বাংলা কবিতা 📖 ইচ্ছে নদী ✍️
০৩মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৮জানুয়ারী , ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
০৫রজব ১৪৪৫ হিজরী
বৃহস্পতিবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
আমরা সবাই সব সময় সবার জায়গা থেকে নিজের মত করে ভালো থাকার চেষ্টা করি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের উপর অনেক দায়িত্ব এবং কর্তব্য অর্পিত হয়। একটা সময় পরে চাইলেও নিজের মত করে সবকিছু করা সম্ভব হয় না। আমার তো মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় পাখির মত ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়। দূর অজানায় হারিয়ে যাই সবুজ প্রকৃতির মাঝে। নিজের মতো করে কিছুদিন একটু ঘুরতে চাই। আসলে সবাই চাই কিন্তু বিভিন্ন দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কারণে আবার পিছিয়ে পড়ি নিজের ইচ্ছে গুলো থেকে। স্বপ্নগুলো সাজাতে চাই একরকম কিন্তু বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে হয়ে যায় আর একরকম। আরেকটি পরিবারের উপর একজন পুরুষ মানুষের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কোন শেষ নেই। সবার মুখে হাসি ফোটাতে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। হয়তো শৈশবকালে কত স্বপ্ন কত ইচ্ছা ছিল। হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে এই স্বপ্ন এবং ইচ্ছা গুলো কখন হারিয়ে যায় ধুলি মাখা পথে বোঝা মুশকিল। আবার কারোর স্বপ্নগুলো অনেক ভালোভাবে বেড়ে ওঠে পৃথিবীর বুকে। যা হোক আমার কবিতার মাঝে একজন পুরুষের দায়িত্ব কর্তব্য এবং ইচ্ছা গুলো নিয়ে কিছু কথা লিখেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ইচ্ছে নদী ✍️
হাড়িয়েছি শৈশব, ইচ্ছে গুলো তাই ধূসর,
স্বপ্ন গুলো আঁকাবাকা মিলেছে হাওয়ায়,
দ্বায়িত্বের বেড়াজালে বন্দী শৈশব,
হয়ে গেছি এক টাকার মেশিন।
ইচ্ছে ছিলো বড় হবো অনেক বড়,
স্বপ্ন গুলো সাজিয়ে নিবো স্বপ্নের মতো,
পাখির ডানায় উড়বো আমি,
নীল সাদা আকাশের বুকে।
ছিলাম এক উড়ন্ত পাখি,
হয়েছি আজ খাচায় বন্দী,
আবদার মিটাই সবার আমি,
অন্যের সুখে মুখ ভরা হাসি।
আমরা আজব পুরুষ জাতি,
সবার জন্য খেটে মরি,
দিন শেষে আমরাই পাপী।
অন্যের সুখে মুখ ভরা হাসি।
পুরুষের কান্না হৃদয় মাঝে,
চোখের জল শুকিয়েছে দ্বায়িত্বে,
মুখফুটে আসে হাসি,
অগ্নিঝড়া রাগে।
ইচ্ছে গুলো ঝড়েছে শ্রাবণের মেঘে,
স্বপ্ন গুলো হাড়িয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ে,
বসন্ত এসেছিলো শৈশবে,
গ্রীষ্মের খরায় পুড়ছে আমরণ।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
স্বপ্ন গুলো আঁকাবাকা মিলেছে হাওয়ায়,
দ্বায়িত্বের বেড়াজালে বন্দী শৈশব,
হয়ে গেছি এক টাকার মেশিন।
ইচ্ছে ছিলো বড় হবো অনেক বড়,
স্বপ্ন গুলো সাজিয়ে নিবো স্বপ্নের মতো,
পাখির ডানায় উড়বো আমি,
নীল সাদা আকাশের বুকে।
ছিলাম এক উড়ন্ত পাখি,
হয়েছি আজ খাচায় বন্দী,
আবদার মিটাই সবার আমি,
অন্যের সুখে মুখ ভরা হাসি।
আমরা আজব পুরুষ জাতি,
সবার জন্য খেটে মরি,
দিন শেষে আমরাই পাপী।
অন্যের সুখে মুখ ভরা হাসি।
পুরুষের কান্না হৃদয় মাঝে,
চোখের জল শুকিয়েছে দ্বায়িত্বে,
মুখফুটে আসে হাসি,
অগ্নিঝড়া রাগে।
ইচ্ছে গুলো ঝড়েছে শ্রাবণের মেঘে,
স্বপ্ন গুলো হাড়িয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ে,
বসন্ত এসেছিলো শৈশবে,
গ্রীষ্মের খরায় পুড়ছে আমরণ।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
এই কথাটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, একটি পরিবারের ওপরে একজন পুরুষের অনেক বেশি দায়িত্ব। যেটা পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোঁটায়। সত্যি বলতে আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য গুলো এত বেশি, নিজের স্বপ্নগুলোর কথা ভাবার সময় থাকে না। আমরা সবসময় দায়িত্ব কর্তব্য গুলো পালন করতে এগিয়ে রাখি। আপনার আজকের কবিতার বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আর কবিতাটাও অনেক ছন্দ মিলিয়ে লিখেছেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শৈশবের সময় আমরা সবাই সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখি। বেশি বড় হওয়ার কিন্তু বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বড় হয়ে ওঠা হয়ে ওঠে বেশ কঠিন। কিন্তু সবারই একটাই উদ্দেশ্য থাকে টাকা উপার্জন করা। আজকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে কবিতা রচনা করেছেন বাস্তবতাকে ঘিরে, বেশ ভালো লাগলো আবৃত্তি করতে।
আসলে এই অর্থ উপার্জন টাই হয়ে গিয়েছে আমাদের জীবনের সবথেকে বাজে একটা দিক।
যেখানে আমরা আমাদের জীবনের স্বাদ আল্লাহ ভালোবাসা সব হারিয়ে ফেলেছি।
আপনি তো আমার একদম মনের মত কিছু লেখা লিখলেন। এটা ঠিক বলেছেন একজন পুরুষ সবার দায়িত্ব ও কর্তব্যে বাধা। সে চাইলেও নিজের কোনো ইচ্ছে পূরণ করতে পারে না। পরিবারের সবার ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে করতেই তার দিন চলে যায়। তখন আর তার খুশি বলে কিছুই থাকেনা। তবে এই বিষয়টা নিয়ে কবিতা লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো। কবিতাটা পড়ে অনেক আনন্দ পেলাম।
আমার কবিতার মাঝে শুধু বাস্তব জীবন থেকে কিছু কথা তুলে ধরেছি ।আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু ইচ্ছে থাকে। তবে সুযোগ বুঝে কারো ইচ্ছে পূরণ হলেও আবার কারো ইচ্ছে গুলো অপূরণ থেকে যায়। ঠিক বলছেন আসলেই পরিবারের পুরুষ মানুষদের জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে। কিন্তু পরিবারের জন্য অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে থাকেন তারা। ইচ্ছে নদী কবিতাটি পড়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।
অন্যের সুখের জন্যই মূলত আমাদের বেঁচে থাকা।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার সব থেকে ভালো লেগেছে কবিতার নাম টা এবং কবিতার পুরো থিম টা। এভাবেও ভেবে যে কবিতা লেখা যায়, আপনার কাছ থেকে আমি শিখলাম আমি ভাই ব্যাপারটা। সত্যিই তো পুরুষ মানুষ মানেই যেন শুধু দায়িত্ব আর কর্তব্য বোধ, টাকা ইনকাম করার যন্ত্র। ওদের ভেতরেও যে একটা চাওয়া পাওয়া আছে, এটার খোঁজ কজনই বা নেয়!! লেখাটা ভালো লেগেছে ভাই আমার খুব।
আসলে আমাদের ভিতরে যে চাওয়া পাওয়া টা থাকে এটা যদি পূরণ করতে যায় তাহলে অন্যের মুখের হাসিটা হয়তো ফুটবেনা।
আর অন্যের মুখের হাসি ফোটাতেই আমাদের এত ব্যস্ততা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের সবার উপরে একটা দায়িত্ব ও কর্তব্য এসে পড়ে। তখন আর আমরা চাইলেও নিজের মতো করে কোন কিছু করতে পারি না। সেই সময় আমাদের জীবন যেভাবে সাজাতে চাই তেমন না হয়ে অন্য রকম হয়ে যায়। একটা সময় আমাদের সবারই মনে হয় আমরা যেন খাঁচায় বন্দী পাখির মতো হয়ে গিয়েছি। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতার প্রতিটা লাইন খুব সুন্দর ছিল। আপনার কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর কবিতা শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমরা জীবনটা যেভাবে সাজাতে চাই সেভাবে হয় না সময় এবং পরিস্থিতি আমাদেরকে মেনে নিয়ে তারপরে জীবন সাজাতে হয়।
আর একজন পুরুষ হিসেবে সবার মুখের হাসি ফুটিয়ে তারপরে নিজের মুখের হাসিটা দেখতে হয়।