কলার থোর,মসুর ডাউলের সাথে থানকুনির পাতা মিশ্রণে ভাজি😋
১০চৈএ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২৪মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
২১শাবান, ১৪৪৩ হিজরী
বৃহস্পতিবার।
বসন্তকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🍲😋
🍲😋
প্রিয় ব্লগ বাসী আশাকরছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন❤️ আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো আছি❤️ আজ আমি নতুন একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এধরনের রেসিপি আমি এর আগে কখনো প্রস্তুত করে খায়নি। কলার থোর এবং থানকুনির পাতা মসুর ডাউল মিশ্রণে ভাজির রেসিপি। হঠাৎ করেই আইডিয়াটা মাথায় আসতেই আমি এই রেসিপিটি প্রস্তুত করেছি।এধরণের রেসিপি আরো একদিন আমাদের প্রস্তুত করে খেতে হবে। কারণ রেসিপিটি খুবই মজা পেয়েছে। প্রথমবার হিসেবে খুব সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করতে পেরেছি।আশা করি আমার প্রস্তুতকৃত রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ধন্যবাদ। |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কলার থোর | পরিমাণ মতো। |
ডাউল | ২০০গ্রাম। |
থানকুনির পাতা | পরিমাণ মতো। |
পিয়াজ,মরিচ,রসুন | ৪,৫,১. |
হলুদ,মরিচের, গুড়া | পরিমাণ মতো। |
লবণ | স্বাদমতো। |
তেল | পরিমাণ মতো। |
🍲
🍲
প্রথমে আমি প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো গুছিয়ে একত্র করেছি। তারপরে চুলার পড়ে গিয়ে চুলা জ্বালিয়ে সি। এবং চুলার উপরে করাই দিয়েছি। কড়াই দিয়ে চুলায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছি। তারপরে কড়াইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিয়েছি। তেল পরিমাণমতো গরম হলে তার মধ্যে পূর্বে কুটে রাখা পিয়াজ রসুন এবং মরিচ দিয়ে ভাজি করতে থাকি। |
---|
🍲
🍲
মসলাগুলো পরিমাণমতো ভাজি হয়ে গেলে তার মধ্যে পূর্বে ভিজিয়ে রাখা ডাউন গুলো দিয়ে দিই |
---|
🍲
🍲
8 থেকে 10 মিনিট ধরে আমি ভেজানো ডাল মসলার সাথে তেলের উপর দিয়ে ভাজি করেছি। কারণ ডাল ভাজা ভালো না হলে রেসিপির খেতেও মজা হবে না। |
---|
🍲
🍲
পূর্বে আমি কলার থোর ছোট ছোট করে কেটে পানি দিয়ে ভাল করে সিদ্ধ করে রেখেছিলাম। যাতে করে রেসিপিটি অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করে ফেলতে পারি সেই ধাপটি এবার আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। |
---|
🍲
🍲
এত সময় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ডাউল ভাজা হয়ে গেছে। লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ডাউল গুলো লাল হয়েছে। এবং পূর্বের তুলনায় হালকা ফুলে গেছে। |
---|
🍲
🍲
এই ধাপে এসে আমি ভাজা ডাল এর মধ্যে পূর্বে সিদ্ধ করে রাখা কলার থোর ডালের মধ্যে দিয়ে ভেজে নিব নেড়ে নেড়ে। |
---|
🍲
🍲
কলার থোর এবং ডাউল মিশ্রণে 8 থেকে 10 মিনিট চুলার উপরে ভাজি করার পরের অবস্থা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এখনই খুব সুন্দর ঘ্রাণ বেরোচ্ছে। আমি তো লোভ সামলাতে পারছিলাম না😋 তাই আস্তে আস্তে খেতে শুরু করেছিলাম। কালারটা ও দারুন ফুটে উঠেছে। |
---|
🍲😋
🍲😋
থানকুনির পাতা পূর্বেই আমি উঠিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে রেখেছিলাম। এই ধাপে এসে আমি ভাজির মধ্যে থানকুনির পাতা দিয়ে নাড়তে শুরু করি। এখন থেকে ঠিক পাঁচ মিনিট চুলার উপরে রাখলেই রেসিপিটি হয়ে যাবে। |
---|
😋 পরিবেশন😋
😋 পরিবেশন😋
রান্না করা শেষ এবার পরিবেশন এর পালা। রান্না করা শেষ হয়ে গেলে আমি চুলা অফ করি তারপরে কড়াই থেকে অন্য আরেকটি পাত্রে ঢেলে নিই। তারপরে ফটো তুলে আপনাদের মাঝে পরিবেশন করলাম। রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। আমি খুব মজা করে খেয়েছি। প্রথমবার আমি এ ধরনের রেসিপি প্রস্তুত করেছি। আমার খুবই ভালো লেগেছে। ইচ্ছে করছে এরকম রেসিপি প্রতিদিনই প্রস্তুত করে খেতে। আশা করছি আমার প্রস্তুতকৃত রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
---|
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
কলার থোর,মসুর ডাউলের সাথে থানকুনির পাতা মিশ্রণে ভাজি এই ধরনের রেসিপি তৈরি করে অনেকদিন যাবত খাওয়া হয়না। আমার কাছে আপনার রেসিপি তৈরি দেখে খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপি তৈরি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপনি এরকম ভাবে প্রস্তুত করে খেয়ে দেখি ইন খেতে খুবই সুস্বাদু হবে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ করার জন্য
ভাইয়া রেসিপিটি একটা ইউনিক রেসিপি হয়েছে। কলার থোর ও মসুর ডালের সাথে থানকুনির পাতার মিশ্রণের এই রেসিপিটি রশাদ কখনো গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু তবে দেখে মনে হচ্ছে যেটি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছে। ভবিষ্যতে রেসিপিটি স্বাদ গ্রহণ করব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া রেসিপিটি আমি এই প্রথমবারের মতো প্রস্তুত করেছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপনিও বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন ধন্যবাদ
অনেকগুলো সবজি দিয়ে ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এরকম ভাবে ভাজি করলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর ছিল তো আপনার এই রেসিপিটি। রান্না করার রেসিপি এর ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে দারুণ সুস্বাদু ছিল রেসিপি রান্না করার পদ্ধতিগুলো ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাইয়া রেসিপিটি খেতে দারুন মজা হয়েছিল আমি খুব মজা করে খেয়েছি আপনিও এরকমভাবে বাসায় এই রেসিপিটি প্রস্তুত করে খেয়ে দেখতে পারেন খেতে খুবই সুস্বাদু হবে ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য
কলার থোড় ও থানকুনির পাতার দুটোর কোনটাই আমি কোনদিনও খাইনি জানিনা কেমন লাগে খেতে। তবে আপনার খাবারটি দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছে ।আবার সাথে মুসুরির ডাল দিয়েছেন মজা হওয়ারই কথা। খুব সুন্দর ভাবে আপনি প্রতিটি ধাপে ধাপে খাবারটি শেয়ার করেছেন ভালো হয়েছে আপনার রান্নাটি।
সচরাচর এই ধরনের রেসিপিগুলো গ্রামে বেশি প্রস্তুত করা হয় কারন এই উপাদানগুলো গ্রামে এভেলেবেল পাওয়া যায় আপনিও উপাদান গুলো যোগার করে এরকম ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করে খেয়ে দেখতে পারেন খেতে খুবই সুস্বাদু হবে
দারুন এবং ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন ভাই। কলার থোর,মসুর ডাউল এবং থানকুনির পাতা এ তিনটির সমন্বয়ে তৈরি করা রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপির প্রস্তুত প্রণালি ইউ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা থাকবে সবসময়।
জি ভাইয়া আমিও রেসিপিটি প্রথমবারের মতো প্রস্তুত করেছি খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন খেতে খুবই মজা পাবেন ধন্যবাদ
কলার থোর,মসুর ডাউলের সাথে থানকুনির পাতা মিশ্রণে ভাজির খুবই সুন্দর একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার এই রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খুবই মজা করে খেয়েছি আমি এবং আমার রুমমেট আপনি এরকম ভাবে বাসায় ট্রাই করে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু হবে খেতে
ভাইয়া সবগুলো জিনিস আমি আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু এভাবে একসাথে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল। আপনার রেসিপির কালার অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু লেগেছিল। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদিন বাসায় তৈরি করে দেখতে হবে। আপনি প্রতিটা ধাপ কত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। তারপর আবার আপনার উপস্থাপনাটা আরো বেশি সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আমি ওই ধরনের রেসিপি এই প্রথম প্রস্তুত করেছি আপনিও একইভাবে বাসায় প্রস্তুত করে খেয়ে দেখতে পারেন খেতে খুবই সুস্বাদু হবে আশা করি আমিও খুব মজা করে খেয়েছিলাম ধন্যবাদ আপু
একদম সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। কলার থোর মসুর ডাল এর সাথে থানকুনি পাতা এর রেসিপি এই প্রথম দেখলাম। একটি ভিন্ন ধরনের ইউনিক রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
রেসিপিটি আমিও সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে প্রস্তুত করেছি আমি ওই ধরনের রেসিপি আগে কখনো প্রস্তুত করে খাই নি এই প্রথম প্রস্তুত করলাম তবে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন