ঐতিহ্যবাহী গঞ্জের হাটের সাপ খেলা 🐍🐍।
০৬পৌষ মাস , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
০৮রজব ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🐍🐍
সময়ের সাথে সাথে জীবন এবং জীবিকার তাগিদে আমরা প্রতিনিয়ত ছুটতে থাকি। এজন্যই তো লালন ফকির তার গানের মাঝে বলেছে রাত পোহালে পাখি বলে দেরে খাই দেরে খাই। আসলে একটু ভেবে দেখুন তো দিনে তিনবার আমাদের খাবারের প্রয়োজন রয়েছে অবশ্যই। আর এই খাবারের জন্যই আমাদের এত কষ্ট আর পরিশ্রম। আমাদের দেশের বিভিন্ন শ্রম অফিসার মানুষ রয়েছে। একদম হাইকোর্ট থেকে শুরু করে টোপাস পর্যন্ত। সবাই সবার জীবিকা আহরণের জন্য ব্যস্ত। এমনকি আমরা মৃত্যুকে হাতের মুঠোতে নিয়ে ও জীবিকা অন্বেষণ করে যাচ্ছি। হয়তো উপরের ফটোগ্রাফি টা দেখে কিছু একটা আন্দাজ করতে পারছেন আসলে আমি কি বলতে চাচ্ছি। গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী খেলা হলো সাপ খেলা। কালের বিবর্তনে যদিও এটি প্রায় হারানোর পথে তারপরেও মাঝে মাঝে গঞ্জের হাটে অথবা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে দেখা মেলে। তবে সাপ খেলা দেখানোর যে টেকনিক ম্যাচে গিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করার যে দৃশ্য আসলেই দেখতে অনেক ভালো লাগে। গত কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়া মিরপুর নদীর পাড়ে গঞ্জের হাটে এই সাপ খেলাটি উপভোগ করেছি প্রায় তিন বছর পরে। ওই যে বললাম এখন আর তেমন একটা দেখা মেলায় না এই জাতীয় বিনোদনগুলো। এখনতো বিনোদন বলতে আমরা একমাত্র মোবাইলকেই মেনে নিয়েছি।
🐍🐍
ফটোগ্রাফিতে আমরা হয়তো সাপুড়ের হাতে সাপ দেখতে পাচ্ছি এটাকে যদি তার জীবন বলি তাহলেও কিন্তু ভুল হবেনা। ওই যে গানে আছে এক সেকেন্ডের নেই ভরসা। যদিও সাপুরেরা তাদের নিজের সেফটি সবসময়ই বজায় রাখে। তারপরেও মাঝে মাঝে নিউজে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় সাপ খেলা দেখাতে গিয়ে সাপুরের মৃত্যু। যেহেতু জীবিকা অন্বেষণের জন্য আমরা বিভিন্ন কাজে বিভিন্নভাবে জড়িত। এজন্যই কিন্তু এই ব্যক্তি সাপ দিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করে তার জীবিকা অন্বেষণ করছে। একটি সাপ সে হাত দিয়ে এবং তার গলা দিয়ে পেঁচিয়ে রাখছে এবং অন্য একটি তার সামনে ফোণা তুলে রয়েছে। এরকম অবস্থা যদি আমি আপনি করতে দেয় তাহলে কিন্তু কোনভাবেই হয়তো সম্ভব হবে না।
🐍🐍
নিচে গিয়ে সাপ দিয়ে খেলা দেখিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন আর হাত তালি। অতঃপর এখান থেকে কিছু টাকা খুঁজে নেওয়া তারপরে জীবিকা নির্বাহ করা এদের প্রধান কাজ। আগে দেখতাম গ্রাম অঞ্চলে দল বেঁধে বেদে পল্লীর মানুষ বিভিন্নভাবে সাপ দিয়ে খেলা দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থকড়ি নিতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই ঐতিহ্য টা গ্রাম অঞ্চল থেকে প্রায় বিদায় নেয়ার পথে। এখনো মাঝে মাঝে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর পাড়ে দেখা মেলে এমন বেদে পল্লীর দলকে। বিশেষ করে শীতের শুরুতে তারা নদীর পাড়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে থাকে এবং শহর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে তাদের খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য। কেউ সব দেখে ভয় পেয়ে ধরে পালায় আবার কেউ সাপকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবিকা অন্বেষণ করে। আসলে এটাই হল জীবিকা নির্বাহের আসল বাস্তবতা।
🐍🐍
সাপ খেলা দেখানোর সময় বেদেরা অনেক রকমের কথা বলে মানুষের মন ভোলানোর জন্য এবং অনেক রকমের ভেলকি দেখাতে শুরু করে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য থাকে মানুষকে খুশি করার জন্য। দেখতে পাচ্ছেন এই সাপুড়ের কাছে বেশ কিছু বাক্স রয়েছে প্রত্যেকটা বাক্সতেই রয়েছে বড় বড় সাপ। সাপ খেলা দেখিয়ে যে অর্থ উপার্জন করে এটা তারা নিজে খায় এবং সাপকে খাওয়ায়। এখানে কিন্তু তারা অনেক রকমের ভেলকিবাজি করবে যেমন হাতে ব্যথা পায়ে ব্যথা মাজায় ব্যথা কোমরে ব্যথা তাতে পোকা লাগা এই রোগগুলোর তারা চিকিৎসা করে বলে প্রচার করতে থাকে। যদিও মানুষ এইগুলোতে এখন আর বিশ্বাস করে না। উপরের ফটোগ্রাফিতে একটি করি দেখতে পাচ্ছেন এটা হয় একটা পাথর না হয় একটা শামুক হবে। প্রথমেই সাপুড়ে বলেছিল এটা কিন্তু উড়তে পারে এবং সাপ ধরতে পারে। এটা বলেছে মানুষের মনোরঞ্জন করার জন্য আসলে এটা আদৌ সম্ভব নয়। এটা সম্ভব শুধু সিনেমাতে। যেটা হয়তো আপনারা বাংলা সিনেমায় দেখেছেন দৃশ্যগুলো। তবে জীবিকার তাগিদে মানুষ কত কিছুই না করছে। জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিতেও দ্বিধা করছে না। যাহোক বেশ কিছুদিন পরে ঐতিহ্যবাহী সাপ খেলা দেখতে পেলাম গঞ্জের হাটে খুবই ভালো লাগলো। কিছু ফটোগ্রাফি এবং কিছু কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম আশা করছি ভাল লেগেছে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া জীবনের তাগিদে আমরা কতো কিছুই না করে থাকি।উচ্চ পদস্থ থেকে নিম্ন। সত্যি কালে বিবর্তনে আজ এই সাপ খেলা দেখতে পাওয়া যায় না।জীবনের ঝুকি নিয়ে এনারা সাপ খেলা দেখিয়ে থাকেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি করার জন্য।
অনেকদিন পরে এমন সাপ খেলা দেখে সত্যি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী সাপ খেলা দেখে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টের লেখাগুলো পড়ে আবার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে জীবিকার তাগিদে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই এরকম সাপ খেলা দেখায়। তবে এটা সত্য যে সাপ খেলা দেখানো ব্যক্তিরা মন ভোলানো বিভিন্ন কথা বলতে পারে।
আসলে আমরা জীবিকার তাগিদে পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায় মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়েও যেকোনো ধরনের কাজ করতে দ্বিধা করি না।
ঠিক বলেছেন এখন কিন্তু আগের সময় গুলোর কোন কিছুই আর হয় না। আমিও ছোটবেলায় সব খেলা দেখেছিলাম। কিন্তু এখন আর এইসব সব খেলা গুলো দেখা যায় না। আপনি তো দেখছি প্রায় তিন বছর পর দেখলেন। এগুলো কিন্তু আলাদা একটা আনন্দ অনুভূতি এনে দেয়। তাছাড়া আমাদের উপভোগ করার মত একটা বিষয়। এই বিষয়টা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখেও আমি অনেক বেশি উপভোগ করতে পারলাম।
ঐতিহ্যটা হারিয়ে যেতে বসেছে তার পরেও মাঝে মাঝে দেখা মেলে গঞ্জের হাটে খুব ভালো লাগলো এ দিন সাপ খেলা দেখে।
এরকম সাপ খেলা দেখার কথা আম্মুর মুখে শুনেছিলাম তবে আমি কখনো এরকম সাপ খেলার সামনাসামনি দেখিনি। সাপগুলো দেখে তো আমার খুব ভয় লাগছে। তবে উনারা জীবন জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ধরনের সাপ খেলা দেখিয়ে যায়। তবে এ ধরনের সামনাসামনি দেখতে পারলে বেশ ভালই লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি বেশ ভালই লাগে নিচে গিয়ে মানুষকে অনেক আনন্দ দেয় এরা।
সাপ খেলা দেখানোর দৃশ্য অনেকদিন পরে দেখলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আমি কিন্তু প্রায় কয়েক বছর আগে সামনাসামনি সাপ খেলা দেখেছিলাম। এটা ঠিক বলেছেন বর্তমানে কিন্তু অনেক কিছুই বিলীন হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে এই ধরনের খেলা গুলো আগে অনেক দেখা যেত। তবে এখন আর দেখতে পাই না। আপনিও তো দেখছি তিন বছর পর দেখলেন। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজকে অনেক উপভোগ করতে পারলাম।
সামনাসামনি দেখে কিন্তু গা ছমছম করছিল ভয়ে।
তবে এদের কিছুই মনে হচ্ছিল না যেভাবে হাত দিয়ে সাপগুলো ধরেছিল।
বেশ কয়েক বছর থেকে সাপ খেলা দেখা হয় না। সাপের খেলা এখন প্রায় বিলুপ্তির দিকে।এই রকম বিনোদন মূলক খেলা গুলো আস্তে আস্তে বিলুপ্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আপনি দীর্ঘ তিন বছর পর সাপের খেলা খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। আমার তো সাপের বাক্স গুলো দেখে ভয় করছে।
বিলুপ্তর দিকে চলে যাচ্ছে আসলে এই ঐতিহ্যগুলো মাঝে মাঝে দেখা মেলে আমিও বেশ কয়েক বছর পরেই দেখলাম।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে সাপ খেলার সুন্দর এক অনুভূতি শেয়ার করেছেন। যেখানে অনেক দিন পর দেখতে পারলাম সাপ খেলার এই সুন্দর দৃশ্য। আসলে ছোটবেলায় সাপখেলা দেখার জন্য আমরাও দৌড়ে বেড়াতাম কিন্তু এখন আর সে অনুভূতি নেই। তবে এগুলো দেখলে অতীতের কথা মনে পড়ে।
আমারও কিন্তু এরকম অভ্যাস ছিল ছোটবেলায় সাপ খেলা দেখলে ওদের পাস পাস দূরে যেতাম।
আমার পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
আমি কয়দিন আগে বাজারে ভাই সাপ খেলা দেখেছি। সত্যি মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে অনেক কিছুই করে থাকে। সাপ খেলা দেখানো অত্যন্ত ঝুঁকির কাজ। আসলে সাপ খেলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিকই বলেছেন জীবিকার তাকিদে আমাদের বিনোদনের জন্যই তারা জীবন হাতে নিয়ে সাপ খেলা গুলো দেখায়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।