এখনই চাঁদা মাছগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না। ছোটবেলায় বিলের ধারে এরকম চাদা মাছ ধরতাম। আর আমার আম্মু এরকম পাকোড়া বানিয়ে খাওয়াতো। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে।

 last year 

এভাবে একবার প্রস্তুত করে খেয়ে দেখেন খুব মজা হবে আশা করি।

 last year 

ভাইয়া এ কি দেখালেন দেখেই তো আমার জিভে জল চলে এসেছে।ছোট চাঁদা মাছের পাকোড়া, এ ধরনের পকোড়া খেতে যে কি মজা না খেলে বোঝা যাবে না। রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল এবং অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি এর আশায় রইলাম।

 last year 

আসলে ভাইয়া জিভে জল আসার মত একটি রেসিপি এটা।
তেলেভাজা মুচমুচে খাবার সত্যিই সবারই অনেক ফেভারেট।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আহা!! কি মুখরোচক রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই, আপনার মত আমারও তো ইচ্ছে করছে পরিবেশনের প্লেট থেকে চট করে তুলে খেয়ে ফেলি। যদিও বা আমি আগে চিংড়ি মাছের পাকোড়া খেয়েছি তবে কখনো ছোট চাঁদা মাছের পাকোড়া খাওয়া হয়নি। তাই আপনার এই রেসিপি দেখে খাবার ভীষণ লোভ হচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনাদের খাবারের জন্যই পরিবেশন করা আছে ভাইয়া তুলে ঝটপট খেয়ে নেন।

 last year 

আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন ভাইয়া আপনাদের এলাকায় ছোট বড় অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যায় যেটা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এর আগেও দেখেছিলাম। পাকোড়া অনেক রকম ভাবেই খেয়েছি তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো ছোট চাদা মাছের পাকোড়া খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল,অবশ্যই একদিন খাওয়াবেন ভাইয়া। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

এরকম ভাবে একবার প্রস্তুত করে খেয়ে দেখো খুব মজা হবে।
আর নদীতে এখন পানি ভরা মাছের অভাব নেই আমন্ত্রণ রইল এলাকায় আসো মাছ দিয়ে পার্টি হবে।

 last year 

বাঙালি হল মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালিরা মাছ খেতে খুব বেশি পছন্দ করে। আপনি আজকে ছোট সাদাম আছে পাকুড়া তৈরি করেছেন। ভাই আপনি আজকে ছোট চাঁদা মাছের দারুন পাকোড়া তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি চাঁদা মাছের পাকোড়া দেখে ভীষণ খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুব চমৎকারভাবে এটা তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটা ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

মাঝে মাঝে বাঙালি আমরা। অবশ্যই মাছ খেতে অনেক পছন্দ করি। মাছ দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি প্রস্তুত করা হয়। তার মধ্যে পাকোড়া অন্যতম।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.026
BTC 56989.27
ETH 2425.90
USDT 1.00
SBD 2.39