১৩ফাল্গুন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২৬ফেব্রুয়ারী , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
২৪রজব, ১৪৪৩ হিজরী
শনিবার।
বসন্তকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
![morning-2243465_1280.webp](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcgdh1qKLFdVCaqzJph3juwHewg1HLhxjbTi19zni4F2R/morning-2243465_1280.webp)
source
আমরা সবাই শান্তি প্রিয় শি যেকোনোভাবে আমরা শান্তি পেতে মরিয়া। হোক সেরা টাকাপয়সা, সন্তান-সন্ততি কিংবা ঘরবাড়ি। আসলে আমরা কি চাইলেই সবসময় শান্তিতে থাকতে পারি, আমরা চাইলেই কি শান্তি খুঁজে পাই, না আমরা চাইলেই শান্তি খুঁজে পাইনা?? শান্তি জিনিসটা ঈশ্বরপ্রদত্ত একমাত্র পৃথিবীতে আপনি দেখবেন তারাই বেশি শান্তি পান তাদের সম্পর্কটা ঈশ্বরের সাথে ভালো। যারা সবসময় ঈশ্বরের গুণকীর্তনে ব্যস্ত থাকে।। এবং যারা ঈশ্বর ভীতু লোক। আজকে আমি আমার পোস্টে শান্তি নিয়ে কিছু আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। |
অনেক সময় আমাদের মনটা কেমন অস্থির হয়ে ওঠে ।কোথাও শান্তি খুঁজে পাইনা। অনেক সময় কষ্টগুলো এসে আমাদের বুকে হাহাকার করে।অন্তরের জগৎটাকে খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগে।নিজেদের খুব একা একা মনে হয়। এ ধরনের অনুভূতি আমাদের প্রায়ই হয় তাই না। |
ভাই আমার এমন অনুভূতি হলে আমরা সাধারণত কি করি??? তখন বন্ধুদের খুঁজে বেড়াই আড্ডা দেয়ার জন্য। কেউবা মোবাইলে গেমস খেলেন। কেউ গান শুনে,মুভি দেখে সাময়িক প্রশান্তি লাভ করার চেষ্টা করি। কিন্তু এসব করে কি মনের কষ্ট দূর হয়?? না হয় না বরং আরো বেড়ে যায়। প্রিয় ভাই আমরা হাসি আমাদের হাঁসি গুলো কি অন্তর থেকে আসে?? আমাদের হাসি খুশি গুলো লোকদেখানো!! আমরা আসলে মন থেকে হাসতে পারিনা😅 |
ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার জন্য আমরা ঘুরতে গিয়ে কিংবা কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর ছবি তুলি হাসি মাখা মুখে!! ফেসবুকে আপলোড করে আমরা মানুষকে বোঝাতে চাই আমরা সুখি😁😁 কিন্তু এটা কি বাস্তবতা। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় শেষে যখনই রাতে ঘুমাতে যাই, যখনই আমরা একটু একা হই হতাশাও পেরেশানি আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। কিন্তু কেন কেন আমাদের জীবনটা এত এলোমেলোমনে হয়।। |
আমার লেখাগুলো মন দিয়ে পড়ুন। আপনার অন্তর অস্থির হয়ে আছে। কারণ আপনার অন্তর ক্ষুধার্ত। আমাদের শরীর যেমন ক্ষুধার্ত হয় তেমনি ভাবে আমাদের অন্তরও।আপনার ক্ষুধা পেলে পেটপুরে ইচ্ছেমতো খান, খিদের জ্বালা মেটানো জন্য।আপনার অন্তর খিদে পায় আপনি কি কখনো ভেবেছেন?? সৃষ্টিকর্তা মানুষের অন্তর এমন ভাবে বানিয়েছেন।যখন সে খাবার পায় না তখন সে অস্থির হয়ে ওঠে।। তখন আপনার অন্তর শান্তি পায় না। |
এখন প্রশ্ন হল পেটে খিদে পেলে আপনি কিছু না কিছু খেয়ে খিদের জ্বালা মেটানো কিন্তু অন্তরের ক্ষুধা আপনি কিভাবে মেটাবেন?? আমার ভাই আপনাকে আন্তরিক হতে হবে। আপনার একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন।আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। যতক্ষণ আপনি তার দিকে ফিরে না আসবেন,তার হুকুম পালন না করবেন।একটু ভাবুন তো আপনি যদি এখনি মৃত্যু বরণ করেন কি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য???? |
যত দিন আপনি আপনার প্রভুর হুকুম মেনে চলবেন ততদিন সুখশান্তি আপনার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হবে।যারা সর্বদা শ্রোষ্টার সান্নিধ্য উপভোগ করেন তার গুণ বর্ণনা করেন, এই অন্তর প্রশান্ত হয়। প্রিয় ভাই আপনি প্রার্থণার মাধ্যমে শ্রোষ্ঠার নৈকট্য অর্জন করার চেষ্টা করুন।। আপনি অনুভব করুণ তিনি আপনার সাথে আছেন। আপনি আগে কখনো অনুভব করেছেন কি??? আপনি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে প্রশান্তি তখনি পাবেন যখন তার সানিধ্য লাভ করতে পারবেন।। |
আপনি কি দুনিয়ার কোনো দুশ্চিন্তা ভুলে থাকতে পারেন??না পারেন না আপনাকে সবসময় তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।আপনি তার হুকুম পালন করুন তিনি আপনাকে দুনিয়ার সব সমস্যার সমাধান করে দেবে।ফিরে আসুন আপনার রবের দিকে।হয়তো এখন ভালো আছি কিছু সময়ের ব্যবধানে লাশে পরিণিত হতে পারি।। |
শেষ কথা
সবকিছুই যেমন আমরা চাইলে পাইনা কিছু জিনিস আমাদের না পাওয়াই থেকেই যায়।শান্তি জিনিসটাও ঠিক এরকম আত্মতৃপ্তি মনের শান্তি সবই নিজের উপর নির্ভর করে। আমি যে রকম কর্ম করব ঠিক সেই রকমই আমার কাছে শান্তি টা ফেরত আসবে। কারণ শান্তি জিনিস টা সম্পূর্ণটাই ঈশ্বর প্রদত্ত। যে যে ধর্মের অনুসারী হই না কেন আমরা সবসময় চেষ্টা করব ঈশ্বরের দেওয়া আইন গুলো পালন করার। এবং তার দেওয়া বিধান অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করার। |
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
সত্যি ভাই অসাধারন লিখেছেন এবং জ্ঞান অর্জনের একটি বার্তা মনে করছি আমি। আপনি অনেক সুন্দর করে শান্তির খোঁজে অসাধারণ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবং সেটি আমাদের কে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আমাদের পেটের খোরাক যদিও আমরা নির্ধারণ করি কিন্তু আমাদের মনের ক্ষুধা নিবারণ আমরা কিভাবে করব। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছে এবং কি আমাদের মনের ক্ষুধা নিবারণ করতে হলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার অনুগত্য হতে হবে। ভাই আপনার ব্যাখ্যাগুলো যথেষ্ট সুন্দর ছিল এবং খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। আর এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনার কমেন্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট আমাকে উপহার দিয়েছেন আমার ব্লগ টি পড়ে যদি আপনার এতোটুকু উপকারে আসে তাহলে আমার লেখাটা সার্থক ধন্যবাদ আপনাকে
ভাই আপনার কথাগুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আসলেই পরিপূর্ণ শান্তি আসতে পারি কেবল সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে। দিনশেষে মানুষের জন্য তথা ধর্মের কাজ গুলো যদি একটু করা যায় তখন যে শান্তি তা পাওয়া যায় তা অতুলনীয়। বিক্ষিপ্ত মনকে কেন্দ্রীভূত করার জন্য সৃষ্টি কর্তার প্রার্থনার কোন বিকল্প নেই। ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
খুবই ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে।।
ভয় করুন সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করার মত আর সৃষ্টিকর্তার পাঠানো বিধান অনুযায়ী জীবনটাকে পরিচালনা করার চেষ্টা করুন ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপনি।আপনি অনেক সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।আমি মনে করি সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করলেই আসল শান্তি পাওয়া যায়।শুভকামনা রইলো।
আপনার কমেন্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার ব্লকটি পরে যদি আপনার এতোটুকু উপকার হয় তাহলে লেখাটা সার্থক ধন্যবাদ আপনাকে
ভাই শান্তি আসলেই আল্লাহ পদত্ত। এক মাসে কোটি টাকা ইনকাম করে শান্তিতে নাই, আবার কেউ মাসে ১০ হাজার টাকা দিয়ে খুব শান্তিতে দিন কাটাচ্ছে। দিন শেষে যাদের মধ্যে আত্মতৃপ্তি আছে তারাই শান্তিতে থাকতে পারে। লোভ লালসা কখনোই শান্তি দিতে পারে না। তাই আমাদের সঠিক পথে চলতে হবে, অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর একটি কমেন্ট আমাকে উপহার দিয়েছেন আপনার যদি সামান্য অনুভূতি জাগে আমার ব্লকটি পড়ে তাহলে আমার লেখাটি সার্থক
আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয়ে পোস্ট করেছেন আপনার প্রতিটি শব্দ অনেক ভাল ছিল আপনার কথার সাথে সহমত প্রকাশ করছি সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে সকল শান্তি সকল কিছু অনুভব করা যায় সৃষ্টিকর্তা সবার মধ্যে শান্তি পূর্ণতায় পরিপূর্ণ করে দিক এটাই প্রত্যাশা করি ধন্যবাদ আমাদের সাথে গল্পটি শেয়ার করার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে আপনি আমার লেখাটি পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট আমাকে উপহার দিয়েছেন এবং পুরো বিষয়টি সুন্দর মত বুঝতে পেরেছেন
এই ব্যস্তময় জীবনে শান্তির পিছনে ছুটে একটু শান্তি খোঁজা খুবই কষ্টকর বিষয়।এটি নিজের উপর নির্ভর করে যে আমি কতটা শান্তিতে আছি।যদি আমি অভাব বোধ করি তাহলে কখনো শান্তি পাবো না, কিন্তু আমি যদি ভাবি আমি সুখী মানুষ তাহলেই এটাই শান্তি।আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে যে আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন আমার লেখা পড়ে যদি আপনার জীবনে সামান্যতম প্রভাব পড়ে তাহলে আমার লেখাটা সার্থক
আমার মতে মনে শান্তি বড় শান্তি। আমি বিশ্বাস করি সৃষ্টিকর্তাকে প্রার্থনা করলে মনের শান্তি পাওয়া যায়। মনের সব আশা আকাঙ্ক্ষা ইচ্ছে পূরণের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে হয়। সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জ্বী ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা মাধ্যমে সবকিছু চাইলেই মিলবে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট আমাকে উপহার দেয়ার জন্য
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান 💚
অসাধারণ লিখেছেন ভাই। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে আপনার পোস্টটি। এই দুনিয়াতে আমরা সবাই শুধু শান্তির পেছনে ছুটতে আছি। আসলে কে কখন কোথায় শান্তির দেখা পায় কেউ জানে না। আপনি সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাই আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে আপনার পোস্টটি। খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন বাস্তবধর্মী। এরকম সুন্দর একটি বাস্তবধর্মী পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আমরা সবাই শান্তি খুঁজে ফিরি কিন্তু শান্তিরাজ এখান থেকে আসে তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগই নেই।।
আমার বিষয়ভিত্তিক লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
আসলেই আমরা যতদিন ইশ্বরের পথে না চলব ততদিন আমরা শান্তি খুজে পাবো না। মানসিক ভাবে শান্তি পেতে হলে আমাদের অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার পথ ই অনুসরন করতে হবে। আমাদের যত সমস্যা আছে সব তিনিই সমাধান করে দেবেন। এই বিশ্বাস টুকু রাখতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয়ে লেখনী উপহার দেয়ার জন্য। ভাল থাকবেন।
আমি আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত মানসিক ভাবে শান্তি পেতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুসরণ করতে হবে।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি সম্পূর্ণ ব্লক টিপ পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট আমাকে উপহার দিয়েছেন