জেনারেল রাইটিং: ভালোবাসার করুন পরিনিতি -১ম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

২৭আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৭অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৬রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার।
শরৎকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


IMG_20231017_114943.jpg

Source


ভালোবাসা শব্দটি অতি ছোট কিন্তু এর গভীরতা অসংজ্ঞায়িত। এই কথাটির বিশ্লেষণ ভাবমূর্তি এবং পর্যবেক্ষণ অনেক বড়। বাড়ি গাড়ি অর্থ সম্পদ আর ক্ষমতা থাকলে ই ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না। ভালোবাসা পূর্ণতা পাওয়াতে হলে মিল এবং গভীর বন্ধনে বাঁধতে হয় দুটি মনকে। বুঝতে হয় দুজন দুজনাকে। মেনে নিতে হয় হাজারো কষ্ট। ভালোবাসা কাউকে করে তুলছে পাগল উন্মাদ। তেমনি ভালবাসা আবার কাউকে গড়ে দিচ্ছে তাজমহল। প্রত্যেক জিনিসেরই একটি সুদিক এবং ক্ষতির দিক থাকে। ভালোবাসা ও এর বাহিরে নয়। ভালোবাসার কারণে মানবিক জীবনে ঘটছে কত নানান ঘটনা। কিছু ঘটনা হয়তো আমাদের সামনে আসছে। আবার কিছু ঘটনা মুকুলেই ঝরে যাচ্ছে। যদিও দুটি অতি বেদনাদায়ক। আজ আমি আপনাদের মাঝে তেমনি একটি ভালোবাসার সত্য গল্প তুলে ধরব। আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


ছেলেটার নাম হাসবি হাসান, তার সাথে আমার কথা হয় ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে। আপনারা জানেন যে আমি আমার জবের কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলা ট্যুর করে থাকে। তেমনই কিছুদিন আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলাম তখনই এই ভাইটির সাথে আমার কথা হয়। জীর্ণ শীর্ণ গায়ের রং ছেড়া পোশাক মাথার চুল গুলো বড় বড় অস্বাভাবিক। কথাবার্তা অদ্ভুত। তবে উচ্চারণ এবং ভাষাগত দিক কে খুব মাধুর্য। মাঝে মাঝে গান বলছে কখনো বা কবিতা আবার কখনোবা মনের অজান্তেই বসে কান্না করছে। আবার কখনো পড়ে থাকা কাগজ তুলে পরছে। কাগজ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে মাথার উপর একাই আঘাত করছে। এমন অদ্ভুত আচরণ দেখে আমি আস্তে আস্তে তার দিকে এগোতে থাকলাম। আমার হাতে ফোন দেখেই আমি কিছু বলার আগে সে বলে উঠল আমার একটা ছবি তোলেন তো। প্রথম যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এরকমভাবে সে একটা পোজ দিল এবং অনেক সুন্দর একটি হাসি দিল সাথে।


আমি ভেবেছিলাম হয়তো কাছে গেলে কথা বলতে গেলে আমার দিকে আক্রমনাত্মক কিছু করে বসতে পারে। কিন্তু তাৎক্ষণিক আমি তেমন কিছু পেলাম না। সে আমাকে বলল বসেন বসেন। বলে ধুলা সরিয়ে দিল। তবুও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যদি কখনো আমার উপর আক্রমণ করে বসে। আমি কিছু বলার আগে আমাকে বলছে ভাইয়া রেজাল্ট দিবে কবে বলতে পারেন। আবার নিজেই বলছে বললাম যে রেজাল্ট হয়ে গেলে ভালো চাকরি হবে তোমাকেই বিয়ে করব। আমি কিছু বুঝতে পারছি না শুধু তার কথাগুলো শুনে যাচ্ছি।


তবে তার মুখ থেকে আমি পুরনো দিনের বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর গানের কলি শুনেছি। সবগুলো গানই ছিল ভালবাসার। নিজের আপন জনের প্রতি অর্পণ করা ভালোবাসার দৃষ্টান্ত। আমার হাতে একটি চিপসের প্যাকেট ছিল তাকে দিতে গেলাম কিন্তু সে সেটা নিল না। এবার সে পকেট থেকে একটা পত্রিকা বের করল। সেটি দেখে দেখে বলছে এবার চাকরিটা হয়ে যাবে আমার। এই বলে ওখান থেকে উঠে অন্যদিকে চলে গেল। এতক্ষণেও আমি তার সম্পর্কে কোন কিছু বুঝিনি বা অনুধাবনও করতে পারেনি। তবে তার কথা এবং আচার আচরণ দেখে মনে হয়েছে শিক্ষিত। এবং ভালো ফ্যামিলির একজন ছেলে হয়তো কোন কারনে এরকম মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছে।


এবার আমি তার একটু দূরে একটি দোকান থেকে বাদাম কিনতে গেলাম। দোকানদার মামা জিজ্ঞাস করল তার সাথে এত সময় ধরে কি কথা হলো তোমার। সে তো কখনো কারো সাথে কোন কথা বলে না। তখন আমি দোকানদার মামাকে বললাম আপনি কি তার সম্পর্কে কিছু জানেন। বলল সে অনেক ঘটনা। সে একটি ধনীর দুলালী কে ভালোবাসতো। আর ভালবাসাটাই হয়েছে তার জীবনের সবথেকে বড় ভুল। ছেলেটা সৎ এবং খুব মেধাবী ছিল আমার পাশের গ্রামে বাড়ি। দরিদ্র পরিবারের ছেলে ছিল কঠোর পরিশ্রমই ছিল। কিন্তু তারা বেশি ভালোবাসা আজ তাকে পাগল বানিয়ে পথে পথে ঘুরাচ্ছে......।


তখন আমার কাছে মনে হল আসলে ভালোবাসা কি এমনই। পূর্ণতা পেলে তাজমহল আর না পেলে পথের পাগল। টেন লেট ছিল এজন্য দোকানদার মামার সাথে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তার জীবনের সব গল্পগুলো শুনলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন একটি সাবজেক্টে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছিল। ছেলেটির জীবনের করুন কাহিনী শুনে নিজে অনেক কষ্ট পেয়েছি। তবে সবকিছুই হয়েছে তার ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে। আজ এই পর্যন্তই রাখছি তার জীবনের করুন কাহিনী তুলে ধরব অন্য একটি পর্বে.....


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 9 months ago 

আপনার পোস্ট পড়ে ছেলেটার জন্য সত্যি খারাপ লাগল। আসলে যারা প্রকৃত ভালোবাসে, যাদের ভালোবাসায় কোন খাত থাকে না।তবে যার জন্য আমাকে পাগল হতে হবে,আর ভালোবাসার মানুষ অন্য জনের হয়ে ঘুরে বেড়াবে এমন ভালোবাসা না করাই ভালো। যাইহোক দোয়া করি লোকটি স্বাভাবিক হয়ে বেঁচে থাকুক। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

 9 months ago 

ভালোবাসার জন্য অনেক কিছু অনেক ভাবে হয়ে যায় হয়তো এই ছেলেটার কপালে এরকমটা ছিল।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন ভালোবাসা কাউকে করেছে পাগল,আবার কেউ গড়েছে তাজমহল। পুরা পোস্ট টি পড়ে খুব কষ্ট পেলাম ও আমার এক জেঠাতো বোনের কথা মনে পড়লো সেও এক ছেলেকে ভালোবেসে পাগল হয়েছিলো। আজ সে বেঁচে নাই।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ

 9 months ago 

পাগলের পাগলামি আর ভালোবাসার তাজমহল দুটো কখনো এক নয় আর কখনোই সবার ভালবাসা পূর্ণতাও পায় না

 9 months ago 

বেশ সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ভালোবাসার করুন পরিনিতি আজকের প্রথম ভালো লাগলো। আসলে সত্যি ভালোবাসার জন্য নাকি পাগল হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

গল্পটি না পড়ে আজগবি এটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 63526.15
ETH 3387.82
USDT 1.00
SBD 2.56