জেনারেল রাইটিং ✍️ শিক্ষা ব্যবস্থা।
১৮মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০২ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২০রজব ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
***কোন দেশকে বা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে, তাহলে সর্বপ্রথম তার শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ধ্বংস আরোপ করতে হবে। শিক্ষার জ্ঞান মানুষকে আলোকিত করে তোলে। পাশাপাশি আবার শিক্ষার জ্ঞান মানুষকে অন্ধ বা প্রতিবন্ধী করে রাখে। বিশিষ্টজনেরা শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে কিন্তু প্রতিনিয়তই বলে থাকেন, কোন মানুষ জাতি বা দেশকে ধ্বংস করার আগে সেই মানুষ দেশ বা জাতিকে শিক্ষাগতভাবে আগে ধ্বংস করে দিতে হবে। শিক্ষার এতটাই গুরুত্ব যে, এটা মানুষ তখনই উপলব্ধি করতে পারে যখন ধ্বংস হয়ে যায় বা হওয়ার পথে থাকে। শিক্ষার জ্ঞান মানুষকে সবসময়ই উচ্চ থেকে উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যায়। যার মধ্যে সুশিক্ষার কোনো আলো নেই সে একটা নির্বোধ প্রাণী বা হিংস্র প্রাণীর মতো হয়ে থাকে। দেশ এবং জাতিগত ভাষাগত দিক দিয়ে মানুষের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে জাতি যত বেশি উন্নত সেই জাতের উন্নতর মূলে রয়েছে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা।****
আমাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর এত গুরুত্ব দেওয়া হয় কেন??? একটি দেশের সর্বোচ্চ উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মেধা জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিরা কিন্তু দেশকে পরিচালনা করে। আর যতদিন জ্ঞান সম্পন্ন লোক জাতি বা। দেশ পরিচালনা করে ততদিন সেটি সুশৃংখল এবং ভালোভাবে চলতে থাকে। এতক্ষণে হয়তো আপনারা বুঝতে পেরে গেছেন আমি আসলে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কিছু কথা আজ আমার পোষ্টের মাধ্যমে লিখতে চাচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এতটাই অধঃপতনের দিকে চলে গিয়েছে যে ভবিষ্যতে আমাদের দেশ জ্ঞানশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো অযোগ্য লোক যদি যোগ্য পদে বসে নেতৃত্ব দেয় এর থেকে ভালো কিছু আর আমরা কিভাবে আশা করতে পারি।
যেখানে চায়না জাপান এর শিক্ষাব্যবস্থায় এত উন্নত ।একদম শিকর থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত গবেষণা তথ্য এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়ে ভরপুর। চীন জাপান ভারত থেকে বৈজ্ঞানিক তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। এদের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশে। এরা বিভিন্ন মহাদেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে গবেষণার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের দেশকে। আর সেখানে আমাদের দেশের অবস্থা খুবই নাযোগ। আমাদের দেশের বইতে শেখানো হচ্ছে কিভাবে বিছনা ঝাড়ু দিতে হয় কিভাবে একটি ডিম ভাজতে হয় কিভাবে আলু ভাজি করতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলা কি বই থেকে শেখার জিনিস। এগুলো তো আমরা ছোটবেলা থেকেই বাড়ির মানুষের কাছ থেকে শিখে যাই।
যেখানে মহাকাশ গবেষণায় রাশিয়া চীন জাপান ভারত আমেরিকা প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কোন দেশের বিজ্ঞানের গবেষণা তথ্য কত শক্তিশালী এবং তথ্যবহুল এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে আমাদের দেশের মহাকাশ গবেষণার প্রধান একজন কৃষি বিজ্ঞানী। এটা আসলে হাস্যকর। ওই যে আগেই বলেছি অযোগ্য লোক যখন যোগ্য পদে বসে নেতৃত্ব দেবে তখন দেশ আর ভালো পথে এগোবে না। সেই জাতির জন্য ধ্বংস অনিবার্য যে জাতিকে মেধাশূন্য করে দেওয়া হয় শিক্ষা বা সংস্কৃতির মাধ্যমে।
আমাদের এক সময় ছিল ভালো একটা শিক্ষা ব্যবস্থা। সেটাকে আরো উন্নত করতে গিয়ে এমন বিশ্রী একটা অবস্থা করে ফেলেছে যেটা আসলে আপনারা সবাই হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বাস্তবেও দেখেছেন। এখান থেকে কিভাবে বিজ্ঞানী গবেষক বা ভালো মানের ডাক্তার হবে। ছোটবেলা থেকে একটা শিক্ষাব্যবস্থায় যদি দুর্নীতি এবং আলু ভর্তা শেখানো হয় ।সে কিভাবে মহাকাশ গবেষণা করে বিশ্ব তব জয় করবে। অবশ্যই দেশ এবং জাতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভালো পরিবর্তন আনতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত এবং গবেষণামূলক শিক্ষা এর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরাই একমাত্র পৃথিবীতে জাতি হিসেবে পরিচিত যারা দেশ এবং ভাষা সংস্কৃতি এর জন্য যুদ্ধ করেছে। সেই বীর জাতি আজ অধঃপতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সচেতন না হয় তাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম মেধাশূন্য হয়ে যাবে।
অবশ্যই কিন্তু আমরা সবাই চাই আমাদের দেশ ভাষা এবং যে ঐতিহ্য রয়েছে এগুলো ছড়িয়ে যাক সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। আমরা যে বীরের জাতি সেটা কিন্তু পৃথিবী জানে। কিন্তু এই শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি আমাদের আগামী প্রজন্ম চলতে থাকে তাহলে একসময় দেখা যাবে এই জাতির অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এমনভাবে দুর্নীতি আমাদেরকে গ্রাস করে রেখেছে আমরা বর্তমানে ১৩ নাম্বার থেকে ১০ নাম্বারে এগিয়ে এসেছি। আমাদের দেশের সবথেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে সরকারি খাতে। আর বর্তমানে সরকারি খাতে যোগ্য লোকের চেয়ে অযোগ্য লোকই বেশি বসা রয়েছে। বিশ্ব মিডিয়া বলছে এভাবে যদি বাংলাদেশ চলতে থাকে তাহলে খুব দ্রুতই এদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তাই আসুন আমরা প্রত্যেকে নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন হই ।আমাদের আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করি। বিজ্ঞান এবং গবেষণা মূলক লেখাপড়ায় ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করি।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যস্হা এমনি, আসলে আগের মতো এখন শিক্ষা ব্যস্হা নেই বলেই চলে। তবে এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এটা সত্যি বলেছেন ভাইয়া অযোগ্য লোক যখন যোগ্য পদে বসে নেতৃত্ব দেবে তখন দেশ আর দেশ থাকবে না। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
যখন অযোগ্য লোক সরিয়ে , যোগ্য ব্যক্তিকে তার নির্দিষ্ট জায়গায় বসানো হবে তখনই দেখবেন দেশ সমাজ এবং জাতির পরিবর্তন এসেছে।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন যেটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে লেখাটা লেখার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। এটা ঠিক যে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এখন আর আগের মত নেই। তবে একটা দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাটা করা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন হওয়া। আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলেই দেশের ভবিষ্যৎ দেখতে পাওয়া যাবে।
আগামী প্রজন্মকে ভালো রাখতে হলে সুপথে চলাতে হলে, অবশ্যই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এনে ভালো করে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন ঘটাতে হবে।