০৯ফাল্গুন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২২ফেব্রুয়ারী , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
২০রজব, ১৪৪৩ হিজরী
মঙ্গলবার।
বসন্তকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা তাদের পার করা আনন্দঘন মুহূর্ত স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য, ব্লগ লেখে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করে। সবার আনন্দঘন মুহূর্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে। এবং নিজেও অনেক আনন্দ উপভোগ করি পোস্টগুলো পড়ে। আমিও এর আগে পদ্মার পাড়ের ফটোগ্রাফি, পদ্মায় গিয়ে ফল সিদ্ধু, পদ্মার পাড়ে হেঁটে চলার অনেকগুলো পোস্টটি করেছি। তবে এবারও পদ্মার পাড়ে কাটানো কিছু মূহুর্তর পোস্ট করতে চলছি।পোস্টটা একটু ডিফারেন্ট সেটা হচ্ছে পদ্মার পাড়ে বসে কলাপাতায় মুড়ি ভোজন 😋তো আর কথা নয় চলুন শুরু করি।❤️❤️ |
আমি যাদের সাথে আজকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করছি, আমি আর ছোট হাসান বাদে সবাই শিক্ষকতার চাকরি করে। তবে এরা সবাই অনেক ভোজন রশিক। এবং হাসিখুশি থাকতে চাই সবসময়। যদিও তারা আমার সিনিয়র। তারপরেও তাদের সাথে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বলতে পারেন তাঁরা আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো দেখেন। তো তাদের মঝে একেক সময় একেক থিনকিং কাজ করে। এই মনে করেন ভুনা খিচুড়ি, ঘুরতে যাওয়া, মটকা চা খাওয়া, প্রায় প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে এরকম কাজ করা হয়। আপনারা আমার ব্লগে এর পূর্বে দেখেছেন। আজকে আমি ঝাল মুড়ি খাওয়ার পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আজকে আমরা পদ্মার পাড়ে গিয়ে কলাপাতায় ঝাল মুড়ি খাবো। পদ্মার পাড়ে গিয়ে আমরা খুব মজা উপভোগ করি। বিশেষ করে অতিথি আপ্যায়নে বেশি মজা পেয়েছি। আমরা আজ অতিথি আপ্যায়ন করি তাদের বয়স ৭০ প্লাস তারা এখনো মাঠে কাজ করে। এবং তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক আগের কিছু গল্প শুনেছি। তাদের শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত কিছু গল্প। এবং পদ্মা নদীর কিছু গল্প ও তাদের কাছ থেকে আমরা শুনেছি। পদ্মার এ কুল ভেঙ্গে ওকুল গড়ে এবং একজনের কাছ থেকে একটি গান শুনেছি, পদ্মা নদী নিয়ে। গানটি পরবর্তী একটি পোস্টে শেয়ার করব। আপনাদের সাথে। দীর্ঘ সময় পার করার পরে আমরা একদম পড়ন্ত বিকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
উপকরণ | পরিমাণ |
১. | কলাপাতা ❤️ |
২. | ভাজা |
৩. | মুড়ি |
৪. | পিয়াজ,মরিচ। |
৫. | সরিষার তেল। |
৬. | লবণ স্বাদমতো ✔️ |
পিয়াজ,মরিচ কাটা হচ্ছে
আমরা বাড়ি থেকে কিছু পিয়াজ, মরিচ, ভাজা, মুড়ি এবং তেল নিয়ে রওনা হই পদ্মার পাড়ে। ছবিতে লক্ষ করলে আপনি দেখতে পাবেন প্রথমে পিয়াজ মরিচ পরিষ্কার করে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে, পূর্বে কেটে রাখা কলা পাতার উপরে রেখে দিয়েছি। তারপরে সরিষার তেল দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে নিয়েছি। ভাজা মুড়ি মাখানোর জন্য। |
ভাজা মাখানো হচ্ছে 😋
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে পিয়াজ মরিচ কুচি সাথে তেল মাখিয়ে নেওয়ার পরে আমরা তার মধ্যে ভাজা দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে নিয়েছি। |
সব ধরণের মসলা মুড়ির সাথে মাখানো হচ্ছে 😋😋
এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ভাজা এবং মুড়ি মাখানোর প্রসেস চলছে। গতকালকের বাতাসটা একটু ঠাণ্ডা ছিল। পদ্মার পাড়ে ঠিকমত বসা যাচ্ছিল না। তাই আমরা পদ্মার পাড়ের কলার বাগান এর ভিতরে বসেছিলাম। যাতে বাতাসটা ও কম লাগে এবং রোদ পোহায় সুন্দরমতো ঝাল মুড়ি খাওয়া যায়। 😋 |
খাওয়া শুরু😋
ভাইরে ভাই এরা কি পেটুক আমি ফটো তুলতে তুলতে এরা খাওয়া শুরু করে দিছে। আমি ভাবলাম যে আগে ফটো তুলেনিই, মাখানো শেষ তারপরে সবাই মিলে একসাথে খাব। আমার দুই তিনটা ফটো তুলতে তুলতে এরা দু মুখ খাওয়া শেষ। আমিও তারপরে তাদের সাথে খাওয়ায় শুরু করি। 😋আমরা খুব মজা করে খাচ্ছিলাম। এবং বসন্তের গল্প শুনছিলাম বড় ভাই আরিফ হোসেনের কাছ থেকে। সে ছোটবেলায় কিভাবে বসন্তকাল উপভোগ করত। স্কুলজীবনে সেই গল্প করতেছিলো ভাইয়া। |
অতিথি আপ্যায়ন
আমরা যখন ভাজা মুড়ি খাচ্ছিলাম তখন একদমই পড়ন্ত বিকেল ।পদ্মার চরে কাজ করা কৃষকের ঘরে ফেরার সময়। আমাদের পাশ দিয়ে তখন একজন কৃষক হেঁটে যাচ্ছিল ।আমরা তাকে ডাকলাম ।আমাদের সাথে বসে ভাজা মুড়ি খাওয়ার জন্য 😋প্রথমে না বলল কিন্তু পরে আবার ডকলে তিনি আসলেন। এসে আমাদের সাথে শরিক হলেন। তারপরে দেখি একটু দূরেই আর একজন কৃষক গরু রাখছেন কলা বাগানের ভিতর। তাকেও ডাকলাম তিনি প্রথমে বললেন গরুতে রেখে আসতে পারব না। গরু এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করবে। তো বললাম গরু আমাদের দিকে তারে নিয়ে আসেন। তারপর আমাদের সাথে শরিক হন। এ কথা বলাতে তিনি গরুগুলো নিয়ে আমাদের দিকে এসে আমাদের সাথে শরিক হলেন। তার আরেকটু সময় পর দেখি আর একজন কৃষক আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছে। তাকেও ডাকলাম আমরা অতিথি আপ্যায়নের জন্য। তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিলেন। তিনি বললেন যে আমার গালে তো এখন সেরকম দাঁত নেই। মুড়ি খেতে অনেক কষ্ট হয়। তো তোমরা ডাকলে না এসেও পারিনা। তো একটু খেয়ে তোমাদের সাথে শরিক হয়। সবথেকে ভালো লাগলো যখন তিন জন কৃষককে বসিয়ে আমাদের সাথে খাওয়াতে পারলাম। এবং তাদের সময়কার পদ্মার গল্প শুনলাম তাদের কাছ থেকে। তাদের ছোটবেলার কিছু স্মৃতি বিজড়িত গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করলো। বিশেষ করে বসন্তকালের। তবে দুঃখজনক গল্প হচ্ছে তারা কেউই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। কিন্তু তাদের কথাবাত্রা দেখে মনে হলো তারা সবাই খুব ভদ্র❤️✔️ |
চেটেপুটে খাওয়া হচ্ছে 😋
বকুল ভাইকে আমরা সবাই মজার ছলে পেটুক ভাই বলে ডাকি। বিশেষ করে খাওয়ার সময়। তিনি আসলে ও পেটুক😁 তিনি খুব ভোজন রশিক খেতে খুবই ভালোবাসেন। আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি যা ছিল একদম চেটেপুটে খেয়ে ফেলছে।যখন খাচ্ছিলেন ভাবলাম তার একটা ছবি তুলে রাখি। এই ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। |
😋😋
এরই মধ্য দিয়ে শেষ করছি আমার গতকালকের পদ্মার পাড়ে বসে কলার পাতায় মুড়ি মাখিয়ে খাওয়ার কিছু স্মৃতি মাখা ফটো। এবং আমার অনুভূতি। আসলে এরকম ভাবে এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। প্রথমবার এরকম খেয়ে আমরা অনেক মজা করেছি। অনুভূতি এবং স্মৃতিগুলো ধরে রাখার জন্যই আমার আজকের এই পোস্ট করা। আপনারা এরকম ভাবে ট্রাই করে দেখেন অনেক মজা পাবেন। আমার আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর ভুল করে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
পদ্মার পাড়ে বসে কাটানো মুহূর্তের গল্প পড়ে ভালই লাগলো। আপনি আপনার সহপাঠীদের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন ।আর একসঙ্গে ঝাল মুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে ।আমাদের সাথে এত সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পদ্মার পাড়ে বসে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি নিঃসন্দেহে এবং খেয়েছি খুব মজা করে ঝালমুরি আপনি বোধায় একটা জিনিস ভুল করছেন এরা আমার সহপাঠী নয় সবাই আমার বড় ভাই যেটা আমি আমার পোষ্টের মধ্যে উল্লেখ করেছি ধন্যবাদ আপনাকে
Twitter link
পদ্মার পাড়ে বসে জাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতিগুলো সত্যি চমৎকার ছিল ভাই আমি যদি ওখানে থাকতে পারতাম তাহলে মনে হয় ব্যাপারটি বেশ জমে যেত ☺️। যাইহোক আপনার মুহূর্তগুলো আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা আবারো পদ্মার পাড়ে খাসি মেরে খাওয়ার পরিকল্পনা করেছি আপনাকে দাওয়াত থাকলো অবশ্যই আমাদের সাথে এটেন্ড করবেন
আপনি খুবই কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।সময়টা খুব আনন্দ সাথেই কাটিয়েছো তাদের সাথে আপনি মনে হচ্ছে খুব মজা করেছেন। আসলে পদ্মার পাড়ে কখনো যাওয়া হয়নি তবে শুনছি খুবই সুন্দর সুন্দর যায়গা আছে। যাইহোক আপনি খুবই মজা করে সবাই মিলে ঝাল মুড়ি ভর্তা খেয়েছন।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এতো সুন্দর কিছু মুহূর্ত মুড়ি ভর্তা শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া সময়টা খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছি আসলে পদ্মার পাড়ে বসে সময় কাটানোর মজাটাই অন্যরকম তারপরেও সবাই মিলে একসাথে ঝাল মুড়ি মাকে খেয়েছি ব্যাপারটা তো আরো অন্য রকম কলাপাতায়
দেখেই বোঝা যাচ্ছে পদ্মার পাড়ে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা সবাই। পদ্মার পাড়ে এইরকম কলাপাতায় কখনো ঝাল মুড়ি খাওয়া হয়নি তবে আপনার এই ঝাল মুড়ি খাওয়া টি দেখে এখন নিজের মধ্যে খুবই লোভ জাগল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
জি ভাই আমরা পদ্মার পাড়ে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি বিকেল থেকে নিয়ে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত এবং খুব মজা করে মুড়ি মাকে খেয়েছি ভাজা দিয়ে আপনাকেও দাওয়াত রইল ভবিষ্যতে আসিয়েন আমাদের অঞ্চলে পদ্মার পাড়ে বসে খাব একসাথে ভাজা মুড়ি
ভাইয়া,ঝালমুড়ি খেতে কার না ভালো লাগে। আর আপনারাতো সবাই মিলে একসাথে বসে কলাপাতায় ঝালমুড়ি খাচ্ছেন। আর মূলত সবাই মিলে একসাথে কোনো কাজ করলে বা সময় কাটালে বেশ আনন্দ লাগে। আপনাদের এই মুহূর্তটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। আমাদের মাঝে এটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু সবাই মিলে একসাথে যেকোনো কাজ করায় অনেক আনন্দ পাওয়া যায় আমরা খুব মজা করে কলাপাতায় ঝাল মুড়ি মাখিয়ে খেয়েছি আসলে এটা আমার নতুন একটি অনুভূতি অর্জন করেছি ধন্যবাদ আপনাকে
বাহ বেশ দারুণ লেগেছে আমার কাছে। পদ্মার পাড়ে মুড়ি পার্টি অসাধারণ এক অনূভুতি। এবং আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে কলা পাতায় খাওয়ার বিষয়টি। আগে কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন থাকলেও এখন নেই। যাইহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ছিল।।
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি মানুষ নাকি আগে কলাপাতায় খেত তাই আমরা সবাই মিলে পদ্মার পাড়ে বসে জাল মুড়ি মাখিয়ে কলাপাতায় খাওয়ার একটু চেষ্টা করলাম সময়টা খুব ভালোই কাটিয়েছি নাকে
পদ্মার পাড়ে বসে জাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি খুবই চমৎকার হয়েছে ভাইয়া। আপনি খুব সুন্দর করে আপনার সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আর একসাথে কোন কিছু খেলে সত্যিই খুব ভালোই লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমরা মাঝেমধ্যে সময় পেলে সময় পার করার জন্য চলে যায় পদ্মার পাড়ে আর পদ্মার পাড়ে বসে সময় কাটানোর মজাই অন্যরকম যে আমার পোস্টে আজ আমি বর্ণনা করেছি তাও আবার খেয়েছি আজকে ঝাল মুড়ি ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য
আপনি পদ্মার পাড়ে বসে অনেক মজা করে ঝাল মুড়ি খেয়েছেন। সেটাও খেয়েছেন আবার গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কলাপাতা তে। আপনি সময়টি অনেক উপভোগ করেছেন মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট করার কেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধরার জন্য আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আমরা অনেক মজা করেছি এবং ঝাল মুড়ি খেয়েছি