জেনারেল রাইটিং ✍️ ন্যায় বিচার।
১১ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৪ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৩শাবান ১৪৪৫ হিজরী
শনিবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
Sourcetari
পৃথিবীর মানুষ যেমন ক্ষণস্থায়ী জীবন নিয়ে বিচরণ করছে ।তেমনি পৃথিবীটাও ক্ষণস্থায়ী। কেউ চিরদিন থাকবে না তবে রেখে যাওয়া তার কাজের প্রতি ছবিগুলো ভাসতে থাকবে পৃথিবীতে। ভালো কাজ করলে মৃত্যুর পরেও লোকজনের মাঝে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। খারাপ কাজের মাধ্যমে মানুষ মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে তবে সেটা ঘৃণার পাত্র হয়ে। পৃথিবী পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা পৃথিবীর মানুষ সবাই একরকম নয় কেউ ভালো কাজ করে কেউ খারাপ কাজ করে। ভালো কাজ করে যেমন মানুষ পুরস্কৃত হয় তেমনি খারাপ কাজেরও বিচার হয়। সমাজের যারা প্রভাবশালী বা ক্ষমতাবান এদের আওতাভুক্ত রেখেই মানুষের বিচারালয় সম্পন্ন করা হয়। সুষ্ঠু সঠিক এবং ন্যায়বিচার এর মাধ্যমেই পৃথিবীতে শান্তি বিরাজমান থাকবে। পৃথিবী তখনই ধ্বংসের দিকে চলে যাবে এবং উত্তপ্ত হতে থাকবে যখন ন্যায় বিচার থাকবে না। যে শোষণের শিকার হবে অবশ্যই সে পরবর্তীতে চেষ্টা করবে এটার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। আর এরকম ভাবেই পর্যায়ক্রমে পৃথিবীতে অন্যায় অত্যাচার বাড়তে থাকবে। যা হোক আমি আজ আমার পোষ্টের মাধ্যমে ন্যায় বিচার সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরব আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বিচার এবং বিচারকদের কে কেন্দ্র করে মানুষের জল্পনা কল্পনা অভিযোগ আর প্রশংসার শেষ নেই। তবে প্রশংসার থেকে বর্তমান সময়ে বদনামের ভাগি বেশি। কেননা বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি চারিদিকে শুধু অন্যায় অত্যাচার আর অন্যায়ভাবে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হচ্ছে। যার দলে লোক বেশি যার ক্ষমতা বেশি যার টাকা বেশি বিচার যেন তার ঐকিক সম্পদ। দুর্বল মানুষের উপর বর্তমান সময়ে অবিচার করা হচ্ছে অহরহ। এগুলো দেখার মত যেন কেউ নেই প্রভাবশালীদের কথা নিয়ে বিচার এবং বিচারকগণ ওঠাবসা করে। কেউ আছে আর বাঁচানোর জন্য কেউবা সম্মান বাঁচানোর জন্য আবার কেউ বা টাকার জন্য ন্যায়কে অন্যায় এবং অন্যায়কে নাই বলে রায় দিচ্ছে।
আমাদের মধ্য থেকে দায়িত্ববোধ মূল্যবোধ এবং ন্যায় বিচার করার মন মানসিকতা একদমই নেই। আমরা বর্তমানে টাকাকে প্রভু মনে করি। যেদিকে টাকার পাল্লা ভারী হবে সেই দিকেই বিচারটা করে যাবে এটাই বর্তমান সময়ের বিচারের প্রধান কলকাঠি। যখনই মানুষ টাকা কেন্দ্রিক সবকিছু চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করে দিয়েছে আর ঠিক তখনই মানুষের মধ্য থেকে ন্যায়পরায়ণতাটা উঠে গেছে। আর এর মাধ্যমেই সমাজে অন্যায়টা আস্তে আস্তে আরো ভালোভাবে জোরালো হয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
এখন আপনাদের মাঝে একটি উদাহরণ তুলে ধরব আসলে ন্যায় বিচারটা কিভাবে করতে হয়। কেননা বর্তমান সময়ে আমরা অন্যায় বিচার দেখে দেখে অভ্যস্ত নেয় বলতে যে কোন জিনিস আছে এটা ভুলে গেছে। এমনকি আমরা প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকেও কখনো মেয়েটাকে নেয় এবং অন্যায় টাকে অন্যায় বলার সাহস রাখে না। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এবং মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাঃ ছিলেন কুরাইশ বংশের। সেই সময় আরব উপমহাদেশের সবথেকে স্বনামধন্য ছিলেন তারাই। তিনি যখন নবুয়ত লাভ করলেন এবং আল্লাহর দেওয়া সমস্ত বিধান পেয়ে গেলেন ঠিক তখনকারই একটি ঘটনা বলব। কুরাইশ বংশের এক মহিলা একবার চুরি করল। এবং লোকজন বলাবলি করতে লাগলো এবার এই মহিলার হাত কাটা হবে এবং সেই সাথে কুরাইশ বংশের মান সম্মান ধোনির সাথে মিশে যাবে। তখন সবাই বলেছিল এটা যেন না হয় এবং ওসামা বিন জায়েদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে রসূল সাল্লাল্লাহু সালামের কাছে সুপারিশের জন্য পাঠানো হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এই কথা শুনে অনেক রাগান্বিত হয় এবং বলেন যদি আমার মেয়ে ফাতেমা ও এই চুরি করত তাহলে এর জন্য আমি ন্যায় বিচার করতাম এবং হাত কেটে দিতাম। এগুলো একজন বিচারকের কথা। এরকম বিচারক যদি এখন আমাদের সমাজেও থাকতো তাহলে মেয়েকে নেয় এবং অন্যায়কে অন্যায় বলে আমরা সাব্যস্ত করতে পারতাম।
শেষ কথা বলে যাই আমরা আমাদের প্রত্যেকের জায়গা থেকে সব সময় যদি মেয়েকে নেয় এবং অন্যায়কে অন্যায় বলে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারব। কেননা পৃথিবীতে ততদিনই শান্তি থাকবে যতদিন ন্যায় বিচার থাকবে। অন্যায় অত্যাচার এবং জুলুমের পরিমাণ বেড়ে গেলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা বেজার হবেন এবং আমাদের উপর বিভিন্নভাবে বিভিন্ন গজব নাজিল করবেন। এজন্য আমরা নিজেরা সচেতন হই এবং যার যার জায়গা থেকে সে প্রতিবাদ করতে থাকি।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
আপনি তো দেখছি বিচার-বিচারকদের কে কেন্দ্র করে আজকের এই পোস্ট অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। এরকম টপিক নিয়ে পোস্টটা লেখার কারণে আমার কাছে পড়তে খুব ভালো লেগেছে।ন্যায় বিচার করা সব থেকে বেশি প্রয়োজন। পৃথিবীতে এমনিতেই কিন্তু অনেক বেশি অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম বেড়ে গিয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাই। এই টপিক নিয়ে সুন্দর করে পুরো পোস্ট লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার সুন্দর সুন্দর পোস্টগুলো সব সময় দেখার এবং পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলে ভাই সচরাচর আমাদের সামনে যেটা দেখতে পাচ্ছি ঠিক সেটাকে কেন্দ্র করে আজকের লেখাগুলো লেখার চেষ্টা করেছি।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। আসলে বাস্তবিক জীবনে এখন এই বিষয়গুলো নিয়ে লেখার জন্য অনেকটা সাহসের প্রয়োজন হয়৷ আপনি আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে খুব সাহসিকতার সাথে সুন্দর সুন্দর কিছু কথা ফুটিয়ে তুলেছেন৷ যেভাবে প্রতিনিয়ত অন্যায় অত্যাচার বেড়ে যাচ্ছে এর ফলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অন্যায় বিচারের মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছে৷ ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য সকলেই অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
যেভাবে প্রতিনিয়ত অন্যায় অবিচার বেড়ে চলছে এজন্য আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে সচেতন হতে হবে যার যার জায়গা হতে চেষ্টা করতে হবে সাধ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ করা।
একদম ঠিক বলেছেন৷ যদি আমরা সব সময় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি তাহলেই আমাদের জীবনের সার্থকতা৷
দিনে দিনে অন্যায় অত্যাচার যেন বেড়েই চলেছে। ন্যায় বিচার যেন কোথাও দেখা যাচ্ছে না এবং কি কারো কাছে পাওয়াই যাচ্ছে না। ন্যায় বিচারের জন্য আবার অনেকেই অনেক কিছু করে। ন্যায় বিচার যতদিন থাকবে পৃথিবীটা সুন্দর থাকবে এবং কি ভালো থাকবে। আর সেখানে কোন রকম অন্যায় হবে না তাহলে। কিন্তু এখন তো অন্যায় অনেক বেশি হচ্ছে, কিন্তু সেই অন্যায়গুলোর ন্যায় বিচার হচ্ছে না। আপনার লেখার মধ্যে ছিল বাস্তব জীবনের সুন্দর কথাগুলো। যেগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে।
আসলে অন্যায় তো হবে কিছু লোক তো সমাজে এরকম পাপাচার থাকবেই।
আমাদের উচিত প্রত্যেকের জায়গা থেকে সোচ্চার হওয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মানুষ মরে গেলেও তার কর্মের কারণে মানুষের কাছে বেঁচে থাকে। হয়তোবা ভালো কাজের জন্য মানুষ ভালো সম্মান পেয়ে থাকে মৃত্যুর পর। আর খারাপ কাজের জন্য ঘিনার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকে। আর মানুষ যদি বিবেক বুদ্ধি খরচা করে সেটাই সবার জন্য উত্তম। আর বর্তমান সময়ে ন্যায় বিচার নিয়ে চলে ব্যবসা। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আমাদের উচিত আমাদের বুদ্ধি ঠিক করে সব সময় চলাফেরা করা।
আইনে সবার জন্য সমান সেটা বোঝানো এবং সবার সাথে সদয় ব্যবহার করা।