প্রতিযোগিতা-২৪ || ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

২৬আশ্বিন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

১১অক্টোবর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
১৪রবিউল আউয়াল , ১৪৪৩ হিজরী
মঙ্গলবার ❤️
শরৎকাল ।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


children-887393__480.webp

Source


কেন বারলে বয়স ছোট্ট বেলার বন্ধু হারিয়ে যায়। আজ অবলায় অবসরে মিষ্টি একটা শৈশব বুকের কোণে বাজে। আজ অবেলায় অবসরে লাগছে ভীষণ একা। তোর কথাটাই বারবার পড়ছে মনে ধরা।। পুরো গল্পটা লিখতে গিয়ে কত শত স্মৃতি কত শত কথা মনের কোণে ভেসে উঠলো।। চোখের কোনে জল এসে বাসা বাঁধলো।। খুব মনে পড়ছে খুব ইচ্ছে করছে আজ যদি এখন এই মুহূর্তে দুজনাই একত্র হয়ে একটু সময় কাটাতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো।। মনে হচ্ছে কত হাজার বছর তোর হাতটা ছুয়ে হয়নি তোমার দেখা। দেখা না হোক কথা না হোক তবু বন্ধু তুমি সব সময়ই থাকো আমার মনের কোণে।। আসলে বন্ধু এবং বন্ধুত্বের স্মৃতি এমনই হয় সবারই। তাহলে চলুন এবার মূল পর্ব শুরু করি


স্কুল জীবন , বন্ধু, শৈশব সবকিছুই আবার ফিরে পেতে আনার খুব ইচ্ছে করে। তা তো আর হওয়া সম্ভব নয়। সময়ের ধারা কখনো অতীত ফিরিয়ে দেয় না। তাই তো আমরা স্মৃতি আকড়ে বেঁচে থাকি জীবনভর।


এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে, সকাল-বিকেল বেলা, কত পুরনো-নতুন পরিচিত গান, গাইতাম খুলে গলা। কত এলোমেলো পথ হেটেছি দুজন, হাত ছিলনা তো হাতে, ছিল যে যার জীবনে দুটো মন ছিল, জড়াজড়ি একসাথে।

কি কথাগুলো শুনে সেই ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে কি আমার মতো আপনাদের? তাহলে আপনিও শুনে নিতে পারেন শিল্পী সায়ানের

এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধু গানটি।

বন্ধু, বন্ধুত্ব এই শব্দগুলো শুনলেই মনের মধ্যে কেমন যেন এক ধরণের ব্যাকুলতা কাজ করে। মনটা শান্ত হয়ে উঠে, প্রশান্তি ফিরে আসে। আবার মাঝে মাঝে স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে চলে যাই শৈশবের দুরন্তপনার সময় গুলোতে ।সেই স্মৃতিতে যেন আবার ছুটে চলতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে আবার ফিরে যেতে ঐ দিনগুলোতে।


জীবনে চলার পথে আমাদের অনেক বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। শৈশব থেকে শুরু করে কৈশরের স্কুল জীবন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কর্মক্ষেত্রে। কিন্তু সব বন্ধু কি হতে পারে বাল্য বেলার বন্ধুর সমতুল্য! একটা সময় ছিল চিঠির মাধ্যমে বন্ধুত্বর সম্পর্ক টিকে থাকতো ।যুগের পরিবর্তন এর মাধ্যমে এখন সোশাল মিডিয়া । দেশ বিদেশ থেকে শুরু করে পরিচিত অপরিচিত। নিজের পরিচিত গণ্ডির বাইরেও চলছে সকলের বন্ধুত্ব। প্রতিটা মুহূর্ত যেন চলে এই বন্ধুত্ব তৈরির প্রয়াস।


তবুও এতো এতো বন্ধুত্ব কিংবা সম্পর্কের ভিড়েও মাঝে মধ্যে ব্যাকুল উঠি আমরা। ব্যাকুল হয়ে উঠি শৈশবের দুরন্তপনার জন্য। আকুল হয়ে উঠি শৈশবের স্মৃতি ফিরে দেখার জন্য।মাঝে মাঝে ঐ বন্ধুদেরই জীবনের সব মনে হয়। শৈশবের এমন বন্ধুত্বের জন্যই জীবনকে সার্থক মনে হয়।


***শৈশবের বন্ধুত্বের জন্য এমন আকুলতা আমাদের সবার মধ্যেই থাকে।
মনোবিজ্ঞানের জনক সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে,

মানুষ আজীবন তার শৈশব দ্বারা তাড়িত হয়। তার মতে, শৈশবের ইতিবাচক দিকগুলো মানুষকে পরবর্তী জীবনে ইতিবাচক করে তুলে। আর নেতিবাচক হলে তার প্রভাবে পরবর্তী জীবনও নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

***শৈশবের বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক মনিষী অনেক কথা বলেছে।

শৈশবের বন্ধুত্ব ও বন্ধুর প্রতি আমাদের আবেগ কাজ করে। কারণ তখনকার সম্পর্কের মধ্যে কোন প্রকার চাওয়া পাওয়া থাকে না। প্রত্যাশা বা স্বার্থ থাকে না। তাই এই সম্পর্কগুলো সত্যিকার অর্থেই আবেগের।


শৈশব আমাদের জীবনের মধুর একটি সময়। শৈশব জীবনের দিনগুলি ছিল মধুর , দুষ্টুমি আর সারাদিন বন্ধুর সাথে দৌড়ে বেড়ানোর এক অন্যতম সময়। আমার শৈশব যেন আজও আমাকে পিছু ডাকে বলে আয়-ফিরে আয়।


সত্যিই আজও বার বার ফিরে যেতে মন চায় ফেলে আসা সেই শৈশবের দিনগুলিতে। মনে পড়ে অবাধে ঘোরা ফেরা আর খেলে বেড়ানো সেই সব দিনগুলির কথা। আপনিও হয়তবা শৈশব শব্দটি পড়েই স্মৃতির পাতায় হাতড়াতে শুরু করেছেন ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোকে।


কার না মনে পড়ে সেই শৈশবের কথা। দিনগুলি এখনও স্মৃতি হয়ে আছে মনের গহিনে। বাল্য বেলার সেই বন্ধুদের সাথে জড়িয়ে থাকা কতশত স্মৃতি। আজো অশ্রু ঝরে সেই দিনগুলো। আধুনিক শহরে এসে ইট পাথরের বড় বড় অট্টালিকার মাঝে হাঁপিয়ে উঠি। তাই এতো একটু সুযোগ পেলে চলে যাই সেই ফেলে আসা শৈশবের গ্রামের বাড়ি।


আমার গ্রামের বাড়ি খুলনা দৃষ্টিকে ,কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার ধোকড়া কোল গ্রামে ।আমাদের উপজেলার সবথেকে উন্নত এবং সুনামধন্য গ্রাম আমাদের গ্রাম ।প্রায় ১০ টি মহল্লা নিয়ে আমাদের এই গ্রামটি গঠিত। আমাদের গ্রামে সকল পেশাজীবীর মানুষ খুব শান্তিতে বসবাস করে। নেই কোন হানাহানি গ্যাঞ্জাম মারামারি সবাই যেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নিয়ে বেঁচে আছে। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে পদ্মা নদী ।তার একটু দূরেই রয়েছে লালন শাহের মাজার। তার থেকে একটু আগালেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। এক কথায় আমাদের গ্রাম আমাদের এলাকাটি এক সাংস্কৃতির রাজধানী। আর সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আমাদের এলাকায়।


এখনো যদি সময় পাই তাহলে বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে অনেক সময় বেরিয়ে আসে আমাদের সেই পুরাতন দিনগুলোর স্মৃতি মাখা দৃশ্য। চোখের সামনে চলে আসে প্রায় ১৫ বছর পূর্বের স্মৃতি। এখনো মনে পড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে শিক্ষকদের বকুনি, অনেকে বলেন সব চেয়ে রাগী শিক্ষকের পিটুনির কথা।সবাই যেন হারিয়ে যাই সেই শৈশবে।


আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু ছিল সজীব। আমাদের দুজনের বাড়িও ছিল পাশাপাশি। ছোটবেলা থেকেই একসাথে বেড়ে ওঠা। প্রাইমারি হাই স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় দুজনে একসাথেই শেষ করেছে।। জীবিকার তাগিদে এখন দুজন দুদিকে। ও চট্টগ্রামে চাকরি করে আর আমি গাজীপুর।। তবুও যেন দুজনের স্মৃতি মাখা জীবন দুজনের ফেলে আসা জীবনের কথাগুলো এখনো যখন ফোনে কথা বলি সব সময় তুলে ধরি দুজন দুজনার।। ওর সাথে কাটানো আমার দিনগুলো আমার সময় গুলো সব সময় স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়েই রয়েছে এখনো।। দুজনে একসাথে পদ্মা নদীতে গোসল করা মাছ ধরা স্কুল পালিয়ে নদীর ধারে বসে সময় কাটানো কত শত স্মৃতি।। কত সময় কাটিয়েছি ওদের বাড়িতে আমি কতবার খেয়েছি ওর আম্মুর হাতের রান্না তা হয়তো মনেই নেই আমার।। এখনো যদি ওদের বাড়িতে যাই ওর মা এমন ভাবে কথা বলে আমি যেন সেই ছোটবেলাতেই রয়ে গেছি।। আন্টির কথা শুনে এখনো আমার সেই ছোটবেলার কথা গুলো খুব করে মনে হয়ে যায়।


এখনো মনে আছে সকাল নয়টার দিকে পাশের বাড়ির ময়লা পানির পুকুরে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে গোসল করতে ছিলাম। ওদিকে আবার স্কুলে যেতে হবে। আম্মা খুঁজতে খুঁজতে সেই পাশের বাড়ির পুকুরে লাঠি হাতে চলে এসেছে। কি আর করার। তাড়াতাড়ি গোসল থেকে উঠে বাড়ি আসলাম। সবাই জানি গোসল করলে শরীর পরিষ্কার হয়, আর আমাদের গোসলে শরীরে ময়লার স্তর জমে যেত। কোন রকমে পরিষ্কার হয়ে স্কুলে চলে গেলাম। স্কুলে গিয়ে দেখি সজীব স্কুলে আসেনি। কিছু সময় পরে এক বন্ধুর কাছে জানতে পারলাম ময়লা পুকুরে গোসল করার কারণে ওর আম্মুকে খুব মেরেছে তখন এই কথা শুনে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল।। কারণ ও গোসল করতে চাইনি ওকে আমি জোর করে নামিয়ে ছিলাম।। তখন আমিও স্কুল পালিয়ে বাড়ি গিয়ে ওকে খুঁজতে থাকলাম। দেখিও ঘরের মধ্যে একা একা শুয়ে আছে জানালা দিয়ে উঁকি মারছে ও ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো তখন দুজনে দিলাম আবার অন্যদিকে তোর।। দুজনে অনেকটা সময় পার করলাম নদীর ধারে বসে অনেক কথা বললাম ও মার খেয়েছে সেই দাগ দেখালো আমাকে।। আমিও অবশ্য স্কুল পালার কারনে বাড়ি গিয়ে বাবার কাছে বকুনি ও মার খেয়েছিলাম।।


একটি গল্প না বললেই নয়। নদী সাতড়িয়ে উপারে গিয়ে শশা খাওয়ার কথা আজও ভীষণ মনে পড়ে দু জনার। খুব মজা, তবে ভয় হতো যদি ধরা পরে যাই। তাও ভালো। কার আগে কে কত বেশি খেয়ে নিতে পারে। তবে নদী সাতরিয়ে ওপার যেতে ভরা নদীতে অনেক সময় ভয়ও করতো। সেই সাঁতার কাটা, বিকেলে সকলে মিলে মাঠে ফুটবল খেলা। জড়িয়ে রয়েছে আমাদের মাঝে স্মৃতি। আমরা দুজনই আবার আর্জেন্টিনা দলের সাপোর্ট করি ও গোলকিপার থাকত আর আমি খেলতাম বেগিতে।


বছরে একটি বড় ছুটির আশায় থাকতাম সবসময়। কখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি পাব। অনেকদিন স্কুলের সিমানায় পা রাখতে হবে না। তখন শুধু খেলাধুলা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতাম। পড়াশোনা শিকায় তুলে। রাখতাম। তবে এত বড় ছুটি পেলেও মাঝে মাঝে অনেক কষ্টের সময় পার করতে হতো কেননা ওর নানি বাড়ি ছিল একটু দূরে বড় ছুটি পেলেই ও এবং ওর আম্মা চলে যেত নানু বাড়িতে বেড়াতে। যদিও ও যেতে চাই চাইতো না ।তারপরেও ওকে যেতে হতো পরিবারের সাথে । তবে ও গিয়ে আবার বেশিদিন থাকতো না সবার আগেই ও চলে আসতো। আমি যদি ওকে বলতাম যে সবার আগেই তুই চলে আসলি কেন বলতো তোর মন খারাপ হবে একা একা থাকতে তাই আমি আর থাকতে পারলাম না।


এখনো মনে আছে সেদিনের কথা আমাদের স্কুলের সামনেই ছিল একটি বড় কাঁঠাল গাছ সেখানে ছিল একটি পাখির বাসা। তখন ছিল শীতের সময় দুটি ছানা পাখি ছিল বাসায়। আমরা দুজনেই মাঝে মাঝে দেখতাম সেই পাখির বাসায় উঠে আর বলতাম বাচ্চা ফুটলে নিয়ে যাব। ঠিক যখন বাচ্চা ফুটে একটু বড় হল ও আমাকে বলল যা বাচ্চা দুটিকে ধরে নিয়ে আয় আমরা বাড়িতে নিয়ে খাচায় ভরে পালন করব।। ওর কথা শুনে আমি যখন পাখির বাসা থেকে বাচ্চা জোড়া নিয়ে আসছিলাম তখন হঠাৎ করে পা পিছলে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে আমার ডান হাতটা ভেঙ্গে যায়।। আর এই খবরটা মুহূর্তের মধ্যে বাড়িতে চলে যায় এর কারণে অবশ্য সজীবের আব্বু ওকে অনেক মারধর করেছিল।। এখনো মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা আমার হাত ভাঙ্গাতে আমি যতটা কষ্ট না পেয়েছিলাম ও মার খেয়েছিল তার জন্য আমার বেশি কষ্ট হয়েছিল।। আমি স্কুলে যেতাম না বাড়িতে থাকতাম আমার জন্য ও মাঝে মাঝে স্কুল কামাই দিত সারাদিন আমার সাথে আমাদের বাড়িতে থাকতো।। আমি যদি বলতাম তুই বাড়ি যা তোর আম্মু মারবে স্কুলে যা না হলে কিন্তু তোর আব্বু মারবে ও বলতো যে মার খেতে হয় খাবো তবুও তোর কাছে থাকবো তোকে ছাড়া আমার কোথাও ভালো লাগে না।


"আমরা দুজনেই এখন বিবাহিত। ছুটিতে বাড়িতে গেলে দুজনে এখনো সারা দিন একসাথে দুইটা বাইক নিয়ে ঘুরাফেরা করি একসাথে খাবার খায় প্রায় সারাটা দিনই একসাথে পার করি।। যার জন্য আমার স্ত্রী মাঝে মাঝে আমাকে বলে যে তোমরা যদি একজন ছেলে আর একজন মেয়ে হতে তাহলেই তোমাদের ভালো হতো দুজনে বিয়ে করে সারা জীবন একসাথে থাকতে পারতে 😁😁😁🤭*।


আসলে বন্ধুত্ব বন্ধু এবং বন্ধুর সাথে জড়িয়ে থাকা সব ধরনের স্মৃতিগুলো যেন কখনো পুরাতন হয় না কখনো ব্যাকডেটেড হয় না সব সময়ই নতুনের মত চকচক করে


সেই ফেলে আসা দিনগুলো ফেলে আসা স্মৃতিগুলো র আংশিক কিছু লিখতে পেরেছি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে শব্দ আসলে বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না।। তবুও চেষ্টা করেছি বন্ধু এবং বন্ধুত্ব নিয়ে বিষাদ কিছু লেখার আশা করছি আমার আজকের লেখা আমাদের বন্ধুত্বের স্মৃতি আমাদের বন্ধুত্বের গল্প এবং আমাদের বন্ধুত্বের সাথে জড়িয়ে থাকা সব ধরনের কথাগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Sort:  
 2 years ago 

সব থেকে ভালো লাগলো যে ব্যাপারটা আপনার প্রিয় বন্ধুর নাম আমার নামেই,, "সজীব"। সজীব নামের ছেলেদের সাথে সবারই হয়তো ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় 😀। এক কথায় যদি বলি চমৎকার লিখেছেন পুরো ব্লগটি। আপনাদের শৈশব টা গ্রামে কেটেছে। আর তাই জন্য স্মৃতিগুলো এত মধুর। ময়লা পুকুরে গোসল করা, পাখির বাচ্চা পাড়তে নিয়ে হাত ভেঙে যাওয়া, আবার তার জন্য বন্ধুর মার খাওয়া , এসবই জীবনের সোনালী অধ্যায়ের এক একটি পাতা। সব থেকে ভালো লাগলো এই ব্যাপারটা যে আপনাদের বন্ধুত্বটা এখনো আগের মতোই আছে। দূরত্ব যতোই বাড়ুক না কেন। ভালো লাগলো পুরো লেখাটা পড়ে সত্যি।

 2 years ago 

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন সজীব নামের মানুষগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং আগ্রহটা সবসময় বেশি যেটা আমি আমার বন্ধুর মাধ্যমে দেখেছি।।।

আমি মনে করি আপনিও আমার একজন ভালো মানের বন্ধু ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাথে থাকার জন্য।।

 2 years ago 

সজীবের সাথে প্রতিটা স্মৃতি দেখছি সুখকর আপনার কাছে।সবথেকে হাসি পেলো ওটা পড়ে যে সবাই স্নান করলে পরিস্কার হয় আর আপনারা ময়লা। 🤣
এমন হরি-হর আত্মার বন্ধুদের সবাই বলে তোরা বিয়ে করে নে। 😁

 2 years ago 

আসলে যখন দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করি তখন অবশ্য এরকম ভাবে পরিষ্কার অপরিষ্কার সম্পর্কে এতটা ধারণা বা এত গুরুত্ব দিতাম না কেননা বয়সটা ছিল অন্যরকম আপনি সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন আপনাকে অসংখ্য

 2 years ago 

আসলে বন্ধুত্ব বিষয়টি এতটাই দামি সেটা বলে সত্যি শেষ করা যায় না। যা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনার আর আপনার বন্ধু সজীবের চলে আসা স্মৃতির কোন অভাব নেই। বিশেষ করে পুরো নদী সাঁতরিয়ে পার করে তারপর শসা খাওয়ার বিষয়টি বেশ মজার ছিল। ফুটবল খেলার মুহূর্ত। পাখির বাসা থেকে বাচ্চা নেওয়ার সময় আবার আপনার হাতটাও ভেঙ্গে গেল। বেশ মিষ্টি মধুর কিছু বন্ধুত্বের স্মৃতি। এখন দুজনে বিবাহিত এমনকি দুই জায়গায় চাকরি করছেন। তবে এখনো একসাথে দেখা হলে দুজনে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটান। বেশ ভালই লাগলো মুহূর্তগুলো।

 2 years ago 

বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো এতটাই দামি এবং এতটাই মধুর সারা জীবনে যেটা আসলে ভোলা সম্ভব নয় আমাদের বন্ধুত্ব চিরকাল অমর হয়ে থাকবে আমাদের হৃদয়ের গহীনে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানের জন্য

 2 years ago 

বন্ধুত্বের মাঝে আপনাদের অনেক সুন্দর কিছু স্মৃতি ছিল ভাইয়া। তবে প্রকৃত বন্ধু যতই বয়স হোক না কেন কখনো ছেড়ে যায় না। আর আপনাদের বন্ধুত্বের বন্ধন টি সেরকমই ভাইয়া।
আপনারও আপনার বন্ধুর জন্য শুভকামনা রইল

 2 years ago 

আসলে আমি মনে করি বয়স বাড়ার সাথে সাথে বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো আরো বেড়ে যায় এবং বন্ধুত্বের গভীরতাটা বাড়ে এবং দুজনের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন টাও অনেক প্রখর হয়ে যায় ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাথে থাকার জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.033
BTC 92484.28
ETH 3110.06
USDT 1.00
SBD 3.04