ভাগ্য এক আজব জিনিস।
১৫চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮রমজান ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
বসন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
ভাগ্য বা তকদির মানুষ হিসেবে আমরা সবাই কিন্তু এই বিষয়ে অবগত। ভাগ্য কাউকে সবকিছু দিয়ে সন্তুষ্ট রাখে। আবার কারও কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে নিঃস্ব করে দেয়। একজন মুসলমান হিসেবে তকদিরের উপর বিশ্বাস করা ফরজ। আমাদের প্রত্যেকের ভাগ্যের ফলাফল টা আমাদের কর্মের উপর নির্ভর করে। যে যত ভালো কর্ম করতে পারবে তার ভাগ্যটা ততটাই ভালো হবে। আমরা একটা কিছু হলেই কিন্তু ভাগ্যের দোষ দিয়ে থাকি। কিন্তু ভাগ্যটা ভালো করার জন্য আমাদের যে কর্মগুলো করা উচিত আমরা কি এগুলো সব সময় ভালোভাবে করতে পারি। তবে কিছু কিছু একটু আলাদা রয়েছে ভালো কাজ করেও ভাগ্যটা মন্দ থেকে যায়। কিছু কিছু জিনিস আসলে সৃষ্টি কর্তার দেয়া পরীক্ষা হয়ে থাকে আমাদের জন্য। ভালো কাজ করলে সুফলটা অবশ্যই আসবে একটু দেরিতে হলেও। তবে ভালোকাজপর সাথে সাথে যারা তকদিরের উপর বিশ্বাস রাখে, তারাই হলো প্রকৃত মানুষ। আর দেখবেন তারাই পৃথিবীতে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
মন্দ ভাগ্য থেকে ভালো ভাগ্যে পরিণত করতে হলে অবশ্যই সৎকর্মশীল হতে হবে। আমাদের মধ্যে আমরা কিছু মানুষ আছি শুধু ভাগ্যের দোষ দেই। আমার ভাগ্যে এটা হলো না ওটা হলো না। অথচ আমরা ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য কোন পদক্ষেপ বা কাজে অগ্রগতি করি না।অনেকেই দেখবেন একদম নগণ্য বা ছোট থেকে অনেক বড় পর্যায়ে গিয়েছে বা অনেক কিছুর মালিক হয়েছে। তার ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ার পেছনের গল্প পড়লে আপনি দেখতে পাবেন তার প্রচেষ্টা এবং সৎকর্মশীলতা আপনার সামনে ভেসে উঠবে জলজল করে।
চেষ্টা করলে ও সৎকর্মশীল হলে ভাগ্য যে একজন মানুষকে দুহাত ভরে দেয় তার একটা প্রমাণ আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আমাদের বাড়ির পাশে আমার এক প্রতিবেশী ছোট ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পেয়েছে। অথচ তার পিছনের গল্প খুবই করুন। মাত্র ৬ বছর বয়সে তার আম্মা মারা যায়। তার বাবা এরপরে আবার একটা বিয়ে করে। আর তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় তার ওপর স্টিম রোলার। তার বাবা ছেলে একটু আধ পাগলা টাইপের। সবকিছু বুঝেও বুঝতে বা করতে পারতো না।ছেলেটা খুব ও মেধাবী ছিলো।কোন দিন পেট ভরে খাবার ও হয়তো তিন বেলা খেতে পায় নি।ভালো পোশাক ছিলো না। অনেক সময় পরের বাড়িতে কাজ করে নিজের প্রয়োজন মিটিয়েছে।তার চেষ্টা এবং অধ্যাবসায় এর কারণে সে আজ সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। আসলে আমরা সবসময় ভাগ্যের দোষ দিয়ে থাকি নিজে চেষ্টা না করে। এর একটা জ্বলন্ত উদাহরণ আমার সামনে রয়েছে এই ছেলেটা।ভাগ্যকে দোষারোপ না দিয়ে অবশ্যই নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া ভালো।কেননা ছেলেটার লেখাপড়া ই তো হবার কথা ছিলো না। কিন্তু তার প্রচেষ্টায় ভাগ্য তাকে সফলতা দিয়েছে।
ভাগ্যের প্রতি অবশ্যই আমাদের ঈমান আনতে হবে। প্রচেষ্টা এবং সৎকর্মশীলতার মাধ্যমে যে ভাগ্য পরিবর্তন হয় এটার উপরেও বিশ্বাস আনতে হবে। তাই আসুন ভাগ্যের উপর দোষ না নিয়ে নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিছু করার চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই ভাগ্য পরিবর্তন করে দেবেন সৃষ্টিকর্তা। আমি যদি নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা না করি তাহলে কিভাবে সৃষ্টি কর্তা আমাকে পরিবর্তন করে দেবেন একটু ভাবুন তো। প্রচেষ্টা করতে হবে পরিশ্রম করতে হবে ভাগ্যের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আপনাকে নিরাশ করবেন না। কারণ তিনি তো মহান দয়ালু পালনকর্তা।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া এমন ভাগ্য হয়তো কম লোকের হয়ে থাকে।তবে এটা সত্য প্রচেষ্টা এবং সৎকর্মশীলতার মাধ্যমে যেকেউ ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। তারজন্য দরকার আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রম। আসলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
আত্মবিশ্বাস কঠোর পরিশ্রম এবং সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে যদি কেউ এগোয় তাহলে ইনশাআল্লাহ সে সফল হবেই।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ভাগ্য ব্যাপার টা হয়তো আছে। হয়তো ভাগ্য বলতে কিছু আছে। কিন্তু ভাগ্যটা অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের কাজের উপর। আমরা যেমন কর্ম যেমন পরিশ্রম করব আমাদের ভাগ্যটা অনেক টা তার উপর নির্ভর করে। পরিশ্রম টা যদি সময় মতো সঠিক জায়গাই করা যায় তাহলে ভালো কিছু কিন্তু আশা করায় যায়।আপনার লেখাটা বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ভাগ্য তো অবশ্যই রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা তো শুধু আমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন ।আর এই পরীক্ষায় তারাই পাশ হয় যারা কঠোর পরিশ্রম করে।