জেনারেল রাইটিং 🕸️ আত্ম অহংকার।
০৯ অগ্রায়ন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৪নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
০৯জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে দুইটি স্বভাব থাকে একটি নীতি বাচক অন্যটি মন্দ স্বভাব। এক কথায় সাধারন ভাবে বলতে গেলে ইতিবাচক স্বভাব এবং শয়তানি স্বভাব। মন্দ স্বভাবের মানুষের মধ্যে জন্মগতভাবেই অহংকার থেকে যায়। আসলে যারা অহংকার করে তাদের চরিত্রটা ঠিক শয়তানের মত। কারণ অহংকার কারী কখনো ভালো হতে পারে না। আজ আমি আমার পোস্টে অহংকার কি এবং অহংকারের কুফল নিয়ে আমার ছোট্ট জ্ঞান থেকে কিছু আলোচনা করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তিনটি বস্তুর কারণে মানুষের ধ্বংস নেমে আসে এর মধ্যে হচ্ছে নিজের প্রতি কন্ট্রোল না থাকা লোভ ও আত্ম অহংকার। অহংকার করতে পারে একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা। কেননা তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন আমাদের পরিচালনা করছেন ।আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করছেন। আমাদের ভালো খারাপ যা কিছু হয় একমাত্র তিনিই এটি নিয়ন্ত্রণকারী। অহংকার মানবজাতির এক নিকৃষ্ট এবং ঘৃণিত স্বভাব। সাধারণভাবে অহংকার বলতে আমরা বুঝি সত্যকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা এবং অন্য মানুষকে অপমান করে কথা বলা অর্থাৎ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভাবা।
আসলে ভাবনতো মানুষের কিসের এত অহংকার। এ জীবনের তো কোন ভরসা নেই ।একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে দিচ্ছি পরবর্তীটা টেনে তুলতে পারবো কিনা এর কোন গ্যারান্টি নেই। চোখের পলকে লাশ হয়ে যেতে পারি তাহলে কেন আমরা এত দাম্ভিকতা প্রকাশ করি মানুষের মাঝে। মানুষকে হেও করে কি লাভ। বরং যদি অহংকার না করে কোন মানুষকে সম্মান দেখানো হয় তাহলে দেখবেন আমি আপনিও ও সমাজের একজন সম্মানিত মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারবো। কেননা আমি যখন একজনকে সম্মান দেখাবো তখন তিনিও আমাকে সম্মান দেখাবেন। আমার সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করবেন। আত্ম অহংকার কারী ব্যক্তিকে চরম সীমালংঘনকারী হিসাবে ও আখ্যায়িত করা হয়।
আমরা যুগে যুগে বিভিন্ন রাজা-বাদশা বা মানুষকে দেখেছি অহংকারের ফলাফল পেয়েছেন। আপনি শয়তানের কোথায় চিন্তা করুন যিনি ছিলেন আল্লাহর প্রিয় একজন সৃষ্টি। শুধুমাত্র অহংকার করার কারণে তিনি আজ সৃষ্টিকর্তার দরবার থেকে বিতাড়িত অভিশপ্ত। তাহলে আমরা যদি আমাদের দুনিয়ার জীবন এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবন ভালো করতে চাই অবশ্যই আমাদেরকে অহংকার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যে ব্যক্তি মৃত্যুকে স্মরণ করে
পথ চলে মরার পরবর্তী জীবনকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে অবশ্যই তার মধ্যে কখনো কোন অহংকার থাকতে পারে না। কারণ এক সময় তো আমাকে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে আমি তো এখানে চিরস্থায়ী নয়।
অহংকার কারী সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সমাজের মানুষকে উঁচু নিচু করে দেখে। সমাজের মাঝে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে। নিজের বরত্ব নিয়ে সব সময় মানুষের সামনে কথা বলতে থাকে। অহংকার কারীর ভাষাগত বাক্য সব সময়ই অনেক দাম্ভিকতা প্রকাশ পায়। মানুষকে ভালবাসতে হবে ।তাহলে মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়া যাবে। অহংকার না করে মানুষকে ভালোবেসে যতটা ভালো থাকা যায় এটা আসলে বলে বোঝানোর নয়। এজন্য আসুন আমরা সমাজটাকে ভালোভাবে গড়ে তুলি। অহংকার না করি। সমাজের প্রতিটা মানুষকে ভালবাসতে শিখি। মানুষকে মানুষ ভাবি গরিব বা বড়লোক নয়।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপনি অহংকারী সমাজের শৃংখল সৃষ্টিকারী। অহংকারী মানুষ সমাজের কীট। সৃষ্টিকর্তাও কখনো অহংকার করেন না এবং অহংকারীকে কখনোই পছন্দ করেন না। খুব সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা কোন অহংকার করে না কিন্তু আমরা স্রষ্টার সৃষ্টি হয়ে ঠিকই অহংকার করি।
এটা নিঃসন্দেহে একটি খারাপ দিক।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
একটা মানুষের মধ্যে এরকম অহংকার থাকা একেবারেই উচিত বলে আমি মনে করি না। কারণ এরকম অহংকার করে কি হবে, কখন কার মৃত্যু হবে এটা আমরা কেউই জানিনা। আর এর জন্য সবার সাথে ভালোভাবে থেকে, ভালো কাজ করে এগিয়ে যাওয়াই ভালো। এক মিনিট আগে হয়তো আমরা ভালোই সময় কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু এক মিনিট পর কি হবে এটা আমরা কেউই জানিনা। আপনি আত্ম অহংকার নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন, যেটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে পড়তে।
আমাদের কিসের এত অহংকার একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে দিচ্ছি পরবর্তীতে টেনে তুলতে পারব কিনা জানিনা।
মুহূর্তের মধ্যে আমাদের জীবন বিলীন হয়ে যেতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর গন্তব্য করার জন্য।
যে মানুষগুলো জন্ম থেকেই অহংকারী তাদের অহংকার কখনোই যায় না। আত্ম অহংকার নিয়ে লেখা আপনার আজকের এই পোস্টটা সুন্দর ছিল। আসলে কোন কিছু নিয়ে অহংকার করা একেবারেই উচিত না আমাদের। কারণ এই অহংকার ভাঙতে দুই মিনিট ও সময় লাগবে না
এত বেশি অহংকার করে কি হবে, হঠাৎ করে যদি মারা যাই, তাহলে তো আর এরকম অহংকার থাকবেই না।
আত্ম অহংকার নিয়ে লেখা আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে অনেক সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্যটি করেছেন সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
আমাদের মহান আল্লাহ তা'আলা ছাড়া এই পৃথিবীতে কারোর অহংকার করার কোন অধিকার নেই বলেই মনে করি। কারন এই অহংকার জিনিসটা মানুষ বা অন্য কোন প্রাণী হোক কারো সাথেই মানায় না। যে ব্যক্তি অহংকার করে সে মানুষকে নিচ চোখে দেখে কিন্তু সে বোঝেনা আসলে তার এই অহংকার তার পতনের মূল হয়ে দাঁড়াবে। এরকম অহংকারী মানুষ এখন শচরাচর দেখা যায়। অল্পতেই অনেক কিছু পেলে যা হয় ঠিক তেমনি অহংকারী মানুষরাও অল্পতে বেশি কিছু পায় বলেই তারা অহংকারী হয়ে ওঠে। যাই হোক খুব সুন্দর লেখা লিখেছেন ভালো লাগলো পড়ে।
আসলে অহংকার করলে মানুষদের ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে চলে যায় সেটা অনেকেই এটা বোঝেনা।
অহংকার না করেই সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে পথ চলে।
আপনার জেনারেল রাইটিং পোস্টগুলি আমি পড়ি ভীষণ ভালো লাগে ভাইয়া। আজকেও পোস্ট পড়ার জন্য আমি চলে আসলাম। জি ভাইয়া প্রতিটা মানুষের একটা ভালো দিক ও খারাপ দিক থাকে। মানুষ সবসময় ভালো দিকটা মানুষের মাঝে প্রকাশ করে কিন্তু তারা খারাপ দিকটা সেটা গোপনীয়তা থাকে। ভালো মানুষ ও খারাপ মানুষ আমাদের দুনিয়াতে সব জায়গায় রয়েছে। যারা একটু মন্দ টাইপের মানুষ ঠিক বলেছেন ভাইয়া তারা একটু অহংকারই হয় এবং নিজেকে বড় মনে করে সব সময়। লোভ মানুষকে ধ্বংস করে আর অহংকার। যে ব্যক্তি নিজেকে অন্য চাইতে বড় মনে করবে সেই অহংকারের সমতুল্য হবে। ভাই আজকে মরলে কালকে দুইদিন। আমরা সব সময় বর্তমান নিয়ে ভাবি। এটাই আমাদের সবথেকে খারাপ দিক। একটা সময় কিন্তু আমাদের বাবা দাদারা কিন্তু আমাদের বয়সের ছিল তারাও কিন্তু আজকে বুড়ো হয়েছে। তাহলে এত অহংকার কিসের। আমরাও তো একদিন আমাদের বাবা-দাওয়া দের বয়সে চলে যাব। জ্বী শয়তান অহংকার করার কারণে আজকে সৃষ্টিকর্তার দরবার থেকে বিতাড়িত। তেমনি সৃষ্টিকর্তা অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। জি ভাইয়া আমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে হলে অহংকার থেকে দূরে থাকতে হবে। লোভ লালসা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং নিজের চাহিদা মতো চলতে হবে। বেশি লোভ করা যাবে না তাহলে কিন্তু আমরা মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পাব এবং মানুষের মত মানুষ হতে পারব। সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারবো যদি আমরা সমাজে অহংকার না করি। প্রতিটা মানুষকে ভালবাসতে শিখব। অনেক সুন্দর কিছু আলোচনা করেছেন ভাইয়া।
অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টটি পড়ে কমেন্টে লিখেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
আসলে আমরা একটা নিশ্বাস ছেড়ে দিচ্ছি পরবর্তীতে টেনে তুলতে পারব কিনা জানিনা তারপরও আমাদের ভিতরে এত পরিমাণে অহংকার যেটা বলার নয়।
অহংকার ছাড়তে হবে ভালোভাবে দুনিয়ার জীবন পার করতে হবে তাহলে পরবর্তী জীবনটা সুখের হবে।
অহংকার কারো সাথেই মানায় না স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ছাড়া।আমরা নিজেরা নিজেদেরকে যতটা অহংকার থেকে দূরে রাখতে পারবো ততই আমাদের মঙ্গল হবে।আত্ম অহংকার মানুষকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেয় । তাই সকলেরই উচিত এই অহংকার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। খুব সুন্দর করে আপনি কথাগুলো লিখেছেন। আমরা যে নিশ্বাস নিচ্ছি সে নিশ্বাস ছাড়তে পারবো কিনা সেটা আমাদের জানা নেই।আমরা নিজেদের পাওনাকে নিয়ে কখনো অহংকার না করাটাই শ্রেয়। কারণ অহংকার পতনের মূল হয়ে দাঁড়ায়।
এই বিষয়টা আমরা সবাই জানি যে অহংকার করা আমাদের উচিত নয় এটা সৃষ্টিকর্তার ভূষণ।
তারপরও আমরা আমাদের ভিতরের পশুত্বটাকে জাগিয়ে তোলার জন্য এই কাজগুলো করে থাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমরা মানুষ জাতি, আর আমাদের মাঝে মনুষ্যত্বের চেয়ে আত্ম অহংকার বেশি। মানবিকতা আমাদের মাঝে থেকে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু অহংকারের মাত্রা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক কিছু মাথায় আসলো। আসলে আমাদের চারপাশে তাকালেই দেখি অহংকারী মানুষের অভাব নেই। এটা চিন্তা করি আসলে তারা কিসের অহংকার করে। রূপ, গুণ, টাকা-পয়সা সবকিছুই হচ্ছে মহান আল্লাহর হাতে এগুলো নিয়ে অহংকার করার মত ক্ষমতা তাদের নেই। তবুও অহংকারী লোকেদের ক্ষমতার প্রভাব অনেক বেশি সমাজে। এর কারণ হলো সমাজে অহংকারী মানুষেরা নিজেদের সর্বোচ্চ মনে করে। আর টাকার দাপটে তারা অনেক বেশি শক্তি পেয়ে যায়। তবে এটা কখনোই কাম্য নয় খুব ভালো লিখেছেন ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমান আমাদের মাঝে মনুষ্যত্বের চেয়ে অহংকার এর পাল্লাটা ভারী হয়ে গিয়েছে বেশি আকারে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।