বাংলা কবিতা 📖 অস্ত্রের উল্লাস
২৪আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১২অক্টোবর , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
২৩রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
বৃহস্পতিবার।
শরৎকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
পৃথিবী থেকে মানবতা বিদায় নিয়েছে। মানুষের চরিত্রে আজ রক্ত নেশার ছাপ। অস্ত্র গুলাবারদ রকেট লাঞ্চার আর আগ্নিঅস্তরের দাপট। যার যত বেশি অস্ত্র তার তত বেশি পাওয়ার। প্রায় ৭৫ বছর ধরে চলছে গাজা বাশির উপর নির্মম অত্যাচার ও ধ্বংসযজ্ঞ। কোথায় জাতিসংঘ আর কোথায় মানবতা কেউ কোনো কথা বলে না। কারন প্লেস্টাইনরা নিরস্ত্র। অপজিট অস্ত্রের সজ্জিত যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকে। তাদের শক্তি বুদ্ধিমতা এবং অস্ত্রের কাছে সবাই নির্বাক। তবে এর অবসান ঘটা উচিত। সমাধান চাই যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। অতিথি হিসেবে তাদেরকে থাকতে দিয়েই প্যালেস্টাইন বাশি সবথেকে বড় ভুল করেছ। এজন্যই তাদের ভূমি থেকে আজ তাদেরকেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে । নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।সৃষ্টিকর্তা জানেন কবে এর অবসান ঘটবে। যাহোক কবিতার মাঝে যুদ্ধ অবস্থার কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
অস্ত্রের উল্লাস
ফোটে না ফুল কোথাও হাজার সকাল,
চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ,
হাজারো লাশের পচা দুর্গন্ধ,
স্বজন হারা মানুষের আর্তনাদে বাতাস ভারি,
রাতের আকাশ চন্দ্র দীপ্ত,
রাতের তারা গুলো মিটিমিটি জ্বলছে আর নিভছে।
রাতের তারার মত আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে বোমার বৃষ্টি।
বোমা বারুদের দুর্গন্ধ বাতাস ভাড়ি।
নতুন ভোরের সূর্যের পরিবর্তে মাথা উঁচু করে আছে হেলমেট,
ফুটতো যেখানে জুঁই, বেলি,রঙ্গন গোলাপ
সেখানে ফুটেছে আজ বারুদ আর বুলেট
চারিদিকে পাথর কংক্রিট আর ভয়ল আগুন,
আজ আযানের ধ্বনী নেই,
ক্ষণে ক্ষণে শোনা যাচ্ছে মেশিনগানের শব্দ-
রকেট আর বুলেটের আঘাতে,
মানুষগুলো মারছে পাখির মতো,
আর বুঝি সাজবে না পৃথিবী ফুটবে না ফুল,
জাগ্রত হবে না মানব জাতির বিবেক।
শক্তিতে মেতে আছে সবাই রক্ত নেশায়,
এই রক্তাক্ত মাটিতে শুধু অস্ত্রেরো উল্লাস।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ,
হাজারো লাশের পচা দুর্গন্ধ,
স্বজন হারা মানুষের আর্তনাদে বাতাস ভারি,
রাতের আকাশ চন্দ্র দীপ্ত,
রাতের তারা গুলো মিটিমিটি জ্বলছে আর নিভছে।
রাতের তারার মত আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে বোমার বৃষ্টি।
বোমা বারুদের দুর্গন্ধ বাতাস ভাড়ি।
নতুন ভোরের সূর্যের পরিবর্তে মাথা উঁচু করে আছে হেলমেট,
ফুটতো যেখানে জুঁই, বেলি,রঙ্গন গোলাপ
সেখানে ফুটেছে আজ বারুদ আর বুলেট
চারিদিকে পাথর কংক্রিট আর ভয়ল আগুন,
আজ আযানের ধ্বনী নেই,
ক্ষণে ক্ষণে শোনা যাচ্ছে মেশিনগানের শব্দ-
রকেট আর বুলেটের আঘাতে,
মানুষগুলো মারছে পাখির মতো,
আর বুঝি সাজবে না পৃথিবী ফুটবে না ফুল,
জাগ্রত হবে না মানব জাতির বিবেক।
শক্তিতে মেতে আছে সবাই রক্ত নেশায়,
এই রক্তাক্ত মাটিতে শুধু অস্ত্রেরো উল্লাস।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বেশ চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা প্রতিটি কবিতা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যতবার কবিতাটি পড়েছি ততবার যেন কবিতা টির প্রেমে পড়ে গেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কবিতা না পড়ে কবিতার বিষয়বস্তু না বুঝে মুখস্থ কমেন্ট করেন কেন?? ¿??
খুবই চমৎকার এবং দুর্দান্ত একটি কবিতা লিখলেন। কবিতার প্রতিটি লাইন পরে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আর আপনি লাইনগুলো সুন্দরভাবে সহজভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করার চেষ্টা করেছেন। একেবারে দুর্দান্ত কবিতা লিখলেন। পড়েই মনটা শান্তিতে ভরে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
বিশ্বের বুকে আজ ঘটে চলেছে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনি বাস্তবধর্মী একটি কবিতা রচনা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি আজকে বিশ্বের বুকে এমনই ঘটছে প্রতিনিয়ত যেখানে মানুষের জীবন বিপন্ন। রাতের আকাশের চাঁদ তারা কখন উঠে আর কখন ডুবে সে দিকে তাকানোর সৌভাগ্য হয় না অনেক মানুষের জীবনে।
বিপদে ফেলার জন্য আসলে মুষ্টি কয়েক লোকই যথেষ্ট।
ধন্যবাদ ভাইয়া কবিতাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি কিন্তু বাস্তবেক একটা টপিক তুলে ধরেছেন এই কবিতাটা লেখার জন্য। আসলে এখন মানুষের জীবনটা এরকম হয়ে গিয়েছে, আর জাতিসংঘ আর মানবতা কেউ কোনো কথা বলে না এটা সত্যি। যুদ্ধ অবস্থায় কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এই কবিতার মাধ্যমে, যেটা অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। পুরো কবিতাটা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি এবং বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ আপু কবিতাটি সম্পূর্ণ করে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।