গ্রাম্য কবিতা🗒️✍️আমাদের গ্রাম⛰️⛰️
২৭ফাল্গুন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৩মার্চ , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২১শাবান , ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার ❤️
বসন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
গ্রাম হল মানব বসতির একটি সুনিবিড় আশ্রয়স্থল। সাধারণত গ্রাম কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে মনুষ্য সম্প্রদায়ের ছোটো বসতি। যেখানে বসবাসরত মানুষেরা কৃষিকাজ ও কৃষিভিত্তিক ও বিভিন্ন ছোটোখাটো কাজের মাধ্যমে খুব সাধারণভাবে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এখানে মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে তার প্রধান হচ্ছে কৃষিকাজ। এর পরের নদীতে মাছ শিকার করা, কামার কুমোর তাঁতি জেলে এক কথায় সবাই মিলে ভালোবাসায় গড়ে তোলে একটি গ্রাম। গ্রাম বড়ো থেকে দূরে অবস্থিত হয়। যেখানে মেঠো পথ ধরে চলতে হয় যার দুপাশেই থাকে সবুজ ফসল লতাপাতা আর ঝাড় ঝাপটা দিয়ে ঘেরা।। পাখিদের কলতান কৃষকের মুখের গান আর জেলের মুখের ভাটিয়ালি সুর যেন মুখরিত একটি পরিবেশ।। আমরা যারা ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছি তারা শহরে গিয়ে মানিয়ে নিতে অনেক কষ্ট করতে হয়।। কেননা ইট পাথর আর চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী জীবন যেন পুরোটাই জেলখানা।। তাইতো যেখানেই থাকি না কেন বারবার মন ছুটে চলে যেতে চায় আমার সেই শৈশবের গ্রাম খানিতে। মায়া মমতা ভালবাসা দিয়ে যেখানে ঘেরা। নদীর মুক্ত পানিতে গোসল করা মাছ শিকার করা গাছে গাছে ধরে থাকা ফল সিরে খাওয়ার মজাই অন্যরকম।। যাহোক আমি আমার কবিতার মাঝে আমাদের গ্রামের কিছু সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমাদের গ্রাম
বাকা পথের ধারের মেঠো ফুল নিও দু হাত ভরিয়া,
সেথায় তুমি ভাব করো বুনো শালিকের সাথে,
তোমার গায়ের বর্ণ দেখিবে তুমি তাদের আড়ালে।
যদি একবার আসো আমাদের গাঁয়ে।
তুমি যদি আসো আমাদের গাঁয়ে,
তোমারে সঙ্গে করি পাড়ি দিব নদী,
ওপারেতে চলে যাই লইয়া ঘাটের তরী।
ভাটিয়ালি সুরের তানে নদীর মহনায়।
মাঠের রাখাল ডাকিবে বাশির সুরে তোর,
মিতালী করিয়া ঢেলা কুড়িইয়া গড়িবে ইমারত
সারাটি দিনমান ধরি,
সত্যিকারের বসত ভুলিয়া নকল বসত গড়ি।
তুমি যদি যাও খুজিবে সেখানে মটর লতার সনে,
সীম শুধু সীম হাত বাড়াইলে মুষ্ঠি ভরে অনায়াসে।
তুমি যদি চাও কুড়ায়ে নাড়া আগুনে পোড়ায়ে মটর শুটির খাব,
আর সব চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,
খুশিতে হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব দুইজনে।
চাইলে তুমি শালুক কুড়ায়ে খুব বড় করে,
ভালোবাসায় গাঁথিব মালা যা দেখনি কাহারো তরে,
তুমি যদি চাও আচ্ছা না হয় দিওনা কাহারো তরে,
মালাটিরে রাখিও তুমি কিন্তু শক্ত করিয়া ধরি,
ও পাড়ার দুষ্ট ছেলেরা নিতে পারে জোর করে কাড়ি;
সন্ধ্যা হইলে ফিরিবো ঘরে মা যদি বকিতে চায়,
মতলব কিছু আঁটিবো তাহাতে খুশী তারে করা যায়!
লাল আলু খুঁটে কুড়াইয়া বেঁধে নিয়ে যাব মাথায় করি,
দেখিবে মা দাড়িয়ে আছে লাঠি হতে করি।
দেখিবে তুমি রাত্রি বেলায় বাহারি রকমের খাওন,
চাদের আলোয় আলোকিত ঘর, জোনাকির সমাহার,
তুমি আসিও এবার নবান্নতে পিঠা পুলির মেলায়,
দেখিবে সবাই বন্ধু সবার করছে যে উল্লাস।
সোনার গা খানি, সোনার তার মাটি,সোনার মানুষ তার,
ভেদাভেদ ভুলে একসাথে রই ভাই যে মোরা সবার,
কৃষকের মুখে ভাওয়ালী,মাঝির সুরে ভাটিয়ালি,
কৃষাণীর মুখের ছন্দ গীতে সবাই উদাসীন।
তুমি এসো ভাই এসো কিন্তু একবার,আমাদের গায়
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
সেথায় তুমি ভাব করো বুনো শালিকের সাথে,
তোমার গায়ের বর্ণ দেখিবে তুমি তাদের আড়ালে।
যদি একবার আসো আমাদের গাঁয়ে।
তুমি যদি আসো আমাদের গাঁয়ে,
তোমারে সঙ্গে করি পাড়ি দিব নদী,
ওপারেতে চলে যাই লইয়া ঘাটের তরী।
ভাটিয়ালি সুরের তানে নদীর মহনায়।
মাঠের রাখাল ডাকিবে বাশির সুরে তোর,
মিতালী করিয়া ঢেলা কুড়িইয়া গড়িবে ইমারত
সারাটি দিনমান ধরি,
সত্যিকারের বসত ভুলিয়া নকল বসত গড়ি।
তুমি যদি যাও খুজিবে সেখানে মটর লতার সনে,
সীম শুধু সীম হাত বাড়াইলে মুষ্ঠি ভরে অনায়াসে।
তুমি যদি চাও কুড়ায়ে নাড়া আগুনে পোড়ায়ে মটর শুটির খাব,
আর সব চাষীদের ডাকিয়া নিমন্ত্রণে,
খুশিতে হাসিয়া মুঠি মুঠি তাহা বিলাইব দুইজনে।
চাইলে তুমি শালুক কুড়ায়ে খুব বড় করে,
ভালোবাসায় গাঁথিব মালা যা দেখনি কাহারো তরে,
তুমি যদি চাও আচ্ছা না হয় দিওনা কাহারো তরে,
মালাটিরে রাখিও তুমি কিন্তু শক্ত করিয়া ধরি,
ও পাড়ার দুষ্ট ছেলেরা নিতে পারে জোর করে কাড়ি;
সন্ধ্যা হইলে ফিরিবো ঘরে মা যদি বকিতে চায়,
মতলব কিছু আঁটিবো তাহাতে খুশী তারে করা যায়!
লাল আলু খুঁটে কুড়াইয়া বেঁধে নিয়ে যাব মাথায় করি,
দেখিবে মা দাড়িয়ে আছে লাঠি হতে করি।
দেখিবে তুমি রাত্রি বেলায় বাহারি রকমের খাওন,
চাদের আলোয় আলোকিত ঘর, জোনাকির সমাহার,
তুমি আসিও এবার নবান্নতে পিঠা পুলির মেলায়,
দেখিবে সবাই বন্ধু সবার করছে যে উল্লাস।
সোনার গা খানি, সোনার তার মাটি,সোনার মানুষ তার,
ভেদাভেদ ভুলে একসাথে রই ভাই যে মোরা সবার,
কৃষকের মুখে ভাওয়ালী,মাঝির সুরে ভাটিয়ালি,
কৃষাণীর মুখের ছন্দ গীতে সবাই উদাসীন।
তুমি এসো ভাই এসো কিন্তু একবার,আমাদের গায়
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ভাইয়া গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য পৃথিবীর আর কোথাও নেই। গ্রামের মাঝে যত মনোরম দৃশ্য আছে তা শুধুমাত্র যারা গ্রামে বসবাস করে তারাই উপলব্ধি করতে পারে। কবি জসিম উদ্দিন এর মত আপনিও আমাদের এই বাংলার অপরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্য কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার কবিতাটি।
ঠিকই বলেছেন আপু যারা একমাত্র গ্রামে বাস করে তারাই গ্রামের সৌন্দর্যরা ভালোভাবে উপভোগ করতে পারে।। চেষ্টা করে যাচ্ছি কবিতার মাধ্যমে নিজের প্রতিভা ফুটিয়ে তোলার আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ
আপনার এই কবিতার মধ্যে গ্রাম বাংলার সব দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য আপনার কবিতার মধ্যে ফুটে উঠেছে ভাইয়া বেশ ভালো লাগার মত কবিতা। শহরে বাস করা মানুষরা কবিতাটি পড়লে গ্রামের সৌন্দর্য বুঝতে পারবেন।
আমার ছোট্ট বুদ্ধিতে চেষ্টা করেছি কবিতার মাঝে গ্রামের সমস্ত সৌন্দর্য এবং পরিবেশ খুঁটিয়ে তোলার জন্য আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ
বাহ ভাইয়া আপনি তো দেখছি বিষয়ভিত্তিক একটি কবিতা লিখেছেন। আসলে কবিতা লেখাটা অনেকটা সৃজনশীলতা যেটি আপনার মাঝে রয়েছে। অনেক ধন্যবাদ গ্রাম কে কেন্দ্র করে খুব চমৎকার একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য।
চেষ্টা করি সব সময় যে কোন একটি ভালো বিষয় নির্বাচন করে তার ওপরে কিছু লেখার চেষ্টা করি আপনার কাছে ভাল লেগেছে আমার লেখা কবিতাটি জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ
আসলে ভাইয়া খুব চমৎকার ছিলো আপনার কবিতাটি ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম গ্রাম্য পরিবেশের কবিতা গুলো পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ঠিক ছোটবেলায় আমাদের ছোট নদী কবিতাটির কথা মনে পড়ে গেল। সেই কবিতাটি কত সুন্দরী না লাগতো পড়তে। ঠিক তেমনি আজকে আপনার কবিতাটি দেখে ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। চমৎকারভাবে কবিতার প্রত্যেকটি লাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করলেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার কবিতাটি।
গ্রাম যেমন আমার কাছে ভালো লাগে তেমনি গ্রামের মানুষগুলো সহজ সরল ওদেরকেও আমার অনেক ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই আমার গ্রামে বেশি সময় অতিবাহিত করেছি তাই তো গ্রামকে খুব ভালোবাসি চেষ্টা করেছে গ্রামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য
গ্রামকে নিয়ে কবিতা লিখতে খুব কম সংখ্যক লোককে দেখেছি। তবে গ্রাম নিয়ে লেখা কবিতাটি খুবই চমৎকার হয়েছে এবং পড়তে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
জীবনের বেশিরভাগ সময়ই গ্রামে অতিবাহিত করেছি তাই তো গ্রামকে কখনোই ভুলতে পারে না গ্রামের সৌন্দর্য গ্রামের মানুষ গ্রামে পার করে আসার সময় গুলো তাই চেষ্টা করলাম কবিতার মাঝে কিছু ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।।