রহস্যময় গল্প ✍️ মহব্বত মামার চা।
১২জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিট করতে গেলেই আমাদের বাংলাদেশে আজ তিন চার দিন ধরে সব থেকে আলোচিত দুটি খবর ভেসে আসছে ।একটা হল ঘূর্ণিঝড় রেমাল আর অন্যটি হলো ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি খুনের তথ্য। এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড় আজ মধ্যরাত অথবা আগামী কাল সকালে আসতে পড়বে উপকূলে। এবং এমপি হত্যার জট এখনো খোলে নি। সব থেকে বড় কথা হলো তকদিরের উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। সৃষ্টিকর্তা যেটা লিখে রেখেছেন সেটা কোন না কোন ভাবে হবে। আর এর থেকেও বড় কথা হলো বিপদ আসার আগেই তার থেকে মাফ চেয়ে পানহা চাইতে হবে। সৃষ্টিকর্তার গুনোগান গাইতে হবে তার নাফরমানি মোটেও করা যাবে না। কেননা যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তিনি আমাদেরকে লালন পালন করেন। আর তার জমিনে থেকে তার দেয়া খাবার খেয়ে যদি তার সাথে বিরোধ করি তাহলে আমাদের উপর বিপদ আসবেই আসবে। পৃথিবীর পথে চলতে গেলে বিপদ আসবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচল করার দরকার রয়েছে। যাইহোক আজ আপনাদের মাঝে একটি সত্য ঘটনা নিয়ে কিছু লিখতে চাই। যদিও ঘটনাটা প্রায় ১০ বছর আগের। আজ পর্যন্ত পুরোপুরি সত্যতা যা আদায় করা সম্ভব হয়নি মানুষের পক্ষে। এই যে রহস্যে ঘেরা ঘটনা আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরব আশা করছি ভালো লাগবে।
মানুষের মধ্যে কি আছে বা একজন মানুষ কি চিন্তা-ভাবনা করছে। বাসে কি করতে চায় বা করছে এটা বোঝা কিন্তু খুবই দুষ্কর। যদিও গানের ভাষায় রয়েছে চোখমুখ দেখে মনের কথা বোঝা যায় আসলে এটা সিনেমা বা গানে কিন্তু মানায়। আসলে বাস্তবতা খুবই কঠিন বাস্তবতায় এসবের ছাপ খুব কমই পড়ে থাকে। একটা পাগল পথ দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে গান গাইছে সে কি আদৌ পাগল না কোন গুপ্তচর সেটা কিন্তু সহজে বোঝা যায় না। পাগলের বেশ পোশাক চেহারা বা খাবার দাবার খাওয়ার অঙ্গী ভঙ্গি দেখে মনে হবে সে আসলেই একজন প্রকৃত পাগল। আর এরকম একজন পাগলের মধ্যেই যে কতটা রহস্য লুকিয়ে থাকে সেটা আমরা দেখেছি বেশ অনেকবার। ভিনদেশী একজন মানুষ হঠাৎ এলাকায় আগমন। যেটাকে আমরা আগন্তুক বলে থাকি। কি জন্য এসেছে কি করতে চায় বা কি করবে এসব গুলো কিন্তু দেখা হলে আমরা আগে তাকে জিজ্ঞেস করে নিন। সরল ভাবে প্রশ্ন সরল ভাবে উত্তর। অথচ এর মধ্যেই কিন্তু অনেক জটিলতা থেকে যায়। যারা গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করে বা গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে এদেরকে চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। অথচ এরা কিন্তু যে কোন মানুষ দেখে কথা বলে আচার-আচনার মাধ্যমে অনেক কিছু বুঝতে পারে।
হঠাৎ করে রাস্তার মোড়ে একটা চায়ের দোকান। দুধ চা সাথে পোড়া রুটি। বেশ নাম গাম ছড়িয়ে পড়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে। অথচ লোকটা কোথা থেকে এসেছে কি তার পরিচয় কেন এসেছে এগুলো কেউই জানে না। হঠাৎ করে কিছু লোক তার দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করল যে আপনার বাসা কোথায়। খুবই সহজ সরল একজন মানুষ বলল আমার বাসা মাগুরা জেলায় আমি খুব ভালো চা বানাতে পারি এবং রুটি পোড়াতে পারি এজন্য আমি এখানে এসেছি ব্যবসা করার জন্য। তো তার কথা শুনে লোকজন মেনে ও নিল। বেশ কিছুদিনের মধ্যে তার পোড়া রুটি এবং চা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠলো। ছোট থেকে বড় ধনী থেকে গরিব নেতা গজা পূজা সবাই গিয়ে এখানে চা এবং রুটি খেতে থাকল। চায়ের দোকান মানে কিন্তু সেখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষের যাতায়াত এবং বিভিন্ন ধরনের গল্প। আমি নিজে থেকে দেখেছি একটা চায়ের দোকানে এমন কোন গল্প নেই যে হয় না। রাজনীতি থেকে শুরু করে কৃষিকাজ সবই চলে সেখানে। যেহেতু সব শ্রেণীর মানুষ এখানে এসে বসে এজন্য এই গল্পগুলো হওয়াটাই স্বাভাবিক। চায়ের দোকানদার এতটাই ভাল মানুষ যে কারো কাছে টাকা না থাকলে সে ফ্রিতেই পোড়া রুটি আর দুধ চা খাওয়াতেন। চায়ের পাশাপাশি দোকানে বিস্কিট ভাজা এবং পান সিগারেট বিক্রি করতেন। একটা সময় চলে আসলো তাকে দেখলে বোঝা যেত না যে সে কোন গুপ্তচর। সে একজন পাকা ব্যবসায়ী হয়ে উঠলো এই এলাকায়। সবার কাছে যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিল সেই সাথে নাম ছড়িয়ে গেল আশপাশ জেলাগুলোতেও।
এখন আসি একটু তথ্য নিয়ে। এখানে ১৯৯৮ সালে একই পরিবারের নয়জনাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এমন নিশংসভাবে হত্যা করা হয় যে কোনটা কার হাত পা মুখ এটা চেনার কোন উপায় ছিল না। আর কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেটারও কোন প্রমাণ ছিল না। প্রমাণ যদি থেকেও থাকতো তাহলে এমন কোন লোক ছিল না তাদের পক্ষে যে এটা নিয়ে আইনি লড়াই চালাবে। এক কথায় তাদের বংশ কে সম্পূর্ণভাবে নির্বংশ করে দেয়ার একটি পরিকল্পনা মাত্র। আর তারপর থেকেই এই এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে করতো। আর এমন ভাবে পরিকল্পনা করে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় মানুষ এমন কোন কিছু খুঁজে পাচ্ছিল না যে যার মাধ্যমে কাউকে সন্দেহ করবে। এক কথায় এমন মাস্টারমাইন্ড প্ল্যান ছিল নিখুঁত এবং নির্ভুল। এই পরিবারের এক সদস্য থাকতো আমেরিকা। তার ছিল তিনটা ছেলে। আমেরিকাতেই লেখাপড়া করেছে এবং পরবর্তীতে তারা বাংলাদেশে চলে আসেন। যে পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হলো সেই পরিবারের অনেক ধন সম্পদ ছিল। তারা আমেরিকা থেকে এসে একে একে এগুলো দখল নিতে শুরু করল। এর মধ্যেই আবার এলাকায় অনেক ফ্যাদের তৈরি হয়ে গেল। অবশেষে তারা কিছু জমিজমা উদ্ধার করল এবং বাকি রয়ে গেল। এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশে বসবাস শুরু করে দিল। এবং তারা তাদের পূর্বপুরুষ হত্যার বিচারের দাবিতে কার্যক্রম ও শুরু করে দিল। এইযে ঘটনাগুলো আমি বললাম সবই কিন্তু চায়ের দোকানকে কেন্দ্র করে সম্পন্ন হবে। রহস্য এবং বিভিন্ন ঘটনায় মোড়ানো এই ঘটনাটি। আমাদের বাঙ্গালীদের কিন্তু অভ্যাস রয়েছে সকাল-বিকাল চা না খেলে মোটেও সময় পার হয় না। এটা অবশ্য ইংরেজদের একটা কৌশল ছিল আমাদেরকে হাতে চায়ের কাপ ধরা দিয়ে তারা আমাদের থেকে অনেক কিছু লুট করেছে। আর বর্তমান সময়ে দেখবেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান। এলাকার পরিবেশও ভালো হয়ে গেল এর মধ্যে চায়ের দোকানটাও ভালোমতো চলাচল করলো। বিভিন্ন দেশ বিদেশ থেকে লোক আসতে শুরু করলো এখানে চা খাওয়ার জন্য। সকাল থেকে নিয়ে মাঝরাত পর্যন্ত চায়ের দোকানটা চলত। আরে চায়ের দোকান থেকেই উদঘাটিত হবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য। যাইহোক এই পর্যন্তই আজ রাখছি আগামী পড়বে আবার আসবো কিছু ঘটনা নিয়ে.........।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]
VOTE @bangla.witness as witness OR >>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.