১৭ ভাদ্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি ♥️ সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করছি। ভালো থাকতে হলে যেমন ভালো খাবারের প্রয়োজন রয়েছে তেমনি মন মানসিকতা এবং নিজের চিন্তা ভাবনাকে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। এক কথায় প্রকৃতির নির্যাস থেকে প্রকৃতির কাছ থেকে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করতে হবে। আমি তো খুবই প্রকৃতি প্রেমিক সময় পেলেই ছুটে চলেই প্রকৃতির মাঝে সেটা হোক নদী বা অরন্যর মাঝে। বিশেষ করে নদী পার আমার সবথেকে বেশি প্রিয় নদীতে ঘুরতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। নদীতে যখন জোয়ার আসে পানিতে চারিপাশ ভরে ওঠে কানায় কানায় নৌকা নিয়ে ঘুরা যায় তখন তো আরো বেশি ভালো লাগে। গত সপ্তাহে শুক্রবারে বিকেল বেলায় ছোট ছোট তিনটা ভাইকে নিয়ে ডিঙ্গি নৌকা ভ্রমণ করেছি। ওদের সাথে নৌকা ভ্রমণ করে আমার খুবই ভালো লেগেছে সেই সাথে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছি আমরা সবাই মিলে। আজ আপনাদের সাথে নৌকা ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
আমরা চারজনে মিলে শুক্রবার সকালে পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম আমরা বিকেল হলে আসরের সালাত আদায় করে নৌকা নিয়ে অজানা উদ্দেশ্যে রওনা হব। কেননা এখন নদী পানিতে পরিপূর্ণ যেদিকে তাকানো যায় শুধু পানি আর পানি। নদী কেন্দ্রিক এলাকা হওয়ায় এখানকার মানুষ এখন জীবিকা নির্বাহ করছে নদীকে কেন্দ্র করে। বিশেষ করে মাছ শিকার এর অন্যতম। তাছাড়া আমাদের এই নদীর দুপাশ দিয়ে রয়েছে জনবসতি। মানুষ পারাপারের মাধ্যমেও মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাছাড়া দুপাশের মানুষেরই দু'পাশে রয়েছে অনেক ফসল যার কারণে সব সময় এ পাশের মানুষ ওপাশ ওপাশের মানুষ এপাশে আসতে হয়। তাছাড়া বিকেল হলে আমাদের এপাশে নদীর পাড়ে বটতলায় হাট বসে সেখানে ওপারের লোক এসে ভিড় জমায়। দেখতে পাচ্ছেন আমার ভ্রমণ সাথী পিচ্চি পিচ্চি তিনটা বালক। আর সব সময় তো একজনকে হয়তো আপনারা চিনতে পারবেন সে আমার সাথেই থাকে রাফসান। নৌকা ভ্রমণের কথা শুনে সে তো সারাদিন আমার সাথে সাথে থাকতে এক মুহূর্তের জন্যও আমার থেকে সরেনি। বিশেষ করে ওর খুশি গুলো দেখার জন্যই আমার এই নৌকা ভ্রমণ করা। আমরা ঘাটে এসে শাফিনদের নৌকা নিয়ে রওনা গ্রামের পাশ দিয়ে। আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন এত বড় নদী অথৈ পানি এই তিনটা বালককে নিয়ে যাচ্ছি তারা ভয় পাচ্ছে কিনা। এটা ভাবলে সম্পূর্ণ ভুল হবে তারা আমার থেকেও মনে হয় সাহসী। আমি তো সবসময় বাড়ি থাকি না এজন্য নদীতে ঘুরা হয় না। তারা নাকি প্রতিদিন বিকেলে নৌকা নিয়ে এদিক-সেদিক বিকেল হলে ঘুরতে বের হয়। আবার দেখলাম তারা ঠিকঠাক মতো নৌকা ও বাড়িতে পারে পানির উপরে। যদিও পুরোটা সময় ছবি তোলা ব্যতীত সব সময় আমি নৌকা চালিয়েছি। তবে মাঝ পথে কিছু সময় ওদের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম ওরাও খুব ভালো নৌকা চালাতে পারে।
নদী যেমন পানিতে ভরে গেছে তেমনি জেলে ভাইদের মাছ ধরাও খুব ব্যস্ত সময় পার করছে। একটা ফটোগ্রাফি দিয়েছি উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একজন জেলে নদীর মাঝে তার ছোট বোর্ড নৌকা এবং মাছ ধরা ফাঁদ নিয়ে মাছ শিকার করছে। আসলে বিকেল হলে অনেকেই নৌকা নিয়ে নদী ঘুরতে বের হয় যেগুলো খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারলাম। গোধূলির আলো আর নদীর দখিনা হাওয়া মাঝ নদী দিয়ে নৌকা চালানোর সময় এতটা ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না।
এই অঞ্চলের মানুষ এর নদীর সাথে রয়েছে গভীর মিতালী কখনো এদেরকে ভাসিয়ে দিচ্ছে আবার কখনো এই নদীর মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহের পথ হয়ে যাচ্ছে। আবার বলতে পারেন এই সময় এলে আমাদের এই নদী বিনোদনের অন্যতম জায়গা হয়ে যায়। বিশেষ করে বিকেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে নদী ঘুরতে। নদীপাড়ের মাঝিরা তখন নৌকা নিয়ে ঘাটে বসে থাকে এবং লোকজন এসে নৌকাতে ওঠে এবং তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয় নদীর পাড় দিয়ে। এটাও কিন্তু তাদের আয়ের অন্যতম উৎস। আবার নদীতে পানি এসে পলি জমা হয় মাটিতে সেই পলিতে ফলে সোনার ফসল। উপরের ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন মাছ ধরার অন্যতম একটি গ্রাম্য ফাঁদ পাতা রয়েছে নদীর মাঝ বরাবর। প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে পশ্চিম আকাশ রক্তিম আমায় আলোকিত হয়েছে আর সেই আলোয় নদীর বুকে অন্যরকম এক সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। নদীতে ঘুরতে গেলে এই সময়টা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। বিকেল থেকে নিয়ে আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত যার জন্য দিতে ঘুরে এবং ফটোগ্রাফি করি। এবং সন্ধ্যার সময় আমরা আবার ঘাটে ফেরত চলে যাই। আসলে অনেকদিন পরে এরকম ভরা নদীতে ডিঙ্গি নৌকায় ভ্রমণ করতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে নদীর সাথে রয়েছে আমাদের গভীর মিতালী ছোটবেলা থেকে এই নদীতে সাঁতার কেটেছি গোসল করেছি মাছ ধরেছি এবং নৌকা চালিয়েছি। সবমিলিয়ে শৈশবের হাজারো স্মৃতি রয়েছে এই নদীকে কেন্দ্র করে। যাইহোক আমাদের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করছি ভালো লাগবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যাদের বাড়ি নদী এলাকায় তাদের জীবনে নদী নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমাদের বাড়ি যেমন পুকুর এলাকায় তাই পুকুর নিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং স্মৃতি। যাইহোক আজকে আপনি ডিঙ্গে নৌকা ভ্রমণের সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। আপনার চমৎকার এ পোস্ট আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার এই নৌকা ভ্রমণটা।
নৌকা ভ্রমণের ফটোগ্রাফি এবং কথাগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
আপনি আপনার ছোট ভাইদের কে নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরেছেন জেনে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। এই ধরনের জায়গাগুলোতে ঘুরাঘুরি করতে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে। আপনার ছোট ভাইয়েরা দেখছি খুব সুন্দর নৌকা চালাতে পারে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মোটামুটি ভালই নৌকা চালানো শিখে গিয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।