১১আশ্বিন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৬সেপ্টেম্বর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
২৯সফর , ১৪৪৩ হিজরী
সোমবার ❤️
শরৎকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
প্রিয় আমার বাংলা ব্লকবাসি আশা করছি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় ভালো আছেন আর সর্ব অবস্থায় আপনাদের মঙ্গল কামনা করে চলে।। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে জামানাও বদলে যাচ্ছে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনধারণের প্রক্রিয়া।। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যে দাম মধ্যবিত্তদের মাথায় হাত।। গত দুদিন আগে আমি যখন পাখির খাবার এবং পাখির ওষুধ কিনতে গেছিলাম খাবারের দাম আর ওষুধের দাম বৃদ্ধি দেখে আমি তো হতাশ।। কি আর করার পাখিগুলোকে বাঁচাতে হলে তাদের খাবার আর অসুস্থ প্রয়োজন হবেই।। তাই দোকানদার যে দামে বিক্রি করতে চাইলো সেই দামেই কিনতে হলো।। আপনারা হয়তো অবগত আছেন পূর্বেও আমার একটি পাখির সংগ্রহশালা রয়েছে যেখানে আমি বিভিন্ন ধরনের পাখি পালন করে থাকি এর আগেও কয়েকটি পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।। আজকে আবার আমার পাখি সংগ্রহশাল আর কিছু আলোকচিত্র এবং কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চলছি আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।। |
ডিভাইসঃcanon 600d
সুখ পাখি পায়রা, শান্তির প্রতীক বা পায়রা যেটাই বলুন না কেন ছোটবেলা থেকেই আমার অন্যরকম একটি ভালোবাসা ভালোলাগা জড়িয়ে রয়েছে এই কবুতরের সাথে।। আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন থেকে নিজ উদ্যোগে কবুতর পালন করা শুরু করি এখন আমার অনেক কবুতর রয়েছে তার মধ্যে দুটি কবুতরের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছে।। তবে হতাশ হওয়ার বিষয় হলো গিরিবাজ কবুতর যতবারই আমি ভালোভাবে পালন করতে যাচ্ছি একবারও সফলতা অর্জন করতে পারছি না কি যেন একটা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে ওষুধ খাওয়াও কোন উপকার পাচ্ছি না।। এর সমস্যা হওয়ায় ঠান্ডা লাগে কাশি পালক গুলা কেমন যেন ভেজা ভেজা হয়ে যায় কয়েকদিনের মধ্যে তারপরে হঠাৎ করে মাথা ঘুরে মরে পড়ে থাকে।। আপনাদের কারো কাছে যদি এর সলিউশন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে পরামর্শ দিয়ে উপকার করবেন,।। |
এটা হচ্ছে আমার পালন করা টিয়া পাখি এর বয়স সাড়ে পাঁচ বছর।। এক ঝড়ের দিনে গাছের তলায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম সেই থেকেই আমাদের বাড়ির একজন সদস্য হয়েছে রয়ে গেছে।। ছোটবেলায় যখন মিনার কাটুন দেখতাম তখন অনেক কল্পনা করতাম টিয়া পাখি নিয়ে।। সেই কল্পনায় আজ বাস্তবে রূপ ধারণ করেছে।। মিনার কাটুন এর টিয়া পাখির নাম মিঠু এজন্য আমার টিয়া পাখির নামটিও মিঠু রেখেছে।। সে অনেকগুলা কথা বলতে পারে খাবার চাইতে পারে তার নিজের নাম ধরে ডাকতে পারে।। হঠাৎ করে কেউ যদি তার সামনে কোন কথা বলে ওঠে তার সাথে সাথে সেও সেই একই কথা বলে উঠতে পারে।। এক কথায় আমাদের সাথে থাকতে থাকতে ঠিক যেন আমাদের মতই হয়েছে।। বিশেষ করে আমার পিচ্চি ভাই টারে সে সব থেকে বেশি চেনে ম্যাক্সিমাম টাইম এসে খাঁচার বাইরে আমার ছোট ভাইয়ের সাথে খেলাধুলা করে।। ক্ষুধা লাগলে বলতে পারে রাব্বি খেতে দাও।। ভাত মাছ মাংস বিস্কিট চকলেট অথবা তেলাকুচুর ফল যেটাই দেই না কেন সত্যি শেখায়।। আমিও মাঝে মাঝে যখন বাইক নিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করি তখন বাইকের উপরে অথবা আমার কাঁধে ওকে বসিয়ে নিয়ে ড্রাইভ করি।। আশা করছি আমার টিয়া পাখির ফটোগ্রাফিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।। |
লাভ বার্ড পাখি কে না চেনে আমার তো খুবই ফেভারিট আর তিন বছর হলো আমি আমার পাখির সংগ্রহশালায় লাভ বার্ড পাখি যোগ করেছে। এদের কিচিরমিচির ডাক এবং বিভিন্ন কালারের জন্ম নেওয়া পাখি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।। যদিও আজকে একটা কালারের একটা পাখির ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।। তবে লাভ বার্ড পাখি নিয়ে একটু দুশ্চিন্তার মধ্যেও আছি মাঝে মাঝেই দু একটা পাখির এক চোখ করে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং কিছুদিন পরে সেটা মারা যাচ্ছে।। অনেক পরামর্শ নিয়েছি ওষুধ খাইয়েছি কিন্তু কোন সফলতা পাইনি।। আপনাদের কাছ থেকে পরামর্শের আশায় রইলাম।। |
উপরের ফটোগ্রাফি গুলাতে আপনারা যে ঘুঘুর মত পাখিরে দেখতে পাচ্ছেন এই পাখিটির একচুয়াল নামটা কি আসলে আমারও জানা নেই।। তবে কথায় কথায় শুনেছি এটা নাকি থাই ঘুঘু।। এটা খুবই সুমধুর বিশেষ করে সকাল বিকাল ডেকে থাকে।। অল্প পরিমাণে খাবার খায় বছরে সাত থেকে আট জোড়া বাচ্চাদের।। এই ঘুঘু পাখি গুলার বাচ্চা অনেক দামি আমি প্রথম যখন দুটি বাচ্চা করায় করেছিলাম তখন দাম নিয়েছিল ১৪০০ টাকা।। আমি অবশ্য এখন বাচ্চা ফুটবে বিক্রি করতেছি এটি খুবই লাভবান একটি পাখি আমার অনেক উপকার হচ্ছে আর্থিকভাবে।।। ছোটবেলায় থেকেই অনেক আশা ছিল এরকম ভাবে পাখি পালন করব তাদের সাথে সময় পার করবো তাদের ভাষায় না হোক আমার ভাষায় তাদের সাথে কথা বলবো মজা করবো আনন্দ উপভোগ করব সৃষ্টিকর্তা আমার সেই আশা পূরণ করেছে তার দরবারে লাখো কোটি প্রার্থনা জ্ঞাপন করছি।। যা হোক এই ছিল আমার আজকের পাখি সংগ্রহশালা থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি এবং কিছু কথা আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।। |
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
আপনার পাখি সংগ্রহশালা দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার মত আমারও পাখি পোষার অনেক শখ রয়েছে। আপনি আমাদের লাভ বার্ড বলে যে পাখিটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন সম্ভবত সেই পাখিটির নাম হচ্ছে বাজরিগার। আমার বাড়িতে বাজরিগার পাখি ১৭ টি রয়েছে।
হতে পারে পাখিগুলোর অঞ্চল বেঁধে ভিন্ন ভিন্ন নাম।। আমিও অনেক বছর ধরে এই পাখিগুলা পালন করে আসছি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।। বিশেষ করে সকাল সন্ধ্যায় কিসের মিচির ডাক শুনতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে
পাখি আমি খুব ভালবাসি। কিন্তু আমি আপনার মত করে পাখি সংগ্রহে রাখতে পারি নাই। বেশ ভাল লাগলো আপনার এত সুন্দর পাখির সংগ্রহশালা টি দেখে।
ছোটবেলা থেকেই পাখি পালন করার প্রতি আমার অনেক দুর্বলতা ছিল ছোটবেলা থেকে এগুলো পালন করে আসছি এখন বড় একটি খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে দেখি সেটা কতদূর বাস্তবায়ন করা যায়
সত্যি ভাই পশুপাখি মানুষ সবার খাবার ঔষধেই দাম বৃদ্ধির প্রভাবটা পড়েছে।। আপনার টিয়া পাখিও আছে। একসময় আমিও বাড়িতে টিয়া পুষতাম। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস টিয়া টা একদিন উড়ে যায়। আপনার পাখিগুলো দেখে ভালো লাগল। বেশ ভালো জানা আছে এগুলোর সম্পর্কে।।
আমার টিয়া পাখিটি খুব নম্র ভদ্র শান্ত সৃষ্ট আমাদের বাড়িতেই থাকে একদম ছোট থেকেই ছেড়ে দিয়ে পোষা হয় কাউকে দেখে ডরায় না এজন্য কোথাও উড়েও যায় না মাঝে মাঝে গাছের ডালে গিয়ে বসে একা একাই খাচায় যায় বেরোয় খুব ভালো
বাহ অনেক সুন্দর করে আপনি পাখি সংগ্রহশালার একাংশ শেয়ার করেছেন। পাখিগুলো দেখতে খুব ভালো লাগলো আমার। আমার কাছে যে পাখিটি নাম আপনার জানা নেই তারপরও নাম লিখলেন ঘুঘু পাখি। সেই পাখিগুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। যেগুলোর দাম ১৪০০ টাকা দিয়ে কিনলেন। এবং বাচ্চাগুলো বিক্রি করে আপনি একটু লাভবান হতে লাগলেন। এবং এবং বাজারে পাখিগুলো খাবারের অনেক দাম। সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেতে হলে সেটা কম হোক বা বেশি হোক যে কোন এক দিক থেকে একটা কাজ করতে হয় আমি আমার লেখাপড়ার পাশাপাশি এই পাখিগুলা পালন করে অনেক সময় অনেক উপকার পেয়েছি বাকিগুলা বিক্রি করে এজন্য এগুলোকে এত ভালোবাসি
পশুপাখি দেখে আমার যেন কেমন যেন অন্যরকম ভালো লাগে। আপনার পাখি সংগ্রহশালা দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি এত টাকা দিয়ে পাখি কিনেছেন জেনে খুশি হলাম। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেকগুলো পাখি সম্পর্কে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলে শখ একটি অন্যরকম একবার মনের কাছে ভালো লেগে গেলে একবার ইচ্ছা করলে সেটা যত টাকারই হোক না কেন পূরণ করার চেষ্টা করি যথাক্রমে তাইতো ছোটবেলা থেকে আশা ছিল আর ছোটবেলা থেকেই আস্তে আস্তে করে এ আশাগুলো পূরণ করতে করতে এখন অনেক বড় একটি সংগ্রহশালা ঘুরেছি
পায়রা, লাভ বার্ড এরা ভীষণ সফেস্টিকেটেড পাখি। আমার এক বন্ধু পোষে। আমি জিজ্ঞাসা করে আপনাকএ জানাব। আর মিনার মিঠু কূ দেখএ আমাদের বাড়ির টিয়ার নাম ও আমার ঠাম্মা মিঠু রেখেছিলো।