সকালের সময় এবং অন্যরকম ফুলের ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

১০পৌষ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

২৭ডিসেম্বর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
০৩জমাদিউল সানি, , ১৪৪৪ হিজরী
মঙ্গলবার।
শীতকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


🦠🦠

1672110024137.jpg

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করছি। যদিও বর্তমান আবহাওয়ায় সুস্থ থাকাটা সবার পক্ষেই সম্ভব নয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে আবার কোথাও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। আমাদের এলাকায় আজ শেষ রাত থেকে হালকা হালকা থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এখনো ঘন কুয়াশায় আসন্ন হয়ে আছে। এর সাথে রয়েছে পদ্মার কোল থেকে ধেয়ে আসা হাওয়া এবং প্রচন্ড শীত। চীনে দেখলাম খবরে করণার রুগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে এবং মৃত্যুর হার ও অনেক বেশি। ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে আমরা সবাই সব সময় নিরাপদে থাকার চেষ্টা করি। আজ সকালে ফজরের সালাতের পরে একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তখন আমাদের স্কুল মাঠের এক কন্নার থেকে এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলা করেছিলাম। এই ফুল ফুল সম্পর্কে কিছু কথা এবং সকালের হাঁটাহাঁটির ব্যাপারে আজ কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


🦠

IMG_20221227_085311.jpg

IMG_20221227_085241.jpg

**রাতে হয়েছে হালকা বৃষ্টি এখনো ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে ।মাঝে মাঝে সূর্যের আলো উঁকি দিচ্ছে অল্প করে। এরই মাঝে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের সালাত আদায় করে হাঁটতে বের হয়েছিলাম তিনজন। অনেকটা পথ হেঁটেছি আজ সেই সাথে খেয়েছি খেজুরের রস।। সকাল সকাল খেজুরের রস খেতে যেমন মজা তেমনি প্রচন্ড শীতের কারণে সারা শরীরে কাঁপুনি উঠে গিয়েছিল। তবে যাই বলেন হার কাপুনি শীতে সকাল সকাল ঠান্ডা খেজুরের রস খেতে কিন্তু মজাটাই অন্যরকম।


🦠🦠

IMG_20221227_085445.jpg

IMG_20221227_085419.jpg

বেশ কিছুদিন পরে আজ এত সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বের হলাম সত্যি যেমন শীত লাগছিল তেমনি অন্যরকম একটি মজাও পাচ্ছিলাম সকালের আবহাওয়া। তাছাড়া বিশেষ করে যখন নদীর পাড় দিয়ে হাঁটছিলাম ঘন কুয়াশার মাঝে তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগছিল। কেননা নদী থেকে হালকা নিরুদ্ধ হওয়া এসে লাগছিল শরীরে। এতটাই ঘন কুয়াশা ছিল যে হাঁটার পথের কোন দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করতে পারেনি।


🦠🦠

IMG_20221227_085544.jpg

IMG_20221227_085513.jpg

IMG_20221227_085335.jpg

এরপরে একটু বেলা হলে হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম আমাদের স্কুল মাঠে। চিরচেনা স্কুল মাঠ যেন লাগে এখন বড়ই অচেনা। নির্দিষ্ট কোন কাজ বা নির্দিষ্ট কোন প্রয়োজন ছাড়া সেই চিরচেনা জায়গাটিতে এখন আর তেমন বিচরণ করা হয় না। যাহোক স্কুলের এক কর্নারে দেখলাম অনেকগুলা অন্যরকম ফুল ফুটে রয়েছে। এর মানে আমি বলতে চাচ্ছি আর যে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি এই ফুলগুলো এর পূর্বে আমি কখনো দেখিনি।


🦠🦠

IMG_20221227_085709.jpg

IMG_20221227_085645.jpg

IMG_20221227_085618.jpg

ফুলগুলো দেখেই মনে মনে ভাবতেছিলাম যে এত জনবহুল একটি জায়গায় স্কুল মাঠের এক কন্যারে এত সুন্দর ফুল ফুটে আছে কিভাবে। কেননা এখানে যে পরিমাণ মানুষের বিচরণ এবং ছাগল গরুর আনাগোনা এগুলা তো থাকার কথা না। এজন্য ফুলের দিকে এগিয়ে গেলাম এবং গিয়ে দেখতে পেলাম অন্যরকম একটি অবস্থা। একটি গাছে যে কয়টি ফুল রয়েছে তার থেকে ডাবল এরও বেশি পরিমাণ রয়েছে ফুলে কাটা। ষোড় সরু লম্বা লম্বা কাটা থাকার কারণে হয়তো কেউ হাত দিয়ে এই ফুল তোলে না বা গরু-ছাগলের মুখ দিয়ে খেতে পারছে না। তবে এই এক খন্ড জমিতে ফুলের এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।


🦠🦠

IMG_20221227_085827.jpg

IMG_20221227_085752.jpg

IMG_20221227_085731.jpg

অভ্যস্ত তো হয়েই গেছেই ভালো কোন দৃশ্য দেখলেই মোবাইলে বন্দী করে রেখে দিয়েই পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে। তাইতো আর দেরি না করে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু ফটোগ্রাফি করেই ফেললাম। চলে আসছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে কোত্থেকে যেন উড়ে আসলো এক প্রজাপতি। এর মানে সোনায় সোহাগা। সকাল সকাল হয়তো ওনার খুব ক্ষুধা লেগেছে উনি হয়তো মধু আহরণের জন্য ফুল খুঁজছেন। কি আর করার উনি মধু আহরণ করতে থাকলেন আর আমিও এই সুযোগে ওনার কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে ফুল থাকবে মধু থাকবে আর সেখানে প্রজাপতি থাকবে না সেটা কি করে হয়। সবগুলো ফুলতে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন শিশির বিন্দুগুলা এখনো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। যা হোক সংক্ষিপ্ত আকারে সকালের ভ্রমণ খেজুরের রস খাওয়া নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে চলা এবং স্কুল প্রাঙ্গনে এসে ফুলের কিছু ফটোগ্রাফি করার গল্প আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।


লোকেশন:

ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Sort:  
 2 years ago 

হুম আমাদের এই দিকে সকালে বেশ বৃষ্টি হয়েছে আবার অনেক কুয়াশাও পরেছে।আজ সারাদিনই বৈরী আবহাওয়া, বেশ ভালোই লাগছে আমার কাছে আবহাওয়া টা।আসলেই ভালো কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।আপনার তোলা প্রতিটি ছবিই সুন্দর ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

 2 years ago 

আমাদের দিকে তো তেমন একটা শীতের আবহাওয়া আমরা টের পাইনা তাই এই শীত টাই মনে হচ্ছে অনেক বেশি।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

বেশ ভালো লাগে শীতের সকালে হাঁটতে যেতে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া রাতে বৃষ্টির পর সকালে ৪ দিকে কুয়াশায়,মেঘে অন্ধারচ্ছন্ন হয়ে আছে। আপনারা তিনজন মিলে নামাজ পড়ে হাঁটতে হাঁটতে খুব সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। বেশ সুন্দর লাগছে ফুলটিকে।

 2 years ago 

আসলে বেশ কিছুদিন হল সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করা আমার একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে তাই অনেক ভালো লাগে আমার কাছেও।।

 2 years ago 

এই ফুলটির সাথে আমি পরিচিত এবং কিছুদিন আগে আমি এই ফুলটির ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করেছি। তবে আপনি সকালবেলা কুয়াশার মধ্যে ভালই ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সকালবেলা হাঁটতেও কিন্তু বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

হয়তো আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটি আমি দেখিনি তবে এই ফুলগুলো কিন্তু অনেক ভালো তবে পুরো গাছটি কাটায় পরিপূর্ণ।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।

 2 years ago 

আপনি ঠিক বলছেন আসলে এই সিজনটা অনেক খারাপ যাচ্ছে সবাই ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তারপরও আপনি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখতে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।

 2 years ago 

আসলে সিজনটা খুব খারাপ যাচ্ছে এর জন্য সাবধানে থাকতে হবে বিশেষ করে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়াই যাবে না।।

 2 years ago 

ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন, বর্তমান আবহাওয়ার কারণে অসুস্থতা একটু বেশি বেড়ে গিয়েছে। কোরোনার সংখ্যাটাও একটু বেড়েছে। আর পদ্মা নদীর পাড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের শিশির ভেজায় হাঁটার আনন্দের সাথে রাতে থেমে থেমে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা অনুভব করতে পেরেছেন। তবে একটা কথা ঠিক বলেছেন, আমাদের চির চেনা জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া যাওয়া হয় না। আপনি যে ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এই ফুলগুলো আমিও চিনি না কখনো দেখেছি বলেও মনে হয় না। আপনার অনুভূতির সাথে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আসলে আমরা আর কি ঠান্ডার মধ্যে রয়েছি আমেরিকা কানাডা ইংল্যান্ড এরা তো অনেক বেশি বিপদে রয়েছে খুব করে তুষারপাত হচ্ছে যার কারণে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।।

 2 years ago 

এই ফুলগুলো কিন্তু খুবই সুন্দর। এর নাম যদিও আমার জানা নেই কিন্তু পাতাগুলো দেখে মনে হচ্ছে আমার পরিচিত। কারণ এইরকম একটা পাতা যা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। আর ঠিকই বলেছেন এখনকার আবহাওয়ায় সুস্থ থাকাটা খুব বেশি কষ্টকর। কারণ কুয়াশা, ঠান্ডা সবকিছুই সবাইকে অসুস্থ করতে সচ্ছল। যাই হোক আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল।

 2 years ago 

ফুলগুলা আমার ভালই লাগে কিন্তু ফুলের গায়ে অনেক কাটা ভরা তবে আমিও নামটি জানিনা ফুলের আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।।

 2 years ago 

আমাদের এদিকেও সকালবেলা বৃষ্টি হয়েছে। আজকের আবহাওয়া টা খুব সুন্দর। আপনারা তিনজন নামাজ পড়ে হাঁটতে হাঁটতে এই ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ফুলগুলো আসলেই খুব সুন্দর। বিশেষ করে কালারটা অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। ভালো ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আবহাওয়াবিদরা এটাই বলছে যে বেশ কয়েকদিনই এরকম আবহাওয়া চলবে। আসলে বাংলাদেশে তো জানুয়ারি মাসে সবথেকে বেশি শীত পড়ে থাকে।।

 2 years ago 

আপনার স্কুলের পাশে কোন থেকে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে ফুলটি। খুব সুন্দর লাগছে রাতের বেলায় হালকা বৃষ্টি পড়েছে তাছাড়া কুয়াশার কারণে ফুলটি খুব দারুণ লাগছে। এর মধ্যে আবার সূর্যের আলো বেশি প্রবেশ করছে এক কথায় অসাধারণ।

 2 years ago 

একদমই ঠিক বলেছেন আপু শিশির বিন্দু জমে থাকার কারণে ফুলটির সৌন্দর্য আরো বহু গুনে বেড়ে গিয়েছে।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58474.85
ETH 2500.10
USDT 1.00
SBD 2.39