কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা কমলাপুর ট্রেন ভ্রমণ।
০৬ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
০৮শাবান ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার ❤️
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🚴🚴
মন চায় উড়তে চলে যায় ঘুরতে। মনকে ফ্রেশ রাখতে শরীরকে ভালো রাখতে এবং সমস্ত চিন্তামুক্ত হতে অবশ্যই ভ্রমণের প্রয়োজন রয়েছে। ভ্রমণ করলে অবশ্যই বিভিন্ন অজানা বিষয়ে জানতে পারা যায় সেই সাথে দারুন অভিজ্ঞতাও হয়। আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি বাংলাদেশের অনেকটা জায়গায় ভ্রমণ করেছি। সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবতা সম্পর্কে অনেক আইডিয়া নিয়েছি। এজন্য মাঝে মাঝে ভালো থাকতে হলে ভ্রমণের প্রয়োজন রয়েছে। অফিসিয়াল ট্যুরের তিন দিনের জন্য গিয়েছিলাম ঢাকা নরসিংদী এবং ময়মনসিংহ ঘুরতে। সেই ভ্রমণ কাহিনীর এক টুকরো আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো আশা করছি ভালো লাগবে।
🚴🚴
ট্রেন জার্নি সবসময়ই আমার কাছে সেভ মনে হয়। আমার মনে হয় ট্রেনে করে যদি আমি দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ করতে থাকি তবুও আমার কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু বাসে করে দুই থেকে তিন ঘন্টা ও আমি ভ্রমণ করতে পারি না। একটু কষ্ট হলেও সব সময় চেষ্টা করি দূরের পথ হলে ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করার জন্য। এজন্য ১৬ তারিখ রাত একটার সময় রওনা হয়ে কুষ্টিয়া কোট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে। এত রাত করে কখনো স্টেশনে যাওয়া হয়নি স্টেশনের অবস্থাটাও ঠিক বোঝা হয়নি। পথের মানুষদের দুর্ভোগ সম্পর্কেও জানা ছিল না। এই ভ্রমণের মাধ্যমে আমি নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আসলে বাস্তবতাটা যে এত কঠিন পৃথিবীতে এত নিষ্ঠুর সেটা আমার জানা ছিল না বিচক্ষণ ভাবে। এই শীতের মধ্যে খোলা জায়গা চারিদিক থেকে বাতাস বইছে তার মধ্যে একটা কাপড়ে বা খালি জায়গায় শুয়ে থাকা কতটা কষ্টকর এটা কখনো গভীরভাবে ভেবে দেখিনি। বা রাস্তায় পড়ে থাকা একটা ব্যানার গায়ে জড়িয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঘুমানো কেমন হয় সেটা আমার জানা ছিল না। ভ্রমণের সাথে সাথে মানুষের জীবনের দুর্ভোগটাও দেখতে পেলাম যারা মূলত স্টেশনেই বসবাস করে।
লোকেশন:
🚴🚴
যাহোক এবার ট্রেন আসলে আমরা ট্রেনে উঠে পড়ি গ্রুপ ধরে। রওনা হই ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে। পদ্মা সেতু হয়ে এই প্রথমবারের মতো আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ইচ্ছা ছিল পদ্মা সেতুরা খুব ভালোভাবে দেখব এবং কিছু ভালো ফটোগ্রাফি করব। সেটা আসলে সম্ভব হয়নি ঘুমের কারণে। ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার কলিগ আমাকে ডাকছে ঢাকায় পৌঁছে গেছি এবার ঘুম থেকে উঠুন ট্রেন থেকে নামুন। চোখমুখ মুখেই বললাম ভাই আমি না পদ্মা সেতুর ফটোগ্রাফি করব। বলল এবার আর হবে না সামনের বার দেখা যাবে। যাহোক আমরা নেমে পড়লাম কমলাপুর স্টেশনের পাহাড়তলী প্ল্যাটফর্মে। এত রাত তখনও চারিদিকে মানুষ আর মানুষ কোলাহল যেন এখনো থামেনি।
লোকেশন:
🚴🚴
লোকেশন:
প্ল্যাটফর্ম থেকে নামতেই স্টেশনের ভিতরে ওয়াশরুম সেখান থেকে আমরা সবাই ফ্রেস হই। সবাই একসাথে হয়ে এক চাওয়ালা মামার ডাক দিয়ে সবাই এক কাপ করে চা খেতে থাকি। এবং সবাই সবার মতো করে রাতের স্নিগ্ধতায় ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। সেই সাথে আমি আমার গ্রুপের সবাইকে নিয়ে একটা সেলফি উঠিয়ে রাখি। জানিনা আবার এক বছর পরে কোথায় যাব বা কে কোথায় থাকব বা এমন ভ্রমণ সম্ভব হবে কিনা। কখন যে কুষ্টিয়া থেকে কমলাপুর স্টেশনে চলে আসলাম পদ্মা সেতু হয়ে আসলে মনে হচ্ছিল সময়টা যেন খুবই অল্প। পদ্মা সেতু হওয়াতে আমাদের এই দিক থেকে ঢাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই শর্ট এবং ভালো হয়েছে। যেহেতু আমরা বাড়ি থেকে পরিকল্পনা করে বের হয়েছি কখন কোথায় যাব এবং কোন জায়গা ভ্রমণ করব। তারপরেও আমরা স্টেশনে নেমে অপেক্ষা করতে থাকলাম সকাল হওয়ার জন্য। আমাদের টার্গেট এবার ভালো একটা জায়গায় ভালো একটা হোটেল খুঁজে সেখানে থাকবো এবং পুরো দিনটা বাণিজ্যমেলায় ভ্রমণ করব। যাইহোক রাতের বেলায় ট্রেন ভ্রমণ করে অনেক ভালো লাগছে এবং সবাই মিলে খুব আনন্দ করেছি। সব থেকে বড় কথা হলো সমবয়সী ছোট হোক বা বড় হোক সবাই যদি একসাথে একটি জায়গায় ভ্রমণ করতে যাওয়া যায় তাহলে অনেক মজা হয়। আমাদের টিম মেম্বার ছিল ১৫ জন সবাই সবার সাথে ফ্রেন্ডলি ছিলাম এজন্য হয়তো আমাদের ভ্রমণটা এত আনন্দদায়ক হয়েছে। যাহোক খুব মজা করেছি মনে রাখার মত তাই তো ফটোগ্রাফি দিয়ে কথাগুলো লিখে লিখে রাখলাম। কুষ্টিয়া টু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ট্রেন ভ্রমণ আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সামনে ভ্রমণের আরো অনেক পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এক সাথে অনেক জন মিলে ট্রেন জার্নি করতে সত্যি ভীষণ আনন্দ উপভোগ করা যায়। কমলাপুর ট্রেনে আমি অনেক বার গিয়েছিলাম। ট্রেন জার্নি আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনাদের সবাইকে দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমাদের টিমে প্রায় ১৫ জন ছিলাম সবাই মিলে অনেক মজা করেছি।
ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ঘোরাঘুরি অনেক আনন্দের। এবং গ্রুপের সাথে ঘুরতে গেলে আনন্দের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। আপনার লেখা পরে বোঝা যাচ্ছে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনে করে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় আসা বেশ উপভোগ করেছেন। কিন্তু বেরসিক ঘুম পদ্মা সেতুর ফটোগ্রাফি থেকে বঞ্চিত করেছে আপনাকে! এবার হয়নি তো কি,পরের ভ্রমণে অবশ্যই হবে পদ্মা সেতুর ফটোগ্রাফি! সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটাই আমার সবথেকে বড় আফসোস যে ঘুমের কারণে পদ্মা সেতুটা ভালোমতো দেখতে পাওয়া এবং ফটোগ্রাফিটা করতে পারিনি।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা কমলাপুর ট্রেন ভ্রমণ দারুন অভিজ্ঞতা। কুষ্টিয়া এই জায়গা গুলো সত্যি আমার বেশ চেনা আমি যখন কুষ্টিয়াতে থাকতাম প্রায় দিন এখানে যাওয়া হতো। আপনারা অফিসিয়াল টুরে তিন দিন ঢাকাতে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাই এখন গরম আসতেছে। এই সময় ট্রেন ভ্রমণ খুবই আনন্দের। যখন আমি রাজশাহীতে ছিলাম তখন বাড়ি আসার সময় ট্রেনে আসতাম। আবার রাজশাহী থেকে ঢাকাতেও ট্রেনে গিয়েছে অনেক। কুষ্টিয়া থেকে কমলাপুর ট্রেন ভ্রমণটি নেশা আপনার বেশ ভালো এনজয় করেছেন। আপনার এই সুন্দর সময়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
গরমের মধ্যে ইন্টারসিটি গুলোতে ভ্রমণ করা সত্যি অনেক ভালো তবে লোকাল ট্রেনে উঠলে কষ্টেরা শেষ থাকে না।