ভাতিজার উপবৃত্তির টাকায় মিষ্টি খাওয়ার ধুম 😋😋
২৬পৌষ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১০জানুয়ারী , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৭জমাদিউল সানি, , ১৪৪৪ হিজরী
মঙ্গলবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🥞🥞
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করছি। বেশ কয়েকদিন প্রচুর ঠান্ডা পড়ার পরে এখন অবশ্য মোটামুটি ভালো সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছে সকাল থেকেই। যার কারনে আমরা সবাই মিষ্টি রোদ উপভোগ করতে পারছি সাথে ভিটামিন ডি ফ্রি। আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি ভাতিজার উপবৃত্তির টাকা দিয়ে মিষ্টি খাওয়ার কিছু মুহূর্ত। কোন খুশির সংবাদ এলেই আমরা আগে যেটাকে খাবার হিসেবে বুঝি তাহলো মিষ্টি। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই কিন্তু শুভ কাজে মিষ্টি আগে রাখার চেষ্টা করে আমি দেখেছি। যাহোক মিষ্টি কিন্তু আমার খুবই প্রিয়। মিষ্টি দেখলে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখা কষ্টকর। আমার মত হয়তো অনেকেই এখানে আছেন যারা মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসেন।
🥞🥞
গল্পটা একটু পেছন থেকে শুরু করতে হবে না হলে আপনারা বুঝতে পারবেন না। বড় ভাইয়ের ছেলে নাম মারুফ হোসেন। ২০১৭ সালে কৃতিত্বের সাথে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে সেই সাথে উপবৃত্তিও হয়ে যায়। যে মাসে ওর উপবৃত্তি হয় ওই মাসেই ওর আম্মা মারা যায়। একবার টাকা পেয়েছিল হ্যান্ড ক্যাশ। তারপরে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা হয় তার মাধ্যমে টাকা নেবে। কিন্তু ওই সময় ভাবীর মৃত্যুতে সবাই অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিল যার কারণে ও যে পরবর্তীতে আর টাকা পাবে কি পাবে না অ্যাকাউন্ট একটিভ হলো কি হলো না এই বিষয়ে আমাদের আর কোন নজরই ছিল না।
🥞🥞
এখন অবশ্য ও দশম শ্রেণীতে পড়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণীতে গোল্ডেন প্লাস পেয়েছিল যার কারণে উপবৃত্তিটা হয়েছিল সেখান থেকে আবার উপবৃত্তি পায়। কিন্তু ক্লাস ফাইভ এর উপবৃত্তির কথা ওনার স্মরণেই নাই টাকা পাবে কি পাবে না একথাও ভুলে গিয়েছে। হঠাৎ করে গত পরশুদিন ওর মোবাইলে একটা এসএমএস আসে। ওই smsটি ও আমার কাছে নিয়ে আসে দেখানোর জন্য।
🥞🥞
এসএমএসটা ছিল ইসলামী ব্যাংকের। ওর উপবৃত্তের টাকা সংক্রান্ত মেসেজ। আমি পরেই বুঝতে পেরেছি যে ও টাকা পেতে যাচ্ছে 9000 হাজার। ও আমাকে বলতেছে যে আমার তো অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাসওয়ার্ড বা ফিঙ্গার কোনটা কিভাবে হয়েছে আমার কিছুই মনে নেই তাহলে আমি টাকা উঠাবো কিভাবে। আমার একজন ফ্রেন্ড ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করে যার কারণে ওকে ফোন দিয়ে আমি খুব সহজেই সবকিছু জানতে পারি যে কিভাবে টাকা উঠানো যাবে।
🥞🥞
এর জন্য ওকে একটি কন্ডিশন দিয়ে যে আমাকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে সব টাকা আমি উঠায়ে দিতে পারব। ও আমাকে বলে যে কাকু আপনাকে দু কেজি মিষ্টি খাওয়াবো যদি আপনি আমার সব টাকা তুলে দিতে পারেন। তো পরবর্তীতে ব্যাংকে গিয়ে ভাইয়ের সাথে ওকে আর মোবাইল নিয়ে গিয়ে মোবাইল নাম্বার দিয়ে সার্চ করে একাউন্ট এনে ওর আব্বার ফিঙ্গার দিয়ে টাকা তুলে ফেলি।
🥞🥞
টাকা তুলে পরের দিন সন্ধ্যাবেলায় দুজন বাজারে চলে যায় মিষ্টি খাওয়ার জন্য। আমিও সেই সুযোগের মিষ্টির দোকানের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে ফেলি এবং এই গল্প দিয়ে একটি ব্লগ লিখে ফেললাম। মিষ্টি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সব মিষ্টি একটা একটা করে দুজনে খেয়েছি। অবশ্য এত মিষ্টি খাওয়ার পরে ওই দিন রাতে আর আমাদের ভাত খেতে হয়নি।
🥞🥞
আপনারাই বলুন ফ্রিতে মিষ্টি খাব তাও যদি আবার কম খায় তাহলে কেমনে হয়। তাইতো একটু ৮-৬০ বেঁধে বেশি করেই খেয়েছি। আসলে সত্য কথা বলতে গেলে মিষ্টি আমার খুবই ফেভারিট যার কারণে খেতে গেলে কখনো কম খাই না। যাহোক ভাতিজার তো সামনে এসএসসি পরীক্ষা আপনাদের কাছে দোয়ার প্রার্থনা করছি ও যেন এসএসসি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের সাথে ফলাফলটা আনতে পারে। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেলে অবশ্যই আপনাদেরকে ভার্চুয়ালি মিষ্টি খাওয়ানো হবে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হয়তো মায়ের মৃত্যুর কারণে আর সেই বিষয়গুলো ভালোভাবে খেয়াল করেনি। তাই তো একাউন্টে টাকা গুলো জমা ছিল। আবারও যেহেতু উপবৃত্তি পেয়েছে তাই খবরটি জেনে ভালো লাগলো। আসলে আপনি এবং আপনার বন্ধু সহযোগিতা করেছিলেন বলেই হয়তো সেটা সম্ভব হয়েছে। দোয়া করি সে যেন এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে।
মূলত কারণ ওইটাই ছিল হঠাৎ ওর মায়ের অকাল মৃত্যুতে আমরা সবাই ভেঙ্গে পড়েছিলাম যার কারণে ওর উপবৃত্তির কথাটা ভুলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।।
প্রথমে আপনার ভাতিজার জন্য দোয়া রইল যাতে সে এসএসসিতেও ভালো রেজাল্ট করতে পারে সে দোয়াই করি। আপনার পোস্টটি পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনার ভাতিজা পড়ালেখায় খুবই ভালো।আপনার বন্ধু ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করার কারণে টাকাগুলো তাড়াতাড়ি কোন ভোগান্তি ছাড়াই তুলতে পেরেছেন। শুভকামনা রইল আপনার ভাতিজার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার ভাতিজির জন্য সুন্দর প্রার্থনা করার জন্য। এটা অবশ্য ঠিক যে আমার বন্ধুর জন্যই খুব সহজে টাকাগুলা তুলতে পেরেছি।।
ভাই আপনার ভাতিজার উপবৃত্তির মিষ্টি একাই খেলেন আমি কিন্তু অনেক মিষ্টি পছন্দ করে খেতে আমি খেতে না লেখায় ২০ থেকে ২৫টা মিষ্টি খেয়ে ফেলি। যাহোক আপনার তোলা ফটোগ্রাফি মিষ্টি গুলো দেখে কিন্তু আমার খুব লোভ হয়েছে। আপনার ভাগ্নে এবং মায়ের সম্পর্কে পড়াগুলো পড়ে আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমি দোয়া করি আপনার ভাগ্নে অনেক অনেক বড় হোক। আবারো বলে আপনারা মিষ্টি গুলো খুবই লোভনীয় ছিল।
মিষ্টি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার আপনারও খুব ফেভারিট জানতে পেরে খুশি হলাম আসলে আপনার মত আমিও মিষ্টি পেটুক। যাহোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য
ভাইয়া আপনার ভাতিজার জন্য অনেক খারাপ লেগেছে কারণ এত সুন্দর একটি মুহূর্তে তার মা মারা গিয়েছে। হয়তো তার মা বেঁচে থাকলে এত সমস্যা হতো না। যাই হোক এত দিন পরে হলেও আপনার ভাতিজা এতগুলো টাকা পেয়েছে। খুশির আনন্দে আপনি তো দেখছি অনেক মিষ্টি খেয়েছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
আসলে ওর মায়ের মৃত্যুতে আমরা সবাই অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলাম যার কারণে বিষয়টি ভুলেই ছিলাম তবে হঠাৎ করে টাকাগুলা পেয়েও খুব খুশি হয়েছে আর মিষ্টির কথা কি বলব অনেকগুলা মিষ্টি খেয়েছি আমি তো।।
দারুন গল্প লিখেছেন ভাইয়া। আপনার ভাতিজা ক্লাস ফাইভ থেকে উপবৃত্তি পাওয়ার কারণে টাকাগুলো জমা হয়ে গিয়েছে এবং একসাথে তুলতে পেরেছে দেখে হয়তো অনেক বেশি খুশি হয়েছে। আপনিও বেশ মজা করে পেট ভরে মিষ্টি খেতে পেরেছেন। আপনার মত মিষ্টি প্রেমি অনেক মানুষই আছে যাদের বসিয়ে দিলে হয়তো ২ কেজি মিষ্টিও খেয়ে ফেলতে পারবে, হাহাহা।
আসলে মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য অথবা মিষ্টি দেখলে আমি নিজেকে ঠিক কন্ট্রোল করতে পারি না মনে হয় যে খেতেই হবে।। এদিন ভাতিজার উপলক্ষে অনেকগুলা মিষ্টি খেয়েছি দুজনে অনেক মজা করেছি।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।