ভ্রমণ 🚣‍♀️পদ্মা নদীর পাড় কুষ্টিয়া হার্ডিং ব্রিজ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

২০জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।



শুভ রাত্রি ❤️ আশা করছি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আসলে আবহাওয়ার এরকম বিরূপ প্রভাব ভালো থাকাটা সময়ের ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে জড়তা কাজ করছেন। বিশেষ করে জ্বর ঠান্ডা গলা ব্যথা কাশি এই রোগ গুলা বেশি হচ্ছে বর্তমান সময়ে। আর গরমের কথা কি বলবো অতিষ্ঠ। আমাদের কুষ্টিয়ায় তো মনে হচ্ছে গরমের তীব্রতাটা অন্যান্য জেলার থেকে একটু বেশিই থাকে। যাইহোক আজ আবার আপনাদের মাঝে হাজির হলাম একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে। আর আজকের এই সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ পোষ্টের মাঝে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব কুষ্টিয়া লালনশা সেতু বা হারিংব্রিজ পদ্মা নদীর সৌন্দর্য এবং ওপারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কিছু আলোকচিত্র। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে আমার সব থেকে প্রিয় জায়গা হলো নদীর পাড়। আমি যখনই সময় পাই ভালো সময় অতিবাহিত করার জন্য পদ্মা নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকি। বিশেষ করে বিকেলের সময় থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সময়টা সবথেকে বেশি ভালো লাগে। গোধূলির আলোটা যখন পদ্মার পানিতে পড়ে ঝিলমিল করে এবং পশ্চিম আকাশ রক্তিম ভাই আলোকিত থাকে তখনকার দৃশ্যটা একদম নজর কাড়ানো হয়। যদিও এদিন সন্ধ্যাবেলা থাকতে পারিনি। একটু ব্যস্ততার কারণে বিকেলের পরে এক ঘন্টা সময় নদীর পাড়ে আমি এবং আমার এক বন্ধু খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সারাদিন কাজের এক ফাঁকে বিকেলে মনে হল নিজেকে কেমন যেন বোর মনে হচ্ছে। এজন্য দুই বন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে গেলাম নদীর পাড়ে। আর এখন তো নদীতে জোয়ারের সময় আস্তে আস্তে পদ্মা নদী পানিতে ভরে উঠছে। সেই সাথে একই জায়গায় দাঁড়ালে হার্ডিং ব্রিজ বা লালনশা সেতু এবং পদ্মা নদীর ওপারে দৃশ্যমান রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুইটা একসাথে দেখা মেলে। আর জলের প্রতি ছবির কথা কি বলবো সেটা তো রয়েছেই। প্রথম ছবিটার ভিউ যদি আপনারা একটু ভালো করে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন আমি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুইটা সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করছি। এক কথায় একবারে তাকালে হাডিংব্রিজ এবং রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুইটাই আপনি দেখতে পাবেন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটা তো আমাদের কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য এবং পুরাতন স্থাপনার মধ্যে অন্যতম লালনশা সেতু। আর এখন পদ্মা নদীর পাড়ে নতুন করে যোগ হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যদিও এটা কুষ্টিয়ার মধ্যে নয় তারপরেও কুষ্টিয়া থেকে খুব ভালো দৃশ্যমান।


একদম নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। নদীর পাড়ে সারি সারি বাধা রয়েছে নৌকা। দখিনা হাওয়া হালকা স্রোত আর ছোট ছোট ঢেউ যেন অন্যরকম এক অনুভূতি জাগিয়ে দিচ্ছিল মনের মাঝে। দুজনে বসে পরলাম নরম ঘাসের উপরে আর সেই ছোটবেলা নিয়ে গল্প শুরু করতে থাকলাম। একসাথে এই পদ্মা নদীতে কত সাতার কেটেছি নৌকা চালাইছি এবং মাছ ধরেছি এর তো কোন অন্ত নেই। যদিও এখন কাজে কামে ব্যস্ত থাকা হয় সেরকম ভাবে আর পদ্মা নদীতে এসে মজাগুলো করা হয় না। আর সব থেকে বড় কথা হলো সেই বাল্যকালের বন্ধুগুলো আর নেই। সবাই সবার মত ব্যস্ত বছরে ১-২ বার সবার সাথে দেখা হয় কিনা সেটাও সন্দেহ। একদম নদীর পাড়ে একটি খেজুর গাছ রয়েছে দেখতে পাচ্ছেন গাছ ভর্তি খেজুর। খেজুর গাছের সৌন্দর্য কিন্তু আর কিছুদিন পরে মনে হবে নদীর ভেতরে। কেননা কিছুদিনের মধ্যেই পদ্মা নদী পানিতে ভরে উঠবে একদম এই খেজুর গাছ পর্যন্ত পানি উঠে আসবে। কত গল্প করলাম দুজন মিলে বসে তবুও যেন গল্প শেষ হচ্ছিল না। আর সেই সাথে বারবার মনে হচ্ছিল বাল্যকালের বন্ধু গুলোর কথা। আর যদি সবাই মিলে একসাথে এরকম সময় অতিবাহিত করতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো।


আসলে স্মৃতি বড় অদ্ভুত জিনিস দিন চলে যায় কিন্তু কথা এবং সময়টা যেন মন থেকে হারায় না। পদ্মা নদীর আশেপাশে যে মানুষগুলা বসবাস করে এদের জীবিকা কিন্তু পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। নদীতে মাছ শিকার করে অথবা মানুষ পারাপার করে। আর এখন তো সব থেকে বড় অপারচুনিটি হলো নদী থেকে ভালো উত্তোলন করে। পাকশী থেকে দুই রকমের ভালো উত্তোলন হয়। উপরে তিনটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন তিনটি ফটোগ্রাফিতেই কিন্তু নদী হার্ডিং ব্রিজ এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এক কথায় আপনি যদি কখনো এই অঞ্চল ভ্রমণ করতে আসেন তাহলে এই জায়গাটিতে আসলে দেখবেন অন্যরকম এক অনুভূতি জন্মিয়েছে আপনার মাঝে। এখানে নদীর সাথে মানুষের অদ্ভুত এক মিল বন্ধন রয়েছে। যদিও বারবার এরা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায় তবুও যেন নদীকে ছেড়ে যেতে চায়না নদীর পারে আবার ঘর উঠায়। নদী একুল ভেঙ্গে ওকুল গড়ে নদীর সাথে সাথে নদী পাড়ার মানুষগুলো একুল থেকে ওকুলে সরতে থাকে। যাইহোক সব মিলিয়ে ভ্রমণের সময়টা খুব ভালো অতিবাহিত করেছি। আসলে নদীর পাড়ে গেলে এমনিতেই অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়। শেষ করছি আজকের ভ্রমণ পোস্ট ভালো থাকবেন।


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



break .png

Banner.png

|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 months ago 

আপনার মতো আমারো সবথেকে প্রিয় জায়গা হলো নদীর পার।মন খারাপ বা মন ভালো দুইটা সময়েই আমি নদীকে সঙ্গ দি আমার খুব ভালো লাগে।

সেই ২০১৯ এ গিয়েছিলাম হার্ডিঞ্জ ব্রিজে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন ভাই খুব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।

 2 months ago 

আমার মত নদীর পাড় আপনার অনেক প্রিয় জায়গা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
সত্যি ভাই হার্ডিং ব্রিজ আশপাশ খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

পদ্মা নদীর ওপারে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠানটা দেখে বেশ ভালো লাগছিল। আসলে সত্যি বলতে এই রাস্তা দিয়ে আমি আসা-যাওয়া করেছি যে রেল লাইনটা দেখা যাচ্ছে ওই রেললাইন দিয়ে আমি অনেকবার এসেছি এবং গিয়েছি । সেই সাথে গত পরশু আবার যাচ্ছি। হয়তোবা একদিন আপনার সাথে দেখা হবে সেদিন আপনার সঙ্গে অনেক গল্প করবো খুব সুন্দর একটি জিনিস শেয়ার করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

অবশ্যই ভাইয়া আমন্ত্রণ রইলো আমাদের কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন সৌন্দর্য ঘুরে দেখার জন্য।
আর অবশ্যই সময় পেলে একবার চলে আসুন আপনার সাথে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করবো আশা করছি।

 2 months ago 

বহুদিন হলো ঐদিকে যাওয়া হয় না। লর্ড হার্ডিঞ্জ থাকার সময় এই ব্রীজটা তৈরি করা হয়। সেজন্য উনার নামেই নাম দেওয়া হয়। পাশেই রয়েছে লালনশাহ সেতু এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ‍্যুৎ কেন্দ্র টাও দেখা যায়। দারুণ লাগছে দেখে দৃশ‍্যটা। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন। এই পদ্মার পাড়টা যেন সময় কাটানোর জন‍্য পারফেক্ট।

 2 months ago 

আমি এবং আমার কলিগ মাঝে মাঝেই ফ্রী সময় পেলে ঘুরতে চলে যায় এই জায়গাটিতে।
বিশেষ করে এখন নদী ভরে উঠছে জোয়ারের পানিতে এখন আরো সৌন্দর্যটা ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

এখন নদীর পাড়ে গেলে অনেক ভালো লাগে। নদীতে বেশ পানি এসেছে। আপনার লাষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে। এক সাথে হার্ডিং ব্রিজ এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখতে পেলাম। দৃশ্যটা খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

 2 months ago 

জি এখন জোয়ারের পানিতে নদী পানিতে ফুলে উঠছে। হার্ডিং ব্রিজ এবং রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সৌন্দর্য আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 59466.22
ETH 2616.54
USDT 1.00
SBD 2.44