জেনারেল রাইটিং: নৈতিক অবক্ষয়।
২৪আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৩অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৩রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
শরৎকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
আর কবে আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে। আমরা মানব রূপী একজন রোবটিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। বলতে পারেন রোবটের এজেন্ট। আমাদের আচার-আচরণ কথাবার্তা দেখলে মনে হয় যেন প্রোগ্রাম সেট করা রয়েছে আমাদের ভিতরে। বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ করতে ভুলে গেছি। বোধহয় এটা আমাদের প্রোগ্রামে নেই। জানিনা কিভাবে এটা প্রোগ্রাম থেকে ডিলিট হয়ে গেল। না কোনদিন আমাদের প্রোগ্রামে এটা দেওয়াই হয়নি। আজ আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে সমাজের বাস্তব কিছু চিত্র নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি।
বড়দের কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছি। তার মধ্যে একটা কথা বারবার শুনেছি সেটা হলো গ্রাম্য সালিশের যখন বসত গ্রামের মাতব্বর বা বয়স্ক মানুষ যদি কোন কথা বলতো সেটা কখনো অবাধ্য করা হতো না। যদি ন্যায় সঙ্গত হত। একসময় গ্রামের মুরুব্বী মাতব্বর মক্কেল এবং বড়দের দেখলে লোকজন পাশ দিয়ে গেলে সালাম দিত। এবং মাথা নিচু করে হেঁটে যেত। বর্তমান সময়ে আমরা রাস্তা দিয়ে হাঁটলেও মোবাইল চাপতেই থাকে। পাশ দিয়ে কে গেল ভাই বাবা বাস শিক্ষক সেটার কোনো তোয়াক্কা করি না।
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে একটা ভিডিও আপনারা দেখতে পাচ্ছেন হয়তো চুয়াডাঙ্গার। দশম শ্রেণীর একজন ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছে। একটা ছাত্রের নৈতিক অবক্ষয় কি পরিমাণ হলে শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে পারে একটু ভাবতে পারেন।বর্তমানে আমরা সামাজিক মাধ্যমে কিছু ভিডিও দেখে অনেক অনুপ্রাণিত হচ্ছি। এবং আমাদের লাইফস্টাইলটা ঠিক সেভাবেই সেট করতে চাচ্ছি। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে সিনেমার গরু গাছে ওঠে। আমি এটাই বোঝাতে চাচ্ছি যেটা কাল্পনিক তোমাদের সাথে কখনোই সেটাকে মিল করতে যাবেন না। একজন কল্পনা করেছে এবং সেই অনুযায়ী গল্প লিখে ভিডিও করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেইটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কিভাবে আপনি রাতারাতি বদলে যেতে পারেন। একটু ভেবে দেখছেন কখনো??
এখন মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু আসল শিক্ষা নিয়ে বের হতে পারছে না।শিক্ষিত মানুষ এবং সুশিক্ষিত মানুষের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। মানুষদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে না এর আসল কারণ আমি বলব ধর্মীয় শিক্ষা না পাওয়ার জন্য। এবং পারিবারিকভাবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না। যে মানুষগুলো পরিবারের অবাধ্য মা-বাবার কথা শোনে না শিক্ষককে লাঞ্ছিত করতে দ্বিধা করবে না। কারণ সে নিজে তো তার বাবা-মা এবং বড় ভাইকে সম্মান করে না সে কিভাবে শিক্ষাকে সম্মান দিতে পারে।
তবে একটা কথা আমি জোর গলায় বলতে পারি যতদিন না আমাদের ছেলেমেয়ে ছোট ভাই তাদেরকে আমরা কৃত না করতে পারব ততদিন তাদের কাছ থেকে আমরা সম্মান আশা করতে পারবো না। কেবলমাত্র ধর্মীয় জ্ঞান থাকলেই একটা মানুষ ভালো পথে সুপথে এবং ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারবে।এজন্য যদি আমাদের আগামী প্রজন্মকে আমরা ভালো রাখতে চাই ভালো পথে দেখতে চাই তাহলে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতেই হবে। যাহোক অনেক কথা আলোচনা করলাম আজকের পোস্টের মাধ্যমে হতে পারে আপনার মত আমার মত ভিন্ন।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
ভাই সত্যি কথা কি আধুনিকতার সাথে সাথে মানুষের মধ্য থেকে সভ্যতা চলে যাচ্ছে। এখনো শিক্ষকদের সামনাসামনি দেখা হলে যথেষ্ট সম্মান দেয়ার চেষ্টা করি আর সাইকেল থেকে নেমে শিক্ষকদেরকে সালাম দিয়ে তাদেরকে সম্মান দিই। আর চুয়াডাঙ্গার ঘটনাটার কথা আর কি বলবো ভাই আমি তো ভিডিওটা দেখে একদম বাকরুদ্ধ।
আধুনিকতা বলতে বলতে আমরা এত নিচে নেমে গেছি আসলে এটা বলার মত নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমাদের সমাজ দিন দিন অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেখানে ছোটরা বড়দের সম্মান করে না সেখানে মনুষত্ববোধ আছে বলে মনে হয় না। যতোই প্রযুক্তির উন্নত হচ্ছে ততোই আমাদের মানবিকতা এবং মনুষত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে শিক্ষকদের দেখলেই সম্মানে মাথা নত হয়ে যেত আর সেখানে চুয়াডাঙ্গার ঘটনা দেখে হতভাগ হয়ে গেলাম। আসলে মানবিকতা মনুষত্ববোধ কোন পর্যায়ে হারিয়ে গেলে এমন কাজ করতে পারে তা সুস্থ মস্তিষ্কে বুঝে আসে না। পিতা মাতার পরে শিক্ষকদের স্থান। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মানসিক মূল্যবোধ টা আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গিয়েছে।
আমরা এখন পশুত্বতা গ্রহণ করে নিয়েছি।
এর একমাত্র কারণ হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং শিক্ষা না থাকার কারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।