ভ্রমণ পর্বঃ০৮|লালবাগ কেল্লা ঘুরে দেখা❤️|১০%লাজুক শিয়ালের জন্য ❤️
০৮মাঘ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২২জানুয়ারি , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
১৯জমাদিউল সানি, , ১৪৪৩ হিজরী
শনিবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
📸📸📸
📸📸📸
প্রিয় সহযোদ্ধা বন্ধুরা ,আশা করি এই কনকনে শীত এবং করোনা ভাইরাসের মহামারী বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে আপনারা সবাই ভাল আছেন😍😍 ।আমি অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি লালবাগ কেল্লার বিভিন্ন ফটোগ্রাফি এবং আমার জানা ইতিহাস। আমি কিছুদিন আগে ঢাকা তে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি ইতিহাস জানার জন্য লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে যাই। ইতিহাসে পড়েছি কিন্তু কোনদিন দেখা হয়নি, এবার নিজ চোখে দেখে অনেক ভালো লাগলো। এবং এখন মনে হয় ইতিহাস গুলো আমার চোখের সামনে ভাসছে। বিভিন্ন ভবন এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম নবাবদের ছবি ব্যবহৃত আসবাসপত্র সুরঙ্গ পথ এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত আরো অনেক জিনিস নিয়ে আজকে আমার পোস্টটি আমি সাজিয়েছি। আশা করছি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আপনাদেরও লালবাগ কেল্লা ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইল ।বাঙালি হিসেবে বাংলার ইতিহাস জানা আমাদের সবারই অনেক জরুরী। বিশেষ করে শায়েস্তা খানের আমলে উনি যখন নবাব ছিলেন তখনকার সময় একে বলা হতো বাংলার স্বর্ণযুগ। কথায় শুনেছি তখন নাকি এক টাকায় 40 মণ চাল হত🤔🤔। |
---|
নবাবী ভবন
নবাবী ভবন
উপরের ফ্রেমে যে ছবিগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ভবনের, এই ভবনগুলোতে নবাবী আমলে নবাব এবং তাদের পরিবার পরিজনদের থাকতেন। এখন ভবনের চারপাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছ এবং ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে। যার কারণে ভবনের সৌন্দর্য আরো বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। |
---|
মসজিদ
মসজিদ
উপরের চিত্রে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি ইট এবং পোড়ামাটি দিয়ে নির্মাণ করা তিন গম্বুজ মসজিদ ।মসজিদ নববী আমলে তৈরি করা। এবং নবাব পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রার্থনা করত। এখনো এই মসজিদে প্রার্থনা চলমান। |
---|
সমাধী
সমাধী
এখন পর্যটকদের লালবাগ কেল্লায় ভ্রমণের জন্য প্রথমে যে গেট দিয়ে ঢুকানো হয় ,গেট দিয়ে কিছু দূর আগে সামনে যে ভবনটি আপনি দেখতে পাবেন, সেই ভবনটির ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় নবাবী আমলের শায়েস্তা খানের কন্যা এবং একজন নবাব এবং পরীবিবির সমাধি লক্ষ্য করবেন ।এখন ভবনটি সংরক্ষিত ।ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কিন্তু বাহির থেকে সমাধি গুলো দেখা যায়। |
---|
কামান
কামান
এই চিত্রে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি নবাবি আমলের যুদ্ধের সরঞ্জাম কামান। এখন অবশ্য ভবনের বাইরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ।কামানটি সম্পূর্ণ লোহার তৈরি। |
---|
যুদ্ধের পোশাক
যুদ্ধের পোশাক
এই চিত্রে আপনারা যে লোহার তৈরি পোশাক 👗 টি দেখতে পাচ্ছেন এটি যুদ্ধের সময় যোদ্ধারা গায়ে পড়ে যুদ্ধ করত। অপর পাশ থেকে তেড়ে আসা তীর, খঞ্জর ,বর্ম এবং বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশনের জন্য। |
---|
নবাবী আমলে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের চাকু
নবাবী আমলে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের চাকু
উপরের ফ্রেমে যে ছবিগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, বিভিন্ন সাইজের এবং বিভিন্ন রকমের ধারালো চাকু। যেগুলা যুদ্ধ এবং বিভিন্ন কাজে নবাব এবং অন্যরা ব্যবহার করত।এ গুলো লোহার তৈরি এবং এখন পর্যন্ত অক্ষত। দেখতে অনেক ধারালো মনে হচ্ছে। |
---|
যুদ্ধে ব্যবহৃত তীর ধনুক
যুদ্ধে ব্যবহৃত তীর ধনুক
উপরের চিত্রে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ঢাল ,তলোয়ার ,তীর-ধনুক, চাপাতি, এবং হাত কুড়াল, যেগুলা নবাবী আমলে যুদ্ধের সময় যোদ্ধারা ব্যবহার করত ।এখনো জিনিসগুলা অক্ষত ।সংরক্ষণ করা রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক ধারালো। |
---|
শটগান এবং পিস্তল
শটগান এবং পিস্তল
এই ছবিগুলোতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন নবাবী আমলে যুদ্ধের সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত পিস্তল ,শটগান ।ওখানে বিস্তারিত বর্ণনায় লেখা রয়েছে এগুলা সেই সময়ই পারস্য থেকে আমদানিকৃত। |
---|
নবাব
নবাব
উপরের চিত্রে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি বিভিন্ন সময় শাসন কৃত নবাবের চিত্র ও সময় কাল। যার মধ্যে রয়েছে নবাব শায়েস্তা খান, বাবর শাহ, নবাব আজম শাহ। এবং 18470 সালে বুড়িগঙ্গা নদীর একটি পেইন্টিং। |
---|
নবাবি আমলের আসবাসপত্র
নবাবি আমলের আসবাসপত্র
এই ফ্রেমের চিত্রগুলোতে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি নবাবদের ব্যবহৃত থালা বাসন পারস্য থেকে আমদানিকৃত থালা-বাসন। এবং দেশে তৈরি মাটি দিয়ে পানি রাখার পাত্র। এবং কাঁসার দিয়ে তৈরি নবাবদের শরাবের পাত্র । |
---|
প্রধান গেট
প্রধান গেট
আপনারা উপরের চিত্রে যে বড় গেট দেখতে পাচ্ছেন এটি নবাবী আমলে ব্যবহার করা হতো ।এখন অবশ্য বন্ধ রয়েছে ।ইতিহাসের পড়েছি এই গেটে সব সময় একটি কামান এবং দুইটা হাতি পাহারায় থাকত এবং সাথে থাকত 12 জন করে সৈন্য। |
---|
পুকুর
পুকুর
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি পুকুরের দৃশ্য। এখন অবশ্য পুকুর শুকনা। এই পুকুরটি ইতিহাসে পরী বিবির ঘাট বা বিবির পুকুর নামে পরিচিত ।নবাবী আমলের নবাব এবং তাদের পরিবার পরিজন এই পুকুরে স্নান করতে। |
---|
ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিল্ডিং এর চিত্র
ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিল্ডিং এর চিত্র
উপরের ছবিগুলোতে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি প্রাসাদের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত লম্বা বড় বিল্ডিং ।এখন প্রায় ধবংসের পথে। এর আগে 2012 সালে বিল্ডিং ধসে তিনজন মানুষ মারা যায় ।যার কারণে এখন বিল্ডিংটি সংরক্ষিত। |
---|
প্রাসাদ থেকে বের হওয়ার গোপন সুরঙ্গ পথ
প্রাসাদ থেকে বের হওয়ার গোপন সুরঙ্গ পথ
উপরের চিত্রে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি বাসা থেকে বাহিরে বের হওয়ার জন্য ব্যবহৃত গোপন সুরঙ্গ পথ। প্রথমে আমি ইতিহাস পড়ে অনেক অবাক হয়েছিলাম যে গোপন পথ দিয়ে কিভাবে বের হয় ।পরে পর্যায়ক্রমে পড়ে জানতে পারলাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজা বিভিন্ন গোত্রের লোকের সাথে যুদ্ধ হতো। যুদ্ধের এক পর্যায়ে যখন পরাজিত নিশ্চিত তখন নবাবের লোকজন পরিবার-পরিজনসহ এই গোপন সুরঙ্গ পথ দিয়ে পালিয়ে যেত। আর প্রত্যেকটি কোন না কোন পাশ দিয়ে ঘুরে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে উঠেছে। এখন অবশ্য সুরঙ্গ পথ গুলো সংরক্ষিত করা ।যার মধ্যে দিয়ে এখন আর বুড়িগঙ্গা পৌঁছানো যায় না। কারণ প্রাসাদের ওইপাশ এখন বড় বড় পিলার দিয়ে বিল্ডিং তৈরি করা ।এর আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম দুইটা ছেলে সুরঙ্গ পথ এর মধ্যে দিয়ে ঢুকে বুড়িগঙ্গা দিয়ে বের হতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ভিতরে ঢুকে আর বের হওয়ার পথ খুঁজে না পেয়ে সেখানে ইন্তেকাল করেছিল। তারপর থেকেই গ্রিল দিয়ে আটকানো ভেতর দিকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। |
---|
📸📸
📸📸
এরই মধ্যে দিয়ে শেষ করলাম আমার আজকের পোস্ট, লালবাগ কেল্লা ঘুরে দেখা ।আমি লালবাগ কেল্লার বিভিন্ন প্রাসাদ ঘুরে বিভিন্ন ফটো কালেক্ট করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি ।আশা করছি আপনাদের আমার পোস্টটি ভালো লাগবে ।আমিও প্রথমবার এ গিয়ে অনেক মজা করেছি। এবং লালবাগ কেল্লার ইতিহাস গুলো চোখে দেখতে পেরেছি। |
---|
লোকেশন:
https://w3w.co///explains.cafe.loitering
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/MdLiton82465447/status/1484906568949039104?t=17AqNWcmFb85Uz2QYgyEfQ&s=19
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ❤️❤️
শুরুতেই বলব আপনি ভাগ্যবান। আপনি লালবাগ কেল্লা দেখতে পেয়েছেন। আমি দুইবার গিয়েছিলাম কিন্তু দুবারই বন্ধ ছিল তাই লালবাগ কেল্লা আর দেখা হয়নি। বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন আপনি। ভার্চুয়ালি আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমি ও ১ম দিন গুয়ে ফেরত আসছিলাম।।
২য় দিন দেখার সুযোগ হয়।।
ধন্যবাদ ❤️❤️
লালবাগের কেল্লা আমার বাসার কাছেই। আমার এলাকায় এসেছিলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে এটা খুবই ঐতিহ্যবাহী জায়গা। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেকেই অনেক তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই অসাধারণ ভ্রমন পোস্ট করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আগে জানলে আপনার সাথেও দেখা করতাম।।
লালবাগ কেল্লা বাংলা অনেক ইতিহাস বয়ে নিয়ে বেড়ায়। আমারও লালবাগ কেল্লায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। লালবাগ কেল্লায় গেলে বোঝা যায় প্রাচীন সভ্যতা। এখানে অনেক ধরনের প্রাচীন সভ্যতার অনেক ধরনের জিনিস রয়েছে। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সুন্দরভাবে আমাদেরকে সকল বিষয় বুঝিয়ে দিয়েছেন। এক কথায় আপনার পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ❤️❤️
আপনার ভ্রমণের জায়গা অসাধারন ছিল ভাইয়া। আপনি অনেক ভাগ্যবান যে আপনি লালবাগের কেল্লা দেখেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি আপনার পোষ্টের মধ্যে সুন্দরভাবে ছবি সহ বর্ণনা দিয়েছেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম।।
ধন্যবাদ ❤️❤️
যাইহোক আপনার এই লালবাগ কেল্লা সম্পর্কে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে জানতে পেরেছিলাম । আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু থেকে দেখার সৌভাগ্য হলো । বিশেষ করে পরিবিবির কবর । পরী বিবি সম্পর্কে ইতিহাস পড়েছিলাম কিন্তু আমার এখন মনে নেই । ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর লালবাগ কেল্লা সম্পর্কে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
জ্বি ভাই ঠিক বলেছেন সাল টা টাইপ করার সময় মিস্টেক হয়েছে।।
ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।।
ও সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ❤️❤️❤️