রেনডম আলোক চিত্র 📸 ১০%লাজুক শিয়ালকে ❤️
০৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
২০মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
১৮ শাওয়াল , ১৪৪৩ হিজরী
শুক্রবার ❤️
গ্রীষ্মকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
📸📸📸📸
📸📸📸📸
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে মাঝেমধ্যেই বনভোজন করতে ট্রাভেলিং করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই তো মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পড়ি ক্যামেরাটা হাতে করে ফটোগ্রাফির খোঁজে। আজ আপনাদের মাঝে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আমার মতো করে বর্ণনা দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক। |
---|
সোনার ধান
সোনার ধান
লোকেশন:
এখন চলছে রবি মৌসুম মাঠে-মাঠে পেকে আছে হাজার হাজার হেক্টর সোনালী ধান। কৃষকেরা পার করছে ব্যস্তসময় সময়। পাকা ধান ঘরে তোলার আনন্দটা উপভোগ করছে। তারা সব সময় যদিও উত্তরবঙ্গে তিস্তার বাঁধ ভেঙে অনেক ধান নষ্ট হয়েছে। প্রচুরন্ড গরম তার পরেও যেন কৃষকের আনন্দের কোনো কমতি নেই। নতুন ধান ঘরে তোলার জন্য। |
---|
সুপারি কাধি
সুপারি কাধি
লোকেশন:
উপরের ফটোতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি সুপারি কাঁধি। যদিও এটা অনেকের কাছেই অপরিচিত মনে হতে পারে। এটি গ্রামবাংলায় একটি পরিচিত নাম এখন প্রায় সুপারি গাছে নতুন কাধ বের হয়েছে এবং এখান থেকেই পরবর্তীতে গুটিগুটি সুপারি হবে। |
---|
হর বড়ই
হর বড়ই
লোকেশন:
টক মিষ্টি বড়ই সবার পরিচিত এবং খেতে সবাই ভালোবাসি। আর যে ফটোগ্রাফি টা আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি এটি অন্য জাতের বড়ই। যেটাকে আমাদের গ্রাম্য ভাষায় হর বরই বলা হয়। একটি গাছের কান্ড শাখা ডালপালা সব জায়গাতেই ধরে থাকে। ছোট ছোট সাদা প্রথম অবস্থায় কস। তারপরে টক এবং পরবর্তীতে টক-মিষ্টি মিশ্রণ হয়ে থাকে। খেতে খুবই সুস্বাদু বিশেষ করে লবণ দিয়ে মাখিয়ে। |
---|
হাত দিয়ে মাছ ধরা
হাত দিয়ে মাছ ধরা
লোকেশন:
বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল বৃষ্টিপাতের সেই পানি চারিদিক থেকে গুছিয়ে আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মানদীর শাখায় পড়ছিল। যদিও সেখানে একটা কালভাট রয়েছে। আপনারা ফটোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন কিছু বালক ছেলে সেই পানির মধ্যে হাত দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। আমিও ছোটবেলায় এরকম ভাবে অনেকবারই মাছ ধরেছি। মাছ ধরতে আমার খুবই ভালো লাগে। |
---|
জাল দিয়ে মাছ ধরা
জাল দিয়ে মাছ ধরা
লোকেশন:
একই জায়গায় দেখতে পাই জাল দিয়ে মাছ শিকার করা এই জেলে ভাইকে। সবাই হাত দিয়ে ধরছিল উনি জাল দিয়ে ধরছিল। এতে অনারি অনেক সুবিধা হচ্ছিল। এবং উনি সবথেকে বেশি মাছ পেয়েছিল। আমি জাল মেরেছি অনেকবার নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে খুব ভালো লাগে। |
---|
বিদায় বেলার অতিথি পাখি
বিদায় বেলার অতিথি পাখি
লোকেশন:
প্রচন্ড শীত কে অপেক্ষা করে এসেছিল হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এই বাংলায় অতিথি পাখি। আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র 10 মিনিট হেঁটে গেলেই এই অতিথি পাখির মেলায় পৌঁছানো সম্ভব। এত পরিমাণে অতিথি পাখি এসেছে এখানে যা গুনে শেষ করা যাবে না। এটি একটি পদ্মা নদীর শাখা এখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ থাকে। এবং প্রতি বছর এই জায়গাতেই তারা এসে থাকে। এবং মাছ খায়। যদিও প্রশাসন থেকে অতিথি পাখি ধরা নিষেধ আছে। তারপরেও কিছু কুচক্রী মহল রাতের অন্ধকারে ধরতে শুরু করে। এখন প্রায় বিদায়লগ্নে সবাই চলে যেতে শুরু করেছে। তাদের আপন গন্তব্য স্থানে। প্রায় প্রতিদিন বিকেলে এখানে গিয়ে সুন্দর সময় অতিবাহিত করতাম তার চিত্র আপনাদের মাঝে আজ তুলে ধরেছি একটি। |
---|
জোয়ারে খুশি জেলে
জোয়ারে খুশি জেলে
লোকেশন:
একেতো বৃষ্টি দুই নদীতে এসেছে জোয়ার পড়তে শুরু করেছে পদ্মার আশপাশের শাখাগুলোতে নতুন পানি। এতে খুশি জেলে জাল নৌকা নিয়ে ধরতে শুরু করেছে নতুন নতুন সুস্বাদু মাছ। ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম তার মধ্যে পদ্মার পাড়ে বসে ছিলাম হঠাৎ করেই দেখতে পেলাম একজন জেলে নৌকা এবং জাল নিয়ে মাছ ধরছেন। আসলে জোয়ার এলে সবথেকে বেশি খুশি হয় জেলে। কারণ এতদিন ছিল না নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি তাদের দিন কেটেছে খুব কষ্টে ধরতে পারেনি ঠিকমতো মাছ। এখন পানি ফুলে উঠেছে তারা ধরবে বাহারি রকমের মাছ। এতে তাদের আয় হবে প্রতিদিন টাকা। |
---|
কলিজার ছোট ভাই
কলিজার ছোট ভাই
লোকেশন:
মাত্র ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে বেরিয়েছি ফটোগ্রাফি করতে। হঠাৎ দেখি ছোট ভাইটার সামনে কোথায় যেন গিয়েছিল মামার সাথে দাওয়াত খেতে। আমার দেখতেই নেমে গিয়ে বলতেছে ভাইয়া আমার একটা ছবি তোল তো। কি করার তার ছবিটা দিয়েই প্রথম শুরু করেছিলাম ফটোগ্রাফি করা। তাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করছি ভাল লাগবে। |
---|
পড়ন্ত বিকাল
পড়ন্ত বিকাল
লোকেশন:
পড়ন্ত বিকেলে গোধূলির আভা। পদ্মার পাড় থেকেই ফটোগ্রাফি করেছি আমি। আসলে বিকেল বেলা পদ্মার পাড়ে বসে থাকার আনন্দটাই অন্যরকম। যা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। বিশেষ করে সূর্যটা যখন ডুবি ডুবি ভাব চারিদিকে লাল আভা পানিতে পড়ে যেন ঝলমল করে। মাঝে মাঝে আমি এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে থাকি। পদ্মার পাড়ে বসে। আমার খুবই ভালো লাগে আশা করছি এই ফটোগ্রাফিও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
---|
📸📸
📸📸
এই ছিল আজকে আমার রেনডম ফটোগ্রাফি।ফটোগ্রাফি করতে বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে। তাই তো সময় পেলেই ক্যামেরাটা হাতে করে বেরিয়ে পড়ি নতুনের খোঁজে। আমার মতো করে বর্ণনা দিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো আপনার মাঝে শেয়ার করেছি। ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
---|
ডিভাইসঃ Canon 600 d
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলোর কাজের নামো তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য এবং বর্ণনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলা দেখে চমৎকার একটি উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দেখা হবে পরবর্তীতে আবার নতুন কোন পোস্টে
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। পাকা ধান দেখতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া সুপারির কাঁধির ফটোগ্রাফি টা খুব চমৎকার করেছেন। অনেকদিন পর হর বড়ই দেখলাম। এটিকে আমরা রয়েল বলতাম। ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। বড় হওয়ার পর অবশ্য তেমন একটা দেখতে পাই না। যাইহোক আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ঠিকই বলেছেন আপু এই বরইগুলা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে আমিও মাঝে মধ্যেই লবণ দিয়ে মাখিয়ে আয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক খুশী হলাম ধন্যবাদ
আপনি মনমুগ্ধকর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেগুলো দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসম্ভব সুন্দর ছিল। জাস্ট অসাধারণ লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। এখানে আমি কোন টাকে একটু বেশি ভালো লেগেছে বলব তা আমি খুঁজে পাচ্ছিনা। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে শক্তি অনেক খুশি হলাম পরবর্তীতে চেষ্টা করব আরও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য ততদিন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
সত্যিই ভাল লাগার মত কিছু ছবি শেয়ার করেছেন আজ। বিশেষ করে হরবরই নামে যেটা আপনাদের কাছে পরিচিত আমাদের এলাকায় এটাকে রয়াল বলা হয়। টক স্বাদের এই ফলটি আমার কাছে দারুন লাগে। এছাড়া হাত-দিয়ে-মাছ-ধরা, সুপারির কাঁদি সহ প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ হয়েছে। এমন ছবি দেখতে সত্যি ভালো লাগে। ধন্যবাদ
অঞ্চলভেদে এক ফলের একেকরকম নাম হতে পারে তবে এই ফলটি খেতে কিন্তু খুবই মজাদার আমার খুব ফেভারিট ধন্যবাদ ভাইয়া
ওয়াও আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কোনটা রেখে কোনটা প্রশংসা করবো খুজে পাচ্ছিনা। আপনার ছোট ভাইটির দেখতে বেশ কিউট
আমার ছোট ভাই তো অলওয়েজ বেস্ট কিউট। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি পোস্ট গুলো দেখে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ততদিন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এক কথায় অসাধারন ছিল। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বেশি ভালো লেগেছে পাক ধানের ফটোগ্রাফি। তবে আমি হর বড়ই আসলে চিনিনা প্রথম দেখলাম
অঞ্চলভেদে হয়তো এই ফলটির অন্যরকম নাম থাকতে পারে তবে আমাদের অঞ্চলে এটি অনেক সুপরিচিত ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি প্রফেশনাল একজন ফটোগ্রাফার। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি পোস্টটি সুন্দর মত পর্যবেক্ষন করে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্টে
ওয়াও ভাইয়া আপনার তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। এ ধরনের ভালো ফটোগ্রাফি গুলো পোস্ট দেখতে আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লাগে। সুপারি কাধি, হর বড়ই এবং পড়ন্ত বিকেলের ফটোগ্রাফি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার ফটোগ্রাফী গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ মূলক একটি মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য
ভাইয়া আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মন ভরে গেলো, এছাড়াও প্রতিটি রেনডম ফটো গুলোর খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন, আর বন্ধুদের সাথে যেকোনো জায়গায় ঘুরতে আমারও খুবই ভালো লাগে, এবং আপনি সেই সময়টি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয় করেছেন যেটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, সর্বশেষ ছোট্ট কিউট ভাইয়া টার ফটো দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে, পোস্টটি সত্যি অনেক গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণপিয়াসী ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে আর যখনই বাইরে বেরোয় তখন ইহাতে ক্যামেরাটা থেকেই যায় ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে মন্তব্যটি করার জন্য