ভ্রমণ🚴♂️🛖 ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদী🚴♂️ উল্লেখযোগ্য কিছু স্ট্যাচু সৌন্দর্য 📸 শেষ পর্ব।
১৩জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভরাত্রি ❤️ প্রকৃতি দেখিয়েছে তার একটি রূপ। যার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাছাড়া কলকাতায় ও আঘাত এনেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বিশেষ করে অনেক মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। খাবার এবং সুপ্রিয় পানের অভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাছাড়া সারাদিনই থেমে থেমে দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টি হচ্ছে। সারাদিন নিউজ চ্যানেল এর মাধ্যমে যতটুকু জানতে পারলাম বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি এবং অবহেলার কারণে বাধ গুলো অরক্ষিত। যার কারনে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে হাজার হাজার মাসের ঘের ভেসে গিয়েছে সেই সাথে মানুষ এবং গৃহপালিত পশু গুলো পানি বন্দী হয়ে রয়েছে। প্রতিবছর শুধু বর্ষার মৌসুম এলে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটু নড়েচড়ে বসে। এটা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও ও সাধারণ মানুষের কোন উপকার হচ্ছে না। নামমাত্র কাজ করেই টাকা গুলো উধাও। জানিনা এই দুর্নীতির শেষ কোথায়। আর আমাদের বাংলাদেশ তো যেটা একবার শুরু হয় শেষ হওয়া খুব কষ্ট। একদম উপর থেকে শুরু করে সেই অফিসের পিয়ন পর্যন্ত দুর্নীতির টাকার ভাগ পায়। যাইহোক সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এদেরকেই পোহাতে হয় সরকারি আমলা গুলো ভালই সুখে থাকে। থাকি সব কথা আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণের শেষ পর্ব। আর আজকের পর্বের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখাবো ড্রিম হলিডে পার্কের মধ্যে থাকা উল্লেখযোগ্য কিছু স্ট্যাচু সৌন্দর্য। মূলত এই স্ট্যাচু গুলোর কারণেই এই পার্কটি এত ভালো এবং নাম সরিয়ে পড়েছে। যেখানে গেলে আপনি শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল এবং মরু অঞ্চল আইসল্যান্ড সব সৌন্দর্য একত্রে উপভোগ করতে পারবেন। তাহলে চলুন এবার নিজের ফটোগ্রাফি গুলো সেই সাথে কিছু কথা দেখে আসি।
উপরের ফ্রেমে আপনারা দুটি ফটো দেখতে পাচ্ছেন এর মধ্যে একটি হলো বেহালা বাজানো এবং অন্যটি বাঁশি বাজানোর স্ট্যাচু। এই পার্কটি ঘিরে যেমন সব ধরনের সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা স্ট্যাচুর মাধ্যমে সেই সৌন্দর্যগুলো দারুন প্রকাশ পায়। এই স্ট্যাচু দুটি এমন ভাবে স্থাপন করা রয়েছে ফাঁক থেকে দেখলে মনে হবে যে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে এই বাদ্যযন্ত্রটি বাজাচ্ছে এবং অপর একটি জায়গায় নিরিবিরি বসে একটি লোক বাঁশি বাজাতে খুব ব্যস্ত।
এই ফ্রেমে আপনারা দুটি ফটো দেখতে পাচ্ছেন এর মধ্যে প্রথমটি সোনালী কালারের। এটির মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাল খেলার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মাল খেলা মূলত হলো শক্তি পরীক্ষা। আমাদের অঞ্চলে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে মেলার আয়োজন করা হয়। এবং বিভিন্ন অঞ্চলের শক্তিশালী ব্যক্তিবর্গদের কে দাওয়াত করা হয়। এক এক অঞ্চলের এক একজনের সাথে অন্য অঞ্চলের লোকের শক্তি পরীক্ষায় নামিয়ে দেওয়া হয়। এবং সর্বশেষ যারা এটাতে বিজয়ী হয় তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। আর এই ধরনের গ্রাম্য মেলায় খেলার পুরস্কার হিসেবে গরু অথবা ছাগল পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। অনেকের কাছেই হয়তো এই মাল খেলা অপরিচিত হতে পারে। অপর একটি ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ব্যক্তি ব্যাঙের সাথে বসে কি যেন বলছে।ছোটবেলায় ব্যাগ নিয়ে অনেক গল্প পড়েছি। তবে কখনো কি দেখেছেন ব্যাঙের সাথে নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করছে কোন মানুষ। পাশেই জাগা রয়েছে বসার জন্য দর্শনার্থীদের আপনিও চাইলে বসে তাদের সাথে গল্প করতে পারবেন কিন্তু হাহাহা।
খরগোশ কে আমরা চিনি না দেখি নাই বা খরগোশের গল্প কখনো পড়িনি এমন মানুষ হয়তো নেই। এবং খরগোশ খুব চালাক প্রাণী খুব জোরে দৌড়াতে পারে সেই সাথে খরগোশের প্রিয় খাবার গাজর এটাও কিন্তু আমাদের সবার জানা। তাছাড়া বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি কার্টুন রয়েছে খরগোশের যেটা আমি প্রায় প্রতিনিয়তই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখে থাকি। উপরের ফটোগ্রাফিতে একটি খরগোশ দেখতে পাচ্ছেন তাও আবার একটি গাজরের গাছের উপরে দাঁড়িয়ে। এবং পাশেই ওপর একটি ফটোগ্রাফি রয়েছে দেখুন ক্যাঙ্গারু। হয়তো আমাদের সবার পরিচিত। তবে স্ট্যাচু গুলো এত সুন্দর করে তৈরি করা রয়েছে এবং এমনভাবে সেখানে বসানো রয়েছে ফাঁকে থেকে দেখলে মনে হবে যেন বাস্তবে কোন প্রাণী এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এই পার্টি ভ্রমণ করে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে গ্রাম্য পরিবেশের সৌন্দর্যগুলো। আর এই ফ্রেমে আপনাদেরকে গ্রাম্য পরিবেশের বেশ কিছু সৌন্দর্য দেখানোর চেষ্টা করেছি। এই পার্কে একটি জায়গা আছে যেটার নাম আদর্শ গ্রাম। এই আদর্শ গ্রাম ভ্রমণ করলে আপনি গ্রামের কৃষ্টি কালচার এবং সব ধরনের কাজের আইডিয়া পেয়ে যাবেন এক নজরে। গ্রামের রং চায়ের দোকান। সেখানে বসে থাকা কাস্টমারের দৃশ্য। এবং গ্রামের পথে ছেলেমেয়েদেরকে ঘুড়ি উড়ানোর দৃশ্য। তারপরে দেখতে পাচ্ছেন একটি রাখাল গরু চরাতে নিয়ে যাচ্ছে মাঠের দিকে। মূলত আমরা কিন্তু গ্রাম্য পরিবেশে এই ধরনের সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করে থাকি। গ্রামে নদীতে বা পুকুরে মাছ ধরার দৃশ্য কিন্তু আমরা সবাই দেখেছি। সেই সাথে আমরা এখানে অনেকেই আছি যারা গ্রামে বড় হয়েছি এবং এরকম ভাবে মাছ শিকার করেছি অনেকবার। পরে আরেকটি ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন গ্রামের ছেলে মেয়েদের এবং বয়স্ক মানুষের নদীতে বিভিন্ন উপায়ে মাছ শিকার করার দৃশ্য। পুকুর পাড়ে গ্রাম্য বধুর পানি আনার দৃশ্য এবং কাপড় কাচার দৃশ্য ও এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন। সেই সাথে গ্রামের হাজার বছরের এক ঐতিহ্য হল ঢেঁকি। ঢেঁকি দিয়ে কিভাবে ধান মাড়াই করে চাউল বা চাউল থেকে আটা তৈরি করা হয় সেই দৃশ্যও এখানে সুন্দরভাবে স্ট্যাচুর মাধ্যমে প্রকাশ করা রয়েছে। এক কথায় আপনিও যদি আমার মত এই পার্ক ভ্রমণ করেন তাহলে এখানকার স্ট্যাচুড় গুলোর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন।আমি এখানে যে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি এগুলো দেখলে মোটামুটি গ্রাম্য পরিবেশের সৌন্দর্য সম্পর্কে আপনারা অনেক ধারনা পেয়ে যাবেন। যাইহোক ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণ পোষ্টের আজকে শেষ পর্ব শেয়ার করলাম। আর আজকের পর্বের মধ্যে এই পার্কের উল্লেখযোগ্য কিছু স্ট্যাচু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে পার্কে ভ্রমণ করে আমি দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেই সাথে আনকমন কিছু সৌন্দর্য ও উপভোগ করেছি। আপনারাও চাইলে এই পার্কটির ভ্রমণ করে দারুণ সব সৌন্দর্য উপভোগ করে আসতে পারেন। আমার আজকের পোষ্টের কোন সৌন্দর্যটি আপনাদের কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার জানার খুব আগ্রহ রয়ে গেল। আশা করছি আপনাদের কাছ থেকে উত্তরটি পাবো।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]
VOTE @bangla.witness as witness OR >>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্ক থেকে বেশ চমৎকার সব ফটো ধারণ করেছেন। যেখানে বিভিন্ন জিনিসের মূর্তি দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের। বেশ ভালো লাগলো এ পার্কের কিছুটা অংশ দেখতে পেরে। আশা করব আবারও পার্ক সম্পর্কে নতুন কিছু ফটো নিয়ে উপস্থিত হবেন।
ড্রিম হলিডে পার্ক ভ্রমণের সৌন্দর্যগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
ভাইয়া ড্রিম হলিডে পার্ক থেকে বেশ দারুন কিছু স্ট্যাচুর সৌন্দর্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি স্ট্যাচুই কিন্তু দারুন লাগছে। মনে হচ্ছে যত দেখছি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি।আমার কাছে এই ধরনের গ্রাম্য পরিবেশ দেখতে ভালো লাগে।সত্যি বলেছেন ভাইয়া ড্রিম হলিডে না গিয়েই আজ আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে হচ্ছে এখনি সেখানে ভ্রমণে চলে যাই। আর এই দৃশ্যগুলো আমার মোবাইলে বন্দি করে রাখি। ধন্যবাদ আপনাকে।
স্ট্যাচু সৌন্দর্যগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
আসলে আমি এই পার্কটিতে বাংলাদেশ যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম সবাই মিলে এই পার্টিতে অনেক আনন্দ করেছিলাম। আসলে আমরা প্রধানত বারদী লোকনাথ বাবার জন্মস্থানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে আমরা এই পার্কটিতে গিয়ে অনেক মজা করেছিলাম। আসলে আমরা বেশিরভাগ সময় এই পার্কটি ওয়াটার পার্ক সেকশনে কাটিয়েছিলাম। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি সেরা পার্ক আমার মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনিও এই পার্কটি ভ্রমণ করেছেন খুবই ভালো লাগলো।
আসলেই পার্কের সৌন্দর্য মন মুগ্ধকর।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব সব জায়গাতেই পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রিম হলিডে পার্ক দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর সব জায়গাগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। ইচ্ছে করছে নরসিংদীতে এই দারুন জায়গাটিতে যেতে। আপনার পোস্ট দেখে ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এটাতে তো কারো হাত নেই সৃষ্টিকর্তা যেটা ভালো মনে করেন সেটাই হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য পোস্টটি পড়ে।