কক্সবাজার ভ্রমণ প্রথম পর্ব।
০২পৌষ মাস , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৭ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
০৩জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরী
রবিবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
ফটোগ্রাফি করতে এবং ভ্রমণ করতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যারা আছি এদের মধ্যে @mrahul40 সব থেকে ভ্রমণ পিপাসু বেশি। যা হোক আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। যদিও ভ্রমণের সময়টা চার বছর আগের। তবে স্মৃতি গুলো এখনো মনের মধ্যে গেঁথে আছে। কেননা সেটা ছিল আমার প্রথমবারের মতো কক্সবাজার ভ্রমণ। আজ কেমন যেন মনে হচ্ছিল স্মৃতিগুলো আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছি। তাই ভাবলাম একটি পোষ্টের মাধ্যমে স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে রাখে। পুরাতন অ্যালবাম থেকে একটি ছবিও পেয়ে গেলাম। যাহোক ভ্রমণ কাহিনী এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সময়টা ছিল ২০১৮ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ। সবেমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত হয়েছে। চাকরির বয়স যখন ২ মাস তখনই অফিস থেকে হঠাৎ ঘোষণা এলো সবাই মিলে ভ্রমণ করতে যাওয়া হবে কক্সবাজার। তো শুনতে আমার মনের মাঝে অন্যরকম একটি ভালো লাগার কাজ করতে থাকলো। কেননা অনেক জায়গায় ভ্রমন করেছি কখনো কক্সবাজার ভ্রমণ করা হয়নি। আর এই আশাটা যে এত তাড়াতাড়ি পূরণ হবে সেটাও ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। বয়সটা ছিল অল্প কিন্তু ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসাটা ছিল আঘাত। ১১ তারিখে অফিস ঘোষণা হল ১৬ তারিখে ভ্রমণে যাওয়া হবে। দুদিনের ভ্রমণ অফিস থেকে অর্ধেক খরচ বহন করবে বাকি অর্ধেক আমাদেরকে দিতে হবে। তখন আমি মনে মনে ভাবছিলাম খরচটা ব্যাপার না ভ্রমণ করতে হবে তাও আবার কক্সবাজার যা লাগে লাগবে।
১১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন সময় যেন আর অতিবাহিত হচ্ছে না আমার। কখন গাড়িতে উঠব আর কখন যাত্রা করবো সাগর কন্যার দিকে। চোখ ভরে দেখবো দিগন্তর সৌন্দর্য আর বুক ভরে নেব নিঃশ্বাস। শুনবো নদীর কলতান আর লোনা পানিতে গোসল করে সাঁতার কেটে সময় কাটাবো। সত্যি তখন আমি এতটা খুশি ছিলাম যেটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে খুশি হবই না বা কেন প্রথমবারের মতো কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছি। যেটা আমার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল। আর সেই স্বপ্নটা পূরণ হতে যাচ্ছিল।
সেই সময় ফটোগ্রাফি করার অনেক শখ ছিল আমার। অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম আমার ফোন দিয়ে তবে কালের বিবর্তনে ফটোগ্রাফি গুলো হারিয়ে গিয়েছে। অল্প কিছু ফটোগ্রাফি এখনো আছে। যে ফটোগুলো দেখে সেই সময়কার স্মৃতি এবং ভালোলাগা গুলো মনের মাঝে দোলা দিয়ে যায়। ১৬ তারিখ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে আমরা ২৪ জন্য রওনা দিলাম দুইটা প্রাইভেট কারে করে। সবাই অনেক খুশি ছিলাম এবং গাড়ির মধ্যে বসে অনেক রকমের গান-বাজনা হাসাহাসি হচ্ছিল। আমার মত অনেকেই ছিল যারা প্রথমবারের মতো কক্সবাজার ভ্রমণ করবে। তাদের খুশি আর ভালোলাগা আমার সাথে যেন হুবহু মিলে যাচ্ছিল। রাত একটার সময় আমরা কুমিল্লা গিয়ে একটি ব্রেক দেই সেখানে হালকা পাতলা কিছু নাস্তা করে নেই। তারপরে আবার রওনা হই কক্সবাজারের দিকে। রাতে অনেকবার চেষ্টা করছিলাম একটু ঘুমাবো কিন্তু ঘুম যেন কিছুতেই ধরা দিচ্ছিল না। শুধু বারবার মনে হচ্ছিল কখন সাগরের পাড়ে দাঁড়াবো সুন্দর যেগুলো উপভোগ করব সূর্যোদয় দেখব।
অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সূর্যোদয়ের আগ মুহূর্তে আমরা পৌঁছে গেলাম। আমরা যাওয়ার দশ মিনিটের মধ্যেই সূর্যোদয় দেখতে পেলাম। দূরে সমুদ্রের মাঝখান থেকে সূর্য উঠে আসছে এমনটি মনে হল। আসলে সেই সময়কার অনুভূতিরা যে কেমন ছিল সেটা কোথায় বলে হয়তো বোঝাতে পারছি না। এরপরে আমরা সবাই সকালের নাস্তা সেরে যার যার মত বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে এবং গোসল করতে।
অফিস থেকে আমরা আগেই দুই দলে বিভক্ত হয়েছিলাম ফুটবল খেলার জন্য। সেখানে গিয়ে ঠিক টাইম মত আমরা ফুটবল খেলায় মেতে উঠি। ঐদিনকে আমরা সবাই মিলেমিশে একত্রে যখন বল খেলছিলাম আনন্দ করছিলাম মজা করছিলাম মনে হচ্ছিলো না কে অফিসের স্যার কে ছোট পোস্টে জব করে। কে বড় পোস্টে জব করে। সবাই যেন বন্ধুর মত হয়ে গিয়েছিলাম। সে সময় ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে অন্যরকম একটি আগ্রহ কাজ করতো। আমরা সবাই মিলে একত্র হয়ে খেলার মাঝপথে একটি ছবি উঠিয়ে রেখেছিলাম। এছাড়াও পার্সোনাল ভাবে আমরা অনেক ছবি উঠেছিলাম। সেই ছবির একটি আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। এরই মধ্যে বেলা বারোটা বেজে গেল। সবাই সবার মত সমুদ্র তীর্থ থেকে হোটেলে ফিরে গোসল ছেড়ে একসাথে আবার খেতে চলে গেলাম। কক্সবাজার ভ্রমণের এই পর্ব এখানেই শেষ করছি। সামনের পর্বে আপনাদের সাথে হিমছড়িতে যে মজা গুলো করেছিলাম সেটা তুলে ধরব।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.