ছলনায় মোড়ানো ভালোবাসা।
৩০মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৩ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
০৩শাবান ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
স্বার্থপর পৃথিবী আর পৃথিবীর প্রতিটা উপাদানে নিজের মতো করে স্বার্থবাদী। সবাই সবার সুযোগ সুবিধা মত চলতে থাকে। ওর নিজের পথ সুগম করার জন্য অন্যের ক্ষতি করতে ও দ্বিধাবোধ করি না। যেখানে স্বার্থ আছে আমরা সেখানে বেশি ঘুরি। নিজের স্বার্থে টান পড়লে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াই। পৃথিবী যেমন স্বার্থপর পৃথিবীর মানুষ তার থেকেও বড় স্বার্থপর। আমরা সবাই জানি পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী। পৃথিবীতে আসার যেমন সিরিয়াল রয়েছে যাওয়ার কিন্তু কোন টাইমটেবল নাই। যখন তখন হারিয়ে যেতে পারি এই পৃথিবীর মায়া থেকে তবুও আমরা স্বার্থের টানে সারাক্ষণ ছুটতে থাকি পৃথিবীর পানে। স্বার্থপর হওয়া ভালো কিন্তু এতটাও ভালো নয় যেটা করলে অন্যের ক্ষতি হয়। অন্যকে দুঃখ দিয়ে কষ্ট দিয়ে বিপদে ফেলে ক্ষণিকের জন্য নিজে ভালো থাকা যায়। কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে ভালো থাকতে হলে অবশ্যই সবাইকে নিয়ে থাকতে হয়। যা হোক অনেক কথা বলে ফেললাম আজ আপনাদের মাঝে একটি স্বার্থপরের গল্প তুলে ধরব যা আমার বাস্তব জীবনে দেখা আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
একটা পুরাতন কথা আজ আমার নতুন করে রিপিট করব। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেডলাইন ছিল ""নারী কিসে আটকায়""এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে না পারলেও পক্ষান্তরে যদি আপনি আরেকটা প্রশ্ন করেন পুরুষ মানুষকে আটকায় নির্দ্বিধায় যে কেউ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। পৃথিবীতে সব পুরুষ মানুষই ভালোবাসার ভিখারি। যেখানে দেখবেন আঘাত ভালোবাসা আছে সেখানে দেখবেন পুরুষের বিচরণ রয়েছে। একমাত্র পুরুষ মানুষ ভালোবাসাতেই দুর্বল। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে এই ভালবাসার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই গেম খেলার চেষ্টা করছে। আসলে নারীকে কখনো ভালোবাসা বা টাকা দিয়ে আটকে রাখা যায় না। এরা হচ্ছে শরৎকালের মেঘের মতো মুহূর্তের মধ্যে নিজেদের রোগ বদলে ফেলে। আসলে মহিলা মানুষ নির্দিষ্ট করে যে কার সেটা বলা অনেক মুশকিল।
বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ভালোবাসা কিছুতেই তাকে আটকে রাখা সম্ভব হয় না। এরা হচ্ছে ষোল কলা বিশিষ্ট মানুষ। এক কথায় এরা কখন কি করে ফেলে সেটা বোঝা মুশকিল। আমার কলিগ বড়লোক বাবার একটাই ছেলে। টাকা পয়সা আত্মসম্মান কোন কিছুর অভাব নেই। দেখতে অনেক সুদর্শন পুরুষ। পাঁচ বছর সম্পর্ক করার পরে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। যার জন্য তাকে ছাড়তে হয়েছে নিজের বাড়িঘর আত্মীয়-স্বজন সম্পদ সবই। তার একটাই চাওয়া ছিল তার ভালোবাসাটা পূর্ণতা পাক। পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে শেষ হয়ে গেল মাত্র দেড় বছরে। আমি নিজে দেখেছি যেখানে কোন কিছুর অভাব ছিল না। চাহিবা মাত্র যে কোন জিনিস দিতে বাধ্য থাকি তো। তারপরেও এমন ভাবে ছলনা করে পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক মুহূর্তের মধ্যে বিলীন করে দেবে সেটা সে বুঝতে পারেনি। ওই যে বললাম শরৎকালের মেঘের মতো ঘনঘন রূপ বদলায় ঠিক তেমনি ঘটেছে কাহিনী।
কি দেখল আর কি পেল কি বলছে ভেঙে গেল সেটা জানিনা। তবে মানুষের রুচির একটি লিমিট থাকে। পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক বিয়ে অথচ দেড় বছর পরে একটি ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে ভেগে গেল এটা কি করে সম্ভব। আসলে মহিলা মানুষকে বোঝা অনেক কষ্টের ব্যাপার। হয়েছে কোথায় আছে মহিলা মানুষের ষোল কলা আপনি সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও এক কলা সম্পর্কেও হয়তো বুঝতে পারবেন না। সুখে খেতে ভূতে কিলায়। পৃথিবীতে মহিলা মানুষই একমাত্র প্রাণী যেখানে শয়তান নিজেও ফেল মেরে যায় তাদের বুদ্ধির কাছে।
যদি বলেন এটা ভালবাসার পূজারী তাহলে ভুল হবে। আবার যদি বলেন এরা অর্থলোভী তাও ভুল হবে। কেননা আমার কলিকের তো ভালোবাসা অর্থ কোনটাই অভাব ছিল না। তবে মহিলা মানুষ যে কিসে আটকায় আসলে এটা হয়তো কেউই কোনদিন। তবে ভীষণ পরিতাপের বিষয় হলো এটাই আমার কলিক আজ গলায় ফাঁস নিয়েছিল মারা যাওয়ার জন্য। তার মনে দুঃখ একটাই ঘরবাড়ি বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন সবাইকে তার জন্য ছেড়েছি সে আজ আমাকে ছেড়ে চলে গেল তাহলে আমি কিসের জন্য বেঁচে থাকব। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে এসে পড়েছে সান্ত্বনা দেওয়ার মত ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কোন স্বার্থে চলে গেল সেটাও আসলে বোঝা মুশকিল। আসলে মহিলা মানুষকে বুঝতে হলে একজনে হবে না একজনকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে অন্তত দশটা জনম লাগবে। শেষমেষ আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন রেখে যাই আসলে মহিলা মানুষ কিসের আটকায়???
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভালোবাসা দিবসের আগে বেশ সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। ভাই এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমি মাথা খুব কমই ঘামাই তবে বর্তমানে সত্যিকারের ভালোবাসা খুবই বিরল। দারুন একটি টপিক্স নিয়ে লিখেছেন দেখে খুশি হলাম।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বর্তমানে সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া খুবই কষ্টকর।
তারপরও সবাইকে খারাপ সেটা বলছি না।
পৃথিবী হলো একটা ধোকার জায়গা। একটা মানুষ পৃথিবীতে আসার পরে তা চারিপাশে শুধু যা থাকে সেগুলো আছে একটা ধোঁকা। পৃথিবীর এই মায়াজালে আমরা আটকে থাকে। ছলনাময় এই ভালোবাসার পিছনে ছুটতে ছুটতে আমরা একটা সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি তখন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়। মাঝখানে আমরা কি করছি সেটার কোন ব্যাখ্যা নাই। পৃথিবীর এই ভালোবাসাটা সত্যি ছলনাময়। কোন ভালোবাসা আপনার জীবন সুন্দর করবে আর কোন ভালোবাসা নষ্ট করবে এটা বোঝে অনেক দায়। ঠিক যেমন পাঁচ বছরে ভালোবাসা দেড় বছরে বিয়েতেই শেষ তাও আবার একটা ক্যামেরা ম্যানের সাথে। এটাই হলো পৃথিবীর মায়াজাল। আর এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।
মানুষ দুইটা জিনিসের শোক কাটিয়ে উঠতে একটু সময় নেয় একটা হল টাকা আরেকটা হল পছন্দের নারী।
তখনই মানুষ পৃথিবীর মায়া ছাড়তে চায় যখন এই দুইটা জিনিস তার হাতছাড়া হয়ে যায়।
আসলে এখানে আপনি যে কথা বলেছেন, এগুলোর মধ্যে কিছু সত্য কথা রয়েছে। আমি মনে করি শুধু নারী না পুরুষেরাও ছলনা করে নারীদের সাথে। অনেক সময় দেখা যায় তারা নারীদের সাথে ছলনা করে। একটা নারীকে যেমন নির্দিষ্টভাবে বোঝা মুশকিল, তেমনি একটা পুরুষকেও বোঝা অনেক বেশি মুশকিল। তবে যাই হোক আপনার কলিগের কথাটা শুনে সত্যি খুব খারাপ লেগেছে। এত সুন্দর করে পুরোটা লিখেছেন দেখে আমার কাছে পড়তে ভালো লেগেছে।
আসলে পুরুষের ভালোবাসাটা নারীর কারণেই ছলনাময়ী হয়ে ওঠে।
আর সেই সাথে মহিলা মানুষকে বোঝা বড় দায়।
আপনার কিছু কথায় একমত হচ্ছি আবার কিছু কথায় একমত হতে পারছি না। শুধু যে নারীরা ছলনা করে তা কিন্তু নয়। আমার মনে হয় বর্তমানে নারী পুরুষ সবাই সমান। বর্তমানে ভালোবাসা বলতে কিছু নেই। ভালোবাসা থাকলে পরকিয়া থাকতো না। কখনো এক হাতে তালি বাজে না,যখন দুই হাত মিলে তখনই তালি বাজে। তাই একজনকে রেখে আরেকজনকে ভালো কিংবা খারাপ বলা যাবে না। যাই হোক আপনার কলিগের কথা শুনে সত্যিই খারাপ লাগলো। আপনার কলিগের সাথে যা হয়েছে তেমনি আমার এক বান্ধবীর সাথেও তা হয়েছিল।সেও পরপারে চলে যেতে চেয়েছিল। যাই হোক খুব সুন্দর পোস্ট লিখেছেন। ধন্যবাদ।
এটা ঠিক আছে যে বর্তমান সময়ে সবাই ছলনা করে।
তবে আপনি যদি একটুও খুঁজে দেখেন দেখবেন শতকরা ৯০ ভাগ মহিলা দশ ভাগ পুরুষ।
আসলেই ভাই মেয়ে মানুষ চেনা বড় দায়। আপনার কলিগের জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে। কিভাবে তার বউ এতো জঘন্য একটি কাজ করতে পারলো, সেটাই ভাবছি। পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক এবং দেড় বছরের সংসার জীবন ছেড়ে একজন ক্যামেরাম্যানের সাথে কিভাবে ভেগে গিয়েছে, এটা আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না। দুইদিন পর ক্যামেরাম্যান এই মহিলাকে লাথি মেরে বাসা থেকে বের করে দিবে। তখন এই মহিলা বুঝবে কতো ধানে কতো চাল। আসলে এসব মহিলাদের সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ওই যে বাংলায় একটা কথা আছে সুখে খেতে ভুতে কিলায়।
আসলে মহিলা মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বোঝা মোটেও সম্ভব নয়।