জমিদার বাড়ি ভ্রমন পাবনা পর্ব -১( beneficiary 10% @shy-fox)
আসসালামু আলাইকুম।
আজ ২১ ই ভাদ্র - ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
রবিবার -শরৎকাল।
আশা করি সৃষ্টি কর্তার অসেস কৃপায় আপনারা সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।
জমিদার আজিম চৌধুরীর বাড়ির কিছু ইতিহাস
কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে পাবনা জেলা সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে প্রায় ২৫০ বৎসর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন মুসলিম । জমিদার আজিম চৌধুরীর নামে জমিদার বাড়িটির নাম হলেও এই জমিদার বাড়িটির মূল গোড়াপত্তনকারী হচ্ছেন জমিদার আজিম চৌধুরীর পিতা রহিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনিই এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা যায়। জমিদার বাড়িটি আজিম চৌধুরীর নামে হওয়ার কারণ হল। তিনি যখন এই জমিদার বাড়ির জমিদারি পান তখনই এই জমিদার বাড়িটি বিস্তার লাভ করে। তিনি তার জমিদারির সময় ৩টি নীল কুটির স্থাপন করেন দুলাই গ্রামে এবং তিনি জমিদার হয়ে ও তার প্রজাদের সথে মালিকের মত আচারন কখনোই করতেন না।তিনি সব সময় প্রজাদের সুখ দুঃখের সাথি হয়ে থাকতেন এই জমিদার বাড়িটি একটি দুই তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ এখন অবশ্য দ্বিতীয় তলা প্রায় বিলিন প্রথম তলা কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। এটিতে অনেক দরজা ও এগারটি গেট রয়েছে। একটি আয়াতাকার বিশাল দিঘিদ্বারা সম্পূর্ন জমিদার বাড়ীটি ঘেরা,যাতে করে বাহির থকে কোন শত্রু পক্ষ আক্রমণ করতে না পারে। জমিদার বাড়ির ভেতরে একটি পুকুর একটি মসজিদ ও অন্দরমহলে একটি পুকুর রয়েছে যেটি এখন প্রায় মৃত।পুকুর কে ঘিরে রয়েছে অনেক রহস্যময় ঘটনা। লোক মুখে শুনতে পেলাম জমিদার বাড়িটির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মূল ফটোকে দুটি হাতি ও কামান ও সবসময় সন্যবাহিনী মোতায়েন করা থাকত । কথিত আছে জমিদারী আমলে বর্তমান পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় এই জমিদার বংশধরদের মত আরেকটি জমিদার বংশ ছিল। যা ছিল হিন্দু জমিদার। হিন্দু জমিদার বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর সাথে এই মুসলিম জমিদার আজিম চৌধুরীর বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল।
কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে পাবনা জেলা সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে প্রায় ২৫০ বৎসর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এইটা হচ্ছে মুল জমিদার বাড়ির এড়িয়ার প্রধান গেট। গেটর সাথেই জমিদার আজিম চৌধুরীর নামে তার বংশধররা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তুলেছে।
মূল এড়িয়া গেট দিয়ে প্রাসাদের মূল গেট পর্যন্ত পথ। চারিপাশে ফুলের বাগান আর সৌন্দর্যর বিস্তার।
প্রসাদের মূল গেট। এই গেইট দিয়েই রাজ বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়।
জমিদার আজিম চৌধুরীর প্রতিষ্টিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।
W3W:
https://w3w.co/healthcare.ferrying.publics
Divice realme
খুব সুন্দর ভাবে পোস্টটি বর্ণনা করেছেন। প্রথমত চৌধুরী বংশ সম্পর্কে জানতে পারলাম এরপর জমিদার বাড়ি সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই।
অনেক পুরনো একটি স্থাপনা। অনেক মজবুত ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
আপনার পোস্টটি খুব ভালো হয়েছে।ছবি গুলো ভালো তুলেছেন।স্থাপনা গুলো কি এমনি এমনি ভেঙে গেছে নাকি ভাঙ্গা হয়েছে?
একা একাই স্থাপনা গুলো ভেঙে পরছে মসজিদের ইমাম এর সাথে কথা বলে জানতে পারলান।
ধন্যবাদ
পাবনার জমিদার বাড়িতে গিয়েছিলাম সত্যিই অদ্ভুত নিদর্শন এত বছর পরও এত মজুমদার দাঁড়িয়ে আছে। যাই হোক আপনি উপস্থাপনাটি অনেক ভালো করেছেন তবে প্রত্যেকটি ছবিতে আপনি লোকেশন ব্যবহার করলে আরো ভালো হতো। আশা করি পরবর্তী পোষ্ট থেকে লোকেশন ব্যবহার করবেন এবং চেষ্টা করবেন, পর্ব আকারে না করে একটি পোস্টের মধ্যে সম্পন্ন লেখার। গল্প বড় হলে সে ক্ষেত্রে আপনি পর্ব হিসেবে লিখতে পারেন কিন্তু এরকম দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়া এগুলো পর্ব আকারে না দিলেই ভাল হয়।
আমি ভুল করে লোকেশন আর ডিভাইস না দিয়েই পোস্ট করে ফেলেছিলান। আপনার কমেন্ট পাওয়ার পর সেটা বুঝতে পারলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্যার আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চৌধুরী বংস সমন্ধে আপনি অসম্ভব সুন্দরভাবে বর্নণা করেছেন।চৌধুরী বংসের মূল কথাগুলো আপনি তুলে ধরেছেন। আপানার পোস্টটি পড়ে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ স্যার।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।