০৮ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি ❤️ প্রিয় পাঠক পৃথিবীর স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণের পিছনে পড়ে আমরা অনেক মানুষই ভুলে গেছি জীবনের আসল লক্ষ্য উদ্দেশ্য । আমাদের মাথায় এখন শুধু কিভাবে উন্নত কেরিয়ার করা যায় ।ভালো বেতনের একটা চাকরি পাওয়া যায়। ছাত্র জীবনে আমরা আসল সফলতা মনে করি এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ এইচ এস সি তে জিপিএ ফাইভ পরবর্তীতে ভালো একটি ভার্সিটিতে চান্স। পরবর্তীতে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে ভালো একটি চাকরি উন্নত কেরিয়ার এটাই কি আসলে আমাদের জীবনের আসল সফলতা বা আসল উদ্দেশ্য। পার্থিব জীবনের মোহে পড়ে আমরা ভুলে গিয়েছি পরকালকে। ভুলে গিয়েছি আমাদের পৃথিবীতে আসার আসল উদ্দেশ্যটা। ভুলে গিয়েছি আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে। তিনি আমাদের কি জন্য সৃষ্টি করেছেন আর কেনই বা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। বর্তমান সময়ে আমরা অর্থ উপার্জনে এতটাই ব্যাকুল হয়ে পড়েছি যে মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে আমরা ভুলে গিয়েছি। শিক্ষা জীবন শেষ করে যখন আমরা ভালো একটা চাকরি পেয়ে যাই তখন আবার আমাদের মধ্যে অন্যরকম এক ব্যাকলতা কাজ করে। কিভাবে অল্প সময়ে বেশি টাকার মালিক হওয়া যায়। বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় কেটে যায় নিজেকে গুছিয়ে নিতে এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। এবং অর্ধেক সময় কেটে যায় টাকা করে গুছিয়ে সুখের ঠিকানা খুঁজতে। অথচ আমাদের সামনে যে অনন্ত অসীম সময় পড়ে রয়েছে বিচারের মাধ্যমে ফয়সালা হবে শাস্তি অথবা শান্তির সেদিনের কথা কি কখনো একবার মাথায় আসে আমাদের। মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে আমাদের সাথে কি হবে আর এই পৃথিবী থেকে কি করে গেলে আমাদের জন্য শান্তি অথবা শাস্তি অপেক্ষা করছে এগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা করার মত সময়ও বর্তমানে থাকেনা। আমরা শুধু এখন একটা বিষয় জানি গড়তে হবে ভালো একটি ক্যারিয়ার। অথচ নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কিন্তু ধর্মীয় দিক দিয়ে কোন বাধা নেই। কিন্তু সেটা হতে হবে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির মাধ্যমে। আমরা ঠিকই ক্যারিয়ার গোছাচ্ছি কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়ে। কারন আমরা তো আমাদের সৃষ্টির আসল উদ্দেশ্য এবং পৃথিবীতে কেন আমাদের পাঠানো হয়েছে সেটা তো ভুলে গিয়েছি।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরা বর্তমান সময়ে পার্থীব্য জীবনের মূল্যায়ন করতে গিয়ে পরকালের জীবন হারিয়ে ফেলেছে অধিকাংশ মানুষই। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের সাফল্যই যে প্রকৃত সাফল্য সেটা আমরা ভুলে গেছি। এ বিষয়ে আমরা অজ্ঞ উদাসীন সবাই নিজ নিজ ক্যারিয়ার গড়ায় ব্যস্ত। তাইতো একজন ছাত্র এবং তার অভিভাবক মনে করেন আসল সাফল্য হলো জিপিএ ফাইভ পাওয়া। আবার ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া এটাকে মনে করছি আমরা আমাদের জীবনের আসল সাফল্য। লেখাপড়া শেষ করে ভালো একটা চাকরি পাওয়া সেটাই হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবনের সাফল্য এবং পরবর্তীতে আরো কিভাবে বেশি টাকা পয়সা অর্জন করে আরো দূর এগিয়ে যাওয়া যায় এটাকে আমরা বড় সাফল্য মনে করছি। হ্যাঁ এগুলো করতে হবে এগুলা করতে তো মানা নেই কিন্তু সেটা হতে হবে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টের মধ্যে দিয়ে। আমরা মনে করে নিয়েছি আমাদের জীবনে যেভাবেই হোক বেশি টাকা অর্জন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই আসল সাফল্য। কিন্তু আমি ভাবি এর উল্টোটা। অন্যের কাঁধের উপর পা দিয়ে অন্যকে ঠকিয়ে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে নিয়ে নিজেকে বড় বানিয়ে এর মধ্যে কোন বরত্ব মহত্ব বা আনন্দ বলতে কোন জিনিস থাকে না। যখন নিজ প্রচেষ্টায় অল্প কিছু করা যায় তখন কিন্তু নিজের মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ উপলব্ধি হয়। অবশ্যই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে পরিবার পরিজনদেরকে সুখে রাখতে হলে অন্তত পরিবারের মুখের হাসির জন্য অর্থ সম্পদের মালিক হতে হয় বা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে যদি আমি সৃষ্টি কর্তাকে ভুলে যাই তার বিধান অমান্য করি তাহলে মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আমার জন্য কি অপেক্ষা করবে। এই প্রশ্নটা যদি আমি আমার নিজেকে করি তাহলে নিজের মধ্যে থেকেই কিন্তু উত্তরটা আসবে। কেননা আমার সম্পর্কে আমার কৃত কাজ সম্পর্কে আমার থেকে ভালো আর কেউ জানে না??
শিক্ষা জীবনে ভালো রেজাল্ট করা ভালো ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পরবর্তীতে ভালো একটি চাকরি করা ভালো বেতনে। এগুলো কি আমাদের জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য? তাহলে একটু ভেবে দেখুন তো আমাদের জীবনের চূড়ান্ত সাফল্যটা কি? কখনো কি একবার ভেবে দেখেছেন যে মহান স্রষ্টা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তিনি কোন বিষয়কে আমাদের জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রকৃত সাফল্য সম্পর্কে সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যাকে শাস্তি থেকে দূরে রাখা হবে এবং শান্তির মধ্যে রাখা হবে সে হলো প্রকৃত এবং চূড়ান্ত সাফল্যের শামিল। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে সৃষ্টি কর্তার দেখানো মত এবং পথ অনুযায়ী চলবে সব ধরনের পাপ কাজ অন্যায় অবিচার থেকে বেঁচে থাকবে একমাত্র ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে শান্তি লাভ করবে। বস্তুত এটাই হলো একজন মানুষের জন্য সবথেকে বড় সাফল্য।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দুনিয়াতে সৃষ্টিকর্তার অবাধ্য হবে তা নাফরমানি করবে ওই ব্যক্তি যত বড় ডিগ্রিধারী হোক না কেন যত বড় সাফল্যের অধিকারী হোক না কেন এই সাফল্য এই ডিগ্রী মৃত্যু পরবর্তী সময়ে কখনোই কাজে আসবেনা। তখন শুধু দেখা হবে তার আমলনামা সেখানে বদ আমল না নেক আমল কোন্টার পাল্লা ভারী আছে। তখন কিন্তু আপনার জিপিএ ফাইভ ভালো ইউনিভার্সিটি'র সার্টিফিকেট ভালো চাকরি বা ভালো টাকা পয়সা কোনটি দিয়ে কিন্তু আপনি তখন পার পাবেন না। এই ক্ষেত্রে মৃত্যু পরবর্তী সময়ে ওই ব্যক্তি বড় ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাবে। আর যাদের জন্য এত পরিশ্রম টাকা করে গোছানো তারাও কিন্তু কখনোই এই পাপের ভাগ নেবে না। আমার কৃতকর্মের ফল আমাকেই ভোগ করতে হবে।
প্রিয় পাঠক আমার আপনার রব আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। মানব সৃষ্টির আসল উদ্দেশ্য কি? সৃষ্টিকর্তা বলেন আমি পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। তাহলে আমরা কোন ধোকায় পড়ে কোন মায়ায় পড়ে সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে রয়েছি। তার এবাদত না করে কেন তার নাফরমানিতে লিপ্ত রয়েছি। আমরা যেন পার্থিব জীবনের সাফল্যকে জীবনের আসল লক্ষ্য উদ্দেশ্য মনে না করি। মনে রাখবেন আমার আপনার সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পরীক্ষা করছেন। সৃষ্টিকর্তাই সৃষ্টি করেছেন জীবন এবং মৃত্যু এবং এরই মধ্য দিয়ে আমাদেরকে পরীক্ষা করে নিচ্ছেন আমরা কে তার আনুগত্যের দিক দিয়ে উত্তম। সুতরাং সৃষ্টিকর্তার দেয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণর জন্য আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে। এজন্য আমরা শিক্ষাজীবন বা কর্মজীবন যেখানেই অধিষ্ঠিত থাকি না কেন আমাদের প্রকৃত সাফল্যের দিকে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। আসুন আমরা নিজের সংশোধন হই এবং আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে সংশোধন করি। এবং সার্বক্ষণিক মনে রাখে সৃষ্টিকর্তার কথা। এবং সঠিক পন্থায় তিনার আনুগত্য করে। তাহলে পার্থব্য জীবন যেমন সফলতা আসবে তেমনি মৃত্যুর পরবর্তী সময়ও সফলতা পাব।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রত্যেকটা মানুষ এটা জানে না যে প্রকৃত সাফল্যটা আসলে কি?? সবাই তো শুধু এই জীবনের সাফল্যের উদ্দেশ্যে ই সারাক্ষণ ছোটাছুটি করে থাকে। প্রচুর পরিমাণ অর্থ আর নিজেদের স্বার্থ এগুলোই মানুষের জন্য অনেক বেশি বলে তারা মনে করে। কে কোন দিক দিয়ে টাকা বেশি করে ইনকাম করবে, তারা এগুলো নিয়েই সারাক্ষণ ছোটাছুটি করে। প্রকৃত সাফল্য এই জীবনে না মৃত্যুর পরের জীবনে পাওয়া যায়। আর আমাদেরকে বেঁচে থাকতে সেই সকল পাওয়ার জন্য সবকিছুই করতে হবে। তবে অর্থ স্বার্থ এগুলোর পেছনে ছুটেছুটি করলে হবে না। কারণ এর ফলে আমরা পরের জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবোনা। আমাদেরকে সব সময় ভালো চিন্তা করতে হবে আর ভালো কিছু করতে হবে।
আসলে বাহ্যিক যে সাফল্যগুলো আমরা দেখতে পাই বেশির ভাগই আমাদেরকে ধোঁকা দেয়।
প্রকৃত সাফল্য যে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টিতে এটা আমরা ঠিক যেন ভুলে গিয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
প্রকৃত সাফল্য তো সেটাই যেটা আমরা মৃত্যুর পর অর্জন করবো। বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষগুলো প্রকৃত সাফল্যের পেছনে না, বরং তারা অর্থের পেছনে বেশি সময় দিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের সবাইকে এটাই মান মনে রাখতে হবে যে, আমরা প্রকৃত সাফল্য বেঁচে থাকতে না মৃত্যুর পরে অর্জন করবো। স্বার্থ এবং অর্থের পিছে না ছুটে, প্রকৃত সাফল্য যেন আমরা মৃত্যুর পর অর্জন করতে পারি ঐরকম কাজ করা দরকার। অনেক সুন্দর করে আপনি আজকে এই লেখাটা লিখেছেন। যেটা পড়ে ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন তারাই প্রকৃত সাফল্য ব্যক্তি যারা মৃত্যুর পরবর্তীতে শান্তিতে থাকতে পারবে।
আর অবশ্যই মৃত্যুর পরবর্তীতে সফল হতে হলে আমাদের এই দুনিয়া থেকে সেটার ব্যবস্থা করে যেতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিকারের সাফল্য কি সে আমরা সেই বিষয়ে সত্যি ই কোন খেয়াল রাখিনা।আসল সাফল্য পরকালের শান্তিতে।পরকালের শান্তির কথা ভেবে আমরা আসলে কিছুই করিনা।আমরা শুধু অর্থ আ স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত আছি।আপনি এই বিষয়টিকে নিয়ে চমৎকার ভাবে লিখলেন।এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
অবশ্যই পরকালের শান্তির কথা চিন্তা করে আমাদেরকে পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং পুণ্যের কাজগুলো বেশি বেশি করা উচিত।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমরা সকলে মনে করি যে আমরা এই দুনিয়াতে যে সকল সাফল্য অর্জন করতে পারব তা নিয়েই আমাদের সফলতা। তবে তা একেবারে ভুল একটি ধারণা৷ আমরা যতই এই দুনিয়াতে যা কিছু করি না কেন তা শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য৷ আমরা যখন শেষ পর্যন্ত এই দুনিয়া থেকে চলে যাব তখন আমাদের যে আরো একটি জীবন রয়েছে সে জীবনের জন্য যদি আমরা কোন কিছু করে যেতে পারি তাহলেই আমাদের জীবনের সফলতা৷
আসলে দুনিয়াটা হল গোলকধাঁধা আমাদের সামনে ধোকার বস্তু।
প্রকৃত সফল তারাই যারা সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভ করে ভালো কাজগুলো পৃথিবী থেকে করে যেতে পারছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি কথা লিখেছেন ভাই আসলে এই দুনিয়াটা আমাদের অল্প সময়ের জন্য আর যেখানে অনন্তকাল থাকতে হবে সেখানকার জন্যই পুঁজি গোছানো বুদ্ধিমানের কাজ।