২৩বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি ❤️ আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম নতুন আরেকটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে। ভ্রমণ করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ভ্রমণ করলে বাহিরের জগত সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। সেই সাথে জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নেওয়া যায়। ভ্রমণের সাথে সাথে ফটোগ্রাফি গুলো জায়গাটি বারবার মনে করিয়ে দেয় এবং আনন্দঘন মুহূর্তটা স্মরণে এনে দেয়। এরই মধ্যে ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করব সপ্তম পর্ব। আর আজকের পর্বে থাকছে ড্রিম হলিডে পার্কের সব থেকে আকর্ষণীয় এবং ভয়ংকর ভুতের বাড়ি ভ্রমণ। ভূতের কথা শুনলেই কেমন যেন গা ছমছম করে ওঠে। সারা শরীরের মধ্যে অন্যরকম একটি ঝাঁকুনি দিয়ে দেয়। আমি অবশ্য পূর্বেই ইউটিউবে ভিডিওর মাধ্যমে দেখেছিলাম ভূতের বাড়ি। এবং সেই ভিডিও দেখেই এই জায়গাটি ভ্রমণের অনেক আকর্ষণ জন্মেছিল আমার মধ্যে। যাইহোক পরবর্তীতে ভূতের বাড়ি ভ্রমণ করে ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম আজ সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কেউ ভয় পাবেন না এগুলো কাল পরে। যদিও এরকম সিনেমা বা থ্রিলারে বলা হয় কাল্পনিক তারপরেও কিন্তু আমরা তাৎক্ষণিক ভয়ে কেঁপে উঠে। আমি সব কিছু জেনে বুঝেই এই গুহার মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম তারপরেও কিন্তু আমি দু-তিনবার করে চমকে গিয়েছি এবং ভালো রকমের ভয় পেয়েছি। যদিও সব কাল্পনিক তবে এখানে মজার বিষয় হলো ভুত এবং পেত্নীগুলো জীবন্ত। বুঝলেন না তো একটু বুঝিয়ে বলছি এর মানে হচ্ছে জ্যান্ত মানুষকে বিভিন্ন পোশাকে সাজিয়ে এর মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ করেই বিভিন্ন আওয়াজের সাথে এরা অঙ্গী ভঙ্গিটা চেঞ্জ করে বিকট চেহারা সামনে আনে। যার কারণে এটা দেখে তাৎক্ষণিক মানুষ ভয়ে কেঁপে ওঠে। যাহোক চলুন এবার ফটোগ্রাফির সাথে ভূতের বাড়ি ভ্রমণ করে আসি।
পার্কে ভ্রমণ করার পূর্বে যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম তখন মনে মনে ভেবেছিলাম আমি তো সব জেনে গেলাম। এখানে জীবন্ত মানুষ গুলো ভূতের চরিত্রে আমাদের সামনে এসে ভয় দেখাবে। তো আমি আর ভয় পাবো না। তবে আমার ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল ছিল। আমি নিজেও কিন্তু খুব ভয় পেয়েছি। আর এই জায়গাটিতে ভয় পাওয়ার প্রধান কারণ হলো এর মধ্যে যে সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে সেটা এবং বিভিন্ন ধরনের লাইটিং পদ্ধতি। তো প্রথমেই টিকিট দেখিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার পূর্বে গেটে একটা ছবি নেই এবং দেখতে পাচ্ছেন কি রকম। হাত পা কাটা রক্তমাখা চিত্র এবং গেটে পাহারায় রয়েছে দুইটা বড় বড় ভূ ত। এবার ভিতরে প্রবেশ করলাম প্রবেশ করতেই সরুপথ এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং এবং সাউন্ড সিস্টেমের শব্দগুলো ছিল খুবই ভয়ংকর। যার কারণে লোকজন গিয়ে আবার ফেরত আসছে ভয়ে বিশেষ করে মহিলা মানুষ।
আঁকাবাঁকা গুলি আর ভয়ঙ্কর আওয়াজ সেই সাথে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর স্ট্যাচু। এগুলা দেখে আসলেই নিজের মধ্যে ভয় ভয় অনুভব হচ্ছিল আমার এবং আস্তে আস্তে ভয়টা বাড়তে থাকে যত সামনের দিকে এগোতে থাকি। উপরে যে চিত্রগুলো দেখতে পাচ্ছেন আপনারা এই চিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভয়ংকর সাউন্ড সিস্টেম এবং আলোকসজ্জা দেওয়া হয়েছিল। এখানে দেখতে পাচ্ছেন মানুষের মাথার খুলি গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে থাকার দৃশ্য। জীবন্ত মানুষ চিবিয়ে খাওয়ার দৃশ্য। মানুষের কঙ্কাল মমি এবং জীবন্ত মানুষ আগুনে পোড়ানোর দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখন হয়তো আপনি ভাবতে পারেন এগুলো তো কাল্পনিক এগুলো দেখে কেন ভয় পাব। এই গুহার ভিতরে যে পরিমাণ সাউন্ড সিস্টেমে ভয়ংকরতা ছিল এবং আলোকসজ্জা যেরকম ছিল যত সাহসী মানুষই হোক না কেন একবারের জন্য হলেও ভিতরে প্রবেশ করলে তাকে ভয় পেতে হবে। আর জীবন তো ভূতগুলাতো রয়েছে কোত্থেকে যে বের হয়ে সামনে এসে ভয়ংকর আওয়াজ এবং অঙ্গভঙ্গি করবে আর সেই সাথে তাদের ডেসার্টগুলো এত ভয়ংকর যে দেখলে আপনি ভয় পেতে বাধ্য।
এই ভূতের বাড়ির গুহার মধ্যে থাকা ইত্যাদি গুলো এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন সবকিছু জীবন্ত। প্রত্যেকটা স্ট্যাচু নিজের মত করে চলাফেরা বা হাত-পা নাড়াচাড়া করতে পারে। আর এমনভাবে থ্রিলারগুলো সাজানো তাদের কার্যকলাপ এবং আচার-আচরণ দেখলে মনে হবে সবকিছু যেন সত্য। অথচ এই সব কিছুই কিন্তু কাল্পনিকভাবে বানানোর হয়েছে এখানে। কিছু কিছু চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে তাজা প্রাণী অন্য একটি প্রাণীকে চিবিয়ে খাচ্ছে। ভয়ংকর সাউন্ড সিস্টেম এবং ভয়ংকর আলোর মাঝে হেঁটে বেড়াচ্ছে এক বিকট চেহারার পেত্নী। সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে যাচ্ছে হঠাৎ করে আপনার দিকে ফিরে তাকাবে আর এই বিকট চেহারা দেখে অবশ্যই আপনার ভিতরটা কেঁপে উঠবে। যদিও এটা এক ধরনের পুতুল। উপরের চিত্রগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করুন তাহলে আপনিও বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।
সর্বশেষ দেখা হয়েছিল আমার সাথে কিছু জীবন্ত ভূত এর। আর এই জীবন্ত ভূতগুলো হলো এখানকার প্রধান আকর্ষণ এবং ভয় দেখানোর প্রধান কারিগর।। আর এরা এমনভাবে ভয় দেখাবে যে আপনি ভয় পেতেও বাধ্য। এদের ড্রেসাপ এমনভাবে সাজানো চেহারাটা এমন বিকটভাবে উপস্থাপন করা যে কেউ দেখলে আপনা আপনি ভয় পাবে। এবং এরা এমন বিকট আওয়াজ নিয়ে মানুষের সামনে হাজির হয় এবং এমন জায়গা থেকে বের হয় যেটা তাৎক্ষণিক আপনার কাছে সত্য মনে হতে পারে। একসাথে অনেকগুলো কঙ্কাল দেখতে পাচ্ছেন কঙ্কালগুলোকে এমনভাবে রাখা হয়েছে আপনার কাছে মনে হবে তারা কথা বলতে হাত-পা নাড়াচাড়া করছে। এবং গানের তালে তালে নাচানাচি করছে সবাই একসাথে। এইটা আমি দেখছিলাম এবং ফটোগ্রাফি করছিলাম সেই মুহূর্তে হঠাৎ করে একটা গুহার মুখ খুলে বের হয়ে আসলো আমার সামনে একটা জীবন্ত ভুল। হঠাৎ করে অন্ধকার হলো বিকট আওয়াজ এর সাথে যখন এটা বের হলো হুট করেই কিন্তু আমার মধ্যে ভিধি সৃষ্টি হয়ে গেল। তবে যে কেউ যদি একা একা এর ভিতরে ভ্রমণ করতে যায় তার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে আমিও নাছোড় বান্দা ভয় পেয়েই কিন্তু তাকে গিয়ে আবার জড়িয়ে ধরেছি। যেহেতু এটা কাল্পনিক এজন্যই। যাইহোক এই ভূতের বাড়ি ভ্রমণ করে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ভয় পেয়েছি আনন্দ পেয়েছি ফটোগ্রাফি করেছি। আরে সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে নিয়ে পেরেও অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি ফটোগ্রাফি এবং এই ভ্রমণ কাহিনীটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদী গিয়েছিলাম ৫ বছর আগে। আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। ভূতের বাড়ি ভিতরের তৈরি জিনিস গুলো অনেক সুন্দর করে নরাচরা এবং চলাফেরা করে যা দেখতে মনে হয় যেনো সব কিছু জিবন্ত। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বিগত পাঁচ বছর আগে আপনি ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণ করেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আসলে এই পার্কের প্রতিটা সৌন্দর্যই একদম অসাধারণ।
ড্রিম হলিডে পার্ক সিয়ামের বাসা থেকে অনেক কাছেই, তবে কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম, সত্যি সত্যি ভূতের বাড়ী অনেক ভয়ানক ছিলো। অপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোট্টবেলা ভূতের গল্প শুনতে খুবই পছন্দ করতাম এবং ভয় পেতাম। আপনি দেখছি ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদীতে গিয়ে ভুতুড়ে বাড়িতে দারুন সময় কাটিয়েছিলেন। সেখানকার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। যেটা আমরা উপভোগ করলাম অনেক ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভূতের বাড়ি সৌন্দর্যগুলো অসাধারণ ছিল।
সেই সাথে কিন্তু ভয় পেয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্ট ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, তা আমাদেরকে আপনার সাথে সেই ভয়ংকর এবং আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে সাহায্য করেছে। ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্টের জন্য।
আমার পোষ্টের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এবং ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যাদের হার্ট একটু দুর্বল তারা এরকম ভয়ংকর ভুতের ফটোগ্রাফী গুলো দেখলে একটু ভয় পাবে। আসলে এই ভুতের বাড়ি টি বাস্তবের না হলেও বাস্তবের মতো রুপ দিয়েছে তারা। আপনি ড্রিম হলিডে পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়ে ভুতের বাড়িতে প্রবেশ করে ভুতের অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। আপনি ভুতের সব গুলো ভুতের সাথেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
এটা ঠিক যে ভূতের বাড়ি বাস্তব নয় তবুও এমন ভাবে কারু কাজগুলো করা রয়েছে যেন মনে হবে সব সত্য।
আর হঠাৎ করে এমন বিকট আওয়াজ আর সিনারি আপনার সামনে আসবে যে আপনি ভয় পেতে বাধ্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্ক এত জনপ্রিয়তা পাওয়ার একটি কারন হলো তাদের ভূতের বাড়ির গুহাটা। ভাই গুহার ভিতরের ছবি দেখে আমি এখানেই ভয় পাচ্ছি,আর ভিতরে গেলে তো বেহুশ হয়ে যেতাম। যারা এগুলো সাজিয়েছে,তাদের আইকিউ অনেক ভালো। সব গুলো সিন অরিজিনাল বুঝা যায়। সব কিছু খুবই ভয়ংকর লাগছে। ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে কিছুদিন আগেও আমি এরকম একটি স্থানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে খুবই সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ আজকে আবার আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷