রেসিপি 🫕 সুস্বাদু বাইম মাছ ভুনা।

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

২৯ পৌষ মাস , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৪জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩০জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরী
রবিবার।
শীতকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি



🍲🥗

1704728871179.jpg

মাছে ভাতে বাঙালি আমরা। যদিও এখন কথাটা কথার কথা হয়ে গিয়েছে। তারপরেও নদী অঞ্চলে কিন্তু এখনো বাহার রকমের মাছ রয়েছে। যেখানে তুলনামূলক ভাবে দামও অনেক কম। বিশেষ করে পদ্মা অঞ্চলে যারা বাস করে তারা তো সবসময়ই টাটকা মাছ খেয়ে থাকেন। আমার বাড়ি ও পদ্মা নদীর তীরে। যার জন্য সব সময় পদ্মা নদীর টাটকা মাছ খেয়ে থাকি। আসলে মাছ ছাড়া খাবারের পরিপূর্ণতা আসে না কখনোই। যাইহোক এখন সপ্তাহে যেকোনো একদিন আমি একটি রেসিপি প্রস্তুত করি যেটি আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। তেমনি গত শুক্রবারে দুপুরবেলায় বাইম মাছের মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছিলাম। উপরের ফটোতে হয়তো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে তার থেকেও বেশি মজা হয়েছিল। সব থেকে বড় কথা হলো নদীর মাছ তারপরে অতি যত্নের সাথে ভেজে রেসিপি প্রস্তুত করা হয়েছিল এজন্যই এতটা সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি খেতে। এই রেসিপিটির প্রস্তুত প্রণালী ফটোগ্রাফির সাথে এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরব ।আশা করছি ভালো লাগবে আপনাদের।


🍲

প্রয়োজনীয় উপাদান

১.বাইম মাছ
২.পেয়াজ
৩.মরিচ
৪.রসুন
৫.আদা
৬.হলুদের গুঁড়া
৭.মরিচের গুঁড়া
৮.ধনিয়া গুঁড়া
৯.এলাচ লবঙ্গ দারচিনি
১০.লবণ ও
১১. তেল।


IMG_20240108_212422.jpg

IMG_20240108_213836.jpg

IMG_20240108_213853.jpg

প্রথমে বাইম মাছের টুকরো গুলোর সাথে পরিমাণ মতো হলুদের গোড়া এবং মরিচের গুঁড়া মিশ্রণ করে নিয়েছি। এবার কড়াইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিয়েছি তেলটি গরম হলে বাইম মাছের টুকরো গুলো তেলের উপর ছেড়ে দিয়ে ভাজতে শুরু করেছি। ভালো করে মাছের টুকরো গুলো ভাজি করে আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি। পরপর তিনটা ফটোতে লক্ষ্য করলে আপনারা সেটা দেখতে পাবেন।


🍲

IMG_20240108_214000.jpg

IMG_20240108_214024.jpg

এবার মসলা ভালো করে ভুনা করে নিতে হবে রেসিপি ভালো এবং সুস্বাদু করতে হলে। দেখতে পাচ্ছেন কড়াইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিয়ে তার ভিতরে পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা পেঁয়াজ এবং মরিচের টুকরোগুলো দিয়ে ভাজতে শুরু করেছি। এর মধ্যে এবার টমেটোর টুকরোগুলো দিয়ে দিয়েছি। এগুলো এবার ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।


🍲

IMG_20240108_214041.jpg

IMG_20240108_214111.jpg

এবার ভুনা করা মসলার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমান পানি দিব। মসলার সাথে পানি ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ করে নেব। লবণের পরিমাণটা ভালো করে দেখে নিব। এই পর্যায়ে পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা ভাজি করা মাছগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব। মাছের টুকরো গুলো দিয়ে এবার ভালো করে মসলার সাথে মিশিয়ে দেবো নেড়ে। এই ধাপটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মসলা এবং মাছ যত ভাল করে কষানো যাবে রেসিপিটি খেতে ততটাই সুস্বাদু হবে।


🫕🫕

IMG_20240108_214516.jpg

IMG_20240108_214542.jpg

মসলা এবং মাছ এবার প্রায় 15 থেকে 20 মিনিট মত একই সাথে ভালোভাবে কষাতে থাকলাম।প্রথম ফটোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি কিছু মরিচ কেটে দিয়েছি। আমার কাছে মনে হচ্ছিল ঝালের পরিমাণটা একটু কম হয়েছে। কেননা এই জাতীয় ভুনা রেসিপিতে ঝাল একটু বেশি হলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। এবং দ্বিতীয় ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন রেসিপি প্রস্তুত প্রায় শেষ। এমন সময় কিন্তু রেসিপি দিয়ে খুব সুন্দর সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল। আমি তো তখন থেকেই একটা একটা তুলে খেতে শুরু করেছিলাম।


🍲🍲

IMG_20240108_214247.jpg

এরই মধ্যে দিয়ে রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী শেষ করি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে দেখে নিয়ে রেসিপিটি চুলা থেকে নামিয়ে নিই। রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী শেষ করেই গরম ভাতে খেতে শুরু করি। কেননা রেসিপিটি খুবই মজাদার হয়েছিল। বিশেষ করে এর সুগন্ধি একদম পাগল করে তুলছিলো।যাহোক নদীর মাছ বলে কথা আর এই মাছ তো আমার খুবই প্রিয়। দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও তেমন মজা হয়েছিল। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে প্রস্তুত প্রণালী শেয়ার করেছি। আশা করছি এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


লোকেশন:


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Sort:  
 7 months ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন যারা পদ্মা নদীর তীরে বসবাস করে তারা সব সময় টাটকা মাছ খেয়ে থাকে। আপনার শেয়ার করা বাইম মাছের ভুনা রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ লোভনীয় হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 7 months ago 

জি দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও তেমন মজা হয়েছিল খুব মজা করে খেয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 7 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া নদীর পাড়ের লোকজন টাটকা মাছ খেতে পারে সব সময়। তবে মাছ ছাড়া আমাদের একদিন ও কিন্তু চলে না।আর বাইম মাছ এভাবে রান্না করলে খেতে অনেক মজার। আপনার রেসিপি নিশ্চয়ই অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

ঠিকই বলেছেন আসলে আমাদের একদিনও চলে না মাছ ছাড়া।
ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি দেখে মন্তব্য করার জন্য।

 7 months ago 

সকাল সকাল দারুন মজার রেসিপি শেয়ার করলেন ভাইয়া। বাইম মাছ আমার খুবই পছন্দের মাছ।এই মাছ যদিও অনেক দিন খাওয়া হয় না।আমার শ্বশুরবাড়ির কারোই পছন্দ নয়।এরা খায় ই না।আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো ভাইয়া। আপনি মাছ ভেজে রান্না করলেন।আমি ভেজে রান্না করিনা।এই মাছ এমনিতেই শক্ত হয়ে যায়। যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পছন্দের মাছের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

তবে আমাদের পরিবারের কিন্তু সবাই এই মাছ অনেক পছন্দ করে।
ভেজে রান্না করলে অন্যরকম একটি মজা হয় খেতে এজন্যই এরকম করেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 7 months ago 

অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বাইম মাছের রেসিপি দেখেই জিভে পানি চলে আসলো। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও তেমন মজা হয়েছিল খুব মজা করে খেয়েছি।

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 7 months ago 

আপনার বাড়ি পদ্মা নদীর তীরে হওয়াতে আপনি পদ্মা নদীর টাটকা মাছ অনেক খেয়েছেন। আসলে টাটকা মাছ খেতে খুবই মজা লাগে। আজকে আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি পরিবেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আসলে ভাইজান নদীর টাটকা মাছ খেতে অন্যরকম একটি ভাল লাগার কাজ করে এবং খুব সুস্বাদু লাগে খেতে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 7 months ago 

পদ্মার পাড়ের মানুষ সত্যি অনেক সুস্বাদু মাছ খেতে পারে। নদীর মাছ সব সময় সুস্বাদু হয়ে থাকে।আপনার নদীর বাইম মাছের রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় লাগছে ভাইয়া।রেসিপিটি দেখেই লোভে পড়ে গেলাম। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রণালি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে চমৎকার লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।

 7 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া নদী অঞ্চলের মানুষের জন্য টাটকা মাছ খাওয়ার সুবিধা। বিশেষ করে নদীর মাছ গুলো খুবই সুস্বাদু হয়। এই মাছগুলো নদী অঞ্চলের থাকলেই খাওয়া যায়। যাই হোক এরকম বাইম মাছের রেসিপি খুব ভালো লাগে খেতে। আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। দেখতেও লোভনীয় লাগছে।

 7 months ago 

আসলে ঠিকই বলেছেন নদীর মাছ খেতে সব সময়ই অন্যরকম মজা লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রেসিপিটি দেখে মন্তব্য করার জন্য।

 7 months ago 

বাইম মাছের অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এভাবে বাইম মাছের রেসিপি তৈরি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে বিভিন্ন মসলাগুলো একত্রে প্রস্তুত করে নেওয়াটা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

জ্বী ভাইয়া এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে অনেক মজা হয় আপনিও একবার বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60944.89
ETH 2608.11
USDT 1.00
SBD 2.67