কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী কুলফি মালাই।
২৭অগ্রায়ন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী
রবিবার।
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা। কুষ্টিয়া জেলা বিভিন্ন কারণে ঐতিহ্য ধারণ করে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লালন শাহের মাজার ।বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। মীর মোশাররফ হোসেন কাঙ্গাল হরিনাথ বাঘাযতীন সহ আরো অন্যান্য। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের স্বর্ণযুগটা কাটিয়েছে কুষ্টিয়া জেলার শিলাইদহে। তাছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ও অবিভক্ত কুষ্টিয়া জেলা থেকেই সর্বপ্রথম শুরু হয়। পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশের নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক পূর্বে একটি বইতে পড়েছিলাম সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এখানে তিনি একটি নদী বন্দর স্থাপন করেছিলেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই বন্দর ব্যবহার করত। সেটি আসলে কোথায় সেটা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম কুষ্টিয়া জেলাতেই রেললাইন স্থাপন করা হয়। এবং বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন হলো জগতি রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়াও কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে মোহিনী মীলের ধ্বংস অবশেষ। যা এক সময় পুরো ভারত উপমহাদেশের নামকরা বস্ত্র কল ছিল। কুষ্টিয়ার ভীতর উল্লেখযোগ্য দুটি নদী রয়েছে এর মধ্যে পদ্মা এবং পদ্মাস শাখা গড়াই অন্যতম। যাহোক আজ আপনাদের সাথে কুষ্টিয়ার বিখ্যাত খাবার কুলফি মালাই নিয়ে একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
🦋
কুষ্টিয়া জেলার নাম শুনলেই হয়তো আপনাদের মনে হতে পারে লালন শাহ্র রবি ঠাকুর কুলফি মালাই এবং তিলের খাজার কথা। লোকমুখে শুনেছি কুলফি মালাই এবং তিলের খাজা কুষ্টিয়ার সব থেকে বিখ্যাত খাবার। এক কথায় সারা বাংলাদেশের মানুষ এক নামেই জানে। আমার কলিক রবিন ভাই যশোরে থাকেন বাড়ি খুলনা। বেশ কিছুদিন ধরেই আমাকে বলছিল কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালাই খাবে। কিন্তু অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় ঠিক সময় হচ্ছিল না। তবে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সে কুষ্টিয়ায় এসেছিল আমার সাথে দেখা করতে এবং কুষ্টিয়াকে ঘুরে দেখতে। কুলফি মালাই এবং তিলের খাজা খাওয়ার তার খুব ইচ্ছে ছিল কুষ্টিয়ায় এসে। অবশ্য আমি বলেছিলাম আপনার জন্য পাঠিয়ে দিই এতে তিনি রাজি হননি। সারাদিন ধরে দুজনে কুষ্টিয়ার বিখ্যাত জায়গাগুলো ভ্রমণ করেছি সেই সাথে খেয়েছি বিখ্যাত খাবার গুলো। কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালাই সবথেকে ভালো মানের পাওয়া যায় মীর মোশাররফ হোসেন সেতুর পূর্ব পাশে। তো আমরা সেখানেই গিয়েছিলাম কুলফি মালাই খেতে।
মীর মোশাররফ হোসেন সেতু পার হতেই ডান পাশে অনেক দোকান বসে যারা কুলফি মালাই বিক্রি করে থাকেন। এরা নিজ বাড়িতে খুব যত্নের সাথে তৈরি করেন এগুলো। নেমে একটা দোকানে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম দামের কথা বলল। গুণগত মান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই বলল যদি খারাপ হয় খাওয়ার পরে দাম দিবেন না। প্রথমে আমরা ৫০ টাকা করে দুজনের দুটি নিলাম। প্রথমেই খেয়ে অনেক মজা লেগে গেল আসলে ঐতিহ্যবাহী খাবার বলে কথা। একটা খেয়ে মজা পেয়ে সেখানে বসে আরও দুটি করে খেয়ে ফেললাম। এখন এই লেখাটা লিখতে গিয়েই কেমন যেন আমার জিভে জল চলে আসছে। মনে হচ্ছে আবার আমার প্রানের শহরে ফেরত যাই এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নেই। দীর্ঘক্ষণ জার্নি করে একটু ক্লাম দিয়ে অনুভব করছিলাম কিন্তু ঠান্ডা ঠান্ডা কুলফি মালাই খেয়ে যেন সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।
তবে আমার কলিগের অনুভূতি শুনে আমার কাছে খুব ভালো লাগছিল। সে বারবার বলছিল আমাদের খুলনা এবং যশোরে ও কুলপি মালাই পাওয়া যায় যেটা কুষ্টিয়া বলে বিক্রি করা হয়। আসলে ওই মালাই এর স্বাদ এবং এখানে এসে খেয়ে যে স্বাদটা পেলাম দুটা আকাশ পাতাল পার্থক্য। বারবার বলছিল এত মজার খাবার আপনারা ছোটবেলা থেকে খেয়ে আসছেন হয়তো এজন্যই আপনি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আসলে এরকমটাই আমি তো ছোটবেলা থেকেই এই খাবারগুলোর সাথে পরিচিত প্রায় সময় খাওয়া হয়। কলিগ খেয়েছিল চারটা বাড়ির জন্য ব্যাগে করে আরো দশ পিস নিয়ে গিয়েছিল। পরিবারের সবাইকে সে খাওয়াবে এবং কুলফি মালাই কুষ্টিয়ার বিখ্যাত এটা সে জানাতে চায়। যারা অন্যান্য জায়গা থেকে আমার এই পোস্টটি পড়ছেন আপনাদেরকে ও দাওয়াত রইল কুষ্টিয়ার এই বিখ্যাত কুলফি মালাই খাওয়ার জন্য। দিনটি খুব ভালোভাবে দুজনে পার করেছিলাম ঐতিহ্যবাহী জায়গা ভ্রমণ এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো খেয়ে। যারা খেয়েছেন তারা হয়তো বলতে পারবেন কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালাইয়ের স্বাদটা কেমন। যাহোক ভ্রমণ পোস্ট এবং বিখ্যাত খাবার রিভিউ এখানেই শেষ করছি আশা করছি আমার পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লাগবে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
আমার বাসা যেহেতু কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়ার সকল বিখ্যাত খাবার অনেকবারই উপভোগ করা হয়েছে। গরমের সময় এই কুলপি মালাই বেশি পাওয়া যায় । তাছাড়া এখন দেখছি শীতের সময়ও কুলপি মালাই শহরে পাওয়া যায়। যাইহোক, এই ধরনের প্রিয় খাবার গুলো রাস্তার পাশে পেলে আমিও কিনে খেয়ে থাকি । যেটা আপনি আজকে উপভোগ করেছেন খুবই ভালো লেগেছে ভাই আমার কাছে।
ঐতিহ্যবাহী জেলায় বাস করে ঐতিহ্যবাহী খাবার না খেলে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কুষ্টিয়ার বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে কুলফি মালাই অন্যতম। কুষ্টিয়াতে গেলেই গরমের সময় বিশেষ করে কুলফি মালাই খাওয়া হয়। আসলে এই কুলফি মালাই এর টেষ্ট আমার খুব ভালো লাগে। আপনার পোস্ট দেখে খুব লোভ লাগছে।
কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা আর কুলফি মালাই।তিলের খাজা খেয়েছি ঢাকাতে বসেই।তিলের খাজার গায়ে কুষ্টিয়া লেখা। সত্যি কি মিথ্যা তা জানি না।সত্যিই কি কুষ্টিয়ার নাকি এই তিলের খাজা তা বলতে পারিনা।আর কুলফি মালাই খাওয়া হয়নি।তবে আপনার হাতে কুলফি মালাই দেখেই খেতে ইচ্ছে করলো।আপনার কলিগ খুব প্রশংসা করলো।তবে খুব মজার বলাই যায়। দুজন মিলে ঘুরলেন।আর মজার মজার খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কুষ্টিয়া থেকে তেলের খাতা সারা বাংলাদেশে সাপ্লাই দেওয়া হয় শুনেছি। হয়তো সেখান থেকেই খেয়েছেন।
আর কুলফি মালাই খাওয়ার দাওয়াত রইলো আপনাকে চলে আসেন আমাদের কুষ্টিয়ায়।
তাহলে আপনার কলিগ শিকার গিয়েছে যে কুষ্টিয়ার কুলফি মালাই বেশি টেস্টি। হ্যাঁ মীর মশারফ হোসেন ব্রিজ পার হয়ে এসেই বেশ কয়েকটি কুলফির দোকান আছে, তারা নিজেদের বাড়িতে খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে তৈরি করে বলে এত বেশি মজা লাগে।
কুলফি মালাই কুষ্টিয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার বলে কথা ভালো না বলে যাবে কোথায়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
নিঃসন্দেহে কুষ্টিয়া জেলা আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। আর এই ঐতিহ্যবাহী জেলার ঐতিহ্যবাহী কুলফি মালাই খাবার দারুণ এক অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে গরমের সময় এ ধরনের কুলফি মালাই খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার কলিগ কুলফি মালাইয়ের যে স্বাদ পেয়ে গেছে সেটা সে কখনোই ভুলতে পারবে না। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন গরমের সময় হলে এগুলো খেয়ে আরো বেশি মজা পাওয়া যায়।
দাওয়াত রইল ভাইয়া কুষ্টিয়া আসলে দেখা করেন কুলফি মালাই খাওয়াবো।
শীতকালে ও কুলফি মালাই পাওয়া যাচ্ছে।যাইহোক এবার দেখছি কুলফি মালাই খেতে যেতে হবে কুষ্টিয়া।আপনাদের জেলার বিখ্যাত খাবার কুলফি মালাই এবং এটা খেতেও অনেক ভালো মনে হচ্ছে।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।