বাংলা কবিতা 🌫️শীতের সকাল🌫️
০৭অগ্রায়ন , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২২অক্টোবর , ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
২৬রবিউল সানি , ১৪৪৩ হিজরী
মঙ্গলবার।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ আয়ু কামনা করে আমার আজকের কবিতা পোস্ট শুরু করছি। আমার আজকের কবিতার বিষয় শীতের সকাল। শীতের আভাস বইতে শুরু করেছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। গ্রামে না আসলে সেটা বুঝতেই পারতাম না। পরপর তিনদিন খুব ভোরে উঠে ফজরের সালাত আদায় করে আমি এবং আমার এক বন্ধু প্রতিদিনই হাঁটতে বেরোই নদীর তীর ধরে।তিন দিন ধরে লেখা আমার এই কবিতা। আমার কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি শীতের সকালের বৈচিত্র্যময় দৃশ্যের কিছু কথা। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে যখন সকালবেলায় নদীর পাশ দিয়ে শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে হেঁটেছি।। কবিতার মাঝে এক জায়গায় রহমান নামে একজনের নাম উল্লেখ করেছে উনি আমাদের এই অঞ্চলের নামকরা একজন গাছি। তার বয়স এখন ৬৫ বছর।। কিন্তু তিনি এখনো গাছ থেকে রস আহরণ করেন।। পরপর তিন দিনই তার সাথে নদীর পাড়ে দেখা এবং তার কাছ থেকেই খেজুরের রস খেয়েছি তৃপ্তির সহকারে। এছাড়াও আমার কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি গ্রাম গঞ্জের সকালে চায়ের দোকানের দৃশ্য। গতরাতেও আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়েছিল তার কিছু কথাও আমার কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।। এখন তো অগ্রায়ন মাস চলছে চারিদিকে নবান্ন উৎসব। যাহোক এই ছিল আজ আমার কবিতা প্রসঙ্গে কিছু কথা ।আশা করছি আমার কবিতাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শীতের সকাল
শীত সকালে লিখি কবিতা।
ভোরের কুয়াশা মেখে।
নদীর বিশাল বুক চিরে
কুয়াশার কালি দিয়ে।
ভেজা চরণে হেটে চলেছি,
কুয়াশা মেখে পায়ে,নদীর বাঁক ধরে,
শিহরিত হচ্ছে সারা শরীর,
এক শান্ত কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের পরশ।
চোখের কোণেতে উদ্ভাসিত সবুজ ক্যানভাসের,
সেই শিশির ভেজা সকালের শীতল পরশে,
বাঁকা পথের বুকে শিশিরস্নাত ঘাসের ওপর
আলতো শিশিরের ছোঁয়ায়,
ছোঁয়ায়, হারিয়ে চলেছি অজানা নদীর বাঁক ধরে।
কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে গ্রাম,
চায়ের কাপে দিচ্ছে চুম,
শীতের হাওয়া লাগছে গায়ে,
উষ্ণতারা আজ নিশ্চুপ।
ভোরের আলোর একটু দেখা
খেজুর গুড়ের স্বাদ,
আমেজ করে কৃষাণীর ঘরে পিঠা পুলির এই স্বাদ...
কুয়াশা ঘেরা মেঘলা গগণ,
হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ।
যত দূর চোখ যায় ধূসর দৃষ্টি কোণ,
দূর হতে আসছে ভেসে এ কার কণ্ঠস্বর?
গায়ে কুয়াশার চাদর মাখা,
কাঁধে খেজুরের রস মধুর ভারী তার নাম রহমান।
কুয়াশা সরে সূর্য্যি ওঠে রোদ করে ঝলমল।
শোনা যায় নদীর বাঁকে পাখিদের কলকল ।
কুয়াশা মেখে কেটে যায় অনেকটা সময়,
তাইতো বলি শীতের সকাল বড়ই বৈচিত্রময় ৷
***
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
ভোরের কুয়াশা মেখে।
নদীর বিশাল বুক চিরে
কুয়াশার কালি দিয়ে।
ভেজা চরণে হেটে চলেছি,
কুয়াশা মেখে পায়ে,নদীর বাঁক ধরে,
শিহরিত হচ্ছে সারা শরীর,
এক শান্ত কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের পরশ।
চোখের কোণেতে উদ্ভাসিত সবুজ ক্যানভাসের,
সেই শিশির ভেজা সকালের শীতল পরশে,
বাঁকা পথের বুকে শিশিরস্নাত ঘাসের ওপর
আলতো শিশিরের ছোঁয়ায়,
ছোঁয়ায়, হারিয়ে চলেছি অজানা নদীর বাঁক ধরে।
কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে গ্রাম,
চায়ের কাপে দিচ্ছে চুম,
শীতের হাওয়া লাগছে গায়ে,
উষ্ণতারা আজ নিশ্চুপ।
ভোরের আলোর একটু দেখা
খেজুর গুড়ের স্বাদ,
আমেজ করে কৃষাণীর ঘরে পিঠা পুলির এই স্বাদ...
কুয়াশা ঘেরা মেঘলা গগণ,
হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ।
যত দূর চোখ যায় ধূসর দৃষ্টি কোণ,
দূর হতে আসছে ভেসে এ কার কণ্ঠস্বর?
গায়ে কুয়াশার চাদর মাখা,
কাঁধে খেজুরের রস মধুর ভারী তার নাম রহমান।
কুয়াশা সরে সূর্য্যি ওঠে রোদ করে ঝলমল।
শোনা যায় নদীর বাঁকে পাখিদের কলকল ।
কুয়াশা মেখে কেটে যায় অনেকটা সময়,
তাইতো বলি শীতের সকাল বড়ই বৈচিত্রময় ৷
***
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
শীতের সকাল কবিতাটির নামটি শুনেই মনে হচ্ছিল কবিতাটি খুব সুন্দর হবে। আসলেই কবিতাটি পড়ছে খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। শীতকাল মানেই তো সুন্দর একটি প্রকৃতিক পরিবেশ। শীতের বেলা নানা রকম কত সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখা যায়। তেমনি আজকে আপনার শীতের সকালের কবিতাটি পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে। পুরো লাইনগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার কবিতার মাঝে তুলে ধরেছি আমি সকালের প্রকৃতিতে যা যা দেখেছি যা যা খুঁজে পেয়েছি সেই ভাষা গুলোই মন থেকে কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।।
শীতের সকালে এত ভোরে কখনো ঘুম থেকে উঠে বাহিরে বের হওয়া হয়নি। তবে অনেক কুয়াশার মধ্যে কয়েকবার বের হওয়া হয়েছিল। শীতের মধ্যে ভরে উঠছেন আবার নদীর তীর ধরে হেঁটেছেন আপনারা, মুহূর্তটা নিশ্চয়ই খুব ভালো ছিল। তিন দিন ধরে কবিতাটি লিখেছেন তাই তো কবিতাটি এতো অসাধারণ হয়েছে। শীতের সিজনের সবকিছুই আপনি তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটি শেয়ার করার জন্য।
কনকনে শীতের সকালে কুয়াশার চাদরের মধ্যে দিয়ে হাঁটাচলা করতে আমার খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে যেদিন নদীর পাড়ে যাই সেদিন সব থেকে বেশি সুন্দর সময় অতিবাহিত করে থাকি।।
আসলে সময় নিয়ে যেকোনো কাজ করলে বেশ সুন্দর হয় ।যেমন আপনি তিনদিন ধরে খুব সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিলেন ।বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া পুরো কবিতাটি তে শীত জুড়ে রয়েছে ।ঠিক বলেছেন কুয়াশায় ঘেরা গ্রাম, চায়ের কাপে চুমুক অসাধারণ একটি মুহূর্ত ভাইয়া।
কবিতাটি পড়ে সুন্দর এবং উৎসাহমূলক একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দেখা হবে পরবর্তীতে।
আসলে শহরে থাকলে শীতকালের সকালের অনুভূতিটা তেমন বুঝা যায় না।তবে গ্রামে থাকলে বেশ ভালো করে শীতের সকালটা উপভোগ করা যায়।শীতের সকাল নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখলেন পড়ে ভালো লাগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলেছেন আপু শহরে থাকলে শীতের অনুভূতিটা ঠিকমতো পাওয়া যায় না কিন্তু গ্রামে থাকলে শীত এবং শীতের সকালটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায় মিষ্টি রোদে বসে।।
ফজরের নামাজ পড়ে সকালবেলায় বাহিরে যাওয়া হয় না। আসলে এত সকাল বেলা কখনো বেরিয়েছি কিনা মনে পড়ছে না। তবে আপনি যেহেতু সেই সময়টার প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখেছেন তাই মনে হচ্ছে বেশ উপভোগ করেছেন সময়টা। শীতকাল নিয়ে লেখা কবিতা দারুন হয়েছে ভাইয়া। শীতকালে খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা তৈরি করলে খেতে দারুন লাগে।
জি আপু সকালের সময়টা খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি প্রতিদিনই। বিশেষ করে যখন নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে চলি তখন সময়টা আরো বেশি ভালোভাবে উপভোগ করি এবং অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।।
কবিতা টা পড়ার পর মনে হলো ছোট বেলায় যেমনটা পড়তাম শীতের সকালের গল্প গুলো, ঠিক যেন তারই প্রতিচ্ছবি। এতটাই গোছানো লেখা। ভোরে বেড়িয়ে যেটা অনুভব করেছেন, যেমন প্রকৃতি দেখেছেন ঠিক সেগুলোই যেন গেথে দিয়েছেন প্রতিটা লাইনে। অনেক ভালো লেগেছে সত্যি।
শুরুতে এই দুটো লাইনে কুয়াশা হবে নাকি ভাই? একবার চেক করে দেখবেন কেমন 🙏।
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সবসময় সুন্দর এবং উৎসাহমূলক মন্তব্য দিয়ে সাথে থাকার জন্য।। আসলে ছোটবেলা পড়া বই এর গল্প গুলো এখনো গ্রামে এলে এমন দৃশ্য দেখা মেলে বিশেষ করে নদীর পাড়টাইতে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে।।
ধৈর্য ধরে কোন কাজ করলে সেই কাজটি খুব সহজে সফল হয়।তার প্রমাণ আপনার এই কবিতাটি। আপনি তিনদিন ধরে এই কবিতাটি লিখছেন এবং আজ সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গ্রামে বসবাস করলে শীত কালটা বেশ ভালো ভাবে উপভোগ করা যায়। শীতকাল নিয়ে খুবই সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাদের ধন্যবাদ।
শীতের সকাল নিয়ে লেখা আমার এই কবিতাটি আপনার কাছে অত্যন্ত ভালো লেগেছে জানতে পেরে অনেক খুশি হলাম আসলে ভাইয়া চেষ্টা করি সবসময়ই ভালো কোন কিছুর রচনা করে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।।
শীতের আমেজটা যেন আপনার কবিতার মধ্যে পেলাম। অসম্ভব ভালো লিখেছেন। গাছি রহমান চাচাকেও উল্লেখ করেছেন। এমন গাছি এখন দেখা যায়না তেমন
জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো যে আমার কবিতার মাধ্যমে আপনি এ বছরে শীতের আমেজটা পেলেন ধন্যবাদ আপনাকে রহিম চাচার কাছ থেকে খেজুরের রস খাওয়ার দাওয়াত রইলো।।
পুরো শীতের সৃজনকে এবং শীতের সৃজনের যেসব ক্রিয়াকলাপ, সবটাই কিন্তু আপনি একটি কবিতার মধ্যেই উল্লেখ করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার কবিতাটি পড়ে ভালোবাসা নিবেন।
আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম কবিতার মাধ্যমে শীতের সকাল এবং শীতকালের কিছু প্রকৃত আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দেখা হবে পরবর্তীতে।।