২০০বছরের পুরাতম স্থাপনা (মন্দির) ভ্রমণ🏇
১৮ভাদ্র , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২ সেপ্টেম্বর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
৪সফর , ১৪৪৩ হিজরী
শুক্রবার।
শরৎকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🏇
🏇
আমার বাংলা ব্লকবাসি আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায়। আজ আপনাদেরকে ঘুরে দেখাবো গাজীপুর জয়দেবপুর বাস টার্মিনালের অদূরে অবস্থিত একটি পুরাতন স্থাপনা। যেটি ২০০ বছর আগে একজন রাজা হিন্দুদের উপাসনালয় মন্দির স্থাপন করেন। যদিও বর্তমান সময়ে প্রায়ই ভঙ্গুর। অনেক পুরাতন হয়ে গেছে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকায় এখানে এখন আর উপাসনা করা হয় না। পাশেই আরেকটি মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে।। যদিও বর্তমান সিচুয়েশন অনুযায়ী ভালো থাকাটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।। তারপরেও আমরা প্রতিনিয়ত ভালো থাকার অভিনয় করে যাচ্ছি।। যার প্রধান কারণ হলো নৃত্য প্রজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কিন্তু চাকুরীজীবীদের বেতন তো বৃদ্ধি পায়নি।। যেমন ধরুন বাইকের তেল।। আগে যদি প্রতিদিন 60 থেকে 70 কিলোমিটার বাইক চালাইতাম এখন সেটা কমে কত দূরত্ব নেমেছে সেটা বলতে পারছি না। তবে যত পারি বাইকটা কম চালানোর চেষ্টা করি।। যাহোক সে সব কথা থাক আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একটি ভ্রমণ কাহিনী ।যেখানে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো অনেক পুরাতন ঐতিহ্যবাহী একটি মন্দিরের কিছু আলোকচিত্র এবং আমাদের ভ্রমণের কিছু কথা ।তাহলে চলুন এবার শুরু করে। |
---|
🚴
🚴
প্রায় ছয় মাস হয়ে গেল কর্মসূত্রে গাজীপুরেই থাকা হয়। মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়ি গেলেও বন্ধুদের সাথে তেমন একটা সময় অতিবাহিত করা হয় না। আমার কয়েকটা বেস্ট ফ্রেন্ডও গাজীপুরেই থাকে। যদিও সেরকম ভাবে তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা হয় না সবাই সবার কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত। গত শুক্রবারে আমরা কয়েকজন একসাথে হয়েছিলাম কিছুটা সময় ভালোভাবে পার করার জন্য। এর মধ্যে আমার এক বন্ধু কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ঘুরতে এসেছিল বাইক নিয়ে মূলত তার জন্যই আমাদের সবার এই দেখাটা হওয়া। |
---|
🚴🚴
🚴🚴
আমার বন্ধু বাইক রাইট করে কুষ্টিয়া থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এসেছে।। ওর বাইকে করেই আমরা গাজীপুরটাকে ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম। অনেক জায়গায় ঘুরেছি রেস্টুরেন্টে খেয়েছি অনেক মজা করেছি দিনটাতে।। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে প্রায় দুশো বছরের পুরনো একটি মন্দির ভ্রমণ করেছি আমরা যেটা এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। |
---|
🚴🚴
🚴🚴
প্রায় চারতলা সমান উঁচু মন্দির মোট ছয়টা গম্বুজ রয়েছে তিন রকমের মাঝের গম্বুজ টা সবথেকে বড় সবগুলো গম্বুজ এই অনেক কারো কাজ সজ্জিত। নিচতলাতে অনেকগুলা কক্ষ রয়েছে। দোতলা টা অবশ্য এখন বন্ধু রয়েছে অনেক পুরাতন হওয়াতে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য মানুষ ওঠা নিষেধ। |
---|
🚴🚴
🚴🚴
মন্দিরের এত বড় মিনার দেখে আমি ভাবতে ছিলাম সে সময় এত উঁচু ভবনের সমান মিনার গুলো কিভাবে প্রস্তুত করলো আর এত সুন্দর কারো কাজ যে কেউ দেখলে ইচ্ছে করবে তাকিয়ে থাকতে।। |
---|
🚴🚴
🚴🚴
নিজ থেকে উপরের দিকে দেখলে মনে হবে আকাশ শুয়ে মিনার গুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে কারো কাজ খুশি তো আমরা জাস্ট বিকেল টাইমে সেখানে পৌছাই এবং সেখানে কিছুটা সময় অতিবাহিত করি ঘুরে ঘুরে দেখি এবং কিছু ফটোগ্রাফি করি।। |
---|
এটা দেখে এটাই বুঝতে পারলাম যে আদিম কালের মানুষ অনেক ধৈর্যশীল এবং সুবুদ্ধিমতা ছিল সুকৌশলে নকশা প্রস্তুত করা এবং এত উঁচু মিনার প্রস্তুত করা সত্যিই অনেক আশ্চর্যজনক এখন অবশ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সম্ভব কিন্তু তখন তো আর এত রকমের আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না সবই সনাতন পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা।। |
---|
🚴🚴
🚴🚴
স্থানীয় সূত্রে জানতে পারলাম ওই মন্দিরের কিছুটা অদূরে রয়েছে রাজবাড়ী।। তখনকার সময় যে রাজা ছিল সে নাকি নিজেই এই মন্দিরটি প্রস্তুত করেছিল হিন্দুদের উপাসনালয় হিসেবে।। রাজবাড়ীর অদূরে থাকা এই মন্দিরটি স্থানীয়দের মুখে শুনতে পেলাম প্রায় দুশো বছর আগে এটি প্রস্তুত করেন রাজা। এটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।। আসলে পুরাতন স্থাপনা দেখতে এবং সেই সময়কার গল্প শুনতে কথা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে।। লোকমারফত এই মন্দিরের অনেক গল্প শুনেছি অনেক কথাই শুনেছি খুব ইচ্ছে ছিল এটি দেখার এবং ভ্রমণ করার সাথে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করার।। তো ওই দিন সময় টা পেয়েই বন্ধুদের সাথে ওখানে গিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করি পুরাতন স্থাপনাটা দেখে কিছু ফটোগ্রাফি করি। যার সবগুলোই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই পুরাতন স্থাপনার আলোকচিত্র এবং আমাদের ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। |
---|
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
টুইটার
বহু কালের সাক্ষী ,ঠিকই বলেছেন। আর এরকম জায়গায় যেতে, বেশ দারুন লাগে। সত্যিই তখনকার যুগের মানুষদের পরিশ্রম ধৈর্য্য ভীষণ ছিল। খুব ভালো ছিল পোস্ট টা।
ঠিকই বলেছেন আপনি আদিম যুগের মানুষের অনেক ধৈর্য এবং মেধা ছিল না হলে এত সুন্দর স্থাপনা কিভাবে প্রস্তুত করল তারা ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য।।
এই জায়গা গুলো তে গেলে মনে হয় একদিন এখানেও মানুষ ছিল,পুজার সময় কত লোকের সমাগম হত।আজ কোথায় হারিয়ে গেল তারা।একদিন এভাবে আমরা হারিয়ে যাব কালের গহ্বরে।মন্দির টি অনেক সুন্দর।আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এবং গঠনমূল্য মন্ত ব্যের মাধ্যমে সাথে থাকার জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন
ভালো থাকার অভিনয়ে আমরা সবাই ভালো অভিনতো। আমরা এখন ভালো থাকার অভিনয় করি। ২০০ বছরের পুরানো মন্দির। সত্যি এইরকম স্থাপনাগুলো দেখলে বোঝা যায় আগেকার মানুষ কত নির্মানশৈলী এবং দক্ষ ছিল। কিন্তু এগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। দারুণ একটা জায়গা ভ্রমণ করেছেন ভাই।।
পৃথিবীটা নাট্যমান আমরা সবাই অভিনেতা কি আর করার চলতে হবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে।। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি এবং ট্রাভেলিং পোস্টটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
ঐতিহাসিক কোন নিদর্শন দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় কারণ ইতিহাসের বিষয়বস্তুগুলো আমাদেরকে অনেক তথ্য দেয়। বেশ পুরনো দেখছি মন্দিরটি। আপনি এবং আপনার বন্ধু দুজনে বেশ খানিকটা সময় ভালোই কাটিয়েছেন কুষ্টিয়া থেকে আসা বন্ধু বলে কথা।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ঘুরে ঘুরে পুরাতন নির্দেশনাবলী গুলো দেখতে হবে
আপনার ভ্রমণ করা ঐতিহাসিক স্থানটি ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি ফটোগুলো সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন।
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল
আসলে বন্ধুদের সাথে থাকলে সব সময়ই সময়টা অনেক ভালো কাটে আড্ডা দেওয়া গল্প করা খানাদানা সবই যেন মনের মত করে করা যায়।।
গাজীপুরের জয়দেবপুরের ২০০ বছরের পুরানো যে মন্দিরের ফটোগ্রাফি গুলা আমাদেরকে দিয়েছেন সত্যি সেগুলো অসাধারণ হয়েছে। যদিও এগুলো পুরাতন হয়ে গেছে তারপরেও আপনি ফটোগ্রাফিগুলোকে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই স্থাপনাগুলো পুরাতন হলেও এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস অনেক কথা গল্প ও আবেগ ভালোবাসা