বাংলা কবিতা ✍️ফুটপাতের শিশু।
২১চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৮মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭রমজান ১৪৪৫ হিজরী
বৃহস্পতিবার।
শীতকাল।
আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
চাঁদের আলো বা রাতের আকাশের সৌন্দর্য আমরা সবাই কিন্তু খুব ভালোভাবে উপভোগ করে থাকি। আকাশের ঝলমলে চাঁদ আর লক্ষ্য করি তারা যেন এক অন্যরকম খুশির অনুভূতি জাগিয়ে দেয়। এই সৌন্দর্যটা কেউ উপভোগ করে রাজপ্রাসাদ থেকে আবার কেউবা ফুটপাতে ভাঙ্গা ঘরে শুয়ে শুয়ে। ঈদের আনন্দ যেমন ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে আমরা কথায় কথায় বলে থাকি আসলে কি তাই?? গরিবের ঘরে বা ফুটপাতে কেমন এদের খুশি বা ঈদ কেমন ভাবে আসে কখনো কি আমরা ভেবে দেখেছি। আমরা একটুতে কখনোই খুশি নয় আরো বেশি বেশি পেতে চাই সবকিছু ঈদের আনন্দকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে । কিন্তু পথের শিশুদের ঈদের আনন্দ যেন ভাঙ্গা ঘর থেকে দেখা ওই এক টুকরো চাঁদের হাসি। যাইহোক আমি আজ আমার কবিতার মাঝে ফুটপাতে বাস করা মানুষের শিশুদের নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করছি কবিতাটি পড়লে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ফুটপাতের শিশু
কেউবা খুশি নতুন জামায়,
কেউবা মুখে ভাতে,
কেউবা ঘুমায় ফুটপাতেতে,
রাজ প্রাসাদ ভেবে।
কেউবা দেখে নতুন স্বপ্ন ঈদ এলোরে,
কুরমা পোলাও রান্না হবে পেট পুরে খাবে,
পথের শিশু ভিষণ খুশি খোলা আশের নীচে।
রাত পোহালে ঈদ হবে একা একা হাসে।
আকাশের তারায় আপন আছে,
তাইতো চেয়ে থাকে,
তারা গুলো আপন জন মনে মনে ভাবে।
ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো ঈদ ঈদ লাগে।
কি বা খাবে কি বা পড়বে নেই কোন ভাবনা,
চাদের আলো দেখেই খুশি ফুতপাতের শিশুরা,
ঝলমলে তারার আলো সবাই তো দেখে
ফুটপাতের এতিম শিশু আপন জন খোজে।
আমাদের তো কত কিছু তবুও খুশি নয়,
আরো পেলে আরে চাই এটাি স্বভাবে বয়।
ওদের দেখ কতো খুশি,কিছুই তো নাই,
পেটের ক্ষুধা পেটেই রয়,তবুও ঠোঁটে হাসি রয়।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
কেউবা মুখে ভাতে,
কেউবা ঘুমায় ফুটপাতেতে,
রাজ প্রাসাদ ভেবে।
কেউবা দেখে নতুন স্বপ্ন ঈদ এলোরে,
কুরমা পোলাও রান্না হবে পেট পুরে খাবে,
পথের শিশু ভিষণ খুশি খোলা আশের নীচে।
রাত পোহালে ঈদ হবে একা একা হাসে।
আকাশের তারায় আপন আছে,
তাইতো চেয়ে থাকে,
তারা গুলো আপন জন মনে মনে ভাবে।
ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো ঈদ ঈদ লাগে।
কি বা খাবে কি বা পড়বে নেই কোন ভাবনা,
চাদের আলো দেখেই খুশি ফুতপাতের শিশুরা,
ঝলমলে তারার আলো সবাই তো দেখে
ফুটপাতের এতিম শিশু আপন জন খোজে।
আমাদের তো কত কিছু তবুও খুশি নয়,
আরো পেলে আরে চাই এটাি স্বভাবে বয়।
ওদের দেখ কতো খুশি,কিছুই তো নাই,
পেটের ক্ষুধা পেটেই রয়,তবুও ঠোঁটে হাসি রয়।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পৃথিবীতে মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। আমাদের অঢল আছে এরপরও আমরা চাই। কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন মানুষ রয়েছে যারা দিনের পর দিন অনাহারে কাটে। যারা এক মুঠো খাবারের জন্য রাস্তায় কেঁদে মরে। রাস্তায় চলার পথে অনেক ফুটপথে কিছু ছেলে মেয়ে দেখা যায় এদের দেখলে আসলে মনটা কেঁদে ওঠে। আপনি আজকে ফুটপাতের শিশুদের নিয়ে খুব চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার লেখা কবিতাটি পড়ে যতটা ভালো লাগলো ততটা মনটাও খারাপ হয়ে গেল। শুধু ওই সব শিশুদের কথা ভেবে।
ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটি পড়ে সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার লেখা ফুটপাতের শিশু শিরোনামের কবিতাটির মাঝে আমাদের সমাজের অবহেলিত শিশুদের বাস্তব চিত্র চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। একই সাথে কবিতার ভাষাগুলো অত্যন্ত সাবলীল হয়েছে। চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অপেক্ষা অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি আমার কবিতার মাঝে ফুটপাতের শিশুদের কিছু সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
আমি পূর্ব অবগত রয়েছি যে আপনি একজন সচেতন ব্যক্তি। হয়তো স্বচক্ষে দেখা বাস্তবতা আপনি মুখ ফুটে বলতে না পারলেও খুব সুন্দর ভাবে কবিতার ভাষায় প্রকাশ করে থাকেন। ঠিক তেমনি আজকে একটি সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেখানে বর্তমানের বাস্তবতা নিহিত রয়েছে। আপনার কবিতা আবৃত্তি করে বেশ ভালো লেগেছে আশা করব এমন কবিতাগুলো মানুষকে খুবই বিবেকবান হিসেবে গড়ে তুলবে।
আসলে বাস্তবতা যেটা দেখি সেটাই আমার কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
লাইনগুলোর সাথে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন হ্যাঁ চোখের সামনেই দেখবেন কোন শিশু নতুন জামার জন্য বায়না ধরেছে আবার এমন শিশু আছে শুধু দুবেলা পেটপুরে খেতে পারলেই খুশি।
আসলে পেটের ক্ষুধা মানুষকে অত্যন্ত যন্ত্রণা দেয়।
যারা ফুটপাতে থাকে বস্তিতে থাকে তারা দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্য কত কিছুই না করে।
আমি শুধু চেষ্টা করেছি তাদের জীবন থেকে কিছুটা কবিতার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
ফুটপাতের শিশুদেরকে নিয়ে আপনি খুব সুন্দর ও সচেতনতা মূলক একটি কবিতা তৈরি করেছেন৷ আসলে তারা যেভাবে সব সময় খাবারের জন্য কষ্ট পেতে থাকে তার থেকে বড় কষ্টের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না৷ এর ফলে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং কেউই তাদেরকে সাহায্য করে না৷ যদি তাদেরকে সাহায্য করত অথবা কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করত তাহলে তারা এই বিষয়টি সমাধানে অনেকটা এগিয়ে যেত৷ আপনি খুব ভালোভাবে আপনার এই কবিতার মাধ্যমে এই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
দেশের কত ধনী ব্যক্তি তো রয়েছে তাছাড়া দেশের সরকার এবং সচেতন মহলের লোকজন যদি একটু তাদের দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে হয়তো তাদের কষ্টটা আরো একটু হলেও করত।
চাঁদের সৌন্দর্য সার্বজনিন ওটা সবার জন্য। চাঁদের সৌন্দর্য যেমন রাজপ্রাসাদ থেকে উপভোগ করা যায় তেমনি করা যায় ভাঙা ঘর থেকে। মানুষের জীবনের দুটি চিএ নিয়ে আপনি কবিতা টা লিখেছেন। কেউ সবকিছু পেয়ে ঈদের আনন্দে মুখর হয় আর কেউ শুধু আশা ভরসা নিয়ে। দুজনের মধ্যে প্রাপ্তির পার্থক্য থাকলেও আনন্দের কোন পার্থক্য থাকে না। দারুণ লিখেছেন কবিতা টা ভাই।
জি ভাইয়া এটাই ঠিক দুজনের মধ্যে প্রাপ্তির পার্থক্য থাকলেও আনন্দের কিন্তু কোন পার্থক্য থাকে না।
ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।