সময়ের মূল্য ও গুরুত্ব 🕒
৩০ফাল্গুন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৭মার্চ , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৪শাবান, , ১৪৪৪ হিজরী
শুক্রবার ❤️
বসন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য মঙ্গল এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি সবসময়ই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আমরা সবাই যেন সুস্থ থাকি ভালো থাকি।। সময় আমাদের জীবনের মহামূল্যবান একটি সম্পদ ।সময়কে কাজে লাগাতে চাই আমরা কিন্তু আমাদের মধ্যে থাকা অলসতা এবং পরে করব বলে সময়কে আমরা অবহেলা করে চলে যাই। কিন্তু একটু চোখ বুজে ভাবুন তো?? সময় আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ যেটি আমাদের জীবন থেকে একবার চলে যাচ্ছে সেটি কি আমরা আর কখনো ফেরত পাব।। হয়তো আমরা গায়ের শক্তি অথবা ক্ষমতার দাপটে অনেক কিছুই করে চলছি কিন্তু সময় এবং নদীর স্রোত কিছুই কিন্তু স্থায়ী নয় এটা কিন্তু তার গতিতে ছুটছে। যখন পর পরের ডাক চলে আসবে একটা সেকেন্ড ও কিন্তু সময় পাবো না।। যাহোক আমার ছোট্ট জ্ঞানে চেষ্টা করেছি সময়ের গুরুত্ব বুঝিয়ে কিছু কথা লেখার আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।।
সময় মহান আল্লাহর এক মহান দান। সময়ের সমষ্টিই হচ্ছে আমাদের জীবন আর জীবনের মূল অংশ। আমাদের জীবনে সময়ের মূল্যও গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি, তাই আমাদের জন্য সময়ের মূল্যায়ন করা অপরিহার্য একটি বিষয়।কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
‘মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয়; যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে সহায়তা করে।’ (সুরা আসর, আয়াত: ১-৩)।
সময়ের হিসাবের জন্য মহান আল্লাহ তাআলা চন্দ্র, সূর্য,ও গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনের বলেন,
‘তিনিই সূর্যকে তেজস্কর ও চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তাদের মনজিল নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা বছর গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পারো। আল্লাহ এসব নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য তিনি এসব নিদর্শন বিশদভাবে বিবৃত করেন।’ (সুরা:ইউনুস, আয়াত: ৫)।
আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, ইহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মনজিল; অবশেষে সেটি শুষ্ক বক্র পুরোনো খর্জুর শাখার আকার ধারণ করে।’ (সুরা: ৩৬ ইয়াসিন, আয়াত: ৩৮-৩৯)।
‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গণনায় মাস ১২টি।’ (সুরা: ৯ তাওবা, আয়াত: ৩৬)।
নতুন সময় মানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হওয়া।আমাদের জীবনের নির্ধারিত আয়ু থেকে একটি একটি করে মূহুর্ত অতিত হয়ে যাওয়া।আমরা চেষ্টা করি সবসময় অকল্যাণের আধার থেকে মুক্ত হয়ে কল্যাণের পথে এগিয়ে ও শুভ যাত্রা শুরু করা। তাই নতুন সময় এলে মুসলিমরা আল্লাহর শুকরিয়ায় পড়ে,
অর্থাৎ ‘হে অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ পরিবর্তনকারী! হে রাত ও দিনের আবর্তনকারী! হে সময় ও অবস্থা বিবর্তনকারী! আমাদের অবস্থা ভালোর দিকে উন্নীত করুন।’ (আন নাহজুল বালাগা)।
অতীতের:সময়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যতে পাপকাজ না করাবো না এমন অঙ্গীকার করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের উচিত অতীতের পাপ কাজের জন্য আল্লাহর কাছে সবসময় ক্ষমাপ্রার্থনা করা ও পরবর্তী জীবনে পাপকাজ না করার জন্য অঙ্গীকার করা হোক আমাদের নতুন সময়ের প্রত্যাশা। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন
‘আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদত করা ছাড়া অন্য কোনো কারণে সৃষ্টি করিনি।’ (সুরা জারিয়াত: ৫১-৫৬)।
আমাদের এ ঘোষণা মাথায় রেখে সবসময় জীবন পরিচালিত করতে হবে।আমাদের মনে রাখতে হবে আনন্দ-উল্লাসে আল্লাহর অবাধ্যতা অবাঞ্ছনীয় কাজ করা যাবে না। বরং আনাদের আল্লাহর আদেশ পালনের মাধ্যমেই আনন্দ ও শান্তি নিহিত রয়েছে। আমাদের জীবনের প্রতিটি সময়ের কাজে থাকবে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও কোরআানি শাসন।আমাদের উচিত ইমান,ও আখিরাতের প্রতি অবিচল বিশ্বাস,থাকতে হবে ও আল্লাহর প্রতি ভয়, ভালোবাসা থাকা খুবই দরকার।
নতুন সময় হলো আমাদের জীবনের একটি অংশ এবং নতুন জীবনে পদার্পণ। সময় হলো আমাদের নিজেকে পরিবর্তন এবং অধিক উন্নয়নের একটি সুযোগ। আমাদের উচিত জীবনের জন্য ও সময়ের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদাই করা।হায়াতের জন্য শুক্রিয়া ও দোয়া করা।আমাদের জীবনের অতীতের জন্য গুনাহ ও ভুলের তওবা ও ইস্তিগফার, ক্ষমাপ্রার্থনা করা। যদি আমরা কখনো কারও জান, মাল ও ইজ্জতের ক্ষতি করে থাকি তার জন আল্লার কাছে ক্ষমা চেতপ হবে জীবিত থাকা অবস্থায়।এবং প্রতিটি সময়ে মানুষের কল্যান কামনা করা।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কথায় আছে না সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আসলে সময় আমাদের জীবনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা একবার চলে গেলে আর কখনো ফিরে আসে না। আমরা কখনো সময়ের কাজ সময়ে করি না পরে করবো বলে ফেলে রাখি। আমাদের অলসতা সব সময় আমাদেরকে বাধা দেয় বিভিন্ন রকমের কাজ থেকে বঞ্চিত রাখে। আপনি আজকে সময় নিয়ে বেশ ভালোই একটা পোস্ট লিখেছেন। আপনার লেখার টপিকটা কিন্তু বেশ ভালো ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ে সুন্দর এবং উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য।। চেষ্টা করেছি সময়ের গুরুত্ব বুঝিয়ে তথ্য এবং তথ্যবহুল আলোচনা করার জন্য।।
ভাই আপনি, খুব সুন্দর শিক্ষনীয় একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পোস্টটির টাইটেল দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে ভাই আমাদের জীবনের সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জীবন থেকে যে সময় চলে যায় তার কখনো ফিরে আসে না। তাই সময়ের যথাযথ গুরুত্ব বুঝে সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত। আমরা যদি সময়ের গুরুত্ব না বুঝি সময়ের কাজ সময়ে না করি তাহলে সফলতা কখন আমাদের জীবনে আসবে না। আসলে আপনার প্রত্যেকটি কথা খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত চমৎকার সুন্দর শিক্ষণীয় বিষয় আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তর থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া সময় কি আমাদের যথাযথভাবে ব্যবহার করা উচিত কেননা যে মুহূর্ত বা সময়টা আমাদের জীবন থেকে একবার চলে যাচ্ছে সেটি আর কখনোই ফিরে আসবেনা ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি বুঝে মন্তব্য করার জন্য
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা অনেকেই সঠিক সময়ের মূল্য ও গুরুত্ব দিতে চাইনা। আমাদের জীবনের সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করে ফেলি অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নির্ধারিত সময় দিয়ে প্রেরণ করেছেন। আপনার পোস্টে অনেক গুলো রেফারেন্স টেনে সময়ের গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। সেগুলো পড়ে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সময়ের গুরুত্ব এবং মূল্যায়ন আমরা করতে চাই না কিন্তু আমাদের জীবন থেকে যে সময়টা একবার অতিবাহিত হচ্ছে সেটি তো আর কখনোই ফিরে পাবো না তাই আমাদের উচিত সময়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করে জীবনের কল্যাণ বয়ে আনা।।