এলোমেলো ফটোগ্রাফি 🎥🎥
০৫জৈষ্ঠ্য , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২০মে , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৯শাওয়াল, ১৪৪৪ হিজরী
শনিবার।
গ্রীষ্মকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🎥🎥
ভ্রমণ করতে যেমন ভালোবাসি। তেমনি ভ্রমণের স্মৃতিগুলো মনে রাখতে এবং সুন্দর সময় স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে ফটোগ্রাফি করতেও তেমনি ভালো লাগে। আসলে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমরা আমাদের স্মৃতিগুলোকে বর্তমান সময়ে ধরে রাখার চেষ্টা করি। আপনারা হয়তো জানেন আমি বাড়ি থাকলে সময় পেলেই নদীর ধারে গিয়ে বসে বিকেলের সময়টা অতিবাহিত করার চেষ্টা করি।। আজ আপনাদের মাঝে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। গত এক সপ্তাহের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্মৃতি ফ্রেমবন্দি করে রেখেছি চেষ্টা করব এগুলোই উপস্থাপনা করার জন্য।।
🎥🎥
লোকেশন:
উপরে যে ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি এটা ঠিক গোধূলি লগ্নে সূর্য ডুবে যাবে ভাব যখন পশ্চিম আকাশ রক্তিম আভায় আলোকিত ঠিক সেই মুহূর্তের ফ্রেম মন্দি দৃশ্য।। গতকাল যেহেতু ছুটির দিন ছিল এজন্য বাড়িতে গিয়েছিলাম বাড়িতে গিয়ে আমার এক বন্ধুর সাথে হাঁটতে হাঁটতে নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম এবং বিকেল থেকে নিয়ে সন্ধ্যা অবধি সেখানেই সময় পার করেছি।।
🎥🎥
লোকেশন:
আমাদের নদীর পাশে এখন গেলে রবি ঠাকুরের লেখা আমাদের ছোট নদী কবিতাটাই বারবার মনে পড়ে।। বর্ষার মৌসুমে এখানে থাকে অথৈ পানি প্রচন্ড স্রোত আর নদীর ঢেউ।। বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে এখানে একদমই পানি থাকে না।। এই দৃশ্যগুলো দেখলে এজন্যই বারবার মনে পড়ে আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি দুই ধার উঁচু তার ঢালু তারপরে।। কবিতার সাথে ১০০% মিল রয়েছে আমাদের এই ছোট নদীর।। এখান থেকে কিন্তু কিছুদূর পশ্চিমে এগুলোই রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ির ঘাট।
🎥🎥
লোকেশন:
নদীর এক পাড়ে এখন কাশফুল ফুটে রয়েছে এবং তার উপর দিয়েই সোনালী ধানের চাষ। নদীর পাড়ে বসে থেকেই এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছি আসলে দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিল ক্যামেরাবন্দি না করে আর থাকতে পারলাম না।। বিকেলের দখিনা বাতাসে কাশফুলগুলো দুলছিল আর তার মধ্যে থাকা মিষ্টি একটি গন্ধ ছড়াচ্ছিলো।
🎥🎥
লোকেশন:
গতকাল বিকেলে যখন নদীর পাড়ে যাচ্ছিলাম যেতে হঠাৎ করে আমাদের গ্রামের শেষ মাথায় এই কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছটি চোখে পড়ল। এক সময় আমাদের গ্রামে দেখেছি প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই কৃষ্ণচূড়ার গাছ ছিল। এখন আমাদের পুরো গ্রাম জুড়ে একটিমাত্র এই লাল ফুলের গাছ অবশিষ্ট রয়েছে।। মিষ্টি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে আর এর ফুল দেখে সবাই মুগ্ধ হয়।। আমিও সুন্দর দৃশ্য দেখে ফ্রেমবন্দী না করে আর থাকতে পারলাম না।
🎥🎥
লোকেশন:
স্মৃতি মানুষকে পিছুটানে স্মৃতি মানুষকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয় স্মৃতিতে আমরা বারবার ফিরে যেতে চাই।। উপরের ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে তেমনি আমার হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।। এই ফটোগ্রাফি গুলো ফ্রেমবন্দি করেছি আমার কলেজের ফুলের বাগান থেকে।। দীর্ঘ চারটা বছর পার করেছি এই জায়গাতে বারবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে আবার এই করিডোরে।। স্মৃতির টানে গত চারদিন আগে গিয়েছিলাম ফেলে আসা কলেজটি ভ্রমণ করতে সেখান থেকেই এই সুন্দর দৃশ্য ফ্রেম বন্দী করেছি।
🎥🎥
লোকেশন:
আপনারা জানেন যে আমার একটি ফুলের বাগান রয়েছে ।আর আমার ফুলের বাগানের সবথেকে বড় চমক হচ্ছে বিভিন্ন জাতের গোলাপ ফুল।। মাঝে মাঝেই আমি আমার ফুলবাগান থেকে বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি।। এখন যে ফটোগ্রাফি গুলা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি গতকাল সন্ধ্যায় ফ্রেমবন্দি করেছেন।। একটি গাছে দুটি ডগা আর ডোগার মাথায় গিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দশ বারোটা করে শাখা প্রশাখা।। প্রত্যেকটা শাখা প্রশাখায় আবার দুই তিনটা করে ডগা বের হয়ে সেখানে গোলাপ ফুলের করী এসেছে। আনুমানিক প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টা ফুল হবে এই গাছে যদিও সবগুলো এখনো ফোটেনি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সব ফুল ফুটে যাবে।। আমি মনে মনে কল্পনা করছি সব ফুল ফুটলে গাছটা এত সুন্দর দেখা যাবে যা এর পূর্বে আমি কখনো দেখিনি এবং উপভোগও করিনি।। আপনাদেরকে আগাম আভাস দিয়ে রাখলাম অবশ্যই সবগুলো ফুল ফোটার পরে একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যাহোক দেখতে দেখতে এলোমেলো ফটোগ্রাফির শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করছি আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
twitter
ভাইয়া আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। সত্যি সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়ের ছবি গুলো অনেক সুন্দর লেগেছে। সত্যি ফেলে আসা কলেজের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। আপনার দেখছি অনেক সুন্দর ফুলের বাগান রয়েছে। এমন বাগানে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সূর্য অস্ত যাওয়া এবং আমার কলেজ থেকে যে ফটোগ্রাফি গুলা ফ্রেমবন্দি করেছিলাম এগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ আপু
খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি আমি সত্যিই রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে দারুন ভাবে আপনি ফটোগুলো কেপচার করেছেন। সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে আরো বেশি চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এক কথায় অসাধারণ ছিল । পড়ন্ত বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার ছবি গুলো বেশ চমৎকার ছিল । এ ধরনের পরিবেশ আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে । এছাড়া প্রতিটি ফুটের ফুলের ফটোগ্রাফি বেশ অসাধারণ হয়েছে । ফেলে আসা কলেজে ঘুরতে যেয়েও দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ।আপনার যে একটি চমৎকার ফুলের বাগান আছে তা জানা ছিল না । আজ জানতে পারলাম একটি গাছে ৩০ থেকে ৪০টি কলি যা সত্যি চমৎকার । সেই গাছটিতে যখন ফুলগুলো ফুটবে তখন না জানি কেমন লাগবে দেখার অপেক্ষায় রইলাম । ধন্যবাদ ।
আসলে আপু পড়ন্ত বিকেলে সময় পেলে আমি নদীর ধারে গিয়ে সময়টা অতিবাহিত করার চেষ্টা করি আর এই সময়টি এতটাই ভালো লাগে না নদীর ধারে যে আসলে বলে বোঝাতে পারবো না সেই ভালোলাগা থেকেই ফটোগ্রাফিগুলাকে ক্যামেরা বন্দি করা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।।
আপনি আজকে বেশ দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আমার কাছে তো সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ দারুন লেগেছে। তবে আমার কাছে আপনার কলেজ থেকে তোলা ছবিগুলোর ফটোগ্রাফি এবং কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো একটু বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কলেজ থেকে করা ফটোগ্রাফি এবং কাশফুলের ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি ই অসাধারণ লাগলো। প্রতিটি ফটোগ্রাফির আলাদা আলাদা সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন আপনি ভাইয়া আগেও দেখেছি।অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার গোছানো মন্তব্যটি পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।।
ভাই, আপনার মত আমার কাছেও ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে।আর ভ্রমণের স্মৃতিগুলো মনে করতেও ভালোলাগা সেই স্মৃতিগুলো মনে দোলা দিয়ে যায়। যাই হোক ভাই, আজ আপনি অসম্ভব সুন্দর কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। আপনার ফটোগ্রাফিতে থাকা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এত চমকপ্রদ ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আমরা সবাই চাই ভ্রমণের স্মৃতিগুলো স্মৃতির পাতায় রেখে দেওয়ার জন্য তাই তো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করি।।। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
আপনি সময় পেলে নদীর ধারে গিয়ে বসে সময় কাটান আর আমার তো নদীর ধারে ওই নৌকায় বসে ঘুরতে মন চাইছে। ছবিটা কিন্তু অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আর এই গোলাপ গাছের ফুলগুলো খুব ভালো লাগছে। আমি এরকম একটি গোলাপ গাছ কিনে নিয়েছিলাম তবে দুঃখের বিষয়ে আমার গাছে এখন পর্যন্ত তেমন একটা ডাল হয়নি এবং ফুলও ফুটে না । আপনার গাছটি দেখে খুব ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।
নদীর ধারে বসে থাকা এবং নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরে বেড়ানো সময় গুলো খুব দ্রুতই পার হয়ে যায় এরকম সময় মাঝে মাঝেই পার করে থাকি।।
আমার ফুলবাগানের গোলাপ ফুল গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।।
আপনিতো প্রতিনিয়ত নদীর পাড়ে প্রায় সময় যান অনেক ভালো লাগে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে। সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয় নদীর পাড়ের। এছাড়া কৃষ্ণচূড়া ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ নিয়েছেন। আর সন্ধ্যা বেলার ফটোগ্রাফি গুলো তো দারুণ হয়েছে। প্রতিটি ফুল খুব সুন্দরভাবে নিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে।
কৃষ্ণচূড়া ফুল এবং নদীর ধারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।। আসলে আপু নদীর ধারে বিকেলের সময়টা বসে কাটানো কি যে মজা বলে বোঝাতে পারবো না।।।