কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থান পর্ব ০৩-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি(10% beneficiary @shy-fox)
০৭কার্তিক, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২৩অক্টোবর , ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
১৬রবিউল আওয়াল, ১৪৪৩ হিজরী
শনিবার
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভ্রমণের আমার কিছু অভিজ্ঞতা।আমি এখন পর্যন্ত ১২_১৪ বার মত গেছি।আমার খুব ভালো লাগে।আমি বাড়ির ভিতরের যে বর্ণনা দিয়েছি এগুলো আগে দেখ।এজন্যই পিক দিতে পারিনি। যদিও ছুটির দিন ভিতরে প্রবেশ করতে পারছি কিন্তু বাড়ির ভিতরে ঢুকে সবকিছু দেখতে পারিনি তবে যা দেখেছি। এইগুলো আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি দক্ষিণ -পশ্চিম বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি এলাকা।রবীন্দ্রনাথ তার যৌবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় এখানে কাটিয়েছেন। পদ্মা নদী শিলাইদহ কুঠিবাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
শিলাইদহ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি গ্রাম। পদ্মা নদীর কাছে গ্রামের পূর্ব নাম কসবা।
রবীন্দ্রনাথের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এই অঞ্চলের জমিদারি পেয়েছিলেন। পরে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ এখানে জমিদার হন। এখানে তিনি ১৯০১ পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনা করেন। এখানে বসেই তিনি তাঁর বিখ্যাত বই সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি ইত্যাদি লিখেছেন এবং গীতাঞ্জলি কবিতা অনুবাদ করতে শুরু করেছেন।
শিলাইদহ কুঠিবাড়ি প্রায় ১১ একর এলাকা জুড়ে আম, কাঁঠাল এবং অন্যান্য চিরসবুেরজ বাগান, একটি ফুলের বাগান এবং দুটি পুকুর রয়েছে। শিলাইদহ গ্রামীণ পরিবেশ খুব সুন্দর ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ।
কুঠিবাড়ি ভবনটি দেয়াল দিয়ে ঘেরা। এটি দেখতে অতি সাধারণ কিন্তু আকর্ষণীয় প্রবেশদ্বার খিলান অতিক্রম করে প্রবেশ করা যায়। এটিতে বিভিন্ন আকারের মোট ১৫ টি কক্ষ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নিচতলায় একটি বড় কেন্দ্রীয় হল এবং দ্বিতীয় তলায়।
দোতলায় খোলা বারান্দা এবং দুই তলা আংশিকভাবে ঢালু ছাদ টাইলস দিয়ে তৈরি। নিচতলার উপরের মাঝামাঝি অংশে ত্রিভুজাকার প্রান্তসহ ঢালু ছাদ রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় পিরামিড আকৃতির ছাদ ভবনটিতে আরও সৌন্দর্য যোগ করে। বর্তমানে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি একটি সংরক্ষিত জাতীয় ভবন। সরকারের উদ্যোগে এখানে 'ঠাকুর স্মৃতি জাদুঘর' প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এখন যে দুইটা ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই দুইটা ছবি ঠিক উত্তর দক্ষিণ কর্নার থেকে ক্লিক করা
উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত গাছের নেমপ্লেট। ১৯০১ এক সালের যখন উনি এখানে এসে জমিদারি কাজ পরিচালনার কাজ শুরু করে তখনই এই গাছগুলো এখানে রোপন করে.
উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত রান্নাঘর। যা কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি পানির কুয়া এবং একটি চৌবাচ্চা।১৯০১ সালের যখন উনি এখানে পাড়ি জমান উনি এসেই চৌবাচ্চাটি এবং পানির কুয়াটি স্থাপন করেন এখানেই তিনি গোসল করতেন।
আপনারা এখন একটা গেট দেখতে পাচ্ছেন। এটি রান্না ঘরের পাশ দিয়ে পুকুরপাড় পর্যন্ত চলে গেছে এই উনি পুকুরপাড়ে বসে কাব্য রচনা করতে ন।
উপরের ছবিতে আপনারা একটি অডিটোরিয়াম এবং একটি মঞ্চ দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন সময়ে যখন এখানে অনুষ্ঠান হয় তখন এই মঞ্চেই নাটক নৃত্য হয়। সেই সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা হয় মিটিং এবং সভা অডিটোরিয়ামের ভিতরে হয়।
এই ছবিটি ঠিক মূল গেট থেকে ক্লিক করা হয়েছে সম্পূর্ণ বাড়িটা দেখানো হয়েছে এই ছবিটির মাধ্যমে।
যেহেতু দিনটা ছিল ছুটির দিন আমাদেরকে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করতে দেওয়া হয় কিন্তু মূল ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। আমরা কিছু সময় বাড়ির ভিতরে হাঁটাহাঁটি করার পরে গার্ড এসে আমাদেরকে গেটের বাইরে বের হয়ে যেতে বলে আমরা গেটের বাইরে বের হতেই দেখি কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালাই নিয়ে বসে আছে। আমরা সেখান থেকে দুইটা করে করে মালাই খায় এবং সেগুলো খেতে খুব মজা লাগে।
বাড়ির ভেতরে ঘোরা শেষ হওয়ার পরে আমরা ওখান থেকে রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান পদ্মার ঘাটের দিকে গাড়ি নিয়ে রওনা হই তারপরে আমরা কিছু সময়ের 5 মিনিটের মধ্যে পদ্মার ঘাটে পৌঁছে যায়। ওখানে আমরা বুক ভরে নিঃশ্বাস নেই। এবং ওখানেই পাশেই ছিল একটি চটপটির দোকান সেখান থেকে কিছু ফুচকা নিয়ে খেতে থাকি এবং পদ্মার অববাহিকা দেখতে থাকি।
আমরা যখন বসে পদ্মার ঘাটে ফুচকা খাচ্ছিলাম সেই সময় উপরে যে দুইটা ভাইয়ের ছবি দেখতে পাচ্ছেন এরা আমাদের কাছে এসে, আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করতে ছিল যে এই ঘাট থেকে পাবনা যাওয়া যাবে কিনা আমরা বললাম হা। তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা কোথা থেকে আসছেন। তখন উনি বলল আমাদের বাড়ি কক্সবাজার আমরা চার দিন আগে সাইকেল নিয়ে রওনা হয়েছি কুষ্টিয়া ভ্রমণ করার জন্য। পাবনায় একটা আত্মীয় বাড়ি আছে আমরা আজকে রাত সেখানে থাকবো। এবং আগামী কাল সকালে আবার কুষ্টিয়াতে এসে কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করব।
লোকেশন: রবীন্দ্র কুটিবাড়ী।
https://w3w.co///wondrously.pollinated.sunroof
লোকেশন :পদ্মার ঘাট।
https://w3w.co///reprinting.toasty.tissues
রবীন্দ্রনাথ এর কুঠিরবাড়ি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সেই সাথে ছবি গুলো সবগুলো সুন্দর হয়েছে অনেক। কখনো কুঠিরবাড়িতে যাওয়া হয়নি। আপনার ছবি সেই সাথে জায়গার তথ্য দেখে একবার হলেও স্মৃতিবিজড়িত জায়গাটি একবার হলেও দেখে আসা দরকার।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আমন্ত্রণ রইল।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি আমাদের থানার ঐতিহ্য। কিন্তু অতি লজ্জার বিষয় এটা আমার থানার অন্তগত হলেও আমি এখন পর্যন্ত যায়নি।
যাইহোক আপনার পোস্ট টা কিন্তু দারুণ হয়েছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে সাথে আপনার উপস্থাপনা টাও সুন্দর ছিল। খুব সুন্দর পোস্ট। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তবে সময় নিয়ে একদিন ঘুরে আইসেন ভালো লাগবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িটি অনেক সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ভ্রমণ আনন্দদায়ক হয়েছে আশা করছি। খুব সুন্দর কিছু ছবি আপনি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার ছবিগুলো দেখে আমারও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি হতে ঘুড়ে আসতে মন চাইছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভ্রমন টা খুবই আনান্দময় ছিল।
আওনাকে আমন্ত্রণ রইল।
12-14 বার গিয়েছেন ঠাকুর বাড়ি।খুবই ভালো।আসলে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি মানেই আলাদা নীরবতার শান্তি, প্রকৃতির মাঝে অপার আনন্দ।ছবিগুলো খুবই সুন্দর।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আমার বাড়ি থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে। তাই সময় পেলেই চলে যায় ঘুরতে।
আপনাকেও আমন্ত্রণ রইল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির অনেক সুন্দর ফটো করেছেন আমি কখনো দেখিনি তবে আপনার পোস্ট দেখলাম অনেক সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি টি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। এবং আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত অনেককিছু আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। আপনার একেকটা ফটোগ্রাফি যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক-একটা নিদর্শন ছিল। আপনি অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত। শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি দেখার মত একটি দর্শনীয় স্থান যদিও আমার দেখার মতো সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু আপনি আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট করে বাগাবাগিনি করে নিয়েছেন। যা আমার দেখার অভাবটা পূরণ হয়ে গিয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া
অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আপনার জন্য। আর সময় পেলে একদি আমাদের কুষ্টিয়া আইসেন ঘুরতে।
আমি এখানে গেছিলাম অনেক সুন্দর একট ঐতিহাসিক জায়গা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই অঞ্চলে জমিদার ছিলেন। তার ব্যবহৃত অনেক জিনিস পত্র এখানে আছে। আপনি এতো সুন্দর করে সব বর্ণনা করেছেন। যে কখনো যায়নি সে না গিয়েও সব জানতে পারবে। ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। অনেক পড়েছি এই বাড়িটি নিয়ে কিন্তু যাওয়া হয়নি। তবে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে এই ইচ্ছেটি পূরণ হয়ে গেলো৷ অনেক ধন্যবাদ এর জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আমন্ত্রণ রইল আমাদের কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র বাড়ি ভ্রমনের।
ভাইয়া আমার বাড়ি কুষ্টিয়া তে। তাই যখনই ঘুরাঘুরির জন্য সময় পাই তখনই রবীনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি তে বেড়াতে চলে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িটি কুষ্টিয়ার শিলাইদহে অবস্থিত। সত্যি এই জায়গাটি অসাধারণ সুন্দর ও মনমুগ্ধকর। রবীনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি তে তার অনেক স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখা আছে। সেগুলো দেখতেই দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে আসে। ভাই আপনি বেশ ভালই আনন্দে কাটিয়েছেন দিনটি তা বোঝা যাচ্ছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। অনেক বেশি ভালো সময় পার করেছিলাম। মাঝে মধ্যে মনটাকে ভালো করার জন্য চলে যায় রবীন্দ্রনাথের কুটিবাড়ী তে।
ধন্যবাদ ভাই