বন্ধুদের সাথে পদ্মা নদী ভ্রমণ।
১৭পৌষ মাস , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
৩১ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৮জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরী
রবিবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🏄♂️
ভুলে যাই পুরাতন বছরের সমস্ত দুঃখ-বেদনা গ্লানিগুলো। নতুন উদ্যমে নতুন উদ্দীপনায় নতুন আশা নিয়ে শুরু করব নতুন বছর। ফেলে আসা দিনগুলোতে যে পরিমাণে ভুল করেছি সেই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামী বছরটি কাটানোর দৃহ পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সমস্ত পাপ কাজ থেকে সৃষ্টি কর্তার কাছে পানাহ চাই। এই বছরের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে আগামী বছর ভালোভাবে চলবো এরকম প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।কথায় আছে যায় দিন ভালোবাসা দিন খারাপ। বর্তমান সময়ে অনেক হিসাব নিকাশ করার পরেও দিন চলতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের। যাহোক এ আশা করব এই বছরের কষ্টগুলো ভুলে গিয়ে আগামী বছরটা আমরা ভালোভাবে শুরু করব। ২০২৩ সালের শেষ পোস্ট করতে যাচ্ছি আজ এবং এখন। আর আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একটি ভ্রমণ কাহিনী। প্রতিনিয়ত এই ফটোগ্রাফি নেশা আমার মধ্যে খুব কাজ করে। কোথায় গেলে ভালো ফটোগ্রাফি এবং ভালো দৃশ্যগুলো ফ্রেমবন্দি করে আনতে পারব সেই জায়গাতেই ছুটে চলি সময় পেলে। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবারে ঘুরতে গিয়েছিলাম পদ্মা নদীর পাড়ে। পদ্মা নদী এবং চলতি পথে যত ভালো ভালো দৃশ্য চোখে পড়েছে সবগুলোই প্রায় ফ্রেমবন্দি করে রেখেছি। ক্রমান্বয়ে ভ্রমণ পোস্ট এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আসলে ভ্রমণ করলে একের মধ্যে দুই রকম সুবিধা পাওয়া যায়। এক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বারে ২ ইচ্ছামত ফটোগ্রাফি করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা যায়। যাহোক এ বছরে যাওয়া হয়েছে সব ভুলে যাই। নতুন বছর শুরু করি নতুন উদ্দীপনায়। আশা করছি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
🏄♂️
গতকালকের ফটোগ্রাফি পোস্টে একটি সাহস পাখির ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছিলাম। আজ অন্য আরেকটি ফটোগ্রাফি তুলে ধরলাম। একটি ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো সাহস পাখি নদীর কূলে দাড়িয়ে আছে। মূলত এই পাখিগুলোও হচ্ছে অতিথি পাখি। শীতের শুরুতে আমাদের দেশে আগমন ঘটে এবং শীত শেষে চলে যায় আবার। তবে এ বছরে অনেক আগে আগেই এসেছে এই পাখিগুলো। বকের মতো দেখতে হলেও কিন্তু এগুলো বক নয়। এই পাখি কি আমাদের গ্রাম্য ভাষায় শামুক ভাঙ্গা ও বলে থাকে। কেননা মাছের সাথে এই পাখির শামুক খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এই পাখিগুলোর সারাদিনে নদীতে নেমে মাছ শিকার করে খায় এবং বাকিটা সময় নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দেয়। পদ্মা ভ্রমণে পদ্মা নদীতে নামতেই প্রথমে এই পাখিগুলো দেখতে পায় ঠিক তখনই ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করে রাখি।
🏄♂️
বর্ষার সময় দেখি একরকম , আর ভাটার সময় এলে দেখি অন্যরকম পদ্মা। মূলত পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে আমাদের অঞ্চলের মানুষের জীবিকা পরিচালিত হয়। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদী। আর আমরা ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম অনেক জনা মিলে একসাথে। বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে একদম পদ্মা নদীর তীর পর্যন্ত পৌঁছানো যায়। উপরের ফটোগ্রাফি গুলোতে আপনাদেরকে পদ্মা নদীর দৃশ্য দেখিয়েছি। আসলে পদ্মা নদী ভ্রমণ করতে যতবার আসি ততবারই আমার অনেক ভালো লাগে। এত বড় নদী আর উপরে এত বড় আকাশ একসাথে দেখতে পাওয়া যায়। সেই সাথে এদের মত করে বিশাল মনের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা করি। আসলে সবাই মিলে একসাথে ভ্রমণ করতে গেলে অনেক মজা হয়। এদিন আমরা সবাই মিলে একসাথে খুব মজা করেছি। তবে শীতের সময় না হলে ঠিকই গোসলে নেমে পড়তাম সবাই মিলে। আর যেহেতু ভ্রমণের সময়টা ছিল বিকেলে এজন্যই গোসলটাও হলো না। পদ্মা নদীর একপাশ থেকে তাকালে অন্য পাশ দেখা যায় না কিন্তু এখন মাঝে মাঝে চলে জেগে উঠেছে। ভ্রমণ করার সময় আমরা সাথে করে কিছু খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম শুকনা। এক পর্যায়ে আমরা পদ্মা নদীর পাড়ে বসে এগুলো খেয়ে নিয়েছিলাম। আসলে আমরা যখনই কোথাও ভ্রমণ করতে যাই তখনই এমনটি করে থাকি। সবাই মিলে পদ্মা নদীর পাড়ে গলা ছেড়ে গান গেয়েছি সবাই সবার মত ফটোগ্রাফি করেছি হাটাহাটি করেছি এক কথায় সব মিলিয়ে অনেক মজা করেছি। এজন্যই পদ্মা নদীর পাড়ে বন্ধুদের সাথে যেতে আমার এত ভালো লাগে। বিকাল ৩ঃ০০ টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। এতে মনে হচ্ছিল সময়টা অনেক অল্প হয়ে গিয়েছে আরো কিছু সময় থাকতে পারলে ভালো হতো।
🏄♂️
পদ্মা নদীর ভ্রমণের সব থেকে ভালো সময় প্রতিনিয়তই আমি অতিবাহিত করে থাকি গোধূলি সন্ধ্যাটাই। এ সময় যেমন সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যায় ।তেমন সুন্দর দৃশ্যগুলো অনুভব করা যায়। একপাশে অথৈ জলরাশি অন্য পাশে গোধূলির আলোয় রক্তিম আভা ভেসে ওঠে আকাশ পানে। সবমিলে যখন রক্তিম মামাটা পদ্মার পানিতে পড়ে মনে হয় যেন নদীর মধ্যে থেকে উঠে আসছে অন্য একটি সকালের সূর্য। ফটোগ্রাফি তে লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পাবেন গোধূলি বিকেলের সৌন্দর্য কতটা ফুটেছে। আসলে আপনিও যদি কখনো ভ্রমন করতে আসেন পদ্মা নদীর পারে তাহলে এই সময়টা আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। অবশেষে যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসলো তখন আমরা পদ্মা নদীর পাড় থেকে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। সবাই মিলে একসাথে ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। এরকম সময় বারবার ফিরে পেতে মন চায় এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠতে মন চায়। যাহোক এই ছিল আমার আজকের ভ্রমণ কাহিনী এবং কিছু ফটোগ্রাফি আশা করছি ভালো লেগেছে আপনাদের কাছে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Canon 600d
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
অপার সৌন্দর্যের এই দেশ বাংলাদেশ। আমাদের দেশের সৌন্দর্য যেন আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই সৌন্দর্যের মধ্যে কিছু কম বেশি রয়েছে। আমার কাছে মনে হয় নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলো সৌন্দর্য বেশি। সেখানকা প্রকৃতি যেন মনোমুগ্ধকর হয়ে থাকে। ঠিক যেমন আপনি যেসব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এগুলো দেখে মনটা ভরে গেল। দেখে মনে হয় সব প্রাকৃতিক গুলো কতটা নির্মল। খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
মনমুগ্ধকর ছবি এতটা সুন্দর ছিল এটা বলে বোঝানোর মতো না, নদীর ছবিগুলো কিংবা সূর্যের প্রত্যেকটা দুর্দান্ত ছিল, আপনি বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন বোঝা যাচ্ছে।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় অসাধারণ হয়। যেহেতু বন্ধুদেরকে নিয়ে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে গেলেন। এমন সুন্দর দৃশ্য আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম বেশ ভালো লাগলো। কারণ বিকেল বেলায় পদ্মার পাড়ে কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর হয়।
পদ্মা নদীতে ঘোরাঘুরি করতে গেলে অনেক বেশি মজা হয়। আপনি অনেক মজা করেছেন দেখছি। সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
বোঝাই যাচ্ছে পদ নদী ভ্রমণ করতে গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বন্ধুর সঙ্গে এরকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে সকলেরই অনেক বেশি ভালো লাগে। পদ্মা নদীর কাছে গিয়ে তার বিশালতা উপভোগ করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে বিশেষ করে গোধূলি লগ্নের দৃশ্যটা অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি ঠিক বলছেন ভাই ভ্রমণ করলে অনেক কিছু অর্জন করা যায়। বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে খুবই মুগ্ধকর জায়গা।খুব সুন্দর পরিবেশ আর নদীর তীরে ভ্রমণ করতে আমাকেও বেশ দারুণ লাগে। যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে ভ্রমণ পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুরনো বছরের দুঃখ বেদনা সবকিছুকে ভুলে এখন আমরা নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছি। এই বছরটা কিভাবে যে চলে আসলো বুঝতেই পারলাম না, এবং কি ২০২৩ সাল টা কিভাবে যে চলে গেল টেরই পায়নি। যাইহোক বন্ধুদের সাথে পদ্মা নদীর পাড়ে দেখছি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলেন, এবং অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলেন। আমার কাছে তো আপনার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনাদের কাটানো মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো।
ঠিক বলেছেন ভাই পুরাতন বছর টা যেভাবে গেছে যাক। নতুন বছরটা যেন আরও ভালোভাবে কাটাতে পারি সেই চিন্তা করতে হবে। দারুণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। বিশেষ করে সারস পাখি এবং শেষ বিকেলের রক্তিম সূর্যের ফটোগ্রাফি টা বেশ সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। সত্যি এককথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ ভাই আমাদের সঙ্গে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
বন্ধুদের নিয়ে পদ্মা নদীর ভ্রমন ও শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি সব সময় চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন।গোধূলির বেলার ফটোগ্রাফি ও দারুন হয়েছে।সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সবাই মিলে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।