ফড়িং 🦗📸ও আমার ছোট বেলা 🦗🦗
১২আষাঢ় , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৬জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
২৫জ্বিলকদ, ১৪৪৩ হিজরী
রবিবার।
গ্রীষ্মকাল ।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🦗
🦗
প্রিয় সহযোদ্ধা বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আমি আপনাদের সাথে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ফড়িং এর সাথে কিছু গল্প এবং আমার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি তুলে ধরতে চলছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক👇 |
---|
🦗🦗
🦗🦗
গত কালকে লাঞ্চের পরে অফিসে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে ঝুম ঝুম ঝুম বৃষ্টি শুরু হল। এবং কিছু সময়ের মধ্যে একটি ফড়িং রুমের জানালা দিয়ে ঢুকে পরল। ছোট তাই আমি হাত দিয়ে ধরলাম। এবং গ্লাসটার পাশে নিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। ফটোগ্রাফি করে ফড়িং টিকে উড়িয়ে দিলাম রুমের মধ্যে উড়াউড়ি করতে লাগলো। তার কিছু সময় পরে আবার আরেকটি ছোট্ট ফড়িং ঢুকলো সেটাকে ধরে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। |
---|
🦗🦗
🦗🦗
এই ফড়িংয়ের ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে হয়ে গেল। আমার দাদী, মা বাবা আরো যারা আত্মীয়-স্বজন আছে তারা মাঝেমধ্যে বলে আমি নাকি ছোটবেলায় অনেক চঞ্চল এবং দুষ্ট ছিলাম। সারাদিন নাকি শুধু আকাম কুকাম করে বেড়াতাম। |
---|
🦗🦗
🦗🦗
আসলে উড়ন্ত প্রাণী কাছে পাওয়া এবং তার ফটোগ্রাফি করা এবং তার সাথে কিছুটা মুহূর্ত পার করা সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। ইচ্ছা করলেই যেটা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা। |
---|
🦗🦗
🦗🦗
ছোটবেলায় আমার মনে আছে পাট কাঠির মাথায় জিগার আঠা অথবা সজনে গাছ থেকে আঠা লাগিয়ে ঘুরতাম এবং ওই আঠার সাহায্যে ফড়িং এর উপর দিয়ে ফড়িং ধরতাম। |
---|
🦗🦗
🦗🦗
প্রতিদিনই প্রায় এরকম আকাম করে বেড়াতাম আমি এবং আমার বন্ধু রুবেল। এখন সব কথাই মনে পড়ে অনেক ফড়িং কে আমরা ধরে হত্যা করেছি। যেগুলো আসলেই ঠিক করিনি। যেহেতু তখন বুঝতাম না তাই হয়তো এই কাজগুলো করেছি। |
---|
🦗🦗
🦗🦗
আমার মনে আছে ফড়িং ধরে তার লেজে সুতা বেঁধে উড়িয়ে দিতাম এবং সূতা হাতের রাখতাম। ফড়িং উড়ে যাওয়ার জন্য সবসময় অনেক চেষ্টা করত কিন্তু সুতা দিয়ে বাঁধা থাকার কারণে উড়ে যেতে পারত না। |
---|
🦗🦗
🦗🦗
এরকমভাবে আরো ফড়িং ধরে পলিথিনের প্যাকেটে রাখতাম তখন আমারা এতটা বুঝতাম না যে অক্সিজেনের অভাবে প্রাণীটি মৃত্যুবরণ করবে। কিন্তু দেখতাম কিছু সময় পরে প্রাণীগুলো আধা-মরা হয়েছে অথবা মারা গিয়েছে। তখন সেগুলো কে আমার ফেলতাম কিন্তু ততক্ষনে সেগুলোর আর এতটাই শক্তি থাকতো না যে উড়ে যাবে। ওইটা কোন পাখির অথবা হাঁস মুরগি ধরে তাদের খেয়ে ফেলত। একসময় যে ফড়িং গুলো ধরার জন্য প্রায় সময় পাটকাঠি আর পাট কাঠির মাথায় আটা নিয়ে ফড়িংয়ের পিছু ধাওয়া করতাম আর এখন কেমন কেমন করে যেন সেই ফড়িং গুলো কাছে এসে ধরা দেয়। আসলে সবই নিয়তি। তখন চেষ্টা করে পারতাম না আর এখন অটোমেটিক কাছে চলে আসে। যাইহোক ফড়িংয়ের ফটোগ্রাফি এবং আমার ছোটবেলার দু'একটি কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
---|
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
হাহা। ভাই ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন আবারও। আপনার মত আমরাও বন্ধুরা মিলে পাট কাঠি বা শোলার আগায় আঠা লাগিয়ে ঘুরতাম ফড়িং ধরার জন্য। ধরে আবার ছেড়ে দিতাম কিছুক্ষন পরেই। কখনও মেরে ফেলি নি। যাইহোক ভাল লাগল আপনার পোস্ট
আসলে চলতি পথে অনেক কিছু দেখলেই নিজের জীবনের ছোটবেলার সাথে অনেক কিছুই মিলে যায় যেগুলো দেখে আসলে নিজের আবেগকে দূরে রাখা যায়না ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
Twitter link:https://twitter.com/MdLiton82465447/status/1541018447936495616?t=DI18tPEV18VLKuh90EvzQg&s=19
ফড়িং এর ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে ভাই। সত্যিই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ফড়িং এর লেজে সুতা বেঁধে উড়িয়ে দিতাম ঠিকি কিন্তু সুতাটা হাতে থাকতো। খুব সুন্দর ছিলো দিনগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি ও মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
ফড়িংয়ের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে সত্যি অনেক খুশি হলাম আসলে ছোটবেলার স্মৃতি বলে কথা ভালো না লেগে যাবে কই ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মন্তব্য করার
আপনি খুবই দক্ষতার সাথে এই ফড়িংয়ের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে ফড়িংয়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো, সুন্দরভাবে উপস্থাপন শুভকামনা রইল।
ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভাল লেগেছে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করে খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন
ছোট্টবেলার সেই স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দিয়েছে আবারো সেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো। সত্যিই প্রজাপতির পিছনে সারাদিন না হয় অন্তত দিনের বেলা হলে ও এই প্রজাপতির পিছনে ছুটতাম। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের নানান ধরনের প্রজাপতি দেখা যেত। তবে এই প্রজাপতিগুলো বিশেষ করে ধান খেতের মধ্যে বেশি দেখা যেত। আমরা নারিকেল গাছের সলার মাথায় মাকড়সার জাল পেঁচিয়ে প্রজাপতিগুলো ধরতাম। আর প্রজাপতির লেজের মধ্যে সুতা লাগিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। তখন আমরা বলতাম উড়োজাহাজ উড়ে যাচ্ছে। আপনার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো জেনে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর আনন্দ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আসলে ভাইয়া আমাদের ছোটবেলার চিতি গুলো প্রায় সবারই সেন্সেন হয়ে থাকে আমিও ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম এবং এই কাজগুলোই করে বেড়াতাম আপনিও দেখেছেন
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমারও ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। আগে কতো ঘুরছি এই ফড়িং এর পিছে পিছে। আপনার পোস্ট পড়ে স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেলো।
আমার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে হয়েছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো আসলে ছোটবেলার কথা কখনোই ভোলা সম্ভব নয়
আপনার পোস্ট দেখে আমার ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোটবেলায় প্রায় দিনই বিকেলে একটি কাঠির মাথায় জিগি গাছের আঠা লাগিয়ে এই ফড়িং ধরতাম। অনেক ভাল ছিল আপনার পোস্ট আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ফড়িংয়ের ফটোগ্রাফি এবং আমার ছোটবেলার কথাগুলো পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য
আপনার এই পোস্ট দেখে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল ছোট বেলা এরকম ভাবেই ফড়িং নিয়ে খেলাধুলা করতাম খুবই ভালো লাগতো। সুন্দর এই মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ছোটবেলায় এরকম হবে ফড়িং স্বীকার করেনা এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না তাইতো ফড়িংয়ের ফটোগ্রাফি গুলা করার পর মনে হল ছোটবেলার কিছু কথা লিখে আপনাদের মাঝে তুলে ধরে
আপনার ছোট বেলার স্মৃতি পড়ে অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া । আসলে আমাদের ছোট বেলা ছিল প্রায় যান্ত্রিকতা মুক্ত এবং দুষ্টুমিতে ভরপুর । পাটকাঠির মাথায় আঠা লাগিয়ে ফড়িং ধরার এই নির্মম খেলা আমরাও খেলেছি সে সময় । এখন মনে করতেও খারাপ লাগছে খেলার ছলে কত প্রাণ নষ্ট করেছি ।
একথা ঠিক এবং আমার আমাদের ছোটবেলা ছিলো যান্ত্রিক জীবন মুক্ত সারাদিন দুষ্টুমিতে মেতে থাকতাম বনে বাঁদাড়ে ঘুরে খেলা করে বেড়াতাম এটাই ভালো ছিলো এখনকার ছেলেমেয়েদের থেকে