ভ্রমণ 🚴🚴 কুষ্টিয়া টু আলমডাঙ্গা।
৩০পৌষ মাস , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৫ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
০৩রজব ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার ❤️
শীতকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🚴
সময় চলছে সময়ের গতিতে। আমরা প্রতিনিয়ত সময়কে কেন্দ্র করে আমাদের জীবনকে অতিবাহিত করছি। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে স্থানান্তরিত হচ্ছে। সকাল থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত কত রকমের কথা কাজ আমাদের দ্বারা হয়ে যাচ্ছে। কাজের চেয়ে সময়টা যেন খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দিনশেষে হিসাবটা ঠিকঠাকভাবে মিলছে না। সময়টা ঠিকই পার হয়ে গিয়েছে অথচ সময়ের কাজগুলো সময়মতো করা হয়তো সম্ভব হচ্ছে না। তবুও চেষ্টা করছি দিনের কাজ দিনের সম্পন্ন করার। কেননা আজকের কাজ যদি আগামী দিনের জন্য রেখে দেই তাহলে আগামী দিনের কাজ পরিপূর্ণভাবে করতে পারবোনা। ওই যে বললাম প্রতিনিয়ত ছুটে চলছে জীবিকার তাগিদে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম আলমডাঙ্গায় একের সাথে দেখা করতে। অবশ্য শুধু দেখা ছিল না প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট আদান প্রদান এবং কাজ ছিল। এটা আসলে অফিস থেকেই আমাকে পাঠানো হয়েছিল। আমার আবার কোথাও যাওয়ার কথা বললে কখনো না বলি না। কেননা নতুন জায়গা ভ্রমণ করব সেখান কার সম্পর্কে অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হবে। নতুন কিছু দেখতে পাবো আবার নতুন খাবারের স্বাদ দিতে পাব। যাহোক আলমডাঙ্গা ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি এবং কথা আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
🚴🚴
কুষ্টিয়া জেলা সম্পর্কে হয়তো আমরা সবাই কমবেশি জানি। কেননা বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতির রাজধানী বলা হয় বিভিন্ন কারণে। আর কুষ্টিয়া জেলা থেকে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় যাওয়া অত্যন্ত সহজ। সেটা হোক রেলপথ বা সড়ক পথ। আবার চাইলে পদ্মা নদী হয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করা যায়। যেহেতু ট্রেন ভ্রমণ সবথেকে ভালো এজন্য আমি রেল পথকেই বেছে নিয়েছিলাম আলমডাঙ্গায় যাওয়ার জন্য। কুষ্টিয়া থেকে ট্রেনে উঠে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম। স্টেশনে গিয়েই পটাপটে একটা ফটোগ্রাফি করে নেই সকাল সকাল। কেননা আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল একটি ভ্রমণ পোস্ট করব। ফটোগ্রাফিতে আপনারা আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন দেখতে পাচ্ছেন।
🚴🚴
এখন তো চলছে শীতকাল ঝোপঝাড় নার্সারি মানুষের বাড়ির আঙিনা বিভিন্ন ধরনের ফুলে ভরপুর হয়ে গেছে। আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে নামতেই পেছনদিকে চোখে পড়লো এক ঝোকরা ফুলের সৌন্দর্য। বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ স্থলের উপর ওড়াউড়ি করছে বিশেষ করে মৌমাছি এবং প্রজাপতি মধু আহরণ করছে। রেল লাইনের পিছনের এই সৌন্দর্য দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে এজন্যই ফ্রেমবন্দি করে রেখেছি।
🚴🚴
সৃষ্টিকর্তা কোথায় কিভাবে কার রিযিক রেখেছে সেটা আসলে আমরা কেউই জানিনা। রেললাইনে পৌঁছানোর পরেই আমার কলিগ এসে আমাকে পিক করে নিয়ে চলে গেল একটি খাবার হোটেলে সকালের নাস্তার জন্য। তার কাছ থেকে শুনতে পেলাম এখানকার তন্দুর রুটি চিকেন এবং সালাদ খুবই সুস্বাদু। সকালের নাস্তা হিসেবে এই অঞ্চলের খুবই জনপ্রিয় একটি হোটেল। তো সকাল সকাল সেখানে গেলাম ফ্রেশ হয়ে হাতমুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা সেরে নিয়ে দুজনের কাজে বের হয়ে পড়লাম।
😋😋
আসলে ভ্রমণ করলে রিজিক বেড়ে যায়। এবং ভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদও গ্রহণ করা যায়। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে প্রায় বিকেল বেলা অন্য আরেকটি হোটেলে গিয়েছিলাম মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য। আমার এবং আমার কলিকের দুজনেরই মাটন বিরানি খুবই প্রিয়। আর আলমডাঙ্গা শহরের মধ্যে এই জায়গার মাটন বিরানি সব থেকে বেশি ফেমাস। তো আমার কলিক নাকি আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল দুপুরবেলা এখানে এসে মধ্যাহ্ন ভোজটা সেরে নিব। যাও কাজকাম শেষ করে মনে হচ্ছিল পেটে টান পড়েছে তাই তো রেস্টুরেন্টে গিয়েই মাটন বিরিয়ানির অর্ডার করে দুজন মজা করে খেতে শুরু করলাম একটা ছবি তুলেই। আসলে ভ্রমণটা একদিনের হলেও অনেক কাজ করতে হয়েছে সেই সাথে বেশ কিছু জায়গায় ভ্রমন হয়েছে। আর খাবারের কথা কি বলবো সারাদিনের বেশ কয়েক রকমের খাবার খেয়েছি। তবে সকালের নাস্তা থেকে আমার কাছে মনে হল মধ্যাহ্ন ভোজের খাবারটা বেশি মজাদার ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার স্টেশনের দিকে হাটা দিলাম ট্রেনের সময় হয়ে যাচ্ছিল আবার কুষ্টিয়াতে ফিরতে হবে।
🚴🚴
স্টিশনের ট্রেন আসার ১০ মিনিট আগেই আমরা চলে আসি। কেননা ট্রেন মিস করে যায় তাহলে কুষ্টিয়াতে ফিরতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। বাসে উঠলে আমার আবার বমি হয়। এজন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্টেশনে এসে দুজনে বসে গল্প করতে থাকি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। উপরের ফটোগ্রাফি দেখতেই পাচ্ছেন পড়ন্ত বিকেলে পশ্চিম আকাশ রক্তিম আভায় আলোকিত। ঠিক সেই মুহূর্তেই স্টেশনের সাইনবোর্ড সহ এই ফটোগ্রাফি টি ফ্রেমবন্দি করি। অবশেষে ট্রেন চলে এলে আবার কুষ্টিয়াতে ব্যাক করি। যাহোক একদিনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কুষ্টিয়া থেকে আলমডাঙ্গা ভ্রমণের বেশ কিছু কাহিনী আপনি পোষ্টের মধ্যে তুলে ধরেছেন ভাই। আসলে দুটোই আমাদের পাশের জেলা কুষ্টিয়া এবং আলমডাঙ্গা। ১০ মিনিট আগে আপনারা আলমডাঙ্গা ট্রেন স্টেশনে পৌঁছেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই আসলে ট্রেন মিস করলে নির্দিষ্ট সময়ে জায়গা মতো পৌঁছাতে অনেক ঝামেলা হয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভ্রমন কাহিনী পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভাই ভ্রমণ সবসময় আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। আপনি কুষ্টিয়া টু আলমডাঙ্গা ভ্রমণ করেছেন। এটা বেশ ভালো লাগলো আপনার কলিগ আপনাকে নিয়ে হোটেলে খাবার খেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। সব মিলিয়ে চমৎকার সময় পার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আসলে ভাইয়া কাজের মাঝেও দিনটাকে খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি।
বেশ কয়েকটি জায়গা ভ্রমণ সেই সাথে মজার মজার খাবার খেয়েছি।
আমি মনে করি আজকের কাজ কালকের জন্য জমিয়ে না রাখা। যখন দিনের কাজ গুলো দিনে করে ফেলা হয় তখন আর চাপ থাকে না। আপনি আলমডাঙ্গায় খুব সুন্দর ভ্রমণ করলেন। নতুন জায়গায় নতুন ভ্রমণ সেই সাথে খাবার দাবারও নতুন। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর লাগলো। সবকিছু মিলিয়ে আপনার কুষ্টিয়া টু আলমডাঙ্গা ভ্রমণ অসাধারণ ছিল।
কথা একদম ঠিক কাজ জমিয়ে রাখলে পরবর্তীতে কাজের প্রতি অবহেলা টা বেড়ে যায়।
এবং পরবর্তীতে এই কাজগুলো করতে অনেক ঝামেলা ও মনে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমিও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি৷ সবসময় চেষ্টা করি কোনো না কোনো জায়গায় ভ্রমন করার। আজকে আপনার এই ভ্রমণের পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। একইসাথে আপনি এখানে খুব ভালোভাবে সবগুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷
আসলে ভ্রমণ করলে নতুন জায়গা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বাড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।