রেসিপি 🍲😋 মজাদার বেলে মাছের সুস্বাদু চচ্চড়ি।
৩১আশ্বিন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৬অক্টোবর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
১৯রবিউল আউয়াল , ১৪৪৩ হিজরী
রবিবার
শরৎকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🍲😋
🍲😋
সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করে আমার আজকের রেসিপি পোস্ট শুরু করছি ।আশা করছি আমার প্রস্তুত রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আসলে জীবন যেখানে যেমন ঠিক সেখানে তেমনভাবে উপভোগ করতে হয় ।মাঝে মাঝে অনেক কিছু বলার থাকলেও বলা যায় না অনেক কিছু করার থাকলেও করা হয় না। ব্যাচেলর লাইফে থেকে অনেক কিছুই চাইলেও করতে পারি না হয় সময় না হয় ঝামেলার কারণে। এই যেমন ধরুন ছোট মাছ আমার সব থেকে বেশি প্রিয় কিন্তু কাটা ধোয়ার ঝামেলায় ছোট মাছের রেসিপি তেমন একটা প্রস্তুত করে খাওয়া হয় না। তবে গত বৃহস্পতিবারে বাজারে গিয়েছিলাম এত সুন্দর বেলে মানুষ দেখে আমার রুমমেটের খুবই পছন্দ হয় সে বলে ভাইয়া এই মাছ নিতেই হবে। মাছ কেনার আগেই আমি ওকে কন্ডিশন হিসেবে দিয়ে দেই যে তোমাকেই কাটতে হবে তোমাকেই পরিষ্কার করতে হবে আমি শুধু রেসিপিটা প্রস্তুত করব। এতেই আমার রুমমেট অনেক খুশি ওই সবকিছু কাটা ধোয়ার কাজ করেছে আমি শুধু রেসিপিটা প্রস্তুত করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি।। তবে আর যাই হোক এ ধরনের রেসিপি প্রস্তুত করতে তেমন একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না খুব সহজেই প্রস্তুত করা যায় এবং খেতে অনেক মজাদার হয়। |
---|
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১.বেলে মাছ।
২.আলু।
৩পিয়াজ।
৪.মরিচ।
৫.হলুদের গুড়া।
৬.ধনিয়ার গুড়া।
৭.লবণ.
৮.তেল।
🍲
🍲
মাছ কেটে ধুয়ে ফ্রিজে রাখা ছিল। আজকে বের করে প্রথমে মাছ 🐟 ভিজিয়ে রেখেছিলাম তারপরে আবারো সুন্দর করে পরিষ্কার করে রেসিপি প্রস্তুত এর উপযোগী করে নেই। |
---|
🍲
🍲
এই ধরনের রেসিপি প্রস্তুত করতে বিশেষ করে যদি পেঁয়াজের পরিমাণটা বেশি দেওয়া হয় তাহলে রেসিপিটা খেতে একটু অন্যরকম মজাদার হয়ে থাকে। যদিও এই আইডিয়াগুলো পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে। তাইতো প্রথমে আমি অনেকগুলা পিয়াজ এবং মরিচ কুচি করে কেটে নিয়েছি রেসিপি প্রস্তুত করার জন্য। পেঁয়াজ মরিচ কাটার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো কুচিকুচি করে কেটে নিয়েছিলাম কেননা আজকের রেসিপি এর প্রধান আকর্ষণই হবে আলু পেঁয়াজ আর মাছের সমন্বয়। |
---|
🍲
🍲
প্রথম ফটোতে লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পাবেন আলু কুচির উপরে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচিগুলা ভালো করে ছিটিয়ে দিয়েছি। এবং দ্বিতীয় ফটোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন তার উপরে পর্যাপ্ত পরিমাণ হলুদের গুড়া ধনিয়া গুড়া এবং লবণ দিয়েছি। এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল হাতের উপরে নিয়ে মসলাগুলোর সাথে ভালো করে মাখিয়ে তারপরে আলুর মধ্যে সব ধরনের মসলা ভালো করে মিশ্রণ করিয়ে দিব। |
---|
🍲🍲
🍲🍲
মসলা এবং আলু 🥔 গুলা মাখানো হয়ে গেলে তার উপরে মাছগুলো ছিটিয়ে দিব ।এবং সামান্য পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে সেটা মাখিয়ে নিব। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন সরিষার তেল কি জন্য আসলে এখন যদি মাছটাকে সরিষার তেল দিয়ে একটু মাখিয়ে নেই তাহলে মাছের গা দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করার পরে অন্যরকম একটি সুগন্ধি এবং খেতেও অনেক মজা অনুভব হবে। |
---|
🍲
🍲
এবার আমি সব ধরনের মসলা আলু এবং মাছ একত্রে ভালোভাবে মিক্সার করে নিয়েছি। যেটি আপনারা প্রথম ফটোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন। মাখানো শেষ হলে এবার পর্যাপ্ত পরিমান পানি দিয়েছি। এবং লবণের পরিমাণটা ভালো করে চেক করে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে পানি একবারেই দিতে হবে পরবর্তীতে যদি আবার পানি দেওয়া হয় কিছু সময় পড়ে তাহলে রেসিপির মজাটা নষ্ট হয়ে যাবে। এবার কড়াইটা চুলার উপর দিয়ে মধ্যম পর্যায়ের তাপমাত্রায় জ্বালাতে থাকবো যত সময় না রেসিপি প্রস্তুত হয়ে যায়।। |
---|
🍲
🍲
২০ মিনিট পরের অবস্থা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পানি সব শুকিয়ে গেছে । 🥔 মাছ এবং মসলা একত্রে মিক্সড হয়ে আছে ।এবং সবগুলা সিদ্ধ হয়ে খুব সুন্দর একটি কালার ফুটে উঠেছে। সেই সাথে সুন্দর ঘ্রাণ বের হচ্ছে ।খেতে যে খুব মজাদার হবে আমি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম। |
---|
🍲
🍲
রেসিপি প্রস্তুত করা হয়ে গেলে এবার চুলা অফ করে নামিয়ে আলাদা একটি পাত্রে রেখে সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে পরিবেশন করেছি।। আসলে নদীর মাছ এবং যে কোন ছোট মাছ খেতে বরাবরই আমার খুবই ভালো লাগে।। রেসিপিটি প্রস্তুত করার পরে আমার মনে হচ্ছিল আমার রুমমেট এর থেকে আমারই বেশি ভালো লাগছে খেতে তার থেকে আমারই বেশি খুশি লাগছিল।। রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও তেমন মজাদার হয়েছিল। যদিও রেসিপি প্রস্তুত করার জন্য মোটামুটি ক্রিটিকাল ঝামেলা গুলো আমার রুমমেট ঠিক করেছে।। আজকের রেসিপি প্রস্তুতিতে আমার শুধু রাধুনীর ভূমিকাটাই ছিল বাদবাকি কাজ সব করেছে আমার রুমমেট।। |
---|
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন বেলে মাছ কেটে- ধুয়া অনেক ঝামেলার কাজ।ভাগ্যিস আপনার রুমমেট ক কেটে-ধুয়ে রেডি করে দোয়ার জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন।না হয় আপনার দুঃখের শেষ থাকত না।বেলে মাছ রান্না করা অনেক সহজ। সবগুলো এক সাথে দিয়ে মেখে রান্না করার স্বাদ আলাদা। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে আপনার রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন দুঃখের আর শেষ থাকত না যদি রুমমেট আমাকে সহায়তা না করতো তবে আমিও মনে হয় না রুমমেট না বললে এই মাছ করায় করে আনতাম খাওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি পর্যবেক্ষণ করে সুন্দর একটি মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই আমি মেস লাইফে এ ধরনের সমস্যা খুব বেশি পরিমাণে হয়। কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করলেও খাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না কিন্তু আপনি তো দেখছি ভালো একটা রুমমেট পেয়েছেন যে একাই কাটা ধোয়া সব করে ফেলল।
আলু দিয়ে বেলে মাছ চচ্চড়ির খুবই চমৎকার একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই রেসিপিটা আমারও অনেক ভালো লাগে।
যা হোক তার পরেও জীবনধারণের জন্য বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে।।
ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদানের জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দেখা হচ্ছে পরবর্তীতে
বেলে মাছ এখন ডুমুরের ফুলের মতো হয়েছে তেমন একটা দেখা পাওয়া যায়না বলা যায়।অনেক সুস্বাদু এই মাছ ছোট বড় সবাই পছন্দ করে।দারুন ভাবে উপস্থপনা করেছেন শুভ কামনা।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি এই মাছগুলা খুবই সুস্বাদু যদিও এখন বর্ষার মৌসুম মোটামুটি পাওয়া যায় আমাদের দিকে।।
আমার তো এই মাছ খুবই ফেভারেট মাঝে মাঝেই খাওয়া হয় ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাথে থাকার জন্য
ছোট মাছ খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি, তবে কখনো এভাবে রান্না করে খাইনি কারণ ছোট মাছ কাটা ধোয়া করা আসলেই অনেক ঝামেলার একটি কাজ। আর আমার রুমমেট কখনোই এভাবে মাছ পরিষ্কার করে দেবে না তাই রান্না করে খাওয়াও হয়নি।।
আপনার রেসিপিটি বেশ সুস্বাদু লাগছে ভাইয়া। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে পুরো রেসিপিটি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার রেসিপি পোস্টটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রুমমেট কিন্তু খুব ভালো আমাকে সকালের সহায়তা করে যার জন্যই আমি এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি প্রস্তুত করতে পারি তাহলে আপনাকে একদিন দাওয়াত রইল চলে আসুন আমার রুমমেট এর প্রস্তুত করার রেসিপি আপনাকে খাওয়াবো
ভাইয়া আপনার পোস্ট বরাবরই ভালো লাগে।তবে লিখাগুলো justify করলে মনে আরো ভালো লাগলো।আমার মতামত, কিছু মনে করিয়েন না।যাই হোক বেলে মাছ খেতে বেশ ভালোই লাগে।এভাবে আলু দিয়ে বেলে মাছের চচ্চড়ি করলে বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ
একটি পোস্ট করার পর থেকে আমি সবসময়ই সবার কাছ থেকে পরামর্শ আশা করি কিভাবে পোস্টটা ভালো করা যায় কিভাবে পোস্টের আরো উন্নত করা যায় ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে আরো বেশি সতর্ক করে দেওয়ার জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।।
আলু, পেয়াজ দিয়ে বেলে মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখেইতো খেতে ইচ্ছে করছে। রান্নার ধাপগুলো গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে একটু অন্যরকম মজাদার হয়ে থাকে ছোটবেলা থেকেই এভাবে মায়ের হাতের প্রস্তুত করার রেসিপি খেয়েছি তবে এবার আমি প্রথমবারের মতো এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করেছি খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল সত্যি
বেলে মাছ আমারও খুবই পছন্দের একটি মাছ। এরকম ছোট বেলে মাছগুলো সব সময় চচ্চড়ি করলেই বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার বেলে মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
বেলে মাছ আপনার অনেক পছন্দের জন্য খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে খুবই মজাদার হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন
বেলে মাছ আমার খুবই প্রিয় একটা মাছ। আর সেটা চচ্চড়ি হলেতো কথাই নেই। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে বেলে মাছের চচ্চড়ি টি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
আমারও খুব ফেভারিট চচ্চড়ি করে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার প্রস্তুত করার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দেখা হবে পরবর্তীতে।।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে বেলে মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে চচ্চড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এই রেসিপি গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপি ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু এ ধরনের রেসিপি গরম ভাতের সাথে খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে আমারও খুব ফেভারিট এমন রেসিপি তাইতো প্রস্তুত করে ফেললাম ঝটপট খাওয়ার জন্য তবে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল