পদ্মা নদীর পাড়ে বনভোজন ⛵🛥️ পর্ব-১
০৭মাঘ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৩জানুয়ারী , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৮জমাদিউল সানি, , ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার ❤️
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🍲🍗🍗😋
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য মঙ্গল এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। শীত মৌসুম চলছে আর এমন সময়ে বনভোজন হবে না তা তো হয় না। গত শনিবারেই আমরা এই বদনের আয়োজন করেছিলাম পদ্মা নদীর পাড়ে। উপলক্ষ ছিল কিছুটা সময় সুন্দর সময় অতিবাহিত করবো মজা করবো এবং ভালো খাবার নিজেরাই রান্না করে খাব। বড় ভাই এবং তার ছেলে এসেছিল ঢাকা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে তার জন্যই মূলত এমন সুন্দর আয়োজনটি করার। ভাই একসময় বলতেছিল যে ছোটবেলায় তোদের মত থাকতে পদ্মা নদীর পাড়ে গিয়ে কত বনভোজন করেছি। নৌকা নিয়ে ঘুরেছি বন্ধুদের সাথে কত মজা করেছি। ভাইরা এমন কথা শুনে আমিও বলে উঠলাম চলুন তাহলে আজ আমরা যাই পদ্মা নদীর পাড়ে গিয়ে একটি খাবারদাবারের ব্যবস্থা করে আসি। তো ভাইয়ের কথামতোই আমাদের এই বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল তাহলে চলুন এবার পর্যায়ক্রমে শুরু করি।
🍗
লোকেশন:
আসলে পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে এমন সুন্দর আয়োজন করে সবাই মিলে একসাথে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে সুন্দর সময় অতিবাহিত করার মুহূর্তটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। ভাইয়ের ছেলের আকিকা ছিল দুটো খাসি দিয়ে সেই আকিকা করা হয়েছিল সেখান থেকে কিছু গোস আগেই রেখে দেওয়া হয়েছিল আমাদের বনভোজনের জন্য। তো আমরা ৪ কেজি খাসির মাংস এবং প্রয়োজনীয় যা যা লাগবে রান্না করার জন্য সবকিছু নিয়ে বেলা দুইটার সময় রওনা হলাম পদ্মা নদীর উদ্দেশ্যে। যাওয়ার সময় আমাদের ছোট নদীর মাঝ থেকে এই দুইটি ফটোগ্রাফি করা উপর একটি বড় ভাই নিচে এম রাহুল।
🍗
লোকেশন:
আমরা সেখানে গিয়েছিলাম দুটো বাইক এবং দুইটা বাইসাইকেল নিয়ে যেহেতু আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় 4-5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পদ্মা নদী। আমরা সেখানে গিয়েই রান্না করার জন্য একটি জায়গা ঠিক করে নেই এবং রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে খড়ি এবং পানি যোগাড় করতে থাকি। উপরের ফটো তে লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পাবেন যে বড় ভাইয়া খড়ি টুকাচ্ছে এবং ছোট দুইজন পানি ভরছে। আসলে বড় ভাই এদিন এতটাই খুশি ছিল যে আসলে বলে বোঝাতে পারছি না কেননা অনেকদিন পরে সে এরকম একটি আয়োজন এর মধ্যে আসতে পেরেছে।
🍗
লোকেশন:
রান্না করার সরঞ্জামাদি বাড়ি থেকে আমরা নিয়ে গিয়েছিলাম যার কারণে সহজেই সবকিছু প্রস্তুত করতে পেরেছি। যেহেতু আমি রান্না করতে পারি তার জন্য রান্নার ভাড়টা আমার উপরেই দেওয়া হল। যদিও আমি সেটা পাশ কাটিয়ে গিয়ে বড় ভাইকে বললাম আপনি অনেকদিন পর এসেছেন আমি ভাবির কাছ থেকে শুনেছি আপনি অনেক ভাল রান্না করতে পারেন আজকে আপনি আমাদেরকে রান্না করে খাওয়াবেন। তো বলতেই বড় ভাই আমার কথা শুনে মাংস রান্না করার জন্য মসলাগুলো প্রস্তুত করতে থাকলেন ।যা আপনারা উপরের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন।
🍗
লোকেশন:
আসলে মোটকথা হলো সবাই মিলে একত্র হয়ে কোন কাজ করা এর মধ্যে যে কি পরিমান মজা থাকে সেটা আসলে এমন আয়োজন না করলে বোঝা মুশকিল। আপনারা ফটোগ্রাফি তে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন আমরা কত উৎফুল্লের সাথে প্রত্যেকটা কাজ সবাই মিলে করে চলছি। বনভোজনের এ পর্যায়ে এসে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা যার যার মত একটা করে কাজ গুটিয়ে নিচ্ছি। ফটোগ্রাফি গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন পর্যায়ক্রমে রেসিপি প্রস্তুতির ধাপ গুলো দেখিয়েছি। যেদিকে চোখ যায় চারিপাশে শুধু সবুজ ফসলার ফসল আর একপাশে নদী। তারই পাশে আমরা এমন বনভোজনের আয়োজন করতে পেরে সত্যিই অনেক আনন্দ উপভোগ করছিলাম। সবাই মিলে এমন আয়োজন করেছিলাম কিন্তু এত মজা পাবো শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত না থাকলে বুঝতেই পারতাম না।
🍗
লোকেশন:
সবাই মিলে এত মজা করব আর এত মজা করে একসাথে বসে খাবার গুলো খাব আর খাবার গুলো এত মজাদার করে রান্না করা হবে সেটা আসলে প্রস্তুত না হলে বুঝতেই পারতাম না। আর ভাইয়া এত সুস্বাদু করে মাংস রান্না করতে পারে আসলে আমি সেটা জানতামই না। যদিও বোন ভাবেন এখনো শেষ হয়নি এরপরে আরো এক পার্ট রয়েছে যেখানে আমরা বিরানি প্রস্তুত করব। আমার ভাইয়ের ছেলে কি পরিমান মজা উপভোগ করছিল চারিপাশে দৌড়ায় দৌড়ায় আসলে ও খুব আনন্দ পাচ্ছিল। শহরের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি থেকে গ্রামে এসে ফাঁকা প্রান্তরে গিয়ে সবুজের মাঝে একটু সময় অতিবাহিত করতে পেরে ভাই এবং ভাইয়ের ছেলে দুজনেই খুবই উৎফুল্ল ছিল। এরই মধ্যে দিয়ে মাংস রান্না করা শেষ হলো এবার বিরানি রান্না করার পালা। তো আজ এই পর্যন্ত শেয়ার করছি পরবর্তী অংশ আগামী পোস্টে শেয়ার করব ততদিন সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
ডিভাইসঃ Canon 600d
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সবাই মিলে তো দেখছি বেশ ভালোই বনভোজনের আয়োজন করেছেন। গ্রামের ছেলেরা এরকম বনভোজনের আয়োজন করে থাকে বেশিরভাগ। আপনারা সবাই মিলে তাহলে বেশ ভালোই আয়োজন করলেন যা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার বড় ভাইয়ের হাতের তৈরি রান্না খেতে বেশ মজাই হয়। এরকম একটি মুহূর্ত খুবই সুন্দর ভাবে সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন। দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আসলে গ্রাম্য পরিবেশে বাস করলে মনটা যেমন উদাস থাকে তেমনি নদীর পারে গেলে মনটা আরো বেশি উদাস হয়ে যায় আর নদীর পারে এমন বনভোজনের আয়োজন করতে পারলে তো কোনো কথাই নেই ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।।
শীত আসবে আর বনভোজন হবে না তা কি আর হয়। যাক পরিবার পরিজন নিয়ে খুব ভালই একটি বনভোজন করলেন। আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে বেশ বড়সড়ই একটা বনভোজন হয়েছে পদ্মার চরে। বেশ ভালই লাগলো আপনাদের বন ভোজন দেখে।
ধন্যবাদ আপু আমাদের বনভোজনের গল্প এবং ফটোগ্রাফি দেখে সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য সত্যি অনেক মজা করেছি আমরা এদিন।।
দেখেই বুঝতে পারছি বনভোজনের আয়োজনে একটু বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এরকম দৃশ্যগুলো দেখতে কিন্তু আরো বেশি ভালো লাগে। সবাই মিলে এভাবে বনভোজনের আয়োজন করলে কিন্তু খুবই মজা হয়। বিরিয়ানি রান্না করার পর্ব আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন। খাওয়া দাওয়াও মনে হয় বেশ ভালোভাবেই করলেন। এরকম বনভোজনের আয়োজন করলেন খাওয়া-দাওয়া তো বেশ ভালো করারই কথা।
অনেক ধন্যবাদ আপু সবসময় আমার পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
অবশ্যই পরবর্তি পর্ব দুই-একদিনের মধ্যেই তুলে ধরব আপনাদের মাঝে।।
পদ্মা নদীর পাড়ে অনেক মজা করে বনভোজন করেছেন। আসলে পরিবারের সবাই মিলে এরকম রান্নাবান্না করে বনভোজন করলে খুব ভালো লাগে। খুব আনন্দ করেছেন এবং মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছেন। ঠিকই বলেছেন, শহরে চার দেওয়ালে বন্দী থাকতে হয়। গ্রামের প্রাকৃতিক গুলো দেখাই যায় না এবং এরকম খোলামেলা পরিবেশ পাওয়া যায় না। আপনার ভাই ও তার ছেলে অনেক খুশি হয়েছে জেনে ভালোই লাগলো। আপনার পরবর্তী বিরিয়ানি রান্নার অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে এরকম নিরব পরিবেশ তার উপরে নদী চারিদিকে সবুজ এমন জায়গায় একটি বনভোজন করতে পেরে সত্যি অনেক ভালো লাগছিল ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।।
পদ্মা নদীর পারে এভাবে খাওয়া দাওয়া অনেকবারই আপনারা করেছেন। এইভাবে মাঠের মাঝে খাওয়ার আলাদা একটা অনুভূতি আছে। আসলে বনভোজন জিনিসটাই অনেক আনন্দের খুব সুন্দর মুহূর্ত ছিল।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি আসলে বন্ধুবান জিনিসটাই অনেক আনন্দের সত্যি আমরা অনেক মজা করেছি।।
মনে হচ্ছে এই পুরো প্রোগ্রাম করার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে আপনার ভাইয়ার। প্রকৃতির মাঝে গিয়ে এমন রান্না বান্না আর খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। আর সবাই মিলে রান্না করেছেন যার কারণে আরো বেশি মজা উপভোগ করতে পেরেছেন। আর রান্নাটা যে অনেক সুন্দর হয়েছিল সেটা আপনার লেখা পড়ার আগেই রেসিপির দেখে বুঝতে পেরেছি।
মোটামুটি এরেজমেন্ট এর দায়িত্ব টা আমাকে নিতে হয়েছিল তাছাড়া রান্নাবাড়াও আমাকে করতে হয়েছে তবে এগুলা করে অনেক মজা হয় আমার কাছে খুব ভালো লাগে সবাই মিলে একসাথে এমন খাবার আয়োজন করে খেতে।।