সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস মানুষকে কখনোই ঠকায় না।
০৮ চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২২মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০রমজান ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
বসন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
মানুষ হিসেবে আমরা কি পৃথিবীতে সবাই সুখী। আমাদের কোনো না কোনো দিক থেকে একটু হলেও দুর্বলতা থেকেই যায়।আমরা কিন্তু কোন বিষয়ে সম্পূর্ণটা অর্জন করতে পারিনা। একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তাই পরিপূর্ণ তার অধিকারী।আমরা অন্যের জন্য নিজেকে পরিবর্তন করি । অন্যের জন্য নিজেকে এবং নিজের ইচ্ছা গুলোকে পরিবর্তন করা মানুষগুলো অবশেষে নিজেই দোষী হয়ে থাকে। আমরা অন্য মানুষ বা পৃথিবীর বস্তুর উপর যে ভালোবাসাটা যে আগ্রহটা দেখায় এরকম আগ্রহ এবং ভালোবাসা যদি আমাদের সৃষ্টিকর্তার উপর দেখিয়ে তার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাসটা অন্তরে স্থাপন করতে পারি তাহলেই পৃথিবীর পথ চলাটা আমাদের জন্য সফল হবে। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে পৃথিবীর জীবন যেমন সুখময় হবে তেমনি মৃত্যুর পরের জীবনও কল্যাণময় হবে। আমরা প্রিয় মানুষ বা প্রিয় বস্তুর জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করতে পারি। কিন্তু আপনি কখনো কি সৃষ্টিকর্তার জন্য পাপ কাজ অন্যায় কাজ অবিচার ত্যাগ করেছেন?? কখনো কি মন থেকে সৃষ্টিকর্তাকে ডাক দিয়ে তার দেখানো পথে ফিরে আসার মত পরিকল্পনা করেছেন??
আসলে আজ আমাদের মধ্যে কেন এত অসহায়ত্ব। কেন এত টেনশন পেরেশানি। কেন আমরা ভালো থাকতে পারিনা। কেন আমাদের অভাব অনটন দূর হয় না। কেন আমাদের অন্তরে শান্তি থাকে না। পরিপূর্ণ সুস্থভাবে কখনো জীবন যাপন করতে পারছি না। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি খুঁজতে যান তাহলে দেখবেন আমাদের সবথেকে বড় অপরাধ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা বিমুখ। তার দিয়া সুন্দর এই পৃথিবীতে থেকে তার দেয়া রিজিক ভক্ষণ করে তার প্রশংসা না করে মানুষের সুবিধারী করতে খুব ব্যস্ত। মানুষ ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে যতদিন সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথ এবং তার দেয়া আইন-কানুন মেনে চলবে। আর তখনই মানুষের উপর গজব অর্পিত হবে যখন মানুষ সৃষ্টিকর্তার কথার অবাধ্য হবে। যুগে যুগে অনেক শক্তিশালী সুঠাম দেহের অধিকারী জাতি গোষ্ঠী পৃথিবীতে এসেছে আবার চলেও গেছে ধ্বংস হয়েছে তার অনেক নিদর্শন পৃথিবীতে রয়েছে। তাদের অপরাধ ছিল একটাই সৃষ্টিকর্তার আইন অমান্য করা এক কথায় সীমালংঘনকারী ছিল তারা।
আমরা কিন্তু মনে মনে বুঝি এবং জানি যে সৃষ্টিকর্তার আনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে আমাদের ইহকাল এবং পরকালের সুখ। শুধু আমরা সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘুরছি আজকে ভালো কাজ করবো কালকে ভালো কাজ করবো সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথ অনুযায়ী চলবো শুধুই পরিকল্পনা আমাদের মাঝে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো যে সময়টা চলে যাচ্ছে এটি আর কখনো ফেরত আসবে কিনা। কখন আমার মৃত্যু আসবে কখনোই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে সেটা কি আমাদের জানা আছে। প্রশ্নের উত্তরে সবাই বলবে অবশ্যই না। অথচ মৃত্যুই একমাত্র পৃথিবীর চিরন্তন সত্য। যা কেউ কখনোই অস্বীকার করতে পারবে না। আমরা আসলে জেনে বুঝেই সৃষ্টিকর্তার নাফরমানিতে লিপ্ত থাকে। খারাপ কাজ করি আর মনে মনে পরিকল্পনা করি আগামী কাল থেকে ভালো হব। অথচ আগামী কালকের সূর্যটা যে আমি দেখতে পাবো কিনা এটার কোন গ্যারান্টি নাই।
মানুষের সাথে আপনার যত ভালো সম্পর্কই হোক না কেন যত কিছুই আপনি মানুষকে দেন না কেন দেখবেন একদিন সামান্য তুচ্ছ একটি কারণে সবকিছু ভুলে যাবে সব অস্বীকার করবে। এটাই হলো মানুষের অন্তর। আর আপনি বারবার পাপ করবেন অন্যায় অবিচার করবেন আবার যদি আপনার প্রভুর কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেরত আসেন আপনার প্রভু বারবার আপনাকে গ্রহণ করবে কখন আপনাকে অস্বীকার করবে না।
হে নিজেকে অনুমান করার জন্য একবার চোখ বন্ধ করে নিজের কাছেই প্রশ্ন করবেন, দেখবেন নিজের মধ্যে থাকা জীবিত আত্মাটা আপনাকে মৃত বলে ঘোষণা করছে। আর এটাই হলো আমাদের জীবনের পরম সত্য এবং আসল বাস্তবতা। সৃষ্টিকর্তার উপর ভালোবাসা ভরসা এবং সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য কখনো কোন মানুষকে ঠকায় না। সৃষ্টিকর্তার উপর গভীর ভালোবাসা যেমন মানুষকে পরিপূর্ণ আত্মতৃপ্তি দেয় তেমন ভাবে চিন্তামুক্ত করে দেয়। সৃষ্টিকর্তাকে বলতে শিখি আমার মধ্যে থাকা জড়তা এবং কষ্টগুলো। কেননা তিনি ছাড়া আপন বলতে আমাদের আর কে আছেন যিনি আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করে দেবেন। একবার বলেই দেখুন না হে আমার রব আমার মধ্যে থাকা সকল সমস্যা গুলো আমার থেকে তুমি ভালো জানো তুমি সব সমস্যার সমাধান করে দাও। সৃষ্টিকর্তাই তো আমাদের একমাত্র অভিভাবক। আর তিনি কখনো কোন মানুষকে হতাশ করেন না। শুধু আমাদেরকে বিশ্বাস টুকু অর্জন করতে হবে। সেই পরিমাণ বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমি চাইলেই পাব। শুধুই বিশ্বাসটা সম্পূর্ণরূপে অর্জন করতে হবে সৃষ্টি কর্তার উপর। সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসলে মানুষ কখনো ধোকা খায় না অবশ্যই তিনি তার ভালোবাসার প্রতিদান দেন। এজন্য ভাই আসুন সৃষ্টিকর্তার দেয়া বিধান অনুসারে আমাদের জীবনটা পরিচালনা করে। ভালো কাজ করি ভাল পথে চলি কল্যাণমূলক কাজ করি।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সৃষ্টিকর্তা পরম দয়ালু।সৃষ্টিকর্তার উপর আমরা বিশ্বাস রাখলে সৃষ্টিকর্তা কখনো আমাদের ঠকায় না।মানুষ মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে,ঠকায়।কিন্তু এক আল্লাহর ভরসা করে চললে আল্লাহ অনেক খুশি হয়ে গিয়ে আমাদের অনেক কিছু দেন।তাই যত রকম কষ্ট, পেরেশানি এ সবই আল্লাহ ঘুচিয়ে দেন।তএজন্যই আমাদের সবাইকে আল্লাহর উপর ভরসা করে চলতে হবে।
ঠিকই বলেছেন মানুষের উপর বিশ্বাস মানুষকে ঠকিয়ে দিতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস কখনো মানুষকে ঠকায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য পথ সৃষ্টি করে রেখেছে এবং নিদর্শন দিয়ে রেখেছে। আমাদের শুধু সেই নিয়ম শৃঙ্খলা গুলো মেনে চলতে হবে আর এর জন্য রয়েছে সুফল। বেশ ভালো লাগলো আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে উপস্থাপন করেছেন দেখে। ইহকাল পরকালের বিষয়টা মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাঝে প্রকাশ করে রেখেছে। এখন শুধু আমাদের মেনে চলার বিষয়।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর একটি গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
মানুষ মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। মানুষ মানুষকে ঠকায়, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কখনো ঠকায় না। সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রতিদান ঠিকই দেয়। আপনার আজকে পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আজকের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করলে জীবনে কোন পেরেশানি থাকবে না। আপনি যদি বাস্তব উদাহরণের কথা চিন্তা করেন তাহলে যারা আল্লাহর পথে অবিচল তাদের জীবন যাত্রার মান দেখলেই বুঝতে পারবেন।
অবশ্যই আমাদের উচিত সৃষ্টিকর্তার দেখানো প্রথমে যাই আমাদের জীবনকে পরিচালনা করা।
মানুষ মানুষকে ঠকাতে পারে এবং মানুষ বিশ্বাস অর্জন করে সে বিশ্বাস ভেঙে দিতে পারে৷ কারণ মানুষ প্রতিনিয়তই তার স্বার্থকে নিয়ে চিন্তা করে৷ তবে সৃষ্টিকর্তা কখনোই কাউকে ঠকার না৷ তিনি কখনো তার স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করেন না৷ তিনি অবশ্যই আমাদের সফলতা দিয়ে যাবেন৷ আজকে সেই সফলতা না আসলেও হয়তো আসবে৷ কারণ তিনি হয়তো চান যে এই ক্ষুদ্র সফলতা আমাদের জন্য না৷ কিন্তু এর থেকেও বড় কিছু সফলতা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ তাই আমাদেরকে ধৈর্য ধরে বিশ্বাস করে দুনিয়াতে আমাদের কাজকে এগিয়ে যেতে হবে৷ ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
মানুষের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে কম মানুষই বিজয় হয় বর্তমান পরিস্থিতিতে।
তবে আপনি দেখবেন সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে কেউ কখনো হেরে যায় না।
একেবারে ঠিক কথা বলেছেন৷ আসলে মানুষ ঠকাবে এটাই তার নীতি৷ তবে কখনো সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ঠকাবেন না।
মহান আল্লাহ তায়ালা হলেন রাহমানির রাহিম। তিনি কখনও তার বান্দা দের কে ফেরান না। যে কোন ভাবেই হউক তার বান্দাদের কে তার রহমতের ছায়ায় নিয়ে আসে। আর আমরা মানুষ কি পারছি সৃষ্টিকর্তার সেই প্রতিদান দিতে। না পারছি না। আমরা কখনও সৃষ্টিকর্তার জন্য পাপাচার থেকে দূরে সরে যাই না। এটাই হলো আমরা মানুষ।
অবশ্যই আমরা প্রতিটা সময় সৃষ্টিকর্তার রহমতের চাদরে হয়ে থাকি।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে ভাই। আসলে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আস্থা রাখতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন আমাদেরকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। ধৈর্যের সাথে আমরা যদি সৃষ্টিকর্তার উপর শতভাগ আস্থাশীল হই তাহলে আমরা নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার উপর প্রতিটি বিষয়ের উপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে যে তিনি সব পারেন তিনি আমাদের সবকিছু দেয়ার মালিক।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
পৃথিবীতে কোন মানুষই সম্পূর্ণভাবে সুখী নয়। আমরা যেরকম পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন, সৃষ্টিকর্তার উপরে আমাদের সবাইকে অবশ্যই বিশ্বাসটা রাখতে হবে। আমরা যদি বিশ্বাস না রাখতে পারি, তাহলে আমরা কখনোই এগোতে পারবো না। মানুষ আমাদেরকে ঠকাতে পারে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে কখনোই ঠকায় না। হয়তো অনেক সময় আমরা অনেক রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো। কিন্তু এটার জন্য যে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবো এটার কোন প্রশ্নই আসে না। আপনার লেখাটা সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
পরিপূর্ণতা আসলে মানুষের সাথে যায় না এজন্যই মানুষের কোন না কোন দিক থেকে দুর্বলতা থেকে যায়।
সৃষ্টিকর্তার উপর অগাধ বিশ্বাস এবং ভালোবাসা থাকলে অবশ্যই মানুষ ভালোভাবে তাদের দিন অতিবাহিত করতে পারে।