১৭ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি ❤️ আশা করছি আপনারা ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং মোটামুটি ভাবে বর্ষার আমেজটা উপভোগ করছেন। যদিও বর্ষাকালটা কারো জন্য বিলাসিতা আবার কারো জন্য অনেক কষ্টের। এই ধরুন দিনমজুরের কথা যত বৃষ্টি হোক না কেন জীবিকা নির্বাহের জন্য পথে পথে একমাত্র তাদেরই দেখা পেলে। রিকশাচালক ভ্যান চালক অথবা ফুটপাতের দোকানদার দেখবেন এরা ঝড়-বৃষ্টি রোদ কোন কিছুই এদের কাছে বোঝা মনে হয় না তারা শুধু একটাই কথা জানে যে পেটের খাবার যোগাড় করতে হবে। নিজে খেতে হবে এবং পরিবারকে খাওয়াতে হবে। মোটামুটি বর্ষার মৌসুমটা ভালই শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের সব জায়গাতে বৃষ্টি হচ্ছে আরো দুই তিন দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে আমাদের কাজকর্ম কিন্তু থেমে নেই এর মধ্যেই ভিজে ভিজে চলছে। যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব একটি ছোট্ট ভ্রমণ পোস্ট। এই ভ্রমণের মাধ্যমে তুলে ধরব আমাদের গ্রাম থেকে দুই তিন গ্রাম দূরে একটি গ্রামে শিক্ষা পল্লী মেলা ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি এবং কথা। বয়স্ক মুখে শুনেছি আগের দিনে প্রতিটা গ্রামে গ্রামে সিজনাল অনেক মেলা বস্তু।
এই যেমন বৈশাখী মেলা নবান্নের মেলা নৌকা বাইচের আয়োজন মাল খেলা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আস্তে আস্তে আমাদের ভেতর থেকে এই পুরাতন ঐতিহ্যগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। তবে গ্রাম্য মেলা যে কত মজাদার এবং আনন্দের জায়গা সেটা ভ্রমণ করলেই একমাত্র বোঝা যায়। যদিও কিছুদিন আগের কথা তবে এত পরিমান গরম ছিল সেই সময় যে মেলায় টিকতে পারছিলাম না। তারপরেও সেখানে দেখেছি আশপাশ গ্রামের অনেক মানুষ বিশেষ করে শিশু থেকে কিশোর বয়সি পোলাপান ছিল অনেক বেশি পরিমাণে। প্রচন্ড গরমকে অপেক্ষা করেও তারা খুব মজা করছিল মেলার মধ্যে। আগের দিনে নাকি মেলা হলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে চারিদিকে প্রচার প্রচারণা করা হতো। এবং মেলায় সব ধরনের খাবারের আয়োজন হতো। যদিও খাবারের ঐতিহ্যগুলো ও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তো মেলার কথা শুনতেই মনের মধ্যে এক আনন্দ জেগে উঠল। তাইতো বিকেল বেলা দুই বন্ধু চললাম মেলা দেখতে। মোটামুটি আধা ঘন্টা সময়ের মধ্যে মেলায় পৌঁছে গেলাম। সেখানে ছোট্ট একটি নদীর পাড়ে একটি মাঠ রয়েছে সেখানে বসেছে শিক্ষা পল্লী মেলা। দিনে বিভিন্ন আয়োজন নাগরদোলা এবং বিভিন্ন খাবার এবং রাত্রে শিক্ষামূলক নাটক হবে। তবে যে পরিমাণ গরম পড়ছিল ভেবেছিলাম বোধহয় মেলাতে কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু গিয়ে দেখলাম চিত্রটা সম্পূর্ণটাই ভিন্ন। আপনারা হয়তো ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে সেটা দেখতে পাবেন।
তবে গ্রাম্য মেলার সবসময়ই প্রধান আকর্ষণ থাকে নাগরদোলা। মেলাতে ঢুকতেই প্রথমেই চোখে পড়লো বড় একটি নাগরদোলা। আর সেখানেই সবথেকে বেশি মানুষের ভিড়। মানুষ যেন সিরিয়াল ধরে নাগরদোলায় উঠছে দুলছে আর নামছে। আমি ছোটবেলায় বেশ কয়েকবার নাগরদোলায় উঠেছিলাম আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এজন্য এদিন মেলায় গিয়ে চিন্তা ভাবনা করলাম দুজনে মিলে সময় হলে নাগরদোলায় উঠবো। তবে একটু বড় হয়ে গিয়েছি এজন্য কেমন লজ্জা লজ্জা করছিল যেখানে ছোটরা উঠছে সেখানে আমরা কিভাবে উঠবো। যাইহোক শেষ পর্যন্ত ছোটদের আনন্দ গুলো দেখেই মনকে সান্ত্বনা দিলাম আমাদের আর ওঠা হলো না। তবে প্রচন্ড রোধ গরমে এত মানুষের ভিড়ে টিকে থাকা খুবই কষ্টকর ছিল। মোটামুটি আমরা মেলাতে অনেকটা সময় অতিবাহিত করলাম। খুব ভালো লাগছিল অনেকদিন পরে এমন মেলা ভ্রমণ করতে পেরে। যেখানে নাগরদোলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাতি দেখতে পাচ্ছিলাম। কিছু সময়ের মধ্যেই চলে এলো মেলা উদ্বোধন করার জন্য কিছু মানুষ। উদ্বোধন করল এবং তারা মঞ্চে উঠে দিকনির্দেশনা মূলক কিছু বক্তব্য দিল। যেহেতু মেলাটা ছিল শিক্ষা বিষয়ক এ জন্য শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে অনেক কথা বলল তারা। যদি ওই বক্তব্য শুনা মানুষ অল্প ছিল চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মেলাতে মজা করা মানুষই বেশি ছিল। এবং বিকেল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত শিক্ষামূলক নাটক অনুষ্ঠিত হবে এইটার প্রচার চালানো হলো। যেহেতু অনেক গরম পরছিল আমরা মোটামুটি সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকে চলে এসেছিলাম। মেলাতে নাটক আর দেখা হয়নি। তবে খুব ইচ্ছা ছিল অনেকদিন পরে এরকম শিক্ষামূলক মন নাটক দেখব। যদিও ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে এগুলো এখন প্রায় বিলীন। বাংলায় একটা কথা আছে মেলায় গেলে ঠেলা না খেলে নাকি মেলার মজাটা বোঝা যায় না। আমরা কিন্তু সেটাও খেয়েছি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে এপাশ ওপাশ দিয়ে মানুষের কি ঠেলাঠেলি। এরা যেন গ্রাম্য মেলার এক ঐতিহ্য যেখানে ভিড় সেখানেই গুতাগুতি। যাইহোক দুই বন্ধু মেলা ভ্রমন করে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সেই সাথে মজার মজার খাবার খেয়েছিলাম তাই তো দিনটি আজও মনে রয়েছে ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে। আজ সময় করে ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করছি ভালো লাগবে।
দুজন মিলে মেলার চারিপাশ ঘুরতে শুরু করলাম এবং বিভিন্ন জিনিসপাতি দেখতে থাকলাম। গ্রাম্য মেলায় আরেকটা জিনিস অনেক বেশি দেখা যায় সেটা হল চুরি মালার দোকান। যেখানে কিশোরী থেকে শুরু করে বয়স্ক মহিলা মানুষ পর্যন্ত ভিড় জুমায় এবং তাদের পছন্দমত জিনিস কিনতে থাকে। যদিও সেদিকে কড়া নিরাপত্তার সাথে দেখা হচ্ছিল পুরুষ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শুধুমাত্র মহিলা মানুষ ওই প্যান্ডেলে ঢুকে তাদের কেনাকাটা কমপ্লিট করেছিল। আমাদের আর সেখানে যাওয়া হয়নি। গ্রাম্য মেলায় আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার। এর মধ্যে সবথেকে দুটি খাবার আকর্ষণীয় একটি হলো হাওয়ায় মিঠাই আর অন্যটি হলো জিলাপি। বিশেষ করে জিলাপির প্রচলনটা অনেক আগে থেকেই। জিলাপি ছাড়া যেন গ্রাম্য মেলা কোনভাবেই জমে ওঠেনা। আমরা দুজনে মেলার চারিপাশ ঘুরে এসে এক জায়গায় বসে একটু জিলাপি নিয়ে খেয়ে নিলাম। কেননা মেলায় এসে জিলাপি না খেলে মেলার মজাটা অপরিপূর্ণ থেকে যাবে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মাঝেমধ্যে বাইরে কোথাও ভ্রমণ করতে যেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে এমন জায়গায় আমিও ঘুরতে যাই। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ভ্রমণ পোস্ট দেখে। যেখানে অনেক কিছু ফটো ধারণ করেছেন আপনি। শিক্ষা পল্লী মেলা ভ্রমন করে আপনি অনেক কিছু ফটো ধারণ করেছেন এবং সেই বিষয়ে বর্ণনা করেছেন, বিশেষ করে খাবার জিনিসগুলো বেশ দারুন ছিল।
শিক্ষা পল্লি মেলায় গিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।আসলে মেলায় যেতে সবারই খুব ভালো লাগে।বিশেষ করে মেলায় ঘুরতে বেশি ভালো লাগে কেনাকাটা খুব কম মানুষই করে থাকে।সুন্দর একটি সময়ের মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট আপনার কাছ থেকে দেখে খুব ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি এই পোস্ট এখানে শেয়ার করেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে এবং এখানে দেখছি অনেক কিছুই রয়েছে৷ আপনি খুব সুন্দর ভাবে এখানে অনেক কিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷৷